জামেয়া ওয়েবসাইট

সোমবার-৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি-২৫শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ-১০ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

উত্তর আফ্রিকায় মুসলিম বিজয়

উত্তর আফ্রিকায় মুসলিম বিজয়

মূল            : ড. আলি মুহাম্মদ সাল্লাবি

অনুবাদ       : সাইফুল্লাহ আল মুরতাফি

সম্পাদনা     : ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন

নিরীক্ষণ      : মাহমুদ সিদ্দিকী

প্রকাশনায়    : দর্পণ প্রকাশন, ইসলামী টাওয়ার (২য় তলা), ১১, বাংলাবাজার, ঢাকা-১১০০।

মুসলমানদের ইতিহাসে উত্তর আফ্রিকা বিজয় এক ঐতিহাসিক ঘটনা। তিউনিসিয়া, লিবিয়া, মরক্কো, মৌরিতানিয়া, আলজিরিয়া, তানজিনিয়ার, এমনকি আফ্রিকার সীমানা ছাড়িয়ে বৃহত্তর স্পেনের নানা জাতিগোষ্ঠী বিভিন্ন সাংঘর্ষিক মতবাদ ও ধর্মের নামে কুসংস্কারে বিশ্বাসী ছিল। সুশাসনের অভাব ছিল প্রকট। কর্তৃত্ববাদী শাসনের ফলে রাষ্ট্র জনগণকে ন্যায্য অধিকার দিতে ব্যর্থ হয়েছে। পারস্পরিক হানাহানির কারণে সামাজিক অস্থিরতায় সাধারণ মানুষের জীবন হয়েছে অতিষ্ট ও বিভীষিকাময়। বৃহত্তর এ জনগোষ্ঠীকে মুক্তি ও সুশাসন নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে যেসব অকুতোভয় সেনানায়ক জীবনবাজি রেখে অভিযান পরিচালনা করেন তাদের মধ্যে মুআবিয়া ইবন হুদাইজ, উকবা ইবনু নাফে, আবুল মুহাজির দিনার, যুহাইর ইবনু কায়স বালাবি, হাসসান ইবন নুমান আযদি গাসসানি, মুসা ইবনু নুসাইর, তারিক ইবনু যিয়াদ, আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর ও রুওয়াইফি ইবনু সাবিত অন্যতম। তাঁরা উত্তর আফ্রিকার বিভিন্ন অঞ্চল জয় করেই ক্ষান্ত হয়নি বরং প্রশাসনিক কাঠামোর বিন্যাস করতে গিয়ে বিভিন্ন দফতর কায়েম করেন। সমৃদ্ধ পাঠাগার ও বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করেন। নিরবচ্ছিন্ন শান্তি, শৃঙ্খলা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করেন। আল্লাহর পথের এ সব মুজাহিদদের অনেকে যুদ্ধাভিযানে শাহাদত বরণ করে রক্তের নজরানা দেন।

বিশ্বখ্যাত শেকড়সন্ধানী ইতিহাসবিদ ড. আলি মুহাম্মদ সাল্লাবি ‘আল-ফাতহুল ইসলামি ফিশ-শিমালিল আফ্রিকি’ গ্রন্থে মুসলমানদের আফ্রিকা বিজয়ের পটভূমি, প্রাচীন রাজত্ব, নানা ধর্মের তৎপরতা, মুজাহিদিনদের অভিযান, প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা, বিজয়ীদের মহৎকীর্তি, জাতিগোষ্ঠীর ধর্মদর্শন, উত্তর আফ্রিকায় সাহাবিদের আগমনের ঘটনাপঞ্জি অনুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করার প্রয়াস পেয়েছেন। এ বিষয়ে এটি আকরগ্রন্থ।

তরুণ অনুবাদক জনাব সাইফুল্লাহ আল মুরতাফি এ ঐতিহাসিক গ্রন্থটি বাংলায় ভাষান্তর করে রীতিমত কৃতিত্ব দেখিয়েছেন। বাংলা নাম ‘উত্তর আফ্রিকায় মুসলিম বিজয়’। ইলমে দ্বীন ও বিশ্ববিদ্যালয়ে আরবি সাহিত্যে উচ্চতর ডিগ্রি থাকায় তার মেধা ও মননশক্তি ঋদ্ধ ও পুষ্ট হয়েছে। তাঁর অনুবাদ গতিময়, সাবলীল ও ঝরঝরে। লেখার স্টাইল জড়তা ও আড়ষ্টতামুক্ত। শব্দচয়ন ও বাক্যবিন্যাস যুৎসই। জনাব মাহমুদ সিদ্দিকীর নিরীক্ষণে গ্রন্থটি মানোত্তীর্ণ হয়েছে। প্রচ্ছদ মানানসই ও মুদ্রণ ঝকঝকে।

দর্পণ প্রকাশনের পক্ষে জনাব মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির চৌধুরী এ গ্রন্থটি প্রকাশের উদ্যোগ নেয়ায় তাঁকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। সমন্বয়ক আমার স্নেহাস্পদ ফয়সালের মেহনতের কথা না বললে কথা অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। আল্লাহ তায়ালা ফয়সালসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে জাযায়ে খায়ের দান করুন। গ্রন্থটি সাধারণ পাঠকদের মুসলমানদের গৌরবদীপ্ত অতীতে নিয়ে যাবে, ঈমানি চেতনাকে করবে শাণিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য রেফারেন্সবুক হিসেবে কাজে আসবে এটি, কারণ বিষয়টি অনার্সে পাঠভুক্ত। আমি গ্রন্থটির ব্যাপক পাঠকপ্রিয়তা কামনা করি আল্লাহ তায়ালার দরবারে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on pinterest
Pinterest
Share on telegram
Telegram
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

সর্বশেষ