কুরবানি: ইতিহাস, মাসায়িল ও তাৎপর্য
পরিমার্জনায়: আল্লামা মুফতী হাফেজ আহমদুল্লাহ (দা. বা.)
সংকলনে: মাওলানা মুহাম্মদ এহসানুল হক আল-মুঈন
কুরবানির সূচনা
বর্তমান মুসলিম সমাজে কুরবানির যে বিধান চালু আছে, তা আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে নির্ধারিত এবং প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলমানকে অবশ্যই প্রতি বছর তা করতে হয়। এ কুরবানির ইতিহাস বহু প্রাচীন। আদি পিতা হযরত আদম S হতে কুরবানির ধারা সূচনা হয়। যখন তাঁর দুই পুত্র হাবীল ও কাবীল বিবাদে লিপ্ত হয়। তারাই প্রথমে কুরবানি পেশ করেছিলেন। হাবীল নিজের পশুপাল হতে একটি দুম্বা আর কাবীল নিজের শস্য ভাণ্ডার হতে কিছু শস্য আল্লাহর নামে কুরবানির জন্য পেশ করেন। অতঃপর প্রথা অনুযায়ী আসমান হতে আগুন এসে হাবীলের কুরবানি পুড়ে ফেলল আর কাবীলের কুরবানি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রইল। অর্থাৎ হাবীলের কুরবানিটি কবুল হয়েছে। এই বিষয়টি কুরআন শরীফের সূরা আল-মায়িদার ২৭-৩২ আয়াতে বর্ণিত হয়েছে। হযরত আদম (আ.)-এর পুত্রদ্বয়ের অনুসৃত কুরবানির এ ধারাটি পরবর্তীতে প্রায় সকল জাতি অনুসরণ করে আসছিল। সূরা হজ্জের ৩৪ নং আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَلِكُلِّ اُمَّةٍ جَعَلْنَا مَنْسَكًا لِّيَذْكُرُوا اسْمَ اللّٰهِ عَلٰى مَا رَزَقَهُمْ مِّنْۢ بَهِيْمَةِ الْاَنْعَامِؕ ۰۰۳۴
‘আর আমি প্রত্যেক জাতির জন্য কুরবানি নির্ধারণ করেছি যেন তারা আল্লাহ প্রদত্ত চতুষ্পদ জন্তু জবাই করার সময় আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে।’[1]
সুতরাং বোঝা যায় যে, মানবজাতির প্রতি কুরবানির ঐশী নির্দেশ নতুন কোন বিধান নয়। এটি মানবজাতির সূচনাকাল থেকে চলে আসা একটি বিধান। তারপরেও বিভিন্ন যুগে জাতি ও কালের বিবর্তনে এ কুরবানিটি চিরন্তন রবের নামে না করে বিভিন্ন দেব-দেবীর নামে উৎসর্গ করতে থাকলে মহান প্রভু আল্লাহ তাআলা তার কুদরতের ফয়সালায় ইবরাহীম (আ.)-এর মাধ্যমে বিশেষভাবে এ কুরবানির ধারাকে কেবল তারই জন্য নির্দিষ্ট করার ফরমান জারি করেন। হযরত ইবরাহীম (আ.) আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে যেসব অগ্নিপরীক্ষায় চরম কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হয়ে খলীলুল্লাহ খিতাবে ভূষিত হন, সে সবের মধ্যে তাঁর প্রাণাধিক প্রিয় একমাত্র ছেলে ইসমাইল (আ.)-কে আল্লাহর নির্দেশে জবাই করে ঐশী নির্দেশ তামিল করার ঘটনাটি অন্যতম। ফলে আল্লাহর বাণী নাযিল হল যে, (হে ইবরাহিম) ‘তুমি স্বপ্নের আদেশকে যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করেছ।’ নবী ইবরাহীমের চরম ত্যাগ ও খোদাভক্তির পরাকাষ্ঠা প্রত্যক্ষ করে মহান S আল্লাহ খুশি হয়ে বেহেস্তী দুম্বা পাঠিয়ে দেন। হযরত ইসমাইল (আ.)-এরত্যাগ-তিতীক্ষার আদর্শ, সংগ্রাম সাধনার আদর্শ, প্রেম ও নৈকট্যের আদর্শ কিয়ামত পর্যন্ত অবিস্মৃত স্মৃতিরূপে আমাদের মাঝে চির জাগরুক হয়ে থাকবে। তা ছাড়া এ কুরবানী প্রথাটি ইবাদত হিসেবে পুরো মুসলিম জাতির জন্য একটি পালনীয় রীতি হিসেবে খোদায়ী নর্দিশে সাব্যস্ত হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে,
قُلْ صَدَقَ اللّٰهُ١۫ فَاتَّبِعُوْا مِلَّةَ اِبْرٰهِيْمَ حَنِيْفًا١ؕ وَمَا كَانَ مِنَ الْمُشْرِكِيْنَ۰۰۹۵
‘তোমরা একনিষ্টভাবে ইবরাহীমী মিল্লাতের অনুসরণ কর।’[2]
কুরবানির তাৎপর্য
কুরবানি ইসলামের একটি গুরত্বপূর্ণ ইবাদত ও হযরত ইবরাহীম এবং ইসমাঈল (আ.)-এর স্মৃতিবিজড়িত সুন্নাত। হযরাতে সাহাবায়ে কেরামের এক প্রশ্নের উত্তরে নবীজী (আ.) ইরশাদ করেন যে,
«سُنَّةُ أَبِيْكُمْ إِبْرَاهِيْمَ» قَالُوا: مَا لَنَا مِنْهَا قَالَ: بِكُلِّ شَعْرَةٍ حَسَنَةٌ» قَالُوا: يَا رَسُوْلَ اللهِ فَالصُّوْفُ؟ قَالَ: «بِكُلِّ شَعْرَةٍ مِنْ الصُّوفِ حَسَنَةٌ».
‘কুরবানি হল তোমাদের জাতির পিতা ইবরাহীম (আ.)-এর স্মৃতি বিজড়িত একটি সুন্নাত।’ সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞাসা করলেন, এতে আমাদের কী? তিনি বলেন, ‘কুরবানির পশুর প্রতিটি লোম বা কেশের বিনিময়ে একটি করে নেকী রয়েছে।’ এমনকি ভেড়া, দুম্বা ও উটের পশমের বিনিময়ে একটি করে নেকী রয়েছে।[3]
উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়িশা (আ.) থেকে বর্ণিত, মহানবী (সা.) ইরশাদ করেন,
«مَا عَمِلَ آدَمِيٌّ مِنْ عَمَلٍ يَوْمَ النَّحْرِ أَحَبَّ إِلَى اللهِ مِنْ إِهْرَاقِ الدَّمِ إِنَّهَا لَتَأْتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ بِقُرُونِهَا وَأَشْعَارِهَا وَأَظْلَافِهَا وَإِنَّ الدَّمَ لَيَقَعُ مِنْ اللهِ بِمَكَانٍ قَبْلَ أَنْ يَقَعَ مِنْ الْأَرْضِ فَطِيبُوا بِهَا نَفْسًا».
‘ঈদুল আযহার দিনে কুরবানি ব্যতীত বনি আদমের অন্য কোন আমল আল্লাহর নিকট অধিক প্রিয় নয়। কিয়ামত দিবসে কুরবানিকৃত পশুকে তার শিং, লোম এবং খুরসহ হাশরের ময়দানে উপস্থিত করা হবে এবং নেকীর পাল্লায় ওজন করা হবে। আর কুরবানির জন্তুর প্রথম রক্তের ফোটা মাটিতে পড়ার আগে তা আল্লাহর নিকট কবুল হয়ে যায়। সুতরাং এ সব নেকীর প্রতি লক্ষ্য করে কুরবানি করে তোমরা সন্তুষ্ট থাক।’[4]
প্রতিবছর আমরা যে পশু কুরবানি করছি, তার গোশত তো আমরাই খাচ্ছি। তার চামড়া-হাড় দ্বারা তো আমরাই উপকৃত হচ্ছি। কুরবানির পশুর কোন কিছুই আল্লাহর নিকট পৌঁছে না। তাহলে এই কুরবানির উদ্দেশ্য কি? কালামে পাকে ইরশাদ হচ্ছে,
لَنْ يَّنَالَ اللّٰهَ لُحُوْمُهَا وَلَا دِمَآؤُهَا وَلٰكِنْ يَّنَالُهُ التَّقْوٰى مِنْكُمْؕ ۰۰۳۷
‘কুরবানির পশুর গোশত আল্লাহ তাআলার নিকট পৌঁছে না, পৌঁছে না তার রক্তও। তবে তোমাদের তাকওয়াই তার কাছে যায়।’[5]
ঈদুল আযহার দিনের সুন্নাতসমূহ
- শরীয়তের সীমানার মধ্যে থেকে যথা সাধ্য সজ্জিত হওয়া ও আনন্দ প্রকাশ করা।
- মিসওয়াক করা।
- গোসল করা।
- উত্তম কাপড় পরিধান করা।
- খোশবু লাগানো।
- সকালে জামায়াতে নামাজ আদায় করা।
- সকালে সকালে ঈদের মাঠে যাওয়া।
- কিছু না খেয়ে ঈদের নামাজ পড়া ও কুরবানির পরে খাওয়া। সম্ভব হলে কুরবানির জন্তুর গোশত দিয়ে সে দিনের খাওয়াটা শুরু করা।
- উচ্চঃস্বরে তাকবীর বলতে বলতে যাওয়া।
- ঈদের নামাজ ঈদগাহে পড়া।
- ঈদগাহে যাতায়াতের সময় রাস্তা পরিবর্তন করা।
- কোনো ওজর না থাকলে পায়ে হেঁটে ঈদগাহে যাওয়া।
- ঈদের জামায়াতের আগে ইশরাকের নামাজসহ কোন ধরনের নফল নামাজ না পড়া।
কুরবানি কখন কার ওপর ওয়াজিব
মাসআলা: স্বাধীন মুকীম (স্থায়ী অধিবাসী) এবং কুরবানির দিন যে মুসলমানের নিকট সদকায়ে ফিতর ওয়াজিব হয় এরূপ পরিমাণ মাল মজুদ থাকে, তার ওপর কুরবানি করা ওয়াজিব।[6]
মাসআলা: যদি কোন ব্যক্তি কুরবানির সময়ে শরয়ী মুসাফির অর্থাৎ স্বীয় বাড়ি থেকে ৪৮ মাইল দূরত্বের সফরে থাকে, তাহলে সেই ব্যক্তির ওপর কুরবানি ওয়াজিব নয়।[7]
উল্লেখ্য যে, সদকায়ে ফিতরের নিসাব বা পরিমাণ প্রকৃত প্রয়োজনের অতিরিক্ত হওয়া শর্ত।[8]
মাসআলা: কুরবানি ওয়াজিব হওয়ার ক্ষেত্রে উক্ত নিসাবের ওপর এক বছর পূর্ণ হওয়া শর্ত নয় এবং নিসাবের মালে নামী (বর্ধনশীল) বা ব্যবসার মাল হওয়াও প্রয়োজন নয়।[9]
মাসআলা: বড় বড় ডেগসমূহ, উন্নতমানের বিছানা, গদি, শামিয়ানা ইত্যাদি জরুরি আসবাবপত্রের মধ্যে গণ্য নয়। এজন্য এগুলোর মূল্য যদি নিসাব পরিমাণ হয়, তাহলে কুরবানি ওয়াজিব হয়ে যাবে।[10]
মাসআলা: জমির মূল্য নিসাবের মধ্যে শামিল নয়। কিন্তু তার ফসল যদি প্রয়োজনের অতিরিক্ত থাকে এবং তার মূল্য নিসাব পরিমাণ হয় তাহলে কুরবানি ওয়াজিব হবে।[11]
মাসআলা: নিসাবের মালিক হওয়ার জন্য সোনা-রুপার নিসাব পৃথকভাবে হওয়া জরুরি নয় বরং দুটি মিলে যদি সাড়ে বায়ান্ন তোলা রুপার মূল্যের সমান হয় তাহলে তার ওপর কুরবানি ওয়াজিব।[12]
মাসআলা: স্ত্রীলোকের যদি নিসাব পরিমাণ নিজস্ব মাল বা গয়না-পত্র থাকে তাহলে তার ওপর কুরবানি ওয়াজিব।[13]
মাসআলা: গরীব ব্যক্তি যদি কুরবানির দিনগুলোর মধ্যে কুরবানির নিয়তে কোন জন্তু ক্রয় করে তাহলে তার ওপর কুরবানি ওয়াজিব হয়ে যাবে। কেননা তার ক্রয় করাটাই মান্নতের পর্যায়ে পড়ে যা আদায় করা ওয়াজিব।[14]
মাসআলা: কুরবানি শুধু নিজের পক্ষ থেকেই ওয়াজিব হয়; স্ত্রী ও বড় সন্তান-সন্ততির পক্ষ থেকে ওয়াজিব হয় না।[15]
মাসআলা: স্ত্রীর পক্ষ থেকে স্বামীর কুরবানি করা এবং স্বামীর পক্ষ থেকে স্ত্রীর কুরবানি করা ওয়াজিব নয়।[16] হ্যাঁ, যদি অনুমতি নিয়ে একে অপরের কুরবানি করে, তাহলে ওয়াজিব আদায় হয়ে যাবে।[17]
মাসআলা: যদি কোন লোকের দশটি ছেলে সকলেই একসাথে থাকে তাহলে শুধু পিতার ওপরই কুরবানি ওয়াজিব হবে। আর যদি ছেলেরা নিসাবের মালিক হয় তাহলে তাদের কুরবানি পিতার ওপর ওয়াজিব হয় না।[18]
মাসআলা: যদি কোন বালিগ সন্তান নিসাব ওয়ালা হয় তাহলে তার ওপর ভিন্নভাবে কুরবানি করা ওয়াজিব।[19]
মাসআলা: কোন কোন স্থানে মানুষ এক বছর নিজের নামে এক বছর ছেলের নামে আর এক বছর নিজের স্ত্রীর নামে কুরবানি করে অর্থাৎ প্রতি বছর নাম পরিবর্তন করতে থাকে এটা জায়িয নয়। বরং যার ওপর কুরবানি ওয়াজিব হয়, প্রতি বছর শুধু তারই কুরবানি করা কর্তব্য। অন্যের নামে করলে তার নিজের কুরবানি আদায় হবে না।[20]
মাসআলা: যদি কেউ নিজের নামে কুরবানি না করে অন্যের নামে করে, তাহলে তার নিজের জিম্মায় ওয়াজিব বাকি থাকবে।[21]
মাসআলা: যদি কোন মহিলার উসুলকৃত মোহর, নিসাব (সাড়ে বায়ান্ন তোলা রুপার মূল্য) পরিমাণ হয় তাহলে তার ওপর কুরবানি ওয়াজিব।[22]
মাসআলা: পিতার জীবদ্দশায় ছেলেরা যদি একই সাথে কুরবানি করে তাহলে তাদের সকলের মালকে বণ্টন করে যদি প্রত্যেকের ভাগে নিসাব পরিমাণ সম্পদ হয় তাহলে প্রত্যেক আকেল-বালিগ ছেলের ওপর পৃথকভাবে কুরবানি করা ওয়াজিব।[23] যদি এক ভাই এর নামে কুরবানি করা হয় তাহলে বাকি ভাইদের জিম্মা থেকে কুরবানি আদায় হবে না; বরং বাকি থেকে যাবে।[24]
মাসআলা: কোন লোক যদি কুরবানির জন্য জন্তু ক্রয় করে কুরবানির দিন আসার পূর্বেই সফরে চলে যায় তাহলে সফরের মধ্যে তার ওপর কুরবানি ওয়াজিব নয়।[25]
মাসআলা: বিশুদ্ধ মতানুসারে ছোট ছেলে-মেয়েদের পক্ষ থেকে কুরবানি করা ওয়াজিব নয়।[26]
মাসআলা: কুরবানির জন্য জন্তু ক্রয় করা হয়েছে কিন্তু কুরবানির পূর্বেই তা মারা গেল। যদি ক্রেতা ধনী হয় তাহলে আরেকটি জন্তু খরিদ করে কুরবানি দেওয়া ওয়াজিব। আর যদি সে গরীব হয়, তাহলে আরেকটি দেওয়া জরুরি নয়।[27]
মাসআলা: যদি ব্যবসার সম্পদ বা পার্টনারশিপ ব্যবসার মাল এমন ব্যক্তির নিকট রয়েছে যে ব্যক্তি অনুপস্থিত অথবা নিসাবওয়ালা ব্যক্তির সম্পদ যদি কোম্পানির বা শরীকদারের নিকট থাকে তার থেকে নেওয়া অসম্ভব হয় এ অবস্থায় তাদের নিকট যদি প্রয়োজনাতিরিক্ত কোন বিক্রয়যোগ্য মাল থাকে তবে তা বিক্রয় করে কুরবানি দেওয়া ওয়াজিব।[28]
মাসআলা: নিসাবের মালিক যদি কুরবানির ঈদের পূর্বে কুরবানি করার মান্নত করে তাহলে তার ওপর দুটি কুরবানি করা ওয়াজিব। একটি নজর মান্নতের, দ্বিতীয়টি নিসাবের।[29]
মাসআলা: কোন গরীব ব্যক্তি যদি নিজের পক্ষ থেকে কুরবানি না করে কোন মৃত ব্যক্তির তরফ থেকে করে তাহলে জায়িয।[30] কারণ যদি কোন ক্ষুধার্ত ব্যক্তি নিজে খানা না খেয়ে ধৈর্য ধারণ করে এবং তার খাদ্য অপরকে দিয়ে দেয় তাহলে এটা যেমন জায়িয, অনুরূপ মৃতের পক্ষ থেকে কুরবানিও জায়িয, কিন্তু যদি সেই ব্যক্তি অসিয়ত না করে যায় তাহলে এ কুরবানি জীবিত ব্যক্তির পক্ষ থেকেই আদায় হবে; সওয়াব মৃত ব্যক্তিও পাবে।[31]
কুরবানির পশু ও শরীকদার
মাসআলা: যদি কোন অধিক সম্পদশালী লোক শুধু একটি বকরী বা বড় জন্তুর থেকে মাত্র একটা অংশ দেয় তাহলে তার ওয়াজিব আদায় হয়ে যাবে।[32]
মাসআলা: ছাগল, গরু, উট, মহিষ বা খাসী, দুম্বা, ভেড়া, নর-মাদী দ্বারা কুরবানি করা জায়িয এবং এ জাতীয় পশুই কুরবানির জন্তু।[33]
মাসআলা: এ পশু ব্যতীত অন্য জাতীয় জন্তু যেমন- হরিণ, নীলগাই ইত্যাদি দ্বারা কুরবানি জায়িয নয়।[34]
মাসআলা: বকরী, খাসী, দুম্বা, ভেড়া, নর-মাদী দ্বারা কেবল মাত্র এক জনই কুরবানি করতে পারে।[35] যদি এগুলো দ্বারা একাধিক ব্যক্তি কুরবানি করে, তাহলে কুরবানি আদায় হবে না।[36]
মাসআলা: কিন্তু গাভী, বলদ, মহিষ ও উটের মধ্যে এক থেকে সাত জন লোক শরীক হয়ে কুরবানি করতে পারে।[37]
মাসআলা: একটি পূর্ণাঙ্গ খাসী দ্বারা কুরবানি করা উত্তম, যখন তার মূল্য গরু, মহিষ ইত্যাদির সাত অংশের এক অংশের সমান অথবা বেশি হয়।[38]
মাসআলা: নর ও মাদী জন্তুর মধ্যে যদি উভয়ের মূল্য ও গোশত সমান হয় তাহলে মাদীর কুরবানি উত্তম।[39]
মাসআলা: যদি বড় জন্তুর মধ্যে কারো অংশ সাত ভাগের একভাগ থেকে কম হয় তাহলে একজনেরও কুরবানি হবে না।[40]
মাসআলা: তবে হ্যাঁ, বড় জন্তুতে যদি সাত শরীক থেকে কম হয়, যেমন ছয় শরীক বা তিন শরীক তাহলে কোন ক্ষতি নেই, কিন্তু শর্ত হলো কারো অংশ যেন একভাগ থেকে কম না হয়।[41]
মাসআলা: এরূপভাবে শরীকী জন্তুর মধ্যে প্রত্যেকের নিয়ত কুরবানি অথবা অন্যান্য নৈকট্য লাভের নিয়ত হতে হবে; যেমন আকীকা, মান্নত, নফল কুরবানি প্রভৃতি।[42]
মাসআলা: সাত শরীকের মধ্যে কারো যদি শুধু গোশত খাওয়ার অথবা বিক্রয় করার নিয়ত থাকে তাহলে সকলের কুরবানি নষ্ট হয়ে যাবে।[43]
মাসআলা: উত্তম হলো, জন্তু ক্রয় করার পূর্বেই অংশীদার নির্দিষ্ট করে নেওয়া এবং সকলের নিয়ত জেনে নেওয়া।[44] যদি কারো উদ্দেশ্য কুরবানি বা নৈকট্য লাভ ব্যতীত অন্য কিছু হয়, তাহলে তাকে অংশীদার করা যাবে না।[45]
মাসআলা: যে জন্তু কয়েকজনে মিলে ক্রয় করা হয়, তা সকলের অনুমতি ব্যতীত কোন কারণবশত: বিক্রয় করা অথবা পরিবর্তন করা ঠিক নয়।[46]
মাসআলা: ছয় শরীক মিলে নিজ নিজ অংশ ব্যতীত সপ্তম অংশ নবী করীম (সা.) বা পীর-আউলিয়ার নামে কুরবানি করলে দুরস্ত আছে। কিন্তু মাইয়তের নামে কুরবানি হবে না এবং মাইয়ত সাওয়াবও পাবে না। কেননা মাইয়তের ভাগে কয়েকজন শরীক হয়ে যাচ্ছে। বরং কোন শরীক একাই সপ্তম অংশ তাদের নামে কুরবানি করলে তখন মাইয়তের কুরবানি হবে এবং মাইয়ত কুরবানির সাওয়াব পাবে।[47]
মাসআলা: কুরবানির জন্তু ক্রয় করবার সময় যদি এরূপ নিয়ত করে যে, যদি কোন লোক পরে অংশ নেয়, তাহলে ভালো, অন্যথায় আমি একাই কুরবানি দেব। তারপর সেই গরুর মধ্যে আরও কয়েকজন লোক ভাগ নিলে তা জায়িয হবে; কিন্তু শর্ত হলো শরীক সাতজনের মধ্যেই সীমিত থাকতে হবে।[48]
মাসআলা: যদি জন্তু ক্রয় করার সময় কাউকে শরীক করার ইচ্ছা না থাকে, বরং পুরো গরুই একাই কুরবানি করার ইচ্ছা হয়, তাহলে সেই গরুর মধ্যে কোন শরীক না নেয়াই ভালো। কিন্তু যদি কাউকেও শরীক করে নেয়, তাহলে দেখতে হবে যে জন্তু ক্রয়কারী ধনী না গরীব। ধনী হলে তার জন্য শরীক নেয়া জায়িয হবে। আর গরীব হলে তার জন্য না জায়িয। তারপরও যদি শরীক করে নেয় তাহলে ওই গরীবের কুরবানি হবে না।[49]
মাসআলা: আর যে ব্যক্তি কুরবানি হতে পৃথক হয়ে গেল তার ওপর যদিও কুরবানি ওয়াজিব ছিল না, তা সত্ত্বেও শরীক হওয়ার কারণে তার ওপর কুরবানি ওয়াজিব হয়ে গেছে। সুতরাং যতক্ষণ পর্যন্ত তার পক্ষ থেকে কুরবানি না করা হবে অথবা তার অংশ পৃথক না করা হবে ততক্ষণ পর্যন্ত অন্যান্য অংশীদারগণের কুরবানি হবে না।[50]
মাসআলা: যদি কুরবানির জন্তু জবাই করার আগেই কোন শরীক মারা যায়, পরে যদি ওয়ারিসগণ মৃতের পক্ষ থেকে কুরবানি করার ইজাযত দেয়, তাহলে সকলের কুরবানি সহীহ হবে। কিন্তু ওয়ারিস বালিগ হওয়া শর্ত। যদি ওয়ারিসগণের মধ্যে কেউ বালিগ না হয় অথবা বালিগ কিন্তু ইজাযত না দেয় তাহলে যতক্ষণ পর্যন্ত মৃত শরীকের অংশ পৃথক না করা হবে ততক্ষণ কারো কুরবানি সহীহ হবে না।[51]
মাসআলা: ইনজেকশন দ্বারা সৃষ্ট বাচ্চার ক্ষেত্রে তার মায়ের দিকে দেখতে হবে। যদি এরূপ বাচ্চার মা গৃহপালিত হয়, তাহলে কুরবানি জায়িয। এভাবে আমেরিকান গাই শুয়ারের মতো না হয়ে গাই এর মতো হলে কুরবানি জায়িয।[52]
মাসআলা: কুরবানির জন্য মোটা, তাজা ও সুন্দর জন্তু ক্রয় করা মুস্তাহাব। হাদীস শরীফে বর্ণিত রয়েছে যে, রসু খোদা (সা.) খুব সুন্দর হৃষ্ট-পুষ্ট জন্তু দ্বারা কুরবানি করেছেন।[53]
মাসআলা: খাসী ও বলদ জন্তু দ্বারা কুরবানি করা উত্তম।[54]
মাসআলা: গর্ভবতী জন্তুর কুরবানি জায়িয। কিন্তু যদি বাচ্চা হওয়ার সময় নিকটবর্তী হয়, তবে তার কুরবানি মকরুহ।[55]
মাসআলা: জবাই করার সময় জন্তু গর্ভবতী বলে জানা ছিল না, কিন্তু জবাই করার পর পেট হতে বাচ্চা বের হলো। এখন বাচ্চা যদি জীবিত বের হয় তাহলে তাকে জবাই করে খাওয়া জায়িয।[56]
মাসআলা: চুরির জন্তু দ্বারা কুরবানি করা জায়িয নয়।[57]
মাসআলা: যদি কোন জন্তু কারো নিকট নির্দিষ্ট অংশের ওপর পালন করতে দেওয়া হয়, তাহলে পালনকারী তার মালিক হয় না। সুতরাং ওই পালনকারী থেকে সেই জন্তু ক্রয় করে কুরবানি করা জায়িয হবে না। বরং তার প্রকৃত মালিকের নিকট থেকে ক্রয় করতে হবে।[58]
মাসআলা: অনুপস্থিত ব্যক্তির কুরবানি যদি কেউ তার বিনাঅনুমতিতে দেয়, তাহলে কুরবানি সহীহ হবে না।[59] যার ওপর কুরবানি ওয়াজিব হয়েছে তার পক্ষ থেকে কুরবানির জন্য অনুমতি নেওয়া ওয়াজিব।[60]
মাসআলা: যে জন্তু সব সময় নাপাক ভক্ষণ করে, সে জন্তুর কুরবানি জায়িয নেই।[61]
মাসআলা: ধনী লোকের কুরবানির জন্তু পরির্বতন করা জায়েয়। আর দরিদ্র্য যদি কুরবানির দিনের পূর্বেই ক্রয় করে থাকে তাহলে সেও পরিবর্তন করতে পারবে।[62]
কুরবানির জন্তুর বয়স
মাসআলা: কুরবানির উপযোগী জন্তুর মধ্যে কুরবানির জন্য ছাগল, ভেড়া, দুম্বা, নর হোক বা মাদী এক বছর পূর্ণ হওয়া জরুরি। তবে যদি ছয় মাসের দুম্বা ও ভেড়া এ রকম মোটা-তাজা হয় যে, দেখতে এক বছরের মতো মনে হচ্ছে অর্থাৎ এক বছর বয়সের দুম্বা বা ভেড়ার মধ্যে ছেড়ে দিলে কোন পার্থক্য পরিলক্ষিত হয় না। তাহলে এরূপ ছয় মাসের দুম্বা ও ভেড়ার দ্বারা কুরবানি করা জায়িয। অন্যথায় জায়িয না। কিন্তু ছাগল যতই মোটা-তাজা হোক না কেন তার এক বছর পূর্ণ হওয়া জরুরি; একদিন কম হলেও কুরবানি দুরস্ত হবে না।[63]
মাসআলা: গাভী, বলদ, মহিষ নর বা মাদীর দুই বছর পূর্ণ হওয়া শর্ত। একদিন কম হলেও কুরবানি জায়িয হবে না।[64]
মাসআলা: জন্তু বিক্রেতা যদি জন্তুর পূর্ণ বয়সের কথা বলে, আর দেখতে সেটা সত্য বলে মনে হয়, তাহলে তার কথার ওপর নির্ভর করা জায়িয।[65]
কুরবানির জন্তুর বৈশিষ্ট্য
মাসআলা: কুরবানির জন্তু সর্বপ্রকার শরয়ী দোষ ক্রটি হতে মুক্ত হওয়া বাঞ্ছনীয়।[66]
মাসআলা: যে জানোয়ারের জন্মসূত্রেই কান নেই তার কুরবানি না-জায়িয। আর যদি কান থাকে কিন্তু ছোট, তাহলে তার কুরবানি জায়িয হবে।[67] যে জন্তুর কান সোজাভাবে কাটা রয়েছে এবং সাধারণ নিয়মানুযায়ী ঝুলানো থাকে, তার কুরবানি জায়িয। কিন্তু যে জন্তুর এক তৃতীয়াংশ অর্থাৎ তিনভাগের একভাগ বা তার চেয়ে বেশি অংশ কাটা তার কুরবানি জায়িয নয়।[68]
মাসআলা: এভাবে যে জন্তুর এক তৃতীয়াংশ বা তার চেয়ে বেশি দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হয়ে গেল, তার কুরবানি জায়িয নয়।[69]
উল্লেখ্য যে, দৃষ্টিশক্তি কতটা হয়েছে তা জানার পদ্ধতি হলো, চোখের এক দিকে ঘাস রেখে দেখতে হবে, সে ঘাসের দিকে যাচ্ছে কিনা এবং কিভাবে যাচ্ছে। যদি ঘাসের দিকে এগিয়ে যায় বা মুখ বাড়ায় তাহলে মনে করতে হবে তার দৃষ্টি শক্তি আছে। অন্যথায় নেই।[70]
মাসআলা: খোড়া বা লেংড়া জানোয়ার যদি কেবল তিন পায়ে চলে, চতুর্থ পা মাটিতে রাখতেই পারে না। তাহলে তার কুরবানি জায়িয নেই। আর যদি এরূপ জন্তু চলার সময় চতুর্থ পা মাটিতে রাখে এবং তার ওপর ভর দেয়, কিন্তু খুঁড়িয়ে হাঁটে, তাহলে তার কুরবানি জায়িয। কিন্তু জন্তু যদি এত দুর্বল ও জীর্ণ-শীর্ণ যে, তার হাঁড়ে মোটেও মগজ নেই ও তাহলে তার কুরবানি না-জায়িয।[71]
মাসআলা: যে জানোয়ারের মোটেই দাঁত নেই তার কুরবানি জায়িয হবে না। আর যদি কিছু দাঁত পড়ে গেছে; কিন্তু পড়ে যাওয়া দাঁতের চেয়ে বেশি বাকি রয়েছে তাহলে কুরবানি জায়িয।[72]
মাসআলা: জন্মসূত্রেই যে জানোয়ারের শিং নেই অথবা শিং ছিল কিন্তু পরে ভেঙে গেছে তাহলে তার কুরবানি জায়িয। কিন্তু শিং যদি একেবারে মূলসহ উঠে যায় তাহলে তার কুরবানি জায়িয নেই। আর যে জন্তুর শিংয়ের খোলটা উঠে গেছে কিন্তু তার মূল ঠিক রয়েছে তাহলে তার কুরবানি জায়িয।[73]
মাসআলা: যে জন্তুর উরু বা অন্য কোন অঙ্গে লোহা গরম করে দাগ দেওয়া হয়েছে তার কুরবানি জায়িয।[74]
মাসআলা: যদি কোন গাভীর দুধের এক বাঁট কেটে যায় বা পড়ে যায় আর বাকি তিন বাট ঠিক থাকে তাহলে তার কুরবানি জায়িয।[75]
মাসআলা: যদি কুরবানি করার পূর্বেই জন্তুর মধ্যে এরূপ কোন দোষ সৃষ্টি হয়, যার কারণে কুরবানি না-জায়িয হয়, তাহলে তার পরিবর্তে অন্য জন্তু ক্রয় করে কুরবানি করতে হবে। আর যদি জবাই করার সময় জন্তুর লাফালাফির কারণে কোন দোষ সৃষ্টি হয় তাহলে কোন ক্ষতি নেই। সে জন্তু দ্বারা কুরবানি আদায় হয়ে যাবে।[76]
কুরবানির নির্ধারিত সময়
মাসআলা: যুলহজ মাসের ১০ তারিখ থেকে ১২ তারিখ সন্ধ্যার পূর্ব পর্যন্ত কুরবানির সময়।[77]
মাসআলা: ১০ যুলহজ কুরবানি করা সবচেয়ে উত্তম। তার পর পর্যায়ক্রমে ১১ ও ১২ তারিখ। সুতরাং অনিবার্য কোন কারণ ব্যতীত দেরি না করাই উত্তম।[78]
মাসআলা: কারো কুরবানির জন্তু হারিয়ে গেছে। সে আরো একটি জন্তু ক্রয় করল। অতঃপর কুরবানির দিনগুলোর মধ্যেই হারানো জন্তুটি পাওয়া গেল। এরূপ ঘটনা যদি ধনী লোকের বেলায় ঘটে, তাহলে তার ওপর যে কোন একটি জন্তুই কুরবানি করা ওয়াজিব। আর যদি গরীব লোকের ক্ষেত্রে এরূপ ঘটে, তাহলে তার ওপর উভয় জন্তুই কুরবানি করা ওয়াজিব। তবে ধনী লোক যদি প্রথম জন্তুটি কুরবানি করে তাহলে কোন কথা নেই। আর যদি দ্বিতীয়টি কুরবানি করে তাহলে দেখতে হবে কোনটির মূল্য বেশি। যদি প্রথমটির মূল্য বেশি হয় তাহলে অতিরিক্ত টাকাগুলো ফকীর মিসকীনদের মাঝে সদকা করে দেওয়া মুস্তাহাব।[79]
মাসআলা: কুরবানির দিনসমূহ অতিবাহিত হয়ে গেছে; কিন্তু দুটো জন্তুর মধ্যে একটিকেও জবাই করা হয়নি, তাহলে ধনী ব্যক্তি উত্তমটিকে সদকা করে দেবে এবং গরীবের ওপর দুটোই সদকা করে দেওয়া ওয়াজিব।[80]
মাসআলা: কুরবানি ওয়াজিব হয়েছে এমন লোক যদি কুরবানির দিনসমূহ পূর্ণ হওয়ার পূর্বেই ইনেত্মকাল করে তাহলে তার ওপর কুরবানি ও অসীয়ত কোনটাই জরুরি নয়।[81]
মাসআলা: কুরবানির দিন নিয়ে যদি সন্দেহ হয়, তাহলে দেরী করে দ্বিতীয় দিন বা তৃতীয় দিন কুরবানি করা মুস্তাহাব।[82]
কুরবানির কাযা
মাসআলা: কোন ধনী লোক কোন ব্যস্ততা বা অজ্ঞতার কারণে অথবা অন্য কোন কারণবশত কুরবানির সময়ে কুরবানি করেনি এবং কুরবানির দিনও অতিবাহিত হয়ে গেল, তাহলে এক কুরবানির মূল্য গরীবদের মাঝে বণ্টন করে দেওয়া ওয়াজিব।[83]
জবাই করার নির্ধারিত সময়
মাসআলা: যে এলাকা বা শহরে জুমুআ ও ঈদের নামাজ শরীয়ত মতে ওয়াজিব, সেখানে ঈদের নামাজের পর কুরবানি করতে হবে।[84]
মাসআলা: এরূপ স্থানে যদি কেউ নামাজের আগে কুরবানি করে, তাহলে কুরবানি সহীহ হবে না। বরং নামাজের পর তার ওপর আরও একটি কুরবানি করা ওয়াজিব।[85]
মাসআলা: যে স্থানে ঈদের নামাজ ওয়াজিব, সেখানে যদি কোন শরয়ী কারণবশত নামাজ পড়তে না পারে, তাহলে সে স্থানে সূর্য ঢলে যাবার পর কুরবানি জায়িয।[86]
মাসআলা: যদি কোন শহরের লোক তাদের কুরবানির জন্তুকে এমন স্থানে সুবহে সাদিকের পূর্বেই প্রেরণ করে যেখানে ঈদের নামাজ ওয়াজিব নয়; তাহলে তা ঈদের নামাজের পূর্বে ওই স্থানে জবাই করা যাবে। এতে তার কুরবানিও শুদ্ধ হবে।[87]
মাসআলা: যে শহরের কয়েক স্থানে ঈদের নামাজ হয় সে শহরের যে কোন এক স্থানে ঈদের নামাজ পড়ার পর অন্য স্থানে নামাজের পূর্বে কুরবানির জন্তু জবাই করা জায়িয।[88]
মাসআলা: নামাজের পর খোৎবার আগে যদি কেউ জন্তু জবাই করে, তবে কুরবানি সহীহ হবে; কিন্তু এরূপ করনেওয়ালা গোনাহগার হবে।[89]
মাসআলা: প্রথম দিন ঈদের নামাজ পড়ার পরই কুরবানি করা হয়েছে। পরে জানা গেল যে, কোন কারণে ইমামের নামাজ বাতিল হয়ে গেছে (যেমন- ভুলক্রমে বিনা ওযুতে নামাজ পড়ানো হয়েছে) তাহলেও সেই কুরবানি সহীহ হবে।[90]
মাসআলা: কোন শহরে কারফিউ বা অন্য কোন ফেতনা-ফাসাদের কারণে যদি ঈদের নামাজ পড়া অসম্ভব হয়, তাহলে সুবহে সাদিকের পর জবাই করা জায়িয।[91]
মাসআলা: কুরবানির জন্তু রাতেও জবাই করা জায়িয; কিন্তু মকরুহে তানযীহী (ভালো নয়)।[92]
জবাই করার আহকাম
মাসআলা: কুরবানির জন্তু কুরবানিদাতা নিজের হাতেই জবাই করা উত্তম।[93]
মাসআলা: কিন্তু যদি জবাই করতে না জানে তবে অন্যের দ্বারা জবাই করানোর সময় সেখানে তার উপস্থিত থাকা উত্তম।[94]
মাসআলা: যবেহের স্থানে পর্দার ব্যাঘাত হলে মহিলা সেখানে উপস্থিত না থাকলেও কোন অসুবিধা হবে না।[95]
মাসআলা: অন্য ব্যক্তি দ্বারা পয়সা দিয়ে জবাই করানো জায়িয আছে, কিন্তু সেই পয়সা যেন কুরবানির চামড়া বা গোশত হতে না দেওয়া হয়।[96]
মাসআলা: নাবালিগ বাচ্চা যদি জবাই করতে জানে, তাহলে তার দ্বারা জবাই করাতে কোন ক্ষতি নেই; জবাই সহীহ হবে।[97]
মাসআলা: এভাবে স্ত্রীলোকও নিজ হাতে জবাই করতে পারবে। এতে কোন ক্ষতিও নেই।[98]
মাসআলা: কুরবানির এক জন্তুকে অন্য জন্তুর সামনে জবাই করবে না।[99]
মাসআলা: জবাই করার পূর্বে কুরবানির জন্তুকে খুব ভালোভাবে খেতে দেবে এবং ছুরি ধার দিয়ে নেবে, ভোতা ছুরি দ্বারা জবাই করা উচিত নয়। কেননা এর দ্বারা জন্তুর কষ্ট হয়।[100]
মাসআলা: কোন ব্যক্তির নির্দিষ্টকৃত কুরবানির জন্তু যদি অন্যলোক মালিকের পক্ষ থেকে তার অনুমতি ব্যতীত কুরবানির নিয়তেই জবাই করে, তাহলে কুরবানি সহীহ হবে এবং জবাইকারীর ওপর জরিমানা ওয়াজিব হবে না।[101]
মাসআলা: জবাই করার সময় যথাসম্ভব সহজভাবে জবাই করবে এবং কষ্ট থেকেও সাধ্যানুসারে জন্তুকে বাঁচাবে।[102]
জবাই করার পদ্ধতি
মাসআলা: যবেহের সময় জন্তুকে কেবলামুখী করে শুইয়ে দিতে হবে। একান্ত অসুবিধা ব্যতীত এর উল্টো করবে না।[103]
মাসআলা: কেবলামুখী করে শোয়ানোর পর বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার বলে জবাই করা ওয়াজিব। যে জবাই করবে তার জন্যই এটা বলা জরুরি; অন্যান্য লোকদের জন্য বলা মুস্তাহাব।[104]
মাসআলা: কিন্তু জবাইকারীকে যদি কেউ সাহায্য করে, যেমন তার হাতের ওপর হাত রাখে, তাহলে দুজনেরই বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার বলা জরুরি। যদি উল্লিখিত দু’জনের একজনে বিসমিল্লাহ বলে আর অন্যজনে ইচ্ছাকৃতভাবে না বলে, তাহলে জন্তু হালাল হবে না।[105]
মাসআলা: আল্লাহর নাম ব্যতীত অন্য কারো নাম দ্বারা জবাই করলে জন্তু হালাল হবে না।[106]
মাসআলা: যবেহের মধ্যে চারটি রগ কাটা জরুরি। রগগুলোর নাম যথা- হলকুম (শ্বাস-প্রশ্বাস নালি), মারীর (খানাপিনার নালি), ওয়াদজান, ডানে-বামে দুই শাহী রগ।[107]
মাসআলা: জবাই করার সময় জন্তুর মাথা একেবারে যেন পৃথক না হয়; কেননা এরূপ করা মকরুহ। কিন্তু ভুলক্রমে এরূপ যদি হয়েই যায়, তাহলেও কুরবানি হয়ে যাবে।[108]
মাসআলা: জবাই করার পর পরই তৎক্ষণাৎ চামড়া খোলা মকরুহ। বরং ঠাণ্ডা হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবে।[109]
মাসআলা: যবেহের সময় বিসমিল্লাহ বলতে ভুলে গেলে, যবেহের পর স্মরণ হওয়া মাত্রই যদি বিসমিল্লাহ পড়ে নেয়, তাহলে জন্তু হালাল। কিন্তু যদি ইচ্ছাকৃত بِسْمِ اللهِ ও اللهُ أَكْبَرُ ছেড়ে দেয় তাহলে কুরবানিও আদায় হবে না, গোশতও হালাল হবে না।[110]
মাসআলা: যে ব্যক্তি লোক দেখানো ও সুনামের জন্য কুরবানি করে, তাহলেও ওয়াজিব থেকে মুক্তি পাবে, কিন্তু কুরবানির সওয়াব পাবে না। সাওয়াবের জন্য নিয়তের বিশুদ্ধতার প্রয়োজন।[111]
আইয়ামে তাশরীক ও তার বিধান
মাসআলা: যুলহজ মাসের নয় তারিখ আরাফার দিন থেকে তের তারিখ পর্যন্ত সময়কে আইয়্যামে তাশরীক বলে।[112] এ দিনগুলোতে আরাফার দিনের ফজর থেকে তের তারিখের আসর পর্যন্ত প্রত্যহ ফরয নামাজের পর একবার উচ্চঃস্বরে তাকবীর বলা ওয়াজিব এবং একাধিকবার বলা মুস্তাহাব।
মাসআলা: নামাজ জামায়াতে আদায় করা হোক বা পৃথকভাবে পড়া হোক, ওয়াক্তিয়া নামাজ হোক বা কাযা, নামাজী ব্যক্তি মুকীম হোক বা মুসাফির, শহরের লোক হোক বা গ্রামের, মহিলা হোক বা পুরুষ সবার ওপর তাকবীরে তাশরীক বলা ওয়াজিব।[113]
মাসআলা: সেই সময়ে জুমার নামাজের পরও তাকবীর পড়া ওয়াজিব।[114]
মাসআলা: তাকবীর পড়া ভুলে যাওয়ার পর মসজিদের ভিতরেই তা যদি স্মরণ হয় অথবা ময়দানে নামাজ পড়ার পর কাতার ভাঙ্গার পূর্বেই যদি স্মরণ হয়, তাহলে সাথে সাথে তাকবীর পড়ে নিলেই ওয়াজিব আদায় হয়ে যাবে। অন্যথায় আদায় হবে না।[115]
মাসআলা: জামায়াতের পর যদি ইমাম তাকবীর বলতে ভুলে যায়, মুক্তাদীর উচিত উচ্চৈঃস্বরে তাকবীর পড়া; যেন ইমাম ও অন্যান্য নামাজীর স্মরণ হয় এবং তারাও তাকবীর বলে।
গোশতের আহকাম
মাসআলা: জবাইকৃত জন্তুর আটটি জিনিস ব্যতিত বাকি সব কিছুই খাওয়া হালাল। সেই আটটি জিনিস হল: হারাম মগজ অর্থাৎ হাঁস-মুরগী ইত্যাদির গলার হাড্ডির ভেতরের সুতার মতো সাদা মগজ, অ-কোষ, প্রবাহিত রক্ত, গদূদ, মাংসগ্রস্থি, পিত্ত, লিঙ্গ, গুহ্যদ্বার, পেশাবের থলি।[116]
মাসআলা: কুরবানির গোশত নিজে খাবে, নিজ আত্মীয়-স্বজনকে দেবে এবং ফকীর, অভাবগ্রস্থ লোকদের খয়রাত করবে।[117]
মাসআলা: মুস্তাহাব হচ্ছে কুরবানির গোশত তিনভাগে বিভক্ত করে একভাগ মিসকীনকে দেওয়া, এক অংশ নিজের আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদেরকে দেওয়া এবং অন্য অংশ স্বীয় পরিবার-পরিজনের জন্য রাখা।[118]
মাসআলা: হ্যাঁ, যদি কারো সন্তান-সন্ততি বেশি হয় তাহলে সে কুরবানির সমস্ত গোশত নিজেরাই খেতে পারে; এতে কোন ক্ষতি নেই। আর হাদিয়া ও সদকা করা থেকে নিজ পরিবারের লোকজনকে খাওয়ানো সর্বোত্তম।[119]
মাসআলা: কুরবানি যদি নযর (মান্নত)-এর হয়, তাহলে সম্পূর্ণ গোশত সদকা করা ওয়াজিব।[120]
মাসআলা: শরীকী জন্তুর গোশত ওজন করে ভাগ করতে হবে। অনুমান বা আন্দাজ করে বণ্টন করা যাবে না। কেননা কম বা বেশি হওয়ার ক্ষেত্রে সুদ হয়ে যাবে। পরস্পরের মধ্যে সন্তুষ্টি থাকা সত্ত্বেও না-জায়িয হবে।[121]
মাসআলা: হ্যাঁ, যদি সব শরীক মিলে গোশত বণ্টন না করে ফকির, আত্মীয়-স্বজনকে বণ্টন করে দেয় অথবা খানা রান্না করে খাওয়াবার ইচ্ছা করে তাহলে ওজন না করলেও জায়িয হবে।[122]
মাসআলা: কুরবানির গোশত অমুসলিমকে পারিশ্রমিক ব্যতীত দেওয়া জায়িয। কিন্তু না দেওয়া উত্তম। কেননা এটা কুরবানির মর্যাদার পরিপন্থী।[123]
মাসআলা: কুরবানির গোশত, চর্বি, হাড্ডি-মগজ, চামড়া বিক্রি করা মকরুহে তাহরীমা। তা সত্ত্বেও যদি কেউ বিক্রি করে তাহলে তার মূল্য সদকা করা ওয়াজিব। এভাবে উল্লিখিত দ্রব্যগুলি কসাইকে পারিশ্রমিক হিসেবে প্রদান করা জায়িয নয়।[124]
মাসআলা: জবাই করার পারিশ্রমিক পৃথকভাবে দিতে হবে। তা না হলে সবার কুরবানি সম্পূর্ণ হবে না; অর্থাৎ মকরুহ হবে।[125]
মাসআলা: কুরবানির জন্তুর রশি ইত্যাদি সব কিছু খায়রাত করে দেবে।[126]
মাসআলা: কুরবানির চর্বি দ্বারা পিঠা ইত্যাদি ভেজে নিজেও খেতে পারে এবং অপরকে খাওয়ানো যাবে। হাদিয়া-তোহফা দেওয়াও যাবে কিন্তু তা বিক্রয় করা জায়িয নয়। কেননা চর্বিও তো কুরবানির অংশ।
মাসআলা: কুরবানির গোশত শুকিয়ে জমা করে রাখাও জায়িয।[127]
কুরবানির চামড়ার হুকুম
মাসআলা: কুরবানির চামড়া নিজে ব্যবহার করতে বা দান করতে পারবে। অথবা বিক্রয় করে তার মূল্য সদকা করে দিতে হবে।[128]
মাসআলা: তবে চামড়া নিজে ব্যবহার করা বা বিক্রয় করে তার মূল্য সদকা করার চেয়ে মূল চামড়া সদকা করাই উত্তম।[129]
মাসআলা: যাদেরকে যাকাত দেওয়া জায়িয, চামড়ার টাকা-পয়সা তাদেরকেই দিতে হবে। আর চামড়া বিক্রয় করে যে পয়সা পাওয়া যায় অবিকল সে পয়সাই দান করবে; পরিবর্তন করা ভালো নয়।[130]
মাসআলা: চামড়ার মূল্য দ্বারা মসজিদ মাদরাসা মেরামত করা অথবা মাদরাসার মুহতামিম বা শিক্ষককে অথবা মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিন, খাদেমকে বেতন দেওয়া বা অন্য কোন নেক কাজে ব্যয় করা জায়িয নয়; বরং সাদকা করে দেওয়াই ওয়াজিব।[131]
মাসআলা: কুরবানির চামড়া নিজের কাজে লাগানো যায়। যেমন- মশক বা বালতি অথবা জায়নামাজ, মোজা ইত্যাদি তৈরি করা। অথবা স্থায়ী ব্যবহারযোগ্য জিনিসের পরিবর্তে প্রদান করাও জায়িয।[132]
মাসআলা: এভাবে চামড়া দ্বারা কিতাব বাঁধানো, পুরস্কার দেওয়া বা সাহায্য হিসেবে কাউকে দিয়ে দেওয়া জায়িয।[133]
মাসআলা: কুরবানির চামড়া নিজের পিতা মাতা বা সন্তান-সন্ততিকে দেওয়া জায়িয; কিন্তু মূল্য দেওয়া জায়িয নয়।[134]
মাসআলা: কুরবানির চামড়া কোন সমিতিতে চাঁদা বাবদ দেওয়া জায়িয নয়।[135]
মাসআলা: চামড়া মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিন বা কোন মাদরাসার প্রধান বা কোন মাদরাসা-শিক্ষক অথবা কোন ধনী ব্যক্তিকে বিনামূল্যে দেওয়া জায়িয।[136]
মাসআলা: চামড়ার মূল্য ঈদগাহ মেরামতের কাজে খরচ করা জায়িয নেই।[137]
মাসআলা: কোন কোন স্থানে কুরবানির চামড়া কসাইকে দিয়ে দেয় এবং মুহাররম মাসে তার নিকট থেকে এর পরিবর্তে গোশত নিয়ে তা নিজে ভোগ করে; এটা একেবারেই না-জায়িয।[138]
মুস্তাহাব ও মকরুহ সম্পর্কীয় বিষয়
মাসআলা: মুস্তাহাব হলো ঈদুল আযহার দিন সকাল বেলা কিছু না খেয়ে ঈদের নামাজ পড়ে কুরবানির গোশত দ্বারা প্রথমে খানা খাওয়া। যদি কেউ নামাজের পূর্বেই কিছু খায়, তাহলে মকরুহ হবে না। এ বিধান কুরবানি করনেওয়ালার জন্য আসল; অন্যান্যদের জন্য অনুকরণ হিসেবে তা পালন করা।[139]
মাসআলা: যুলহজ মাসের চাঁদ দেখা যাবার পর থেকে কুরবানি দিতে ইচ্ছুক ব্যক্তিগণ কুররবানী করা পর্যন্ত নিজ নিজ চুল, নখ, না-কাটা মুস্তাহাব।
মাসআলা: যারা নিজের নামে কুরবানি করে না তারাও যদি চুল ইত্যাদি না কাটে তাহলে মুস্তাহাবের সাওয়াব পাবে এবং তারা কুরবানির সাওয়াবও পাবে। বাকি তারা চুল, নখ ইত্যাদি নামাজের আগে কেটে নেবে।
মাসআলা: কুরবানির জন্তু জবাই করার পূর্বে তার দ্বারা কোন কাজ করানো মকরুহ।[140]
আরও কতিপয় মাসায়িল
- ঈদের দিনে ঈদের আগে এবং ঈদের জামায়াতের পর ঈদগাহে যে কোন নফল নামাজ পড়া মকরুহে তাহরীমা।
- জুমা ও ঈদ একই দিনে হলে জুমা ও ঈদ উভয়টি পড়া ওয়াজিব।
- কুরবানির গরুর মধ্যে ছেলের আকীকার অংশ দিলেও দুই ভাগ দিতে হবে।
- কুরবানির গোশত পারিশ্রমিক রূপে গোশত প্রস্তুতকারীকে দেওয়া না-জায়িয। কেউ দিয়ে থাকলে তার মূল্য সদকা করে দেওয়া ওয়াজিব।
- সুদখোরের সাথে কুরবানিতে শরীক হওয়া উচিত নয়।
- কুরবানির পশু জবাই করার পর ঠাণ্ডা না হওয়া পর্যন্ত চামড়া খোলা এবং পায়ের রগ কেটে দেওয়া নিষেধ।
- কুরবানির চামড়া পশুর শরীর থেকে আলাদা না করা পর্যন্ত তা বিক্রি করা বা তার জামানত গ্রহণ করা না-জায়িয।
- কুরবানির জন্তু জবাই করার সময় সব শরীকদারের নাম নেওয়া জরুরি নয়। সম্ভব হলে সবাই উপস্থিত থাকা মুস্তাহাব।[141]
- মুশরিক তথা যারা শিরকে লিপ্ত তাদের সাথে শরীক হয়ে কুরবানি করলে কারো কুরবানি হবে না।
- চুরি বা হারাম উপার্জনের টাকা দ্বারা কুরবানি ওয়াজিব নয়। বরং তার সমুদয় উপার্জিত সম্পাদ সাওয়াবের নিয়ত ছাড়া সদকা করে দেওয়াই ওয়াজিব।
- কুরবানির চামড়ার টাকা, যাকাত, ফিতরা, সদকা ইসলামিক জনকল্যাণমূলক সমিতি, সংস্থা, মসজিদ-মাদরাসা ইত্যাদিতে দেওয়া না-জায়িয। তবে যে মাদরাসায় লিল্লাহ (এতিম-অনাথ) বোর্ডিং রয়েছে সেখানে দেওয়া জায়িয।[142]
মাসিক আত-তাওহীদের ডাক
মাসিক আত-তাওহীদ ভালো লাগলে আপনজনদের বলুন, পরামর্শ থাকলে আমাদের বলুন।
***
মনীষাদীপ্ত এক ঝাঁক কলম সৈনিক তৈরির এ অভিযাত্রায় আপনিও শরীক হোন।
***
আপনার মাঝে ঘুমিয়ে থাকা অফুরন্ত মননশীলতা ও সৃজনশীল মেধাকে আমরা জাগিয়ে তুলতে চাই।
***
[১] আল-কুরআন, সুরা আল-হজ; ২২:৩৪
[২] আল-কুরআন, সুরা আলে ইমরান; ৩:৯৫
[৩] আহমদ ইবনে হাম্বল, আল-মুসনদ, মুআস্সিসাতুর রিসালা, বয়রুত, লেবনান, খ. ২৩, পৃ. ৩৪, হাদীস: ১৯২৮৩, হযরত ইয়াজীদ ইবনে আরকম (রাযি.) থেকে বর্ণিত
[৪] আত-তিরমিযী, আল-জামি‘উল কবীর, মুস্তফা আলবাবী অ্যান্ড সন্স পাবলিশিং অ্যান্ড প্রিন্টিং গ্রুপ, হলব, মিসর, খ. ৪, পৃ. ৮৩, হাদীস: ১৪৯৩
[৫] আল-কুরআন, সুরা আল-হজ; ২২:৩৭
[৬] ইবনে আবিদীন, ফতোয়ায়ে শামী, খ. ৫, পৃ. ১৯৮
[৭] মাওলানা জমিল আহমদ সাকরূধওয়ী, আশরাফুল হিদায়া, খ. ৪, পৃ. ৪৪৩
[৮] ইবনে আবিদীন, প্রাগুক্ত, খ. ৫, পৃ. ১৯৮
[৯] ইবনে আবিদীন, প্রাগুক্ত, খ. ৫, পৃ. ১৯৮
[১০] (ক) মোল্লা নিযাম উদ্দীন, ফতওয়ায়ে আলমগীরী, খ. ৫, পৃ. ২৯২; (খ) ইবনে আবিদীন, প্রাগুক্ত, পৃ. ১৯৮
[১১] ইবনে আবিদীন, প্রাগুক্ত, খ. ৫, পৃ. ১৯৮
[১২] ইবনে আবিদীন, প্রাগুক্ত, পৃ. ১৯৮
[১৩] ইবনে আবিদীন, প্রাগুক্ত, খ. ৫, পৃ. ১৯৮
[১৪] মোল্লা নিযাম উদ্দীন, প্রাগুক্ত, খ. ৬, পৃ. ১৯৮
[১৫] ইবনে আবিদীন, প্রাগুক্ত, খ. ৫, পৃ. ২০০
[১৬] মোল্লা নিযাম উদ্দীন, প্রাগুক্ত, খ. ৫, পৃ. ১৯৭
[১৭] মোল্লা নিযাম উদ্দীন, প্রাগুক্ত, খ. ৬, পৃ. ২০০
[১৮] ইবনে আবিদীন, প্রাগুক্ত, খ. ৫, পৃ. ২০০
[১৯] ইবনে আবিদীন, প্রাগুক্ত, খ. ৫, পৃ. ২০০
[২০] মোল্লা নিযাম উদ্দীন, প্রাগুক্ত, খ. ৬, পৃ. ১৯৫
[২১] মোল্লা নিযাম উদ্দীন, প্রাগুক্ত, খ. ৬, পৃ. ১৯৫
[২২] মোল্লা নিযাম উদ্দীন, প্রাগুক্ত, খ. ৬, পৃ. ১৮৭
[২৩] ইবনে আবিদীন, প্রাগুক্ত, খ. ৫, পৃ. ২০৯
[২৪] ইবনে আবিদীন, প্রাগুক্ত, খ. ৫ পৃ. ২০৯
[২৫] ইবনে আবিদীন, প্রাগুক্ত, খ. ৫, পৃ. ১৯৮
[২৬] ইবনে আবিদীন, প্রাগুক্ত, খ. ৫ পৃ. ২০০
[২৭] মুফতী মাহমুদ হাসান গঙ্গুহী, ফতোয়ায়ে মাহমুদিয়া, খ. ৪, পৃ. ৫২০
[২৮] (ক) হাকীমুল উম্মত আশরফ আলী থানবী, ইমদাদুল ফাতাওয়া, মাকতাবায়ে দারুল উলুম, করাচি, পাকিস্তান (১৪৩১ হি. = ২০১০ খ্রি.), খ. ৩, পৃ. ৫৫৩; (খ) মোল্লা নিযাম উদ্দীন, প্রাগুক্ত, খ. ৬, পৃ. ২৮৫
[২৯] ইবনে আবিদীন, প্রাগুক্ত, খ. ৫ পৃ. ২০৩
[৩০] মুফতী মাহমুদ হাসান গঙ্গুহী, প্রাগুক্ত, খ. ৪, পৃ. ৩৬৬
[৩১] মুফতী মাহমুদ হাসান গঙ্গুহী, প্রাগুক্ত, খ. ৪, পৃ. ৩৬৬
[৩২] মুফতী মুহাম্মদ কিফায়াতুল্লাহ দেহলবী, কিফায়াতুল মুফতী, খ. ৮, পৃ. ১৯৪
[৩৩] মোল্লা নিযাম উদ্দীন, প্রাগুক্ত, খ. ৬, পৃ. ১৯৯
[৩৪] মোল্লা নিযাম উদ্দীন, প্রাগুক্ত, খ. ৬, পৃ. ১৮৯
[৩৫] ইবনে আবিদীন, প্রাগুক্ত, খ. ৫, পৃ. ২১
[৩৬] ইবনে আবিদীন, প্রাগুক্ত, খ. ৫, পৃ. ২১
[৩৭] ইবনে আবিদীন, প্রাগুক্ত, খ. ৫, পৃ. ২০০
[৩৮] মুফতী মাহমুদ হাসান গঙ্গুহী, প্রাগুক্ত, খ. ৪, পৃ. ৩১
[৩৯] ইবনে আবিদীন, প্রাগুক্ত, খ. ৫, পৃ. ২০৫
[৪০] মোল্লা নিযাম উদ্দীন, প্রাগুক্ত, খ. ৬, পৃ. ২০৪
[৪১] ইবনে আবিদীন, প্রাগুক্ত, খ. ৫, পৃ. ২০০
[৪২] ইবনে আবিদীন, প্রাগুক্ত, খ. ৫, পৃ. ২০০
[৪৩] ইবনে আবিদীন, প্রাগুক্ত, খ. ৫, পৃ. ২১
[৪৪] ইবনে আবিদীন, প্রাগুক্ত, খ. ৫, পৃ. ২১
[৪৫] ইবনে আবিদীন, প্রাগুক্ত, খ. ৫, পৃ. ২১
[৪৬] মুফতী মাহমুদ হাসান গঙ্গুহী, প্রাগুক্ত, খ. ৪, পৃ. ৩২৪
[৪৭] হাকীমুল উম্মত আশরফ আলী থানবী, প্রাগুক্ত, খ. ৩, পৃ. ৫৭৩
[৪৮] মাওলানা জমিল আহমদ সাকরূধওয়ী, প্রাগুক্ত, খ. ৪, পৃ. ১৮৬
[৪৯] (ক) ইবনে আবিদীন, প্রাগুক্ত, খ. ৫, পৃ. ২১; (খ) মোল্লা নিযাম উদ্দীন, প্রাগুক্ত, খ. ৬, পৃ. ৩৩৭
[৫০] মুফতী মুহাম্মদ কিফায়াতুল্লাহ দেহলবী, প্রাগুক্ত, খ. ৮, পৃ. ২০৬
[৫১] ইবনে আবিদীন, প্রাগুক্ত, খ. ৫, পৃ. ২০৯
[৫২] ইবনে আবিদীন, প্রাগুক্ত, খ. ৫, পৃ. ২০৮
[৫৩] মুফতী মুহাম্মদ কিফায়াতুল্লাহ দেহলবী, প্রাগুক্ত, খ. ৮, পৃ. ২০৭
[৫৪] ইবনে আবিদীন, প্রাগুক্ত, খ. ৫, পৃ. ২০৫
[৫৫] ইবনে আবিদীন, প্রাগুক্ত, খ. ৫, পৃ. ২০৭
[৫৬] মুফতী মাহমুদ হাসান গঙ্গুহী, প্রাগুক্ত, খ. ৪, পৃ. ২০৭
[৫৭] হাকীমুল উম্মত আশরফ আলী থানবী, প্রাগুক্ত, খ. ৩, পৃ. ৫৫০
[৫৮] মোল্লা নিযাম উদ্দীন, প্রাগুক্ত, খ. ৬, পৃ. ২১৭
[৫৯] ইবনে আবিদীন, প্রাগুক্ত, খ. ৫, পৃ. ২০৫
[৬০] হাকীমুল উম্মত আশরফ আলী থানবী, প্রাগুক্ত, খ. ৩, পৃ. ২০৫
[৬১] ইবনে আবিদীন, প্রাগুক্ত, খ. ৫, পৃ. ২০৭
[৬২] সম্পাদকম-লী, ফতাওয়য়ে দারুল উলুম, খ. ৭, পৃ. ১৮৭
[৬৩] (ক) ইবনে আবিদীন, প্রাগুক্ত, খ. ৫, পৃ. ২০৪; (খ) মোল্লা নিযাম উদ্দীন, প্রাগুক্ত, খ. ৬, পৃ. ২১
[৬৪] মুফতী মাহমুদ হাসান গঙ্গুহী, প্রাগুক্ত, খ. ৫, পৃ. ২০৫
[৬৫] ইবনে আবিদীন, প্রাগুক্ত, খ. ৫, পৃ. ২২৫
[৬৬] আল-মারগীনানী, আল-হিদায়া ফী শরহি বিদায়াতুল মুবতাদী, খ. ৪, পৃ. ৪১৩
[৬৭] মোল্লা নিযাম উদ্দীন, প্রাগুক্ত, খ. ৬, পৃ. ৩০০
[৬৮] ইবনে আবিদীন, প্রাগুক্ত, খ. ৫, পৃ. ২০৭
[৬৯] ইবনে আবিদীন, প্রাগুক্ত, খ. ৫, পৃ. ২০৬
[৭০] মোল্লা নিযাম উদ্দীন, প্রাগুক্ত, খ. ৫, পৃ. ২৯৩
[৭১] ইবনে আবিদীন, প্রাগুক্ত, খ. ৫, পৃ. ২০৫Ñ২০৬
[৭২] ইবনে আবিদীন, প্রাগুক্ত, খ. ৫, পৃ. ২০৬
[৭৩] ইবনে আবিদীন, প্রাগুক্ত খ. ৫ ২০৫Ñ২০৬
[৭৪] ইবনে আবিদীন, প্রাগুক্ত, খ. ৫, পৃ. ২০৫
[৭৫] ইবনে আবিদীন, প্রাগুক্ত, খ. ৫, পৃ. ২০৬
[৭৬] ইবনে আবিদীন, প্রাগুক্ত, খ. ৫, পৃ. ২০৭; (খ) মুফতী মাহমুদ হাসান গঙ্গুহী, প্রাগুক্ত, খ. ৪, পৃ. ৭২
[৭৭] মোল্লা নিযাম উদ্দীন, প্রাগুক্ত, খ. ৬, পৃ. ২৮৮
[৭৮] মোল্লা নিযাম উদ্দীন, প্রাগুক্ত, খ. ৬, পৃ. ১৯৮
[৭৯] (ক) ইবনে আবিদীন, প্রাগুক্ত, খ. ৫, পৃ. ২০৫; (খ) মাওলানা জমিল আহমদ সাকরূধওয়ী, প্রাগুক্ত, খ. ৪, পৃ. ২৪৬
[৮০] ইবনে আবিদীন, প্রাগুক্ত, খ. ৫ পৃ. ২০৫
[৮১] মোল্লা নিযাম উদ্দীন, প্রাগুক্ত, খ. ৬, পৃ. ৯৮৯
[৮২] মোল্লা নিযাম উদ্দীন, প্রাগুক্ত, খ. ৬, পৃ. ২৮৮
[৮৩] ইবনে আবিদীন, প্রাগুক্ত, খ. ৫, পৃ. ২০৩
[৮৪] ইবনে আবিদীন, প্রাগুক্ত, খ. ৫, পৃ. ২১
[৮৫] মোল্লা নিযাম উদ্দীন, প্রাগুক্ত, খ. ৬, পৃ. ২৮৮
[৮৬] ইবনে আবিদীন, প্রাগুক্ত, খ. ৫, পৃ. ২০২
[৮৭] ইবনে আবিদীন, প্রাগুক্ত, খ. ৪, পৃ. ৪৪৪
[৮৮] ইবনে আবিদীন, প্রাগুক্ত, খ. ৫, পৃ. ২০২
[৮৯] ইবনে আবিদীন, প্রাগুক্ত, খ. ৫, পৃ. ২০২
[৯০] ইবনে আবিদীন, প্রাগুক্ত, খ. ৫, পৃ. ২০২
[৯১] মোল্লা নিযাম উদ্দীন, প্রাগুক্ত, খ. ৬, পৃ. ২৮৮
[৯২] আল-মারগীনানী, প্রাগুক্ত, খ. ৪, পৃ. ৪৩০
[৯৩] মোল্লা নিযাম উদ্দীন, প্রাগুক্ত, খ. ৬, পৃ. ২৯
[৯৪] ইবনে আবিদীন, প্রাগুক্ত, খ. ৫, পৃ. ২০৮
[৯৫] মোল্লা নিযাম উদ্দীন, প্রাগুক্ত, খ. ৬, পৃ. ২০৯
[৯৬] ইবনে আবিদীন, প্রাগুক্ত, খ. ৫, পৃ. ২০৮
[৯৭] মুফতী মাহমুদ হাসান গঙ্গুহী, প্রাগুক্ত, খ. ৪, পৃ. ৩১৪
[৯৮] হাকীমুল উম্মত আশরফ আলী থানবী, প্রাগুক্ত, খ. ৩, পৃ. ৫৪৮
[৯৯] মুফতী মাহমুদ হাসান গঙ্গুহী, প্রাগুক্ত, খ. ৪, পৃ. ৩১৭
[১০০] হাকীমুল উম্মত আশরফ আলী থানবী, প্রাগুক্ত, খ. ৩, পৃ. ৫৪৭
[১০১] ইবনে আবিদীন, প্রাগুক্ত, খ. ৫, পৃ. ২১০
[১০২] হাকীমুল উম্মত আশরফ আলী থানবী, প্রাগুক্ত, খ. ৩, পৃ. ৫৩৭
[১০৩] মুফতী মাহমুদ হাসান গঙ্গুহী, প্রাগুক্ত, খ. ৪, পৃ. ৩৩০
[১০৪] হাকীমুল উম্মত আশরফ আলী থানবী, প্রাগুক্ত, খ. ৩, পৃ. ৫৪০
[১০৫] ইবনে আবিদীন, প্রাগুক্ত, খ. ৫, পৃ. ২১২
[১০৬] ইবনে আবিদীন, প্রাগুক্ত, খ. ৫, পৃ. ২১২
[১০৭] হাকীমুল উম্মত আশরফ আলী থানবী, প্রাগুক্ত, খ. ৩ পৃ. ৫৩৭
[১০৮] ইবনে আবিদীন, প্রাগুক্ত, খ. ৫, পৃ. ১৮৮; (খ) মুফতী মাহমুদ হাসান গঙ্গুহী, প্রাগুক্ত, খ. ৪, পৃ. ৩২৪
[১০৯] মুফতী মাহমুদ হাসান গঙ্গুহী, প্রাগুক্ত, খ. ৬, পৃ. ২৯৮
[১১০] (ক) আল-মারগীনানী, প্রাগুক্ত, খ. ৪, পৃ. ৪১৯; (খ) হাকীমুল উম্মত আশরফ আলী থানবী, প্রাগুক্ত, খ. ৩ পৃ. ৫৫৮
[১১১] ইবনে আবিদীন, প্রাগুক্ত, খ. ৫, পৃ. ১৯৯
[১১২] তাহতাবী, পৃ. ২৯৫
[১১৩] তাহতাওয়ী, আল-হাশিয়া আলা মারাকিয়িল ফালাহ শরহি নূরিল ঈযাহ, পৃ. ২৯৫
[১১৪] তাহতাওয়ী, প্রাগুক্ত, পৃ. ২৯৪
[১১৫] তাহতাওয়ী, প্রাগুক্ত, পৃ. ২৯৪
[১১৬] ইবনে আবিদীন, প্রাগুক্ত, খ. ৫, পৃ. ১৯৭
[১১৭] ইবনে আবিদীন, প্রাগুক্ত, খ. ৫, পৃ. ২০৮
[১১৮] ইবনে আবিদীন, প্রাগুক্ত, খ. ৫, পৃ. ২০৮
[১১৯] ইবনে আবিদীন, প্রাগুক্ত, খ. ৫, পৃ. ২০৮
[১২০] মোল্লা নিযাম উদ্দীন, প্রাগুক্ত, খ. ৪, পৃ. ১০৫
[১২১] ইবনে আবিদীন, প্রাগুক্ত, খ. ৫, পৃ. ২০২
[১২২] ইবনে আবিদীন, প্রাগুক্ত, খ. ৫, পৃৃ. ২০২
[১২৩] মোল্লা নিযাম উদ্দীন, প্রাগুক্ত, খ. ৬, পৃ. ২১
[১২৪] হাকীমুল উম্মত আশরফ আলী থানবী, প্রাগুক্ত, খ. ৩, পৃ. ৫৬৪
[১২৫] হাকীমুল উম্মত আশরফ আলী থানবী, প্রাগুক্ত, খ. ৩, পৃ. ৫৬৪
[১২৬] ইবনে আবিদীন, প্রাগুক্ত, খ. ৫, পৃ. ২০৮
[১২৭] মোল্লা নিযাম উদ্দীন, প্রাগুক্ত, ইবনে আবিদীন, প্রাগুক্ত, খ. ৫, পৃ. ২০৮
[১২৮] ইবনে আবিদীন, প্রাগুক্ত, খ. ৫, পৃ. ২৯৫
[১২৯] শায়খীযাদা, মাজমাউল আনহার ফী শরহি মুলতাকাল আবহার, খ. ৬, পৃ. ৫১১
[১৩০] ইবনে আবিদীন, প্রাগুক্ত, খ. ৫, পৃ. ২০৯
[১৩১] হাকীমুল উম্মত আশরফ আলী থানবী, প্রাগুক্ত, খ. ৩, পৃ. ৪৮৯
[১৩২] ইবনে আবিদীন, প্রাগুক্ত, খ. ৫, পৃ. ২০৯
[১৩৩] ইবনে আবিদীন, প্রাগুক্ত, খ. ৫, পৃ. ২০৯
[১৩৪] হাকীমুল উম্মত আশরফ আলী থানবী, প্রাগুক্ত, খ. ৩, পৃ. ৫৫২
[১৩৫] হাকীমুল উম্মত আশরফ আলী থানবী, প্রাগুক্ত, খ. ৩, পৃ. ৫৪০
[১৩৬] মুফতী মুহাম্মদ কিফায়াতুল্লাহ দেহলবী, প্রাগুক্ত, খ. ৮, পৃ. ২৩৮
[১৩৭] মুফতী মুহাম্মদ কিফায়াতুল্লাহ দেহলবী, প্রাগুক্ত, খ. ৮, পৃ. ২৩৯
[১৩৮] ইবনে আবিদীন, প্রাগুক্ত, খ. ৫, পৃ. ২০৯; হাকীমুল উম্মত আশরফ আলী থানবী, প্রাগুক্ত, খ. ৩, পৃ. ৫৬৪
[১৩৯] মুফতী মাহমুদ হাসান গঙ্গুহী, প্রাগুক্ত, খ. ৪, পৃ. ২২৭, ৩৯৩
[১৪০] ইবনে আবিদীন, প্রাগুক্ত, খ. ৬, পৃ. ২৮৪
[১৪১] মুফতী রশীদ আহমদ, আহসানুল ফাতাওয়া, খ. ৭, পৃ. ৫৩৫
[১৪২] মুফতী রশীদ আহমদ, প্রাগুক্ত, খ. ৭, পৃ. ৫৩২