জামেয়া ওয়েবসাইট

সোমবার-৯ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি-১৪ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ-২৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কবিতা/ছড়া নভেম্বর

পালটে গেছে নিয়ম

সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম

ওরে সত্য যুবা আয়

হাজার-লাখো যুব সমাজ

স্বেচ্ছায় ধ্বংস হয়ে যায়।

দ্যাখ সময় যে ধেয়ে যায়

ধ্বংস করিস নারে যুবা

যারা মিথ্যার পিছে ধায়।

ওরে সত্য শুনতে আয়

গরু যাদের মহাদেবী

তারা গরুর গোশত খায় ।

পানিতে আজ মিশায় দুধ

ধর্মের নিয়ম পালটে গেছে

হাজী খায়রে চক্র সুদ।

তোরা দেখবি যদি আয়

যুগের নিয়ম পালটে গেছে

মুসলিম পূজার মেলায় যায় ।

ওরে আজিব কথা শুন

বাপকে করে ঘরের বাহির

স্বার্থে মায়রে করে খুন ।

গুরু মাতার যায়যে মান

ছাত্রের প্রেমের জালে পড়ে

শেষে হারায় শুরু প্রাণ ।

সর্বত্র ফেসবুকের ধুম

লেখা পড়ায় নাইরে কেহ

রুমে যায় যে সবে ঘুম ।

দু’দিন বন্ধ শিক্ষালয়

ঘরে জ্বলবে মোমের বাতি

বিদ্যুৎ হবে যে সাশ্রয় ।

নেতাই ওদের শক্তি বল

ভারতবাসী-সব বন্ধুবর

কী বলবে সামনে বল ।

নেই তুলনা এই বাংলায়

সত্যনিষ্ঠ নেতা নেত্রী

কভু নাই যে পরাজয় ।

ওরা দম্ভভরে কয়

খাই যে মদ নিজের টাকায়

কারোর বাবার টাকায় নয় ।

ইচ্ছে তাই খাই যে নেশা

শক্তি থাকে সামনে দাঁড়া

শেষে দেখবিরে দশা।

পিশাচ এমন পাওয়া যায়

হত্যা করেও খেদ মিটেনা

মানুষ মেরে মানুষ খায় ।

তবু এদেশ স্বর্গপুরী

বলেন ঐ যে বাহাদুর

এ দেশের নাই কো জুড়ি ।

মুক্তি সেনার বাংলাদেশ

আর বাকীরা দেশদ্রোহী

বাঁচতে এখনই ছাড় এদেশ ।

চোর-গুণ্ডারা তাই রাজা

জিম্মি হয়ে থাকবে মানুষ

গুণ্ডার হবে না সাজা ।

শেষে থাকবে শুধুই সৎ

নাফরমান সব খতম হবে

যে দিন হবে কিয়ামত ।

তবে শেষের কথা শুন

কাফির শক্তি মিলবে সবে

যে দিন দাজ্জাল হবে খুন ।

সৎ মানুষ থাকবে সে দিন

বিশ্ব জোড়া মুমিন হবে

থাকবে মাহদির সরল দীন ।

বাবা

ইমরান বিন তালেব

বাঁশবাগানের ঝোপের মাঝে;

কবরটা দেখ ওই,

জানিস খোকা আব্বা আমার,

হারিয়ে গেছে কই!

জীবনভর পেয়েছি বাবার;

উপচে পড়া মায়া,

নেই তো এখন মাথার ওপর,

বাবা নামক ছায়া।

আমাদের তরে শুধু অকাতরে

সহেছে কত দুঃখ,

জীবদ্দশায় দেখেনি বাবায়,

শান্তি সুখের মুখ।

দুঃখের পাথারে কেটেছে বাবার;

কত যে সোনালি দিন!

শোধিবেনা না কভু আমার বাবার

অপূরণীয় ঋণ।

রোজ সকালে ভুঁইয়ের আইলে;

পান্তা কাঁঠাল খেতে,

মহিষের হাল ছাড়িয়া বাবায়,

বসিতো গামছা পেতে।

দুপুরবেলা রৌদ্রে ঘেমে;

ফিরত বাবা ঘরে,

আমরা তখন ঘুমের দেশে,

শীতল পাটির পরে।

শেষ দুপুরে কোদাল কাঁধে

যাইতো বাবা মাঠে।

মিঠাইয়ের ছলে যাইতাম মোরা,

পতন ডোবার হাটে।

সুরেশ দাদা বাকিতে দিতেন;

জিলাপি, নিমকি-পুরি!

মনের সুখে মিঠাই খেতাম,

বিল ধারে ঘুরি ঘুরি।

রাত্রিবেলায় ক্লান্ত বাবায়;

কহিতো মোরে ডাকি,

নিয়মিত তুই পাঠশালে যাস,

দিস নে কখনো ফাঁকি।

আজ মনে পড়ে কথাগুলো তাঁর,

ভেসে ওঠে কত স্মৃতি!

বুঝিনি তখন বাবার কদর,

বুঝিনি রে তার কৃতি।

বাবার লাগি এই দোয়া মাগি,

ওগো করুণাময়!

কবর জীবন বাবার যেন;

শান্তি সুখের হয়।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on pinterest
Pinterest
Share on telegram
Telegram
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

সর্বশেষ