আল্লামা মিজানুর রহমান সিলেটী
نحمده ونصلي علىٰ رسوله الكريم، أما بعد! فأعوذ بالله من الشيطان الرجيم، بسم الله الرحمٰن الرحيم: [اَلَّذِيْنَ يَتَّبِعُوْنَ الرَّسُوْلَ النَّبِيَّ الْاُمِّيَّ الَّذِيْ يَجِدُوْنَهٗ مَكْتُوْبًا عِنْدَهُمْ فِي التَّوْرٰىةِ وَالْاِنْجِيْلِٞ۰۰۱۵۷] {الأعراف: 157} صدق الله العظيم، وقال النبي ﷺ: «لَا يَدْخُلُ الْـجَنَّةَ جَسَدٌ غُذِّيَ بِالْـحرَامِ» أو كما قال m. (رواه البيهقي في «شعب الإيمان»)
সম্মানিত শ্রোতামণ্ডলী!
যুগশ্রেষ্ঠ আলেমে দীন ও গবেষক ইমাম গাযালী (রহ.)-এর লিখিত কিমিয়ায়ে সাআদাত কিতাবে একটি হাদীস উল্লেখ করেন। রসুলে করীম (সা.) বলেন, ‘বনি ইসরাইলের মধ্যে এমন একটি এলাকা ছিল, যে এলাকায় একই সময়ে ১৮ হাজার আলেম-ওলামার বসবাস ছিল, যাঁদের আমল ছিল পূর্বের নবী-রসুলের আমলের মতো, প্রত্যেকজন আলেম ছিলেন মুস্তাজাবুদ দাওয়াত (দোয়া করার সাথে সাথেই যাদের দোয়া কবুল হয়)।’
হুযুর (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ তাআলা ওই ১৮ হাজার আলেমসহ সেই এলাকা একই সময়ে একই আযাবে ধ্বংস করে দিলেন।’
আম্মাজান হযরত আয়েশা সিদ্দীকা (রাযি.) জিজ্ঞাসা করেন, ইয়া রসুলাল্লাহ! আল্লাহ তাআলা তাদের ধ্বংস করলেন, কিন্তু সাথে ১৮ হাজার আলেমদের কেন ধ্বংস করলেন? রসুলুল্লাহ (সা.) উত্তরে বলেন, ‘এ ১৮ হাজার আলেম তাদের সমাজে হালাল এবং হারামের বিষয়গুলো তাদেরকে বুঝিয়ে না দেওয়ার কারণে আল্লাহ তাআলা তাদেরকে ধ্বংস করেছেন।’
আরও একটি হাদীস বর্ণিত হয়েছে, মুকাশাফাতুল কুলুব কিতাবের দ্বিতীয় খণ্ডে। বনি ইসরাইলের একজন নবী ছিলেন হযরত ইউশা ইবনে নূন (আ.)। আল্লাহ তাআলা হযরত ইউশা ইবনে নূন (আ.)-কে অহী দ্বারা সংবাদ দিয়ে বললেন, ‘আমি তোমার উম্মতের ৪০ হাজার নেককারসহ ৬০ হাজার বদকারদের একসাথে এক আযাবে ধ্বংস করব।’ হযরত ইউশা ইবনে নূন (আ.) জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া আল্লাহ! বদকারদের সঙ্গে নেককারদের কেন ধ্বংস করবেন? আল্লাহ তাআলা উত্তরে বলেন, ‘৪০ হাজার নেককার ৬০ হাজার বদকারদের হালাল পথে পথ প্রদর্শন না করার কারণে।’
এ হাদীসদ্বয় দ্বারা বোঝা যাচ্ছে, যে হালাল পথে চলা এবং হারাম থেকে বেঁচে থাকার সাথে সাথে উম্মত এ পথে পথপ্রদর্শন করাও আমাদের গুরুদায়িত্ব। সভা ও সেমিনার; সারা দুনিয়াতে যত প্রকার মাহফিল, সভা-সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়, আল্লাহ তাআলা এগুলোকে তাঁর কুরআনে দুই শ্রেণিতে বিভক্ত করেছেন। প্রথম শ্রেণির আলোচনা আল্লাহ তাআলা সূরা ফুরকানে বর্ণনা করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَالَّذِيْنَ اِذَا ذُكِّرُوْا بِاٰيٰتِ رَبِّهِمْ لَمْ يَخِرُّوْا عَلَيْهَا صُمًّا وَّعُمْيَانًا۰۰۷۳[1]
অর্থ ও ব্যাখ্যা: এ প্রিয় বান্দাগণকে যখন আল্লাহর আয়াত ও আখিরাতের কথা স্মরণ করানো হয় তখন তারা এসব আয়াতের প্রতি অন্ধ ও বধিরের ন্যায় মনোযোগ দেয় না, বরং শ্রবণশক্তি ও অন্তর্দৃষ্টিসম্পন্ন মানুষের ন্যায় এগুলো সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা করে ও সে অনুযায়ী আমল করে। যারা এ পন্থা অবলম্বন করে আল্লাহ তাআলা তাদেরকে সুসংবাদ দিয়ে বলেন,
اُولٰٓىِٕكَ يُجْزَوْنَ الْغُرْفَةَ بِمَا صَبَرُوْا وَيُلَقَّوْنَ فِيْهَا تَحِيَّةً وَّ سَلٰمًاۙ۰۰۷۵ خٰلِدِيْنَ فِيْهَا١ؕ حَسُنَتْ مُسْتَقَرًّا وَّ مُقَامًا۰۰۷۶
‘তাদেরকে তাদের সবরের প্রতিদানে জান্নাতে কক্ষ দেওয়া হবে এবং তাদেরকে তথায় দোয়া ও সালাম সহকারে অভ্যর্থনা করা হবে। সেখানে তারা চিরকাল বসবাস করবে। অবস্থানস্থল ও বাসস্থান হিসেবে তা কত উত্তম!’[2]
আর দ্বিতীয় শ্রেণির আলোচনা আল্লাহ তাআলা সূরা লোকমানে বর্ণনা করেন, আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَاِذَا تُتْلٰى عَلَيْهِ اٰيٰتُنَا وَلّٰى مُسْتَكْبِرًا كَاَنْ لَّمْ يَسْمَعْهَا كَاَنَّ فِيْۤ اُذُنَيْهِ وَقْرًا١ۚ فَبَشِّرْهُ بِعَذَابٍ اَلِيْمٍ۰۰۷
‘যখন ওদের সামনে আমার আয়াতসমূহ পাঠ করা হয়, তখন ওরা দম্ভের সাথে এমনভাবে মুখ ফিরিয়ে নেয়, যেন ওরা তা শুনতেই পাইনি অথবা যেন ওদের দুই কান বধির। সুতরাং তাদেরকে কষ্টদায়ক আযাবের সংবাদ দাও।’[3]
আল্লাহ তাআলা এ জাতিকে জাহান্নামের আযাবের ভয় দেখিয়ে বলেন,
فَبَشِّرْهُ بِعَذَابٍ اَلِيْمٍ۰۰۷
‘সুতরাং তাদেরকে কষ্টদায়ক আযাবের সংবাদ দাও।’[4]
মানবজাতির দুটি পথ
আল্লাহ তাআলা বিশ্বজগতকে সৃষ্টির পরে আশরাফুল মাখলুকাত হিসেবে মানবজাতিকে সৃষ্টি করেন। অতঃপর তাকে দুটি পথ দান করেন। আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَهَدَيْنٰهُ النَّجْدَيْنِۚ۰۰۱۰
‘আমি তাকে দুটি পথ প্রদর্শন করেছি।’[5]
একটি হলো হালাল পথ। আরেকটি হলো হারাম পথ। আল্লাহ তাআলা বলেন, যারা আমার হালাল পথে পরিচালিত হবে, আমি তাদের জান্নাতের মেহমান বানাবো। আর যারা হারাম পথ অবলম্বন করবে, আমি তাদেরকে জাহান্নামের কঠিন আযাবে গ্রেপ্তার করব। যারা আল্লাহর দেওয়া পথে চলবে এবং হালাল জীবন যাপন করবে, তাদের আল্লাহ তাআলা কুরআনের ভাষায় মুমিন হাওয়ার সুসংবাদ দিয়েছেন। আর যারা হারাম বিধানে পরিচালিত হবে, কোনো আয়াতে আল্লাহ রব্বুল আলামীন তাদেরকে কাফের বলে সম্বোধন করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَمَنْ لَّمْ يَحْكُمْ بِمَاۤ اَنْزَلَ اللّٰهُ فَاُولٰٓىِٕكَ هُمُ الْكٰفِرُوْنَ۰۰۴۴
‘যেসব লোক আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, সে অনুযায়ী ফয়সালা করে না তারাই কাফের।’[6]
আবার কোনো আয়াতে আল্লাহ তাআলা তাদেরকে ফাসেক বলেছেন। যেমন আল্লাহ তাআলা তাঁর কুরআন করীমে বলেন,
وَمَنْ لَّمْ يَحْكُمْ بِمَاۤ اَنْزَلَ اللّٰهُ فَاُولٰٓىِٕكَ هُمُ الْفٰسِقُوْنَ۰۰۴۷
‘যারা আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, সেই অনুযায়ী ফয়সালা করে না তারাই ফাসেক।’[7]
এমনই আল্লাহ তাআলা তাদেরকে কোনো কোনো আয়াতে মুশরিক বলেছেন বা মুনাফিক বলেছেন অথবা কোনো আয়াতে মুরতাদ বলে তাদের উপাধি দিয়েছেন।
মানবজাতির সৃষ্টির উদ্দেশ্য
আল্লাহ তাআলা বলেন, আমি দুনিয়াতে যত কিছু সৃষ্টি করেছি। তন্মধ্যে যা কিছু দেখা যায়, ও যা কিছু দেখা যায় না। যা কিছু অনুভূতিশীল ও যা অনুভূতিহীন সেগুলোও সৃষ্টি করেছি মানুষের সেবার জন্য। আল্লাহ তাআলা এ মর্মে বলেন,
هُوَ الَّذِيْ خَلَقَ لَكُمْ مَّا فِي الْاَرْضِ جَمِيْعًاۗ ۰۰۲۹
‘তিনি সেই সত্তা যিনি সৃষ্টি করেছেন তোমাদের জন্য যা কিছু জমিনে আছে সবকিছু।’[8]
মানবজাতির সৃষ্টির উদ্দেশ্যে রসুলুল্লাহ (সা.) বলেন,
فَإِنَّ الدُّنْيَا خُلِقَتْ لَكُمْ وَأَنْتُمْ خُلِقْتُمْ لِلْآخِرَةِ.
‘দুনিয়ার সবকিছু আল্লাহ তাআলা তোমাদের জন্য বানিয়েছেন এবং তোমাদেরকে বানিয়েছেন আখেরাতের জন্য।’[9]
আল্লাহ রব্বুল আলামীন অপর একটি আয়াতে মানবজাতির লক্ষ্যে বলেন,
وَمَا خَلَقْتُ الْجِنَّ وَالْاِنْسَ اِلَّا لِيَعْبُدُوْنِ۰۰۵۶
‘আমার ইবাদত করার জন্যই আমি মানব ও জিনজাতি সৃষ্টি করেছি।’[10]
হালাল-হারামের স্তর
আল্লাহ তাআলার দেওয়া হারাম বিধানের বিভিন্ন স্তর হয়, কোনো কোনো হারাম ব্যক্তিগত জীবনে সীমাবদ্ধ থাকে, কোনো কোনো হারাম পারিবারিক জীবনে সীমাবদ্ধ থাকে, কোনো কোনো হারাম সামাজিক জীবনে সীমাবদ্ধ থাকে, আর কোনো কোনো হারাম রাষ্ট্রীয় জীবনে সীমাবদ্ধ থাকে, আবার কোনো কোনো হারাম আন্তর্জাতিক জীবন পর্যন্ত বিচরণ করে, হারামের পথে পরিচালিত ব্যক্তিও হয় বিভিন্ন স্তরের এবং তাদের শাস্তিও হয় তাদের স্তর অনুযায়ী।
মানুষের খাবারের বিষয়েও আল্লাহ তাআলার হালাল হারামের বিধান রয়েছে, তেমনি ঘুমানোর বেলায়ও হালাল হারামের বিধান আছে, ব্যবসায়িক জীবনেও আল্লাহ তাআলা হালাল -হারামের বিধান রেখেছেন, প্রত্যেকটা কর্মজীবনেই হালাল-হারামের বিষয়টা স্পষ্ট করে দিয়েছেন। এ মর্মে রসুলুল্লাহ (সা.) বলেন,
«الْـحَلَالُ بَيِّنٌ وَالْـحَرَامُ بَيِّنٌ».
‘হালালের বিষয়টা যেমন পরিষ্কার, হারামের বিষয়টাও তেমনি পরিষ্কার।’[11]
ব্যবসার জীবনের সুদ সংক্রান্ত আলোচনা করে আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَاَحَلَّ اللّٰهُ الْبَيْعَ وَحَرَّمَ الرِّبٰواؕ ۰۰۲۷۵
‘আল্লাহ তাআলা ক্রয়-বিক্রয় বৈধ করেছেন এবং সুদ হারাম করেছেন।’[12]
বৈবাহিক জীবনে আল্লাহ তাআলা বলেন, আমি আমার রসুলের তরিকায় খুতবার মাধ্যমে সাক্ষীর সহকারে মাহরাম ছাড়া গায়রে মাহরামের ব্যাপারে বিয়ের বিধান হালাল করেছি, এছাড়া অন্য সমস্ত পথকে আমি বিয়ের জন্য হারাম করেছি। ওয়াজের জীবনে, বক্তার জীবন যদি ওয়াজের পারিশ্রমিক বা বাজেটমূলক হয় তাহলে আমি এ ওয়াজের পদ্ধতিটাকে হারাম করেছি আর যদি এই ওয়াজ করাটা আল্লাহ তাআলা নির্দেশ পালনে এবং জান্নাত লাভের আশায় হয় তো আমি এই ওয়াজকে হালাল করেছি।
এভাবে আল্লাহ তাআলা প্রত্যেকের জন্যই দুটি পথ দিয়েছেন একটি হলো হালালের, আরেকটি হলো হারামের পথ। যে পথে সে চায় সেই পথে চলবে। বান্দা যদি আলোর পথ ছেড়ে হারাম পথে গিয়ে সুদের সাথে মাল অর্জন করে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘সে মাল-সম্পদ খাচ্ছে না বরং জাহান্নামের আগুন খাচ্ছে।’
আর যদি বান্দা হালাল পথ খুঁজে খুঁজে চলে, আমি আল্লাহ তাআলা তাকে জান্নাতের মেহমান বানাবো।
মানুষের জন্মের দুই পথ
এরকমভাবে মানুষের জন্মও দুই পথে হয়। হয়তো হালাল পথে নয়তো হারাম পথে। এই দুই পথে জন্মের বিবরণ আল্লাহ তাআলা তাঁর কুরআনে এবং রসুল (সা)-এর হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, মক্কার কাফেরদের মধ্যে একজন ছিল ওয়ালিদ ইবনুল মুগীরা।
আরবের লোকেরা দুই দলে বিভক্ত হয়ে গিয়েছিল। একদল বলে, তার পিতা মুগিরাহ। অন্য দল বলে তার পিতা অন্য কেউ। এ বিষয়ে সমাধান নেওয়ার জন্য তারা আল্লাহর রসুল (সা.)-এর কাছে আসলো এবং বলল, ইয়া মুহাম্মদ (সা.)! আপনি যদি এ ওয়ালিদ ইবনুল মুগীরার জন্মের সঠিক সমাধান দিতে পারেন, তাহলে আমরা আপনার হালাল-হারামের পথ মেনে নেবো আর যদি তার সঠিক সমাধান দিতে না পারেন তাহলে আপনার দাওয়াতের সকল কার্যক্রম ও পথ বন্ধ করে দেব।
তখন রসুলুল্লাহ (সা.) মাথাটা নিচু করে দিলেন। সাথে সাথেই আল্লাহ তাআলা সূরা কলমের ১-১৬ পর্যন্ত আয়াত অবতীর্ণ করে জানিয়ে দিলেন, ওগো আমার নবী ওয়ালিদ ইবনুল মুগীরার জন্ম হালাল পথে নয়, বরং হারাম পথে হয়েছে তখন সমস্ত বেঈমান কাফেররা মাথা নিচু করে রসুল (সা.)-এর দরবার প্রত্যাখ্যান করে চলে গেল। কারণ সমস্ত কাফেররা জানে মুহাম্মদ (সা.) কখনো মিথ্যা বলেন না। আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَمَا يَنْطِقُ عَنِ الْهَوٰى ؕ۰۰۳ اِنْ هُوَ اِلَّا وَحْيٌ يُّوْحٰى ۙ۰۰۴
‘মুহাম্মদ প্রবৃত্তির তাড়নায় কথা বলে না। কুরআন অহী, যা প্রত্যাদেশ হয়।’[13]
তারপর ওয়ালীদ ইবনুল মুগীরা তার বাড়ি গিয়ে তার মাকে তালাশ করল। কিন্তু তার মাকে বাড়িতে পেল না অতঃপর তার মাকে এক আত্মীয়র বাড়ি থেকে খুঁজে বের করল তারপর তার মাথার চুলের মুঠো চাপ দিয়ে ধরে তার বাড়ির উঠানে শোয়াইলো এবং গর্দানে তলোয়ার রেখে বলল, সত্যি করে বল আমাকে তুমি কোনো পুরুষ দ্বারা জন্ম দিয়েছো? তার মা বলল, এ কেমন কথা বলছো? তুমি কি জানো না তোমার বাবাকে? সে বলল, জানি কিন্তু আজকে গিয়েছিলাম মুহাম্মদ (সা.)-এর দরবারে, তার পথ আটকাতে। কিন্তু মুহাম্মদের আল্লাহ তাকে জানিয়ে দিয়েছে আমার পিতা নাকি মুগীরা নয়, অন্য কেউ। সত্যি করে বল কোনো পুরুষ দ্বারা আমাকে জন্ম দিয়েছে? কারণ তুমি মা মিথ্যা হতে পারো কিন্তু মুহাম্মদের কথা মিথ্যা হতে পারে না। আল্লাহ তাআলা বলেন,
يَعْرِفُوْنَهٗ كَمَا يَعْرِفُوْنَ اَبْنَآءَهُمْؕ ۰۰۱۴۶[14]
ইয়া রসুলাল্লাহ! কিয়ামত পর্যন্ত আগত সকলেই আপনাকে এমনভাবে চেনে যেমন তারা তাদের সন্তানদের চেনে। অতঃপর তার মা তাকে সব খুলে সত্যটা বলে দিল। উক্ত বর্ণিত ঘটনা দ্বারা বুঝা যায় জন্মও দুই পথে হতে পারে। আল্লাহ তাআলা আমাদের হালাল পথে চলা এবং হারাম থেকে বেঁচে জীবন যাপন করার তওফিক দান করুন, আমিন।
অনুলিখন: কাজী আবদুল্লাহ
শিক্ষার্থী, আরবি সাহিত্য বিভাগ
আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়া, চট্টগ্রাম
[1] আল-কুরআন, সুরা আল-ফুরকান, ২৫:৭৩
[2] আল-কুরআন, সুরা আল-ফুরকান, ২৫:৭৪-৭৫
[3] আল-কুরআন, সুরা লোকমান, ৩৪:৭
[4] আল-কুরআন, সুরা লোকমান, ৩৪:৭
[5] আল-কুরআন, সুরা আল-বালাদ, ৯০:১০
[6] আল-কুরআন, সুরা আল-মায়িদা, ৫:৪৪
[7] আল-কুরআন, সুরা আল-মায়িদা, ৫:৪৭
[8] আল-কুরআন, সুরা আল-বাকারা, ২:২৯
[9] আল-মাওয়ারদী, আদাবুদ দুন্য়া ওয়াদ দীন, মাকতাবাতু দারিল হায়াত লিত-তাবাআ ওয়ান নাশর ওয়াত তাওযী’, বয়রুত, লেবনান (প্রথম সংস্করণ: ১৪০৬ হি. = ১৯৮৬ খ্রি.), পৃ. ১২১
[10] আল-কুরআন, সুরা আয-যারিয়াত, ৫১:৫৬
[11] আল-বুখারী, আস-সহীহ, দারু তওকিন নাজাত লিত-তাবাআ ওয়ান নাশর ওয়াত তাওযী’, বয়রুত, লেবনান (প্রথম সংস্করণ: ১৪২২ হি. = ২০০১ খ্রি.), খ. ১, পৃ. 20, হাদীস: 52
[12] আল-কুরআন, সুরা আল-বাকারা, ২:২৭৫
[13] আল-কুরআন, সুরা আন-নাজম, ৫৩:৩-৪
[14] আল-কুরআন, সুরা আল-বাকারা, ২:১৪৬