জামেয়া ওয়েবসাইট

রবিবার-৪ঠা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি-৮ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ-২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কওমি মাদরাসা ও তার স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য

কওমি মাদরাসা ও তার স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য

মুফতি আবদুল হক (ফকির)

মোগল সাম্রাজ্যের বিদায় ঘণ্টা বেজে গেল। মুসলিম ঐতিহ্যের সর্বশেষ নিভু নিভু প্রদীপটিও ইংরেজদের বিষাক্ত গ্যাসে নিভে গেল। কেবল বাংলা থেকে আশি হাজার মাদরাসা ধ্বংস করা হলো। ভারত উপমহাদেশের মুসলমানকে অহীর জ্ঞানশূণ্য এবং রাসূল (সা:)-এর সম্পর্ক ছিন্ন বস্তুবাদী সম্প্রদায়ে পরিণত করার সর্বৈব কূটকৌশলের বিস্তৃতি ঘটালো: মুসলমানকে খ্রিস্টান বানানোর হীন উদ্দেশ্যে তারা কাদিয়ানি মতবাদ প্রচার শুরু করলো। আর মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও সংহতির গলায় ছোরা চালানোর লক্ষ্যে রাসূল প্রেম ও অলি ভক্তির প্রান্তিক অতিরঞ্জিত চিন্তাধারা এবং নতুন কিছু আকিদা আমলের মন্ত্র শিখিয়ে ফেরকা বন্দির বীজ রোপণ করে। ‘মরার ওপর খারার ঘা’ উপমহাদেশের একচেটিয়া হানাফী মুসলিমের ঐক্যের মূলে কূঠারাঘাত করার উদ্দেশ্যে সহীহ হাদীসের স্লোগানে আরও একটি দলকে পোষ মানায়। এভাবে উম্মাহকে উহ! ক্ষত-বিক্ষত ও টুকরো টুকরো করে ফেলে।

তাছাড়া মুসলিম তরুণ-যুবা দলকে পশ্চিমা অপ-সংস্কৃতির সয়লাবে ভাসিয়ে বিলাসিতায় ধাবিত করে। ফলে উপমহাদেশের শ’শ’ বছরের লালিত ইসলামি সমাজ ব্যবস্থা ও সভ্যতা-সংস্কৃতির সূর্য অস্তমিত হয়ে গেল। সহস্র বছরের রাজসিক মুসলমান চরম উৎকণ্ঠায় পতিত হলো। কেবল মুষ্ঠিমেয় তোষামোদি দল ছাড়া সমগ্র ওলামা-জনতা অমানবিক জুলুম নির্যাতনের যাঁতাকলে পিষ্ট হলো। ১৮৫৭ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে দুই লাখ মুসলমান শাহাদত বরণ করেন। তন্মধ্যে আলেম শহীদ হন সাড়ে একান্ন হাজার। কেবল দিল্লি শহরেই অর্ধ সহস্র ওলামাকে শহীদ করা হয়। বাকি জীবিতদের করুণ আহাজারিতে আসমান-জমিনে কান্নার রোল পড়েছিল। ঠিক তখনি আজাদি আন্দোলনের বুজুর্গ সিপাহসালার হাজী এমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কী (রহ:) ও মাওলানা কাসেম নানুতভী (রহ:) প্রমূখ মণীষীগণ আল্লাহর কাছে অসাধারণ রোনাজারির বদৌলতে ১৮৬৬ইং মাদরাসাতুস সুফফার সবুজ ছায়া দারুল উলুম দেওবন্দ প্রতিষ্ঠা করেন। পক্ষান্তরে দেওবন্দ মাদরাসা হচ্ছে উপমহাদেশে ইসলামকে পুনরুজ্জীবিত করার একটি হেদায়তী বটবৃক্ষ এবং বিশ্বময় হৃত মুসলিম রেনেসাঁর সময়োচিত বিকল্প। এরই সূত্র ধরে বিশ্বের অর্ধশত দেশে অলৌকিকভাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে কুরআন-সুন্নাহর ইলম-আমলের জ্যান্ত মডেল এই কওমি মাদরাসা।

নববী নকশা মোবারকের ওপর দেওবন্দ মাদরাসার ভিত্তি

ইতিহাস সাক্ষী, সম-সাময়িক আউলিয়াকেরামের দীর্ঘ কান্না কাটি ও দীর্ঘ ইলহাম এস্তেখারার পর যেদিন দারুল উলুমের ভিত্তি গর্ত খনন করেছিলেন, সেই রাতে প্রথম মুহতামিম রাসূল (সা:)-কে স্বপ্নে দেখার সৌভাগ্য লাভ করেন। স্বপ্নে রাসূল (সা:) তাঁকে বলেছিলেন, এতো খুবই ক্ষুদ্র অঙ্গন। এই বলে একটু উত্তরে অগ্রসর হয়ে স্বীয় লাঠি মোবারক দ্বারা রেখা টেনে বললেন এর ওপর ভিত্তি স্থাপন করো। সকালে মুহতামিম সাহেব নববী নকশাটি হুবহু দেখতে পেলেন (সুবহানাল্লাহ)। সেই মোবারক নকশার উপরেই দেওবন্দ মাদরাসার প্রথম ঘর নির্মাণ করা হয়। যা আজোও ‘নওদারাহ’ নামে বিখ্যাত।

দারুল উলুমের ইতিহাস থেকে জানা যায়, মুজাদ্দিদ আলফেসানী (রহ:) একদিন দেওবন্দের প্রান্ত দিয়ে কোথাও গমনের পথে বলেছিলেন, আমি এখানে ইলমের সুঘ্রাণ পাচ্ছি। শহীদে বালাকোট সাইয়িদ আহমদ বেরলভী (রহ:) কোন এক জিহাদী সফরে দেওবন্দ অতিক্রম করতঃ বলেছিনে; আমি এখান থেকে ইলমের খুশবু অনুভব করছি।

দেওবন্দ মাদরাসার দান-অবদান

রাসূল (সা:)-এর হাতেগড়া সুফফা মাদরাসার সেই সিলেবাস, বিশ্বাস, দর্শন ও আদর্শের ওপর বুকটান করে দাঁড়িয়েছে তাঁর স্বপ্নযোগে নকশা আঁকা এই দেওবন্দ মাদরাসা। যার লক্ষ্য উদ্দেশ্য হচ্ছে শব্দ ও পুঁথিকেন্দ্রিক শিক্ষা নয় আমল ও আদর্শ কেন্দ্রিক একটি শিক্ষা বিপ্লব। তা ছাড়া সাদা চামড়া ও কালো মনের পশুরা বৃহত্তর ভারতকে আলেম শূন্য ও মসজিদ মাদরাসা শূন্য পাদরি রাজ্যে পরিণত করেছিল। তার সফল মোকাবেলা এবং ইসলামকে সদা সমুন্নত রাখা ইত্যাদি চরিত্রে ও মেজাজে দারুল উলুম তার সন্তানদের গড়ে তোলায় অঙ্গীকারাবদ্ধ। দেওবন্দি কাফেলা (জমিয়াতুল ওলামা) জানবাযি রেখে স্বাধীন করেছিলেন ভারত বর্ষ। আর দেওবন্দি দামাল ছাত্র ফোরাম গুড়িয়ে দিয়েছে আফগানিস্তানে আমেরিকাপন্থির রাজ, কায়েম করেছেন আজকের ইসলামী আমিরাত। কওমি কৃতি সন্তান বিশ্ববিখ্যাত দায়ী মাওলানা ইলিয়াছ (রহ:)-এর ব্যাপক দাওয়াহর ফসল, বিশ্বময় কালিমা শাহাদার প্রতিনিয়ত স্বীকৃতি-গুঞ্জন। আর অসংখ্য গির্জার ললাটে কালিমা তাইয়্যিবার উজ্জ্বল নিদর্শন।

কওমি মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষকগণ মাতৃভুমির স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও ধর্মীয় মূল্যবোধ বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর। নিরক্ষরতা দূরীকরণ ও সমাজ সেবায় কওমিদের অবদান সর্বজন স্বীকৃত। সন্ত্রাস ও জঙ্গি প্রশিক্ষণের সাথে এসব মাদরাসার দূরতম সম্পর্কও নেই। অতএব নির্দ্বিধায় বলা যায়, দারুল উলুম দেওবন্দ ভারত উপমহাদেশসহ ইউরোপ, আমেরিকা ও আফ্রিকার কওমি মাদরাসা সমূহের যেমন আদর্শিক জননী তেমনি বিশ্বময় লক্ষ লক্ষ মকতব, মাদরাসা, জামিয়া এসবের গর্বিত সূতিকাগার।

কওমিরা দীনের অতন্দ্র প্রহরী

ওলামায়ে দেওবন্দ কখনো জঙ্গি, সন্ত্রাসী ও পদমর্যাদার লোভী নন-দীনের অতন্দ্র পহরী ও ঘুমন্ত ব্যাঘ্র। কাছের ও দূরের ঘটনা প্রবাহে এর ভুরি ভুরি নজির রয়েছে। এ সকল নিরব, নির্লোভ দীনের খাদেমগণ মাদরাসার শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই প্রশান্তি লাভ করে। কালাল্লাহ কালার রাসূলের পঠন-পাঠন তাদের কাছে রাজত্বের চেয়ে অনেক প্রিয়-অনেক শ্রেয়। আরেকদল দেশ হতে দেশান্তরে তাবলিগি তৎপরতায় স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। দুনিয়ার কোন মোহ মায়া তাদের বিরত ও বিমুখ করতে পারেনি, পারবেও না। তবে হ্যাঁ, যখনি কোন বদদীনী ঝড় ঝাপটার চোখ রাঙানি শুরু হয়, কোন ব্লগার কুলাঙ্গার আল্লাহ ও রাসূলের সাথে বেআদবি করে, তখনি এ সকল ঘুমন্ত ব্যাঘ্র গর্জে ওঠে ময়দান প্রকম্পিত করে। অমানবিক জেল-জুলুম অথবা কোটি টাকার অফার তাদেরকে চুল পরিমাণ বিচ্ছুতি ঘটাতে পারে না। নিকট অতীতে আল্লামা আহমদ শফি ও আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরীদের সোনালি ইতিহাস ইসলামী আন্দোলন কর্মীদের প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে যুগ যুগান্তরে।

১৮৫৭ ও ১৯৭০ সালের স্বাধীনতা, কাদিয়ানী, ড. ফজলুল রহমানের টেডি ইসলাম, কুরআনপন্থি, হুজ্জিয়াতে হাদীস, আহলে হাদীস, মাজারপন্থি, দাউদ হায়দার, কবি শামশুর রহমান, আহমদ ছফা, বিবর্তনবাদ, তাছলিমা নাছরিন, সালমান রুশদি, নারীমুক্তি আন্দোলন, ব্লগার, ভাস্কার্য ও দেশে দেশে নবী অবমাননা ইত্যাদি দেশ ও দীন বিরোধী আন্দোলনে কওমিদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। পুলিশের আইজি থেকে শুরু করে গোয়েন্দা প্রধান ও মন্ত্রি মিনিস্টার মহোদয়গণও স্বীকার করেছেন কওমি মাদরাসাগুলো জঙ্গি তৎপরতা মুক্ত, একদম ইলম ও আমল-বান্ধব। মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রির স্বীকারোক্তি বিশেষত ধর্র্মীয় দৃষ্টি কোণেই শিক্ষার্থীরা কওমি মাদরাসায় অধ্যায়ন করে থাকে (নয়াদিগন্ত ০৫ জুলাই ২০২১)

স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যময় কওমি মাদরাসা

বাংলাদেশ সরকারের অনভিপ্রেত নতুন প্রস্তাবনা: দেওবন্দ মাদরাসার মকবুলিয়াতের অন্যতম নিদর্শন হচ্ছে কোন প্রকার মিশনারি পরিকল্পনা ছাড়া সাহারানপুর মাদরাসা, অতঃপর মুরাদাবাদ, মীরাট, লখনৌ নদওয়াতুল ওলামা ও হায়দারাবাদ মাদরাসাসহ ভারতে হাজার হাজার কওমি মাদরাসা মানবতার অনির্বাণ শিখা প্রজ্জলিত রেখেছে। পাকিস্তানে দারুল উলুম করাচি, জামিয়া আশরাফিয়া লাহোরসহ ১২ হাজারেরও বেশি কওমি মাদরাসা শিক্ষার আলো বিস্তার করে চলেছে। মিয়ানমারে নুরুল্লাহপাড়া, আকিয়াব সাক্ষিপাড়া এবং ইয়াঙ্গুনে সুফিয়া মাদরাসাসহ অনেক কওমি মাদরাসা ইলমের পতাকাকে সমুন্নত রেখেছে।

বাংলাদেশে ১৯০১ সালে হাটহাজারী মাদরাসা অতঃপর জিরি, পটিয়া, লালবাগ ও নানুপুর মাদরাসাসহ ২৫ হাজার কওমি মাদরাসা আলোকিত মানুষ সৃজন করছে প্রতিনিয়ত। শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া হতে ইউরোপ, আমেরিকা ও আফ্রিকা পর্যন্ত কোন অমুসলিম সরকারও এ সকল মাদরাসায় কোন প্রকার হস্তক্ষেপ করেনি। বরং নিঃশর্তে স্বীকৃতি দিয়েছে অনেক দেশে; ভারতের জওহারলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়, আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়, কেরেলার ক্যালিকেট বিশ্ববিদ্যালয় দাওরায়ে হাদীসের সনদকে ডিগ্রির মান দান করেছে। পাকিস্তান দাওরায়ে হাদীসের সনদকে এমএ অ্যারাবিক ও ইসলামিয়াতের মান প্রদান করেছে। এমনকি কওমি শিক্ষার্থীদের পিএইচ.ডি করারও সুযোগ রয়েছে। কিন্তু অনাকাঙ্ক্ষিত সত্য যে, বাংলাদেশ সরকার আজকাল বিশ্বময় কওমি মাদরাসার স্বীকৃত নীতিমালার উল্টো পথে চলতে চায়।

গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ২১ কওমি মাদরাসার শিক্ষা কার্যক্রম উন্নয়নের বিধান রেখে শিক্ষা আইন ২০২১ এর খসড়া চূড়ান্ত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। অতঃপর ২১ জনু ২০২১ শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত একটি কমিটি গঠন করে (যুগান্তর ঢাকা অনলাইন সংস্করণ, ২৪ জুন ২১)। অথচ কওমি মাদরাসা রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণে নেয়া কওমি সনদের সমমান আইন ২০১৮ এর মৌল চেতনা ধারা ও উপধারার সাথে পুরোপুরি সাংঘর্ষিক। উক্ত আইনের ২ (চ) ও ৯ (ঘ) ধারায় লিপিবদ্ধ আছে, কওমি মাদরাসার স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য বজায় রেখে পাঠ্যক্রম, ও পাঠ্যসূচি প্রণয়ন, শিক্ষা, গবেষণা, প্রশিক্ষণ, ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ, মাদরাসা পরিচালনা, পরীক্ষা পদ্ধতি এবং ফলাফল ও সনদ তৈরিসহ আনুসঙ্গিক কার্যক্রম পরিচালনা করবে এবং প্রভাবমুক্ত থেকে স্বকীয় বৈশিষ্ট্য বজায় রাখবে (দৈনিক নয়াদিগন্ত ৫ জুলাই ২১)

কাজেই জাতীয় সংসদে পাশ হওয়া এ আইন মতে সরকার কওমি মাদরাসার ব্যাপারে কোন ধরণের হস্তক্ষেপ করার অধিকার রাখে না। তথ্যাভিজ্ঞ মহলের মতে কওমি প্রতিষ্ঠানে অধিকরচর্চা করা বিশ্বময় অর্ধশত দেশের সমন্বিত ও সমর্থিত বিষয়ে নেতিবাচক পদক্ষেপ এবং বিশ্ববাসীর চোখে জঘন্য সংকীর্ণতার পরিচায়ক।

সেন্ট্রাল কওমি মাদরাসা যেহেতু একযুগ সন্ধিক্ষণে নববী নির্দেশনায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, আরও যেহেতু প্রধান প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা কাসেম নানুতভী (রহ:) সমকালীন মনীষীগণের ব্যাখ্যা মতে দেওবন্দী মাদরাসাসমূহ সরকারি সাহায্য ও প্রভাব মুক্ত থাকবে। তাইতো এক-দেড়শ’ বছরের সুদীর্ঘ ইতিহাসে বিশ্বের কোন প্রান্তে কওমি অঙ্গনের ওপর কোন প্রকার হস্তক্ষেপ শ্রুত হয়নি। অতএব এই মকবুল শিক্ষা কেন্দ্রের প্রতি সরকারের অনধিকারচর্চা একটি স্পর্শকাতর বিষয় বলে আমি মনে করি। কেননা কোন প্রকার মিশনারি প্লানিং-প্রসেস ছাড়া পৃথিবীর ৫০টিরও বেশি দেশে স্বতন্ত্র মর্যদায় কেন্দ্রীয় কওমি মাদরাসার শাখা প্রতিষ্ঠিত হওয়া যেমন কবুলিয়াতের লক্ষণ তেমনি বিশেষ অলৌকিকতার নিদর্শন।

তাছাড়া ব্রিটিশ সরকার যেখানে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ধ্বংস যজ্ঞ চালিয়েছিল, সেখানে তাদের কড়া নজরদারিতে মৃত্যুদণ্ডের হুলিয়াপ্রাপ্ত কিছু লোক কর্তৃক নিরেট ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠা নিঃসন্দেহে আল্লাহর খাস হেফাজত ও বিশেষ কবুলিয়াতের উদাহরণ নয় কি? কাজেই কওমি মাদরাসা ‘সংস্কার’, ‘আধুনিকায়ন’ ও ‘যুগোপযোগীকরণ’-এর অজুহাতে আল্লাহর পানাহ সেই নিউ স্কীম মাদরাসার কালো ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটিয়ে নবিজী (সা:)-এর নকশা আঁকা কওমি মাদরাসা ধ্বংসের দুঃসাহস কস্মিনকালেও কল্যাণ বয়ে আনবে না। অতএব কওমি মাদরাসা নিয়ন্ত্রণ করার মতো স্পর্শকাতর বিষয়ে পা না বাড়ানো সরকার, দেশ ও জাতির জন্যে অধিকতর কল্যাণ কর।

লেখক: কলামিস্ট ও গ্রন্থ প্রণেতা ও খলিফা শাহ মাওলানা জমীর উদ্দিন নানুপুরী (রহ:)

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on pinterest
Pinterest
Share on telegram
Telegram
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

সর্বশেষ