জামেয়া ওয়েবসাইট

শনিবার-৩০শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি-৫ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ-২০শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কবিতা/ছড়া

হামদ বারি

ইউনুস আহমেদ

কার নামে গাহে গান ঐ পাখিরা

কে সৃজিল এই বসুন্ধরা,

কার নামে সাগর হয় উতলা

সে তুমি প্রভু আল্লাহ তাআলা।

কার নামে নদী ছুটে দূর বহু দূর

পাখিদের কণ্ঠে মনোহরি সুর,

কার নামে ভ্রমরা গান গেয়ে যায়

কার নামে বৃক্ষে সবুজ গজায়।

ভোর হলে কে বিলাই আলোর মেলা

সাগরের কলতানে শুনি কার নাম

আল্লাহ আল্লাহ জপে অবিরাম,

চাঁদ তারা গ্রহ রবি কার গড়া

কে দিল সবুজ শ্যামল এই বসুন্ধরা

কার মহিমাময় খাড়া পর্বতমালা।

বিজয়ের পতাকা

আজহার মাহমুদ

করীম মিয়া পতাকা নিয়া হাঁটছে এদিক সেদিক

পতাকাগুলো বিক্রি না হলেও মনটা আছে তার ঠিক

করীম মিয়ার মন ভালো তাই জামাল মিয়া বলেন,

পতাকা বিক্রি না হলেও ভাই কীভাবে আপনি হাসেন?

জামাল মিয়ার এমন প্রশ্নে করীম মিয়া বলেন,

পতাকাগুলো কাঁধে নিয়ে আপনি একদিন হাঁটেন।

এ পতাকা কাঁধে নিয়ে যে সুখ আমি পাই

সইে সুখ এই পৃথবিীতে আর কোথাও নেই।

করীম মিয়া এমন কথায় জামাল মিয়া অবাক

সেই সাথে আশেপাশের সবাইও তখন নির্বাক।

হাসতে হাসতে করীম মিয়া আবার বলতে থাকেন

পতাকার সাথে সর্ম্পকটা আগে সবাই একটু বুঝেন।

বিজয়ের এই পতাকা কাঁধে নেওয়াও সুখের

এই পতাকার জন্যই কিন্তু রক্ত ঝরেছে বুকের বুকের।

ডাক এসেছে

মিজানুর রহমান

ওই যে দেখো মোয়াজ্জিনের

ডাক এসেছে,

চারিদিকে রহমতের

সুর ভেসেছে।

কাজ ফেলে তাই জলদি করে

ছুটে চলো,

আল্লাহু জিকির-টা তোমার

মুখে বল।

রবের খুশি সকল কাজে

থাকবে যতন

জীবন চলুক প্রভুর রাহে

সুন্নাহ মতন।

স্বার্থপর সমাজ

শেখ মুহাম্মদ রিয়াদ

অন্যায়-অনাচারে দেখো

সমাজটা যায় ভেসে,

তুমি আমি দেখে কুলুপ

দিলাম মুখে ঠেসে।

ও পাড়াতে খুন হলো আজ

এ পাড়ায় কি তাতে!

মরে, মরুক! নিয়ত মরে

নেই ভাই পাঁচে সাতে।

প্রতিদিন পত্রিকার পাতায়

সংবাদ তার রেপ ধর্ষণ,

চায়ের দোকানে বসে তাই

কপচাই নানা দর্শন!

কি করে বাড়ে রেপ ধর্ষণ

আর বাড়ে অনাচার,

তা নিয়ে কত শত মত

নেই কোনো সুবিচার।

বড় জোর লেখালেখি আর

ফেসবুকে নানা পোস্ট,

দুদিন পেরোতেই যাই ভুলে

মেমোরিটা হয় লস্ট।

এভাবেই একদিন পড়বে হাত

আমাদের নিজ নীড়ে,

তখন পারবে কি তা সইতে?

নষ্ট সমাজ ভিড়ে।

কারনামা

সামুরা ইবনে লোকমান

রাতের শেষে দিন আসে

দিন পেরিয়ে রাত,

কাজ ফেলে এশা পড়ে

বিছানাতে কাত।

দিনে রাতে পাঁচ ওয়াক্ত

সালাত আদায় করি,

নিদ্রা ঠেলে কাজকে ফেলে

আল্লাহকে স্মরি।

করবো কাজ বাঁচার তরে

আরও করবো দান,

আমার সাথেই বাঁচে যেন

গরীব দুখীর প্রাণ।

বস্ত্রহীনার খালি গায়ে

বস্ত্র দিবো জড়ি,

ছেড়ে দেওয়া সুন্নাহ সকল

আবার আক্রে ধরি।

গীবত কিবা চোগলখোরি

করবনা তো আর,

আর কভু হিংসা দ্বেষ

মিথ্যে অহংকার।

বিভেদ ভুলে সকল মুমিন

রবের পথে রবো,

রবের কথা মানলে শেষে

মোরাই জয়ী হবো।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on pinterest
Pinterest
Share on telegram
Telegram
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

সর্বশেষ