বুধবার-২১শে জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি-২১শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আল্লাহু আকবার অনন্ত প্রেরণার উৎস, অফুরন্ত শক্তির আধার

আবিদুর রহমান তালুকদার

ভারতে মুসলিম নির্যাতনের ইতিহাস বেশ পুরনো। বিজেপি সরকারের ক্ষমতা আরোহণের পর এর মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে দিনদিন। ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিয়ে তারা প্রতিনিয়ত হত্যা করছে মুসলিম নারী-পুরুষদের। মুসলিম নারীদের হিজাব তাদের গাত্রদাহের অন্যতম কারণ। নারীর সম্ভ্রম রক্ষার প্রধান হাতিয়ার হিজাব গোটা ভারতে নিষিদ্ধ করতে চায় এ পৌত্তলিক গোষ্ঠী। বাংলাদেশের মতো মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট রাষ্ট্রেও ইসকনের প্রেতাত্মাদের হীন তৎপরতা চোখে পড়ার মতো। এ দেশের কিছু কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও মাঝে-মধ্যে হিন্দুত্ববাদের অনুকরণে হিজাব নিষিদ্ধ করার স্পর্ধা দেখায়। হিজাব নিষিদ্ধের অপপ্রয়াসের বিরুদ্ধে দুর্বল ঈমানের অধিকারী নারীদের বর্তমান সময়ের মডেল কর্ণাটকের কলেজছাত্রী ‘মুসকান’। অদম্য শৌর্যবীর্য ও দুর্দান্ত সাহসের অধিকারী এই নারী ‘আল্লাহু আকবার’ ধ্বনি তোলে যে প্রতিরোধের সূচনা করেছে, তা বিশ্বের মুসলিম নারীদের অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে তাই নয়; তাবৎ পৃথিবীর বাতিল শক্তির বুকে কম্পনও সৃষ্টি করেছে। নারী অধিকার রক্ষায় সাহসী ভূমিকার কারণে সোস্যাল মিডিয়ায় প্রশংসায় ভাসছে প্রতিবাদের প্রতীক কর্ণাটকের এই শীর্ণকায় মুসলিম নারী। ‘আল্লাহু আকবার’ কী শুধুমাত্র প্রতিরোধের ভাষা? কেবলমাত্র প্রতিবাদমূলক স্লোগান? আত্মরক্ষার অবলম্বন? মুসলিম আবাল-বৃদ্ধ-বণিতার জীবনে এই বাক্যের তাৎপর্য, ব্যবহার, শক্তি ও প্রয়োগ সম্পর্কে নাতিদীর্ঘ আলোচনার প্রয়াস গ্রহণ করা হয়েছে বক্ষমাণ প্রবন্ধে।

আল্লাহু আকবার: তাৎপর্য প্রয়োগ

ব্যাবহারিক ক্ষেত্রে ‘আল্লাহু আকবার’ বাক্যটি নানামাত্রিক অর্থ ও ব্যাপক তাৎপর্য বহন করে। মুসলিম জাগরণের কবি ইকবাল বাক্যটির অর্থগত ব্যাপকতার প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন,

الفاظ ومعانی میں تفاوت نہیں لیکن

ملا کی اذاں اور مجاہد کی اذاں اور

پرواز ہے دونوں کا اسی ایک فضا میں

گرگٹ کا جہاں اور ہے شاہیں کا جہاں اور

‘শব্দ ও অর্থগতভাবে ‘আল্লাহু আকবার’ বাক্যে কোনো পার্থক্য না থাকলেও মুয়াজ্জিনের আযান ও মুজাহিদের আযানের মধ্যে বিস্তর ব্যবধান রয়েছে। গিরগিটি ও ঈগল একই আকাশে বিচরণ করলেও ঈগল যত দ্রুত উপরে উঠতে পারে গিরগিটি তা পারে না।’

শোকর, আত্মরক্ষা, সম্মান প্রদর্শন ও আল্লাহর নৈকট্য লাভ করাসহ বহুমুখী অর্থের সমাহার ‘আল্লাহু আকবার’ বাক্যটি।

وَلِتُكَبِّرُوا اللّٰهَ عَلٰى مَا هَدٰىكُمْ وَلَعَلَّكُمْ تَشْكُرُوْنَ۰۰۱۸۵

‘আল্লাহর পক্ষ থেকে হেদায়ত লাভ করার বিনিময়ে তাঁর মহত্ত্ব বর্ণনা করো এবং তাঁর শোকর আদায় করো।’[1]

আয়াতে বাক্যটি শোকর অর্থে প্রয়োগ করা হয়েছে। খায়বার যুদ্ধের প্রাক্কালে সাহাবায়ে কেরাম ইহুদিদের অনুরূপ একটি বৃক্ষ নির্ধারণের আবেদন জানান। যেখানে তারা অস্ত্র টাঙ্গিয়ে বৃক্ষটির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতো। কতিপয় ব্যক্তির এমন আবেদনে রসুল (সা.) বিস্ময়ে হতবাক হয়ে বলেন,

«اللهُ أَكْبَرُ وَقُلْتُمْ، وَالَّذِيْ نَفْسِيْ بِيَدِهِ، كَمَا قَالَتْ بَنُوْ إِسْرَائِيْلَ لِـمُوْسَىٰ».

‘তোমরা এমন একটি প্রথা চালু করার আবেদন করেছো, যে আবেদন মুসা (আ.)-এর নিকট বনি ইসরাইল করেছিল। রসুল (সা.) এখানে বাক্যটি আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য ব্যবহার করেছেন।’[2]

জাহেলি সমাজে মুশরিকগণও তাদের দেব-দেবীদের সম্মানার্থে বাক্যটি উচ্চারণ করতো। আউস ইবনে হাজার নিম্নের পঙক্তিতে মুশরিকদের বড় মূর্তি হুবালের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের লক্ষ্য বাক্যটি ব্যবহার করে।

وَبِاللَّاتِ وَالْعُزَّىٰ وَمَنْ دَانَ دِيْنَهَا

وَبِاللهِ إِنَّ اللهَ مِنْهُنَّ أَكْبَرُ

 

“আল্লাহু আকবার’ একটি শক্তির্বধক, অনুপ্রেরণাদায়ক ও মধুময় বাক্য।’[3]

এ বাক্যের তাৎপর্য ব্যাখায় ইমাম ইবনে হাজার আসকালানী বলেন,

ذِكْرٌ مَأْثُوْرٌ عِنْدَ كُلِّ أَمْرٍ مَهُوْلٍ وَعِنْدَ كُلِّ حَادِثِ سُرُوْرٍ شُكْرًا لِلهِ تَعَالَىٰ وَتَبْرِئَةً لَهُ مِنْ كُلِّ مَا نَسَبَ إِلَيْهِ أَعْدَاؤُهُ.

“আল্লাহু আকবার’ ভয়ানক বিপদাপদ থেকে উদ্ধারকারী একটি গুরুত্বপূর্ণ যিকর। নেয়ামতের শোকর ও শত্রুর কবল থেকে আত্মরক্ষার কৌশল।’[4]

ইমাম ইবনে তায়মিয়া ‘আল্লাহু আকবার’ বাক্যের বহুবিধ তাৎপর্য বিশ্লেষণ করে বলেন,

فَالتَّكْبِيْرُ شُرِعَ أَيْضًا لِدَفْعِ الْعَدُوِّ مِنْ شَيَاطِيْنِ الْإِنْسِ وَالْـجِنِّ وَالنَّارِ الَّتِيْ هِيَ عَدُوٌّ لَنَا.

‘আল্লাহু আকবার বাক্যটি জিন-ইনসানের অনিষ্ট ও শয়তানের উপদ্রব থেকে আত্মরক্ষার মোক্ষম হাতিয়ার। ক্ষতিকর আগুন থেকেও এটি সুরক্ষা দেয়।’[5]

‘আল্লাহু আকবার’ মুমিন জীবনের প্রথম ও শেষবাক্য। সকাল-সন্ধ্যার নৈমিত্তিক যিকর। অনন্ত প্রেরণার উৎস ও অফুরন্ত শক্তির আধার। এই কালিমা প্রথম উচ্চারণ করেন হযরত জিবরীল (আ.)। পিতা হযরত ইবরাহীম (আ.) কর্তৃক পুত্র হযরত ইসমাইলকে (আ.) আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কুরবানি করার প্রাক্কালে আল্লাহ তাআলা হযরত ইসমাইল (আ.)-কে জবাই করার পরিবর্তে বেহেশত থেকে একটি মেষ প্রেরণ করেন। আনন্দের আতিশয্যে হযরত জিবরীল (আ.) সর্বপ্রথম এই কালিমা পাঠ করে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করেন। ফেরেশেতার ‘আল্লাহু আকবার’ ধ্বনি শুনে হযরত ইসমাইল (আ.) বারবার ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলতে থাকেন। পরবর্তীতে হযরত ইবরাহীম (আ.) ‘আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ’ বলে আল্লাহর শোক্‌র আদায় করেন। পিতা-পুত্র ও ফেরেশেতার যৌথবাক্যটিই প্রতি বছর জিলহজ মাসে প্রতিটি মুসলিম নারী-পুরুষ ‘তাকবীরে তাশরীক’ হিসেবে আদায় করে আসছে।

قُمْ فَاَنْذِرْ۪ۙ۰۰۲ وَرَبَّكَ فَكَبِّرْ۪ۙ۰۰۳

‘ওঠো, সতর্ক করো, এবং তোমার রবের মহত্ত্ব ঘোষণা করো।’[6]

আয়াতটি নাযিল হওয়ার পর রসুল (সা.) ‘আল্লাহু আকবার’ বলে আল্লাহর হুকুম তামিল করেন। রসুল (সা.)-এর নিকট বাক্যটি শুনে হযরত খদিজা (রাযি.)ও তাকবীর বলে রসুলের অনুসরণ করেন। ইমাম কুরতুবী বলেন, ‘আল্লাহু আকবার’ বাক্যটিই ইসলামে উচ্চারিত প্রথম কালিমা ও যিকর। পরবর্তীতে আযানের প্রাথমিক বাক্য হিসেবে কালিমাটি অন্তর্ভুক্ত হয়। রসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘আল্লাহর নিকট সর্বাধিক পছন্দনীয় বাক্য চারটি।’[7]

سُبْحَانَ اللهِ، وَالْـحَمْدُ لِلهِ، وَلَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ، وَاللهُ أَكْبَرُ.

তিনি আরও ইরশাদ করেন, ‘তাকবীর ধ্বনির মাধ্যমে আসমানের দ্বারসমূহ খুলে যায়।’ হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রাযি.) থেকে বর্ণিত, একদিন রসুল (সা.)-এর পেছনে নামাজ আদায়ের সময় এক ব্যক্তি এ বাক্য উচ্চারণ করেন,

اللهُ أَكْبَرُ كَبِيْرًا، وَالْـحَمْدُ لِلهِ كَثِيْرًا، وَسُبْحَانَ اللهِ بُكْرَةً وَأَصِيْلًا.

রসুল (সা.) প্রশ্ন করলেন, এ বাক্যটি কে বলেছে? জনৈক ব্যক্তি বলল, আমি, হে আল্লাহর রসুল!। তিনি বললেন, ‘আমি অবাক হয়েছি, এই বাক্যের কারণে আসমানের দরজাসমূহ খুলে গেছে।’ হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রাযি.) বলেন, একথা শোনার পর থেকে আমি কখনো বাক্যটির আমল ছেড়ে দেয়নি।[8]

অন্য হাদীসে বর্ণিত আছে,

«التَّسْبِيْحُ نِصْفُ الْـمِيْزَانِ، وَالْـحَمْدُ يَمْلَؤُهُ، وَالتَّكْبِيْرُ يَمْلَأُ مَا بَيْنَ السَّمَاءِ وَالأَرْضِ».

“একবার ‘সুবহাসাল্লাহ’ বলার কারণে মিযানের অর্ধেক পূণ্যে ভরে যায়। ‘আল-হামদু লিল্লাহ’ বলার সওয়াবে গোটা মিযান ভর্তি হয়ে যায়। ‘আল্লাহু আকবার’ বলার কারণে আসমান-জমিনের মধ্যবর্তী খোলা জায়গা পূর্ণ হয়ে যায়।’[9]

শত্রু মোকাবেলায় ‘আল্লাহু আকবার’

শত্রু মোকাবেলায় ‘আল্লাহু আকবার’ স্লোগানের ইতিহাস ইসলামের প্রতিরোধ যুদ্ধের সূচনা থেকেই। যুদ্ধের মাঠে বাতিলের মোকাবেলায় ‘আল্লাহু আকবর’ স্লোগানটির ব্যবহার বহুলপ্রচলিত। সর্বপ্রথম উহুদের যুদ্ধে রসুল (সা.) এ স্লোগানটি ব্যবহার করে তার বাস্তব প্রয়োগ করেন। উহুদ যুদ্ধে মুসলিম বাহিনীর পরাজয় দেখে মুশরিকনেতা আবু সুফিয়ান أُعْلُ هُبَلْ (আমাদের প্রধান দেবতা হুবালের বিজয় হয়েছে) মর্মে স্লোগান দিতে শুরু করে। রসুল (সা.)اللهُ أَعْلَىٰ وَأَجَلُّ  বলে সাহাবায়ে কেরামকে একত্ববাদের চিরন্তন বিজয়ের পালটা স্লোগান তোলার নির্দেশ দেন।[10]

খন্দকের যুদ্ধে একটি প্রস্তরখণ্ড মুসলিম বাহিনীর সামনে প্রতিবন্ধক হিসেবে দেখা দেয়। পাথরটি অপসারণে সাহাবায়ে কেরাম অক্লান্ত পরিশ্রম করেও ব্যর্থ হন। একপর্যায়ে রসুল (সা.) নিজ হাতে কুড়াল নিয়ে পাথরে আঘাত করতেই এটি বিচূর্ণ হয়ে যায়। অমনি তিনি বলে উঠলেন, اللهُ أَكْبَرُ، أُعْطِيْتُ مَفَاتِيْحَ فَارِسَ (আল্লাহু আকবর! পারস্যের ধনভাণ্ডারের চাবিকাঠি আমার হস্তগত হয়ে গেছে)।[11]

এখানে বাক্যটি নেয়ামত লাভের পর আনন্দ প্রকাশের জন্য ব্যবহৃত হয়েছে। খায়বারে মুসলিম বাহিনীর অভিযানের প্রাক্কালে রসুল (সা.) اللهُ أَكْبَرُ، خَرِبَتْ خَيْبَرُ (আল্লাহু আকবার খায়বারের পতন হয়েছে) মর্মে স্লোগন দেন।[12]

রণাঙ্গণের বিভিন্ন ক্ষেত্রে রসুলের পবিত্র জবান থেকে শেখা এই বাক্যটি সাহাবায়ে কেরাম যথাযথ প্রয়োগ করেন। ১৪ হিজরীতে পারস্য সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে সংঘটিত হয় কাদেসিয়ার যুদ্ধ। সেনাপতি হযরত সা’দ ইবনে আবু ওয়াক্কাস (রাযি.) মুসলিম বাহিনীর সাহস দান ও উৎসাহ প্রদানের লক্ষ্য ‘আল্লাহু আকবার’ ধ্বনি তোলেন। ২১ হিজরীতে সংঘটিত ‘নেহাওয়ান্দ’ যুদ্ধেও সেনাধ্যক্ষ নু’মান ইবনে মুকরিন এ স্লোগান ব্যবহার করেন। যুদ্ধক্ষেত্রে ‘আল্লাহু আকবার’ স্লোগান সংক্রান্ত সহীহ আল-বুখারী‌‌بَابُ التَّكْبِيْرِ عِنْدَ الْـحَرْبِ একটি শিরোনামের কারণে বাক্যটির ব্যবহার ও প্রয়োগ বহুগুণ বৃদ্ধি পায়।

‘আল্লাহু আকবার’ বাক্যটি মুমিন নারী-পুরুষের জীবনের অবধারিত অংশ। নামাজসহ প্রাত্যহিক ইবাদতে ‘আল্লাহু আকবার’ ধ্বনিতে মুমিনের অন্তর প্রশান্তি লাভ করে। কুরআন-হাদীসের আলোকে যেসব কাজে ‘আল্লাহু আকবার’ বলা সুন্নাহ হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে, তার সংক্ষিপ্ত আলোচনা নিম্নে প্রদত্ত হলো।

১. নামাজে ৪৫৭ বার ‘আল্লাহু আকবার ধ্বনি গুঞ্জরিত হয়

তাকবীরে তাহরীমা ‘আল্লাহু আকবার’ বলেই নামাজের সূচনা। রুকু থেকে ওঠা ব্যতীত নামাজের প্রতিটি রুকনের পরিবর্তনে গুঞ্জরিত হয় ‘আল্লাহু আকবার’ ধ্বনি। নামাজের প্রস্তুতিপর্বে আযান ও ইকামতে একাধিকবার ‘আল্লাহু আকবার’ ধ্বনিত হয়। নামাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শরীয়তের বিধানসমূহে জমহুর আলিমদের মতে ৪৪৭ বার এবং হানাফী মাযহাবের আলিমদের মতে ৪৫৭ বার ‘আল্লাহু আকবার’ উচ্চারিত হয়। ফরজ নামাজে উচ্চারিত হয় ৯৪ বার। এর ব্যাখ্যায় ইমাম নববী (রহ.) বলেন, দুই রকআতবিশিষ্ট নামাজে ২১ বার। প্রতি রকআতে তাকবীরে তাহরীমাসহ ৬ বার। তিন রকআতবিশিষ্ট নামাজে ২৭ বার। তাকবীরে তাহরীমা, প্রথম তাশাহহুদ থেকে উঠার তাকবীর এবং প্রতি রকআতে ৫ বার। চার রকআতবিশিষ্ট নামাজে ২২ বার। সুতরাং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে মোট ৯৪ বার। সুন্নতে মুয়াক্কাদা ও বিতরসহ মোটি ১৩৮ বার। আযানের বাক্য জমহুর আলিমের মতে ২০টি। হানাফী মাযহাবে ৩০টি। ইমাম নববী বলেন,[13]

فَفِيْ كُلِّ صَلَاةٍ ثُنَائِيَّةٍ إِحْدَىٰ عَشْرَةَ تَكْبِيْرَةً، وَهِيَ تَكْبِيْرَةُ الْإِحْرَامِ، وَخَمْسٌ فِيْ كُلِّ رَكْعَةٍ، وَفِي الثُّلَاثِيَّةِ سَبْعٌ عَشْرَةَ، وَهِيَ تَكْبِيْرَةُ الْإِحْرَامِ وَتَكْبِيْرَةُ الْقِيَامِ مِنَ التَّشَهُّدِ الْأَوَّلِ، وَخَمْسُ رَكْعَةٍ، وَفِي الرُّبَاعِيَّةِ اثْنَتَانِ وَعِشْرُوْنَ، فَفِي الْـمَكْتُوْبَاتِ الْـخَمْسِ أَرْبَعٌ وَتِسْعُوْنَ تَكْبِيْرَةً.

২. চাঁদ দেখার সময়

নতুন মাসের চাঁদ দৃষ্টিগোচর হলে রসুল (সা.) নিম্নের দোয়া পাঠ করতেন। যে দোয়ার প্রথম অংশ হলো ‘আল্লাহু আকবার’।[14]

اللهُ أَكْبَرُ اللّٰهُمَّ أَهِلَّهُ عَلَيْنَا بِالْأَمْنِ وَالْإِيْمَانِ، وَالسَّلَامَةِ وَالْإِسْلَامِ، وَالتَّوْفِيْقِ لِـمَا يُحِبُّ وَيَرْضَىٰ، رَبِّيْ وَرَبُّكَ اللهُ.

৩. জিলহজ মাসের প্রথমার্ধে

জিলহজ মাস মুসলিম জাতির পূর্বপুরুষ ইবরাহীম ও আলে ইবরাহীমের স্মৃতিচারণের মাস। এ মাসের নয় তারিখ হজ ও দশ তারিখ কুরবানিসহ অন্যান্য ‘মানাসিকুল হজ’ আদায় করে তাদের স্মৃতির প্রতি সম্মানসূচক শরীয়তের বিধি-বিধান পালন করা হয়। এ সময়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হলো তাকবীর বলা। জিলহজের প্রথম দশ দিন অধিকহারে তাকবীর বলা একটি মাসনূন আমল। নয় তারিখ ফজর থেকে ১৩ তারিখ আসর পর্যন্ত প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষের ওপর এ তাকবীর বলা ওয়াজিব। তদুপরি কঙ্কর নিক্ষেপ, মিনা থেকে আরাফাতে যাওয়া ও তাওয়াফ করার সময়ের একটি তাৎপর্যপূর্ণ আমল হলো তাকবীর বলা। রসুল (সা.) ইরশাদ করেন,

مَا مِنْ أَيَّامٍ أَعْظَمُ عِنْدَ اللهِ، وَلَا أَحَبُّ إِلَيْهِ مِنَ الْعَمَلِ فِيْهِنَّ مِنْ هَذِهِ الْأَيَّامِ الْعَشْرِ، فَأَكْثِرُوْا فِيْهِنَّ مِنَ التَّهْلِيْلِ، وَالتَّكْبِيْرِ، وَالتَّحْمِيْدِ.

নেক আমল করার জন্য আল্লাহর নিকট জিলহজ মাসের দশ দিনের চেয়ে উত্তম ও শ্রেষ্ট কোনো দিন নেই। সুতরাং এ দিনসমূহে অধিকহারে আল্লাহর তাহলীল, তাকবীর ও তাহমীদ বর্ণনা করো।’[15]

৪. দুই ঈদের নামাজে

ঈদুল আযহার নামাজ জিলহজ মাসের একটি আনুষঙ্গিক আমল। শাবান মাসের প্রথম তারিখ ঈদুল ফিতর। এই দুই নামাজে অতিরিক্ত ছয়টি তাকবীর বলা ওয়াজিব। রমজান মাসে সিয়াম, কিয়াম ও লায়লাতুল কদর পালন করার শুকরিয়াস্বরূপ ঈদুল ফিতরা পালন করা হয়। শাবানের চাঁদ দেখার পর থেকে ঈদের সালাত আদায় করে বাড়িতে ফেরা পর্যন্ত তাকবীর বলে আল্লাহর মহত্ত্ব আদায় করা সুন্নত। এ প্রসঙ্গে তাআলা বলেন,

وَلِتُكْمِلُوا الْعِدَّةَ وَ لِتُكَبِّرُوا اللّٰهَ عَلٰى مَا هَدٰىكُمْ ۰۰۱۸۵

‘যাতে তোমরা গণনা পূর্ণ করতে পারো এবং হেদায়ত দান করার দরুণ আল্লাহর মহত্ত্ব বর্ণনা করো।’[16]

৫. যানবাহনে আরোহণ সফরে বের হওয়ার সময়

রসুল (সা.) সফরে বের হওয়ার সময় যানবাহনে আরোহণকালে আল-হামদু লিল্লাহ বলতেন।[17] অতঃপর বলতেন,

سُبْحٰنَ الَّذِيْ سَخَّرَ لَنَا هٰذَا وَمَا كُنَّا لَهٗ مُقْرِنِيْنَۙ۰۰۱۳ وَاِنَّاۤ اِلٰى رَبِّنَا لَمُنْقَلِبُوْنَ۠۰۰۱۴

বলতেন। এরপর বলতেন,

الْـحَمْدُ لِلهِ، الْـحَمْدُ لِلهِ، الْـحَمْدُ لِلهِ، اللهُ أَكْبَرُ، اللهُ أَكْبَرُ، اللهُ أَكْبَرُ.

এরপর বলতেন,

سُبْحَانَ اللهِ، سُبْحَانَ اللهِ، سُبْحَانَ اللهِ.

অতঃপর এই দোয়া পাঠ করতেন,

لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ، سُبْحَانَكَ إِنِّيْ قَدْ ظَلَمْتُ نَفْسِيْ فَاغْفِرْ لِيْ، إِنَّهُ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوْبَ إِلَّا أَنْتَ.

অন্য হাদীসে বর্ণিত আছে, রসুল (সা.) সফরে বের হওয়ার সময় উটে আরোহণ করে তিনবার ‘আল্লাহু আকবার’ বলতেন।[18]

৬. উপরে উঠার সময়

রসুল (সা.) উঁচু স্থানে আরোহণ করার সময় ‘আল্লাহু আকবার’ বলতেন এবং সাহাবায়ে কেরামকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দিতেন। তিনি মুসাফিরকে উদ্দেশ করে বলতেন,

«عَلَيْكَ بِتَقْوَى اللهِ، وَالتَّكْبِيْرِ عَلَىٰ كُلِّ شَرَفٍ».

‘তুমি অবশ্যই তাকওয়া অবলম্বন করবে এবং উঁচু স্থানে আরোহণ করার সময় ‘আল্লাহু আকবার’ বলবে।’[19]

৭. পশু জবাই করার সময়

পশু জবাই করার সময় আল্লার নাম নিয়ে ‘আল্লাহু আকবার’ বলা জরুরি। অন্যথায় জবাইকৃত পশু কোনো মুসলিমের জন্য হালাল বলে গণ্য হয় না। হযরত আনাস ইবনে (রাযি.) বলেন, আমি রসুল (সা.)-কে আল্লাহর নাম নিয়ে ‘আল্লাহু আকবার’ বলে জবাই করতে দেখেছি।[20]

بِاسْمِ اللهِ وَاللهُ أَكْبَرُ.

৮. সুসংবাদ আনন্দদায়ক খবর শুনে

আনন্দদায়ক খবর শোনার পর সাহাবায়ে কেরাম ‘আল্লাহু আকবার’ বলতেন। হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রাযি.) থেকে বর্ণিত, রসুল (সা.) ইরশাদ করেন,

«وَالَّذِيْ نَفْسِيْ بِيَدِهِ، إِنِّيْ أَرْجُو أَنْ تَكُوْنُوْا رُبُعَ أَهْلِ الْـجَنَّةِ، فَكَبَّرْنَا، فَقَالَ: أَرْجُو أَنْ تَكُوْنُوْا ثُلُثَ أَهْلِ الْـجَنَّةِ فَكَبَّرْنَا، فَقَالَ: أَرْجُو أَنْ تَكُوْنُوْا نِصْفَ أَهْلِ الْـجَنَّةِ فَكَبَّرْنَا…

‘সেই সত্তার কসম! যার হাতে আমার প্রাণ। আমি আশা করি, তোমরা হবে জান্নাতের এক তৃতীয়াংশ। একথা শোনার পর আমরা ‘আল্লাহু আকবার’ বললাম। তিনি আবার বললেন, আমি আশা করি, তোমরা হবে জান্নাতের এক চতুর্থাংশ। একথা শোনার পর আমরা আবার ‘আল্লাহু আকবার’ বললাম। তিনি আবার বললেন, আমি আশা করি, তোমরা হবে জান্নাতের অধিবাসীদের মধ্যে অর্ধেক। আমরা আবারো ‘আল্লাহু আকবার’ ধ্বনি দিলাম।’[21]

৯. আগুন ধরলে

কোথাও আগুন ধরে গেলে পানি দ্বারা তা নেভানোর চেষ্টা করা আমাদের প্রচলিত নিয়ম। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট ব্যক্তিকে পানি দ্বারা রক্ষা করার চেষ্টা হিতে বিপরীত হয়। মানুষের চেষ্টা বৃথা প্রমাণিত হলে ‘আল্লাহু আকবার’ ধ্বনি যেকোনো আগুন থেকে মানুষের জানমাল রক্ষা করতে পারে। রসুল (সা.) ইরশাদ করেন,

«إِذَا رَأَيْتُمُ الْـحَرِيْقَ فَكَبِّرُوْا، فَإِنَّ التَّكْبِيْرَ يُطْفِئُهُ».

‘কোথাও আগুন ধরলে তাকবীর ধ্বনি দাও। কেননা ‘আল্লাহু আকবার’ ধ্বনি আগুন নিভিয়ে দেয়।’[22]

১০. ইসতেস্কার নামাজের সময়

অতীষ্ঠ গরম ও অনাবৃষ্টির কারণে আদায়কৃত নামাজকে ‘সালাতুল ইসতিসকা’ বা বৃষ্টি প্রার্থনার নামাজ বলে। এটি একটি মাসনূন নামাজ। রসুল (সা.)-এর যুগ থেকে এটির ওপর মুসলিম উম্মাহ আমল করে আসছে। বর্তমানে এ সুন্নত অনেকটা পরিত্যাজ্য। এই নামাজে ‘আল্লাহু আকবার’ বলার বিধান হাদীসে বর্ণিত রয়েছে। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযি.) থেকে বর্ণিত,

أَنَّهُ يُكَبَّرُ فِيهَا سَبْعًا وَخَمْسًا كَالْعِيدِ، وَأَنَّهُ يَقْرَأُ فِيهَا: بِـ [سَبِّحِ اسْمَ رَبِّكَ الْاَعْلَىۙ۰۰۱]، وَ[هَلْ اَتٰىكَ حَدِيْثُ الْغَاشِيَةِؕ۰۰۱].

‘রসুল (সা.) বৃষ্টি প্রার্থনার নামাজে ঈদের নামাজের ন্যায় পাঁচবার/সাতবার ‘আল্লাহু আকবার’ বলতেন এবং সূরা আল-আ’লা ও সূরা আল-গাশিয়া পড়তেন।’[23]

১১. সদ্যপ্রসূত সন্তানের কানে

সন্তান ভূমিষ্ট হওয়ার পর তার ডান কানে আযান দেওয়া সুন্নত। বাম কানে ইকামত দেওয়ার কথাও বর্ণিত আছে। ইমাম ইবনুল কাইয়িম বলেন, সন্তানের কানে আল্লাহর মহত্ত্ববাচক তাকবীর ধ্বনির মাধ্যমে শিশুকে ইসলামি শিক্ষায় দীক্ষিত করে তোলা হয়। শিশুর জীবনে এ কালিমার প্রভাব বহুমুখী। ইবনে আবু রাফি’ তার পিতা থেকে বর্ণনা করে বলেন,

عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ أَبِيْ رَافِعٍ، عَنْ أَبِيْهِ، قَالَ: «رَأَيْتُ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ أَذَّنَ فِيْ أُذُنِ الْـحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ حِيْنَ وَلَدَتْهُ فَاطِمَةُ بِالصَّلَاةِ».

‘হযরত হাসান ইবনে আলি (রাযি.)-এর জন্মের পর আমি রসুল (সা.)কে তার কানে নামাজের মতো আযান দিতে দেখেছি।’[24]

১২. জানাযার নামাজে

জানাযার নামাজ মুসলিম জীবনের সর্বশেষ নামাজ। ভূমিষ্টের পর সন্তানের ডান কানে আযান ও বাম কানে ইকামত দিয়ে তাওহিদের যে বীজ বপন করা হয়েছিল, তারই চূড়ান্ত বাস্তবায়ন হলো এই নামাজ। মুসলমানদের ওপর এই নামাজ ফরজে কেফায়া। কিয়াম করা ও চারবার ‘আল্লাহু আকবার’ বলা এই নামাজের ফরজ।

[1] আল-কুরআনুল করীম, সূরা আল-বাকারা, ২:১৮৫

[2] ইবনে আবু আসিম, আস-সুন্নাহ, আল-মাকতাবুল ইসলামী লিত-তাবাআ ওয়ান নাশর, বয়রুত, লেবনান (প্রথম সংস্করণ: ১৪০০ হি. = ১৯৮০ খ্রি.), খ. ১, পৃ. ৩৭, হাদীস: ৭৬

[3] ইবনুস সায়িব, কিতাবুল আসনাম, দারুল কুতুব আল-ইলমিয়া, বয়রুত, লেবনান (প্রথম সংস্করণ: ১৪২১ হি. = ২০০০ খ্রি.), পৃ. ১৭

[4] ইবনে হাজর আল-আসকলানী, ফাতহুল বারী শরহু সহীহ আল-বুখারী, দারুল মা’রিফা লিত-তাবাআ ওয়ান নাশর, বয়রুত, লেবনান (প্রথম সংস্করণ: ১৩৭৯ হি. = ১৯৫৯ খ্রি.), খ. ২, পৃ. ৪৩৮

[5] ইবনে তায়মিয়া, মাজমূউল ফাতাওয়া, বাদশাহ ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স, মদীনা শরীফ, সৌদি আরব (প্রথম সংস্করণ: ১৪১৬ হি. = ১৯৯৫ খ্রি.), খ. ২৪, পৃ. ২২৯

[6] আল-কুরআনুল করীম, সূরা আল-মুদ্দাসসির, ৭৪:২-৩

[7] মুসলিম, আস-সহীহ, দারু ইয়াহইয়ায়িত তুরাস আল-আরবী, বয়রুত, লেবনান (প্রথম সংস্করণ: ১৩৭৪ হি. = ১৯৫৫ খ্রি.), খ. ৩, পৃ. ১৬৮৫, হাদীস: ২১৩৭

[8] আত-তিরমিযী, আস-সুনান, মুস্তফা মুস্তফা আল-বাবী আল-হালাবী অ্যান্ড সন্স লাইব্রেরি অ্যান্ড প্রিন্টিং কোম্পানি, কায়রো, মিসর (দ্বিতীয় সংস্করণ: ১৩৯৫ হি. = ১৯৭৫ খ্রি.), খ. ৫, পৃ. ৫৭৫-৫৭৬, হাদীস: ৩৫৯২

[9] আত-তিরমিযী, আস-সুনান, খ. ৫, পৃ. ৫৩৬, হাদীস: ৩৫১৯

[10] আল-বুখারী, আস-সহীহ, দারু তওকিন নাজাত লিত-তাবাআ ওয়ান নাশর ওয়াত তাওযী’, বয়রুত, লেবনান (প্রথম সংস্করণ: ১৪২২ হি. = ২০০১ খ্রি.), খ. ৪, পৃ. ৬৫-৬৬, হাদীস: ৩০৩৯

[11] আহমদ ইবনে হাম্বল, আল-মুসনাদ, মুআস্সিসাতুর রিসালা লিত-তাবাআ ওয়ান নাশর ওয়াত-তাওযী’, বয়রুত, লেবনান (প্রথম সংস্করণ: ১৪২১ হি. = ২০০১ খ্রি.), খ. ৩০, পৃ. ৬২৬, হাদীস: ১৮৬৯৪

[12] আল-বুখারী, আস-সহীহ, খ. ১, পৃ. ৮৩, হাদীস: ৭৩১

[13] আন-নাওয়াওয়ী, আল-মিনহাজ শরহু সহীহহি মুসলিম ইবনিল হাজ্জাজ, দারু ইয়াহইয়ায়িত তুরাস আল-আরাবী, বয়রুত, লেবনান (দ্বিতীয় সংস্করণ: ১৩৯২ হি. = ১৯৭২ খ্রি.), খ. ৪, পৃ. ৯৮

[14] আল-বায়হাকী, আদ-দা’ওয়াতুল কবীর, গিরাস লিন-নাশর ওয়াত-তাওযী’, কুয়েত (প্রথম সংস্করণ: ১৪০৯ হি. = ১৯৮৯ খ্রি.), খ. ২, পৃ. ১২৪, হাদীস: ৫১৯

[15] আহমদ ইবনে হাম্বল, আল-মুসনাদ, মুআস্সিসাতুর রিসালা লিত-তাবাআ ওয়ান নাশর ওয়াত-তাওযী’, বয়রুত, লেবনান (প্রথম সংস্করণ: ১৪২১ হি. = ২০০১ খ্রি.), খ. ৯, পৃ. ৩২৩-৩২৪, হাদীস: ৫৪৪৬

[16] আল-কুরআনুল করীম, সূরা আল-বাকারা, ২:১৮৫

[17] আল-বায়হাকী, আদ-দা’ওয়াতুল কবীর, খ. ২, পৃ. 45, হাদীস: 458

[18] আবু দাউদ, আস-সুনান, আল-মাকতাবাতুল আসরিয়া, বয়রুত, লেবনান, খ. ৩, পৃ. ৩৪, হাদীস: ২৬০২

[19] আত-তিরমিযী, আস-সুনান, খ. ৫, পৃ. ৫০০, হাদীস: ৩৪৪৫

[20] মুসলিম, আস-সহীহ, খ. ৩, পৃ. ১৫৫৭, হাদীস: ১৯৬৬

[21] আল-বুখারী, আস-সহীহ, খ. ৪, পৃ. ১৩৮, হাদীস: ৩৩৪৮

[22] আত-তাবারানী, আদ-দুআ, দারুল কুতুব আল-ইলমিয়া, বয়রুত, লেবনান (প্রথম সংস্করণ: ১৪১৩ হি. = ১৯৯২ খ্রি.), পৃ. ৩০৭, হাদীস: ১০০২

[23] আদ-দারাকুতনী, আস-সুনান, মুআস্সিসাতুর রিসালা লিত-তাবাআ ওয়ান নাশর ওয়াত-তাওযী’, বয়রুত, লেবনান (প্রথম সংস্করণ: ১৪২৪ হি. = ২০০৪ খ্রি.), খ. ২, পৃ. ৪২২, হাদীস: ১৮০০

[24] আত-তিরমিযী, আস-সুনান, খ. ৪, পৃ. ৯৭, হাদীস: ১৫১৪

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on pinterest
Pinterest
Share on telegram
Telegram
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

সর্বশেষ