বৃহস্পতিবার-২২শে জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি-২২শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-৮ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কবিতা

সেই বাগানের কি প্রয়োজন

আবদুল হালীম খাঁ

সেই বাগানের কি প্রয়োজন

যে বাগানে ফুল নেই?

সেই ফুলের কি প্রয়োজন

যে ফুলে সুবাস নেই?

সেই মানুষের কি প্রয়োজন

যে মানুষের হৃদয় নেই?

সেই হৃদয়ের কি প্রয়োজন

যে হৃদয়ে মানবপ্রেম নেই?

েই শিক্ষার কি প্রয়োজন

যে শিক্ষায় স্রষ্টাকে চেনা না যায়?

সেই শিক্ষার কি প্রয়োজন

যে শিক্ষা মানুষ পশু বানায়?

সেই শিক্ষার কি প্রয়োজন

যে শিক্ষা খুনি ডাকাত বানায়?

সেই শিক্ষার কি প্রয়োজন

যে শিক্ষা ধর্ষক বানায়?

সেই শিক্ষার কি প্রয়োজন

যে শিক্ষা সন্ত্রাসী বানায়?

সেই শিক্ষার কি প্রয়োজন

যে শিক্ষা দুর্নীতিবাজ বানায়?

সেই শিক্ষার কি প্রয়োজন

যে শিক্ষায় আল্লাহ-রাসুল নেই?

সেই শিক্ষার কি প্রয়োজন

যে শিক্ষায় শান্তি নেই?


কোটিপতি

আজহার মাহমুদ

চারপাশে আজ কোটিপতি

হচ্ছে শুধু ধনি,

অল্প সময়ে পেয়ে যাচ্ছে

অনেক টাকার খনি

ধনি হচ্ছে কেমন করে

জানতে কেউ চায় না,

জানতে চাইলে, ধনি লোকটি

ধরে নানান বায়না।

অসৎ পথের অসৎ টাকায়

রাতারাতি হয় কোটিপতি,

এসব ছাড়া বাংলাদেশে

ধনি হওয়ার নাই গতি।


সোনালি প্রভাত

কাজী হায়াত মাহমুদ

গুর তুলে কাকা তোয়া ডাকে বারবার,

আর বেশি দেরি নেই সূর্য উঠার।

কিছুক্ষণ পর যেই কেটে যাবে রাত,

হাসিমুখে দেখা দিবে সোনালি প্রভাত।

মুয়াজ্জিনের কণ্ঠ হতে ভোরের আযান,

শোনা যাবে মিষ্টি সুরে শ্রেষ্ঠ আহ্বান।

মসজিদে হাজির হওয়ার এ মধুর ধ্বনি,

কানে কানে পৌঁছে দেয় শান্তির বাণী।

ঘুম থেকে উঠে পড় ঘুমিও না আর,

এনেতে গরজ কর নামায পড়ার।

হাত তুলে বল প্রভু আমি মুসাফির,

হুমুক পালনে তব হয়েছি হাজির।

এ সময় পাখি ডাকে সুমধুর সুরে,

বিনীত আওয়াজ তুলে ডাকে বিধাতারে।

মোরা হয়ে সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ মানুষ,

থাকি যদি বসে বসে অলস-বেহুশ।

ভেবে বল এটা যদি অপরাধ হয়,

তবে কেন ঘুমে মোরা থাকি এ সময়।

জীব-জন্তু, বৃক্ষ-লতা, প্রজাপতি কুল,

আল্লাহর গুণ-গানে সবাই ব্যাকুল।

এমন মধুর ক্ষণে এসো তাকে ডাকি,

কারো নয় স্রষ্টার দাস হয়ে থাকি।

তারই দাস হতে যদি পারি এ জীবনে,

সুখের অভাব নেই জীবন-মরণে।


আজকাল বর্ষায়

তসলিম খাঁ

আষাঢ়ের বর্ষায় নেই কেন দমকা হাওয়া

মেঘে মেঘে নেই কেন মিতালী

আকাশে নেই কেন আলোর ঝলকানি

নেই কেন বজ্রপাত

আছে শুধু বর্ষার পানি।

কৈশোরের দেখা বর্ষার মতো নয় কেন এখন

বর্ষার ভয়ে শরীর কাঁপত যখন।

তবুও,

আষাঢ়ের বর্ষা এগিয়ে যাক তার আপন গতিতে,

দিন যাপনের ঘ্লানিকে ধুয়ে মুছে দিক বর্ষার জলে,

তবে অতি বর্ষনে নয়, দুর্ভোগ বাড়ে।


সময়

কাজী তানভীর

টিকটিক বাজে

লাগে খুব কাজে

ঘড়ি হলো তার নাম,

ঠিক করে বেলা

দূর করে হেলা

দামি খুব তার কাম।

দামি খুব বেশ

গিয়ে হয় শেষ

সময়ের স্রোতধারা,

বেলা হবে পার

কাজে-কামে যার

বড কেহ হবে তারা!

সময়ের পানে

সফলতা দানে

মনীষীরা সদা বলে

সবচেয়ে দামি

খুব দ্রুতগামী

চলে যায় হেলা হলে

সময়ের ঘড়ি

ঠিকঠাক করি

জীবনের দামি ঘড়ি

সময়ের সাথে

দিন কিবা রাতে

সুমধুর দিন গড়ি।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on pinterest
Pinterest
Share on telegram
Telegram
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

সর্বশেষ