ঈদের দিনক্ষণ নির্ধারণ নিয়ে তামাশার অবসান হোক
বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার শতকরা প্রায় ৮৫ ভাগ মানুষ ইসলাম ধর্মালম্বী। এই ইসলাম ধর্মালম্বী মানুষের বাৎসরিক প্রধান উৎসব হলো ঈদুল ফিতর। পুরো রামাযান এক মাস সিয়াম সাধনার পর হিজরী সালের শাওয়াল মাসের এক তারিখ ঈদুল ফিতরের উৎসবে পুরো মুসলিম মিল্লাত মেতে উঠে। এ ঈদুল ফিতর কালের পরিক্রমায় এদেশের সভ্যতা, সংস্কৃতি ও ইতিহাসের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং সার্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে। অথচ এই ঈদুল ফিতর উদ্যাপনের দিনক্ষন নির্ধারণ নিয়ে মুসলমানদের সাথে টাট্টা-মশকরা ও তামাশা চলছে সবসময়।
বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে পদাধিকারবলে ধর্ম মন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি রয়েছে। বাংলাদেশে চাঁদ দেখার ওপর নির্ভরশীল যত ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান রয়েছে, এসব অনুষ্ঠান সাধারণত এই জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সিদ্ধান্ত মতে দিনক্ষন ঠিক করে পালিত হয়ে থাকে। এবছর সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সব দেশে ৪ জুন মঙ্গলবার ঈদুল ফিতর পালিত হয়েছে।
এদেশের ভৌগলিক অবস্থান অনুযায়ী মধ্যপ্রাচ্যে যেদিন ঈদুল ফিতর পালিত হয়, চিরচারিত স্বাভাবিক নিয়মানুযায়ী পরদিন বাংলাদেশে ঈদুল ফিতর পালিত হয়। কিন্তু এ বছর ঈদুল ফিতর উদ্যাপন নিয়ে স্বয়ং বাধ সাধলো জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বিলম্বিত, বার বার বিপরীতমুখী ও দ্বিধান্বিত সিদ্ধান্ত। যা এদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মনে কুঠারাঘাত করেছে।
আমি যতটুকু জেনেছি, ধর্মপ্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ মহোদয় নিজে একজন পবিত্র কুরআনের হাফেজ এবং দীনী উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত একজন আলেম। একজন যোগ্যতম ব্যক্তি হিসেবে ধর্মপ্রতিমন্ত্রীর প্রতি আমার অগাধ শ্রদ্ধা ও আস্থা রয়েছে সবসময়।
বাংলাদেশের ৬৪টি জেলায় জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে জেলা পর্যায়ে একটি করে চাঁদ দেখা কমিটি রয়েছে। দূর আকাশ অনুধাবন গবেষণা কেন্দ্র ২৮ মে থেকেই বলে আসছে ২৯ রামাযান, ৪ জুন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পশ্চিমাকাশে শাওয়াল মাসের চন্দ্র উদিত হতে পারে এবং চন্দ্র উদয় হলে সে চন্দ্র সন্ধ্যা ৭.১০ মিনিটের মধ্যে অস্থ যাবে। এরপর চন্দ্র আকাশে আর দৃশ্যমান হবে না। অর্থাৎ চাঁদ দেখলেও সন্ধ্যা ৭.১০ মিনিটের মধ্যে দেখতে হবে এবং সন্ধ্যা ৭.১০ মিনিটের মধ্যে না দেখলে সেদিন আর চাঁদ দেখার কোন সুযোগ নেই।
তাহলে সবকিছু ভালোভাবে সেটআপ থাকলে ডিজিটাল, মোবাইল, ইন্টারনেট, স্যাটেলাইটের যুগে দেশের ৬৪ টি জেলা থেকে সন্ধ্যা ৭.১০ মিনিট হতে সর্বোচ্চ আধাঘণ্টা অর্থাৎ ৭.৪০ মিনিটের মধ্যেই চাঁদ দেখা যাওয়া অথবা দেখা নাযাওয়ার খবর জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির কাছে অতি সহজে পৌঁছানো সম্ভব।
ধর্মবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ তাঁর ব্রিফিংয়ের সময় নিজেই বলেছেন, ঈদুল ফিতর পালন সম্পর্কে কুরআন-হাদীসের আলোকেই সব তথ্য পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। তাই তিনি জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটিতে প্রসিদ্ধ মুফতি, ফকীহ, ইসলামি স্কলার ও প্রখ্যাত আলেম ওলামাদের সম্পৃক্ত করেছেন। যাঁরা জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির ৪ জুন মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত সভায় সশরীরে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশের মসজিদসমূহে ইশারের নামাযের জামায়াতের সময় কোথাও ৮.১৫ মিনিট, কোথাও ৮.৩০ মিনিট এবং বাণিজ্যিক এলাকার স্বল্পসংখ্যক মসজিদে ৮’৪৫ মিনিটে হয়ে থাকে। জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি মঙ্গলবার ৪ জুন রাত ৯.১০ মিনিটে তাদের প্রথম বৈঠকে এই মর্মে সিদ্ধান্ত দিল, দেশের কোথাও শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। সুতরাং ৬ জুন বৃহস্পতিবার ঈদুল ফিতর উদ্যাপিত হবে এবং রামাযান মাসের ফরয রোযা হবে মোট ৩০টি। জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি এ সিদ্ধান্ত বিলম্বে নেওয়ায় ইশার নামাযের পর মুসল্লিদের কেউ কেউ নিজ দায়িত্বে তারাবীর নামায আাদায় করেছে, আবার কেউ কেউ আদায় করেননি। সবচেয়ে বেশি বিড়ম্বনায় পড়েছিল মসজিদে ই’তিকাফ গ্রহণকারীরা।
সৌদি আরবে ৪ জুন মঙ্গলবার ঈদুল ফিতর উদ্যাপিত হওয়ায় ই’তিকাফ গ্রহণকারীদের অনেকেই ই’তিকাফ শেষে মাগরিবের নামাযের পর মসজিদ ত্যাগ করে বাড়িঘরে চলে যান। জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৃহস্পতিবার ৬ জুন ঈদুল ফিতর পালন সম্পর্কিত প্রথম সিদ্ধান্ত ঘোষণার কারণে তাঁরা আবার নিজ নিজ মসজিদে ফেরত আসে। কারণ সহজ সরল মুসল্লিরা বুঝেন সৌদি আরবে মঙ্গলবার ৪ জুন ঈদুল ফিতর উদ্যাপিত হয়েছে, সুতরাং বাংলাদেশে বুধবার ৫ জুন স্বাভাবিকভাবে ঈদুল ফিতর উদ্যাপিত হবে। তাঁরা চাঁদ দেখা কমিটির বিষয়াদি মোটেই বুঝতে চান না। এ ঘোষণায় আবার সবাই ঈদুল ফিতরের প্রস্তুতির পরিবর্তে সাহরি খাওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া, কেনাকাটা, খাওয়া-দাওয়া তৈরি, শপিংয়ের প্রস্তুতি, নরসুন্দরের কর্ম, বিউটিশিয়ান কাছে যাওয়া, টেইলার্সের কাজসহ সবকিছু ৫ জুন বুধবারে সারার জন্য প্রস্তুতি নেন। তাহলে, জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বিলম্বিত সিদ্ধান্তের কারণে ই’তিকাফকারী, তারাবীর নামায আদায় করতে নাপারাসহ সৃষ্ট বিভিন্ন সমস্যার দায়-দায়িত্ব কে বা কারা নেবে?
সবচেয়ে বড় তামাশা হলো রাত ১১.১৫ মিনিটে ধর্মবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির ৯.১০ মিনিটে প্রথম সিদ্ধান্ত ঘোষণার দু’ঘণ্টা পর আবার উল্টো সিদ্ধান্ত নিয়ে যখন ব্রিফিং করলেন। অর্থাৎ ১১.১৫ মিনিটের ব্রিফিংয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার খবরের বরাত দিয়ে ৬ জুন বৃহস্পতিবারের পরিবর্তে ৫ জুন বুধবারে ঈদুল ফিতর উদ্যাপনের ঘোষণা দেওয়া। এ অবস্থায় মানুষ আরও চরম দুর্দশায় পড়ে যায়। সমালোচনা ও নিন্দার ঝড় উঠে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সর্বত্র। তখন ই’তিকাফকারীদের গভীররাতে মসজিদ ছাড়তে হয়।
ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের তাড়াহুড়ো করে সাহরির প্রস্তুতি বাদ দিয়ে পুনরায় ঈদুল ফিতরের প্রস্তুতি নিতে হয়। তখন ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ঈদুল ফিতর উদ্যাপন নিয়ে প্রস্তুতিতে দুর্ভোগ সীমা ছাড়িয়ে যায়। ফলে মুসলমানদের প্রধান উৎসব ঈদুল ফিতরের আনন্দ, উচ্ছ্বাস প্রায় ম্লান হয়ে যায়। মুসলমানদের ঘরে ঘরে নেমে আসে রাষ্ট্রের উদাসীনতা, সিদ্ধান্তহীনতা, বার বার বিপরীতমুখী সিদ্ধান্তের নেতিবাচক ফলাফল। কিন্তু সবার প্রশ্ন হচ্ছে, মঙ্গলবার ৪ জুন সন্ধ্যা ৭.১০ মিনিটের পরে চাঁদ দেখতে পাওয়া অথবা দেখার সুযোগ না থাকলেও এ তথ্য জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির কাছে পৌঁছাতে এ ডিজিটাল যুগে এত বেশি সময় লাগল কেন?
অথচ মজলিসুশ রুইয়াতুল হিলাল কমিটি, ঢাকার জামিয়া রহমানিয়ার চাঁদ দেখা কমিটিসহ দেশের আরও অনেকে বেসরকারি চাঁদ দেখা কমিটি গত ৪ জুন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখতে পেয়েছেন, এরকম অনেক মানুষের বিস্তারিত নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বরসহ তাদের প্রেসবিজ্ঞপ্তি ৪ জুন মঙ্গলবার রাত ৮ টার দিকে গণমাধ্যমে প্রেরণ করেন। যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়। পরে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটিকে চ্যালেঞ্জ করে এসব বেসরকারি চাঁদ দেখা কমিটি বৃহস্পতিবার ৬ জুন ঈদুল ফিতর উদ্যাপনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানান।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, বেসরকারি চাঁদ দেখা কমিটিগুলো তাদের সীমিত সুবিধা নিয়ে ৪ জুন মঙ্গলবার রাত ৮ টার মধ্যে ঈদুল ফিতর পালন সম্পর্কে ডকুমেন্টারি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিতে পারল। কিন্তু জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বিভিন্ন সরকারি সুযোগ সুবিধা থাকা সত্বেও স্বল্পসময়ে ঈদুল ফিতর পালনের বিষয়ে একবারে চূড়ান্ত ও সঠিক সিদ্ধান্ত দিতে পারলোনা কেন? একইভাবে বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী মুসলিম সংখ্যালঘু রাষ্ট্রের কলকাতাসহ ভারতে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ৫ জুন বুধবার সেদেশে ঈদুল ফিতর উদ্যাপনের খবরও ৪ জুন মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে এদেশের গণমাধ্যমে চলে আসে। যা শতকরা প্রায় ৮৫ ভাগ মুসলমান অধ্যূষিত রাষ্ট্র বাংলাদেশের জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির পক্ষে সম্ভব হয়নি। তাহলে এটা কি জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির চরম ব্যর্থতা নয়? এদেশের শতকরা ৮৫ ভাগ জনগোষ্ঠীর প্রতি চাঁদ দেখা কমিটি অবহেলা ও উদাসীনতা নয়? অথচ গ্রামে-গঞ্জের অনেক মুসলমান বুধবারে ঈদুল ফিতর উদ্যাপনের পরিবর্তিত সিদ্ধান্ত না জানায় সাহরি খেয়ে রোযা রেখেছে। আবার বুধবার সকালে ঈদুল ফিতর উদ্যাপনের রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তের খবর পেয়ে তারা রোযা ভেঙে ফেলেছে।
কারণ ঈদুল ফিতরের দিন রোযা রাখা সম্পূর্ণ হারাম। আবার অন্যদিকে, রামাযান মাসের রোযা ৩০টি হলে ৩০তম ফরয রোযাসহ রামাযান মাসের যেকোন রোযা বিনা কারণে ছেড়ে দেওয়াও গুরুতর পাপ। অর্থাৎ জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বার বার বিপরীত সিদ্ধান্তে মুসলমানেরা উভয় সংকটে পড়ে যায়। এ বিষয়ে কক্সবাজার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানের ঈদের জামায়াতের বিগত প্রায় ৩ দশকের খতীব আল্লামা মাহমুুদুল হক বলেন, ঈদুল ফিতরসহ চাঁদ দেখা নিয়ে রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তই করীয়া অনুযায়ী চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হিসেবে মানতে হবে। বেসরকারি কোন সংগঠন বা ব্যক্তির ঈদুল ফিতর পালনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তের বিপরীত ও তুলনামূলক সঠিক হলেও তা মানা জরুরি নয়।
জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি দীর্ঘ বিলম্বে বারবার পরিবর্তিত সিদ্ধান্ত দেওয়া সম্পর্কে চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মাহমুদুল হক বলেন, এটা কোন অবস্থাতেই কাম্য নয়। এতে রোযাদারগণ বিড়ম্বনা ও দুর্ভোগের শিকার হয়েছে। তিনি আরও বলেন, চাঁদ দেখা নিয়ে রোযা রাখা ও ঈদ করার বিষয়ে পবিত্র হাদীস শরীফে সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে, এখানে বিভ্রান্তির কোন সুযোগ নেই। তা হচ্ছে, ‘তোমরা চাঁদ দেখে রোযা রাখো এবং চাঁদ দেখে ঈদ করো। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলে গননায় ৩০ রোযা পূর্ণ করো।’ (সহীহ আল-বুখারী: ৯০৯ ও সহীহ মুসলিম: ১০৮১)
একইভাবে ১৯৯৭ সালেও রাত প্রায় সাড়ে ১১টার দিকে পরদিন ঈদুল ফিতর উদ্যাপনের সরকারি ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। এ বছর হিজরী সলের শাবান মাসের চাঁদ দেখা-নাদেখা নিয়ে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সিদ্ধান্ত নিয়েও দেশে তুমুল বিতর্ক হয়েছে। আবার ৪ জুন মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭ থেকে প্রাইভেট টিভি চ্যানেল বাংলাভিশন ও দেশের কিছু অনলাইন নিউজ পোর্টাল কোন সুত্র ও উদ্ধৃতি ছাড়াই চাঁদ দেখা যাওয়ার খবর প্রচার করতে থাকে। যা রোযাদার মুসলমানদেরকে আরও বেশি বিভ্রান্ত করে তোলে। কোন সুত্র ছাড়াই স্পর্শকাতর ধর্মীয় বিষয় নিয়ে গণমাধ্যমে এরকম বিভ্রান্তিকর খবর প্রচার করার দায়দায়িত্ব কে নেবে? এভাবে বাংলাদেশের শতকরা ৮৫ ভাগ ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের প্রধান উৎসব ঈদুল ফিতর নিয়ে তামাশা আর কত হবে? এসব তামাশার অবসান হওয়া উচিৎ। না হয়, ঈদুল ফিতর উদ্যাপনের দিনক্ষণ নির্ধারণ নিয়ে রাষ্ট্রের দায়িত্বজ্ঞানহীন কর্মকাণ্ডের কারণে এদেশের ইসলাম ধর্মালম্বীরা এ বিষয়ে রাষ্ট্রের সিদ্ধান্তের প্রতি ধীরে ধীরে আস্থা ও বিশ্বাস একেবারে হারিয়ে ফেলবে। আর এভাবে হতে থাকলে জাতীয় চাঁদ কমিটিও একসময় ব্যর্থ ও হাস্যকর কমিটিতে পরিণত হবে। পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় কমিটির ব্যর্থতার জন্য এবিষয়ে শক্তিশালী বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও কমিটি গড়ে উঠবে। যা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জন্য হবে খুবই লজ্জাজনক।
এডভোকেট মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী
এডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, ঢাকা