ইসলাম সুরক্ষার এক তুলনাহীন দুর্গ দারুল উলুম দেওবন্দ
আল্লামা মুফতী মুহাম্মদ আবদুল হালীম বুখারী (দা. বা.)
[বিগত ২ জিলকদ ১৪৩৯ হি. মোতাবেক ১৬ জুলাই ২০১৮ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার বাদে আসর থেকে এশা পর্যন্ত আল-জামিয়া আল ইসলামিয়া পটিয়ায় চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা তাবলীগী জোড় অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত জোড়ে জামিয়া ইসলামিয়া পটিয়ার প্রধান পরিচালক, বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ ও গবেষক আল্লামা মুফতি আবদুল হালিম বুখারী হাফিযাহুল্লাহ চলমান তাবলীগী বিরোধের মূলকারণ চিহ্নিত করে করণীয় নির্ধারণপূর্বক দিক-নির্দেশনামূলক নসীহত পেশ করেছেন। বক্তৃতাটি গ্রন্থনা করেন জামিয়া ইসলামিয়া পটিয়ার উস্তাদ মাওলানা মুহাম্মদ সলিমুদ্দিন মাহদি কাসেমী। নিম্নে পাঠকদের জন্য তার কিছু অংশ উল্লেখ করা হল—সম্পাদক]
মহান আল্লাহ তাআলা দয়া করে আমাদেরকে দেওবন্দি মতাদর্শের বিশ্বাসী হওয়ার তাওফিক দান করেছেন। এজন্য আল্লাহর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা সকলের কর্তব্য। বলুন, আল-হামদু লিল্লাহ। সাথে সাথে দোয়া করতে থাকবেন, আল্লাহ যেন এ দেওবন্দি মতাদর্শের ওপর অটল থাকার তাওফিক দান করেন।
দেওবন্দিয়ত একটি মতাদর্শ
বর্তমান পৃথিবীতে বিভন্ন ইজম বা মতাবাদ রয়েছে। যেমন- কমিনিউজন, সোশালিজম ইত্যাদি। তেমনি আমাদের দেওবন্দিয়তও একটি ইজম বামতাদর্শের নাম। দেওবন্দিয়তের কথা কুরআন-সুন্নায় রয়েছে। আকায়েদের কিতাবেও আছে। তবে ভিন্ন নামে আছে। যেমন- আমাদের সাতকানিয়ায় একটি এলাকা আছে চরম্বা। সেখানে মুরগীর ডিমকে বলে, ‘বজা’ আর আমিরাবাদে বলা হয়, ‘আন্ডা’। অতঃপর সেটি যখন শহরে আসে তখন হয়ে যায় ডিম। তেমিন দেওবন্দিয়ত এ মতবাদটি কুরআন-সুন্নাহ থেকে নির্গত। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বলেন,
اِهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيْمَۙ۰۰۵
‘সরল পথ কামনা কর।’[1]
সে সরল পথের কথা রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন,
«مَا أَنَا عَلَيْهِ وَأَصْحَابِيْ».
‘আমি ও আমার সাহাবায়ে কেরামের সঙ্গে যারা রয়েছেন।’[2]
ফুকাহায়ে কেরাম তার ব্যাখ্যা করেছেন ‘আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত’। আর এ সরল পথ ভারত উপমহাদেশে দেওবন্দিয়তের নামেই পরিচিত।
দারুল উলুম দেওবন্দের সাবেক মুহতামিম হাকীমুল ইসলাম কারী মুহাম্মদ তাইয়িব (রহ.) দেওবন্দিয়তের পরিচয় দিতে গিয়ে বলেন,
دینًا مسلمان ہے،فرقۃً اہل السنت والجماعۃ ہے، مذہبًا حنفی ہے، مشربًا صوفی ہے، عقیدۃ ًماتردی ہے، سلوکًا چشتی ہے، بلکہ جامع السلاسل ہیں، فکرًا ولی اللہی ہے، اصولًا قاسمی ہے، فروعًا گنگوہی ہے اورنسبۃً دیوبندی ہے۔
অর্থাৎ দেওবন্দিয়ত এ মতাদর্শের দীন হচ্ছে ইসলাম। দল হচ্ছে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত। তারা হানাফী মাযহাবের অনুসারী ও সুফিমতবাদে বিশ্বাসী। ইমাম আবুল মানসুর মাতুরদী (রহ.)-প্রণিত আকিদায় বিশ্বাসী। আধ্যাত্মিকতায় চিশতি, বরং কাদিরি, সুহরাওয়ারদিী, নকশবন্দি ও চিশতি- চার তরিকার সমন্বয়কারী। শাহ অলি উল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলভী (রহ.)-এর চেতনায় এবং কাসিম নানুতভী (রহ.)-এর মৌলিক নীতিমালা ও শাখাগত দিকগুলোর ক্ষেত্রে মুফতি রশিদ আহমদ গঙ্গুহি (রহ.)-এর অনুসারী। নিসবত হিসেবে দেওবন্দি অর্থাৎ এসব কাজের সূচনা হয়েছিল দেওবন্দ নামক স্থানে। তাই তাদেরকে দেওবন্দি বলা হয়।
তাহলে বোঝা যায়, কুরআনে করীমে যা ‘সিরাতে মুস্তাকীম’ সুন্নাতে রাসুলে যা ‘মা আনা আলাইহি ওয়া আসহাবী’ আকিদার কিতাবে যা ‘আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত’ সেটিই হিন্দুস্তানে দেওবন্দিয়ত।
রাসুলুল্লাহ (সা.) কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত দারুল উলুম দেওবন্দ
দেওবন্দে একটি প্রতিষ্ঠান আছে দারুল উলুম দেওবন্দ। রাসুল (সা.)-এর প্রতিষ্ঠাতা। এটি প্রতিষ্ঠার পূর্বে মুহতামিম সাহেব (রহ.) স্বপ্ন দেখেন রাসুলুল্লাহ (সা.) মাদরাসার প্রাঙ্গণে উপস্থিত হয়ে মাদরাসার এরিয়া দেখে বলেন, ‘এ জায়গাটি মাদরাসার জন্য ছোট হবে। তিনি নিজেই একটি এরিয়া এঁকে দেন।’ সকলে সেই স্থানে লাঠির চিহ্ন দেখতে পান। পরে ওই নকশার ওপরই দারুল উলুম দেওবন্দের ভিত্তি স্থাপিত হয়।
দারুল উলুম দেওবন্দের প্রধান মিশন
সূচনালগ্ন থেকেই এ প্রতিষ্ঠান সকল বাতিলের মোকাবিলা করে আসছেন। ইহুদিবাদের মোকাবিলা করেছে। খ্রিস্টবাদের মোকাবিলা করেছে। আরিয়া সমাজ, কাদিয়ানি মতবাদ, সালাফি মতবাদ ও বেরলভি মতবাদসহ সকল বাতিলের প্রতিরোধে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে যুগ-যুগ ধরে। এজন্যই বাতিলরা সার্বক্ষণিক প্রচেষ্টায় থাকে এ দীনি প্রতিষ্ঠানকে ভেঙে দিতে। অনেক চেষ্টা তারা চালিয়েছে এবং চালিয়ে যাচ্ছে। তবে আল্লাহ তাদের সকল চক্রান্তকে فَجَعَلَهُمْ كَعَصْفٍ مَّاْكُوْلٍؒ۰۰۵ করে দেন।
کہسار یہاں دب جاتے ہیں
طوفان یہاں رک جاتے ہیں
اس کاخ فقیری کے آگے
شاہوں کے محل جھک جاتے ہیں
‘পাহাড় এখানে ধসে যায়, ঘূর্ণিঝড় এখানে থেমে যায়,
এই গরিবখানার সামনে রাজপ্রসাদও ঝোঁকে যায়।’
দারুল উলুম দেওবন্দের শায়খুল হাদিস সাইয়েদ হুসাইন আহমদ মাদানী (রহ.)-এর ঘরে একদিন ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওয়াহের লাল নেহরু আসলেন। হুযুর স্বাভাবিকভাবে বসলেন আর তিনি দু’জানু হয়ে বসলেন। এটিই হলো দারুল উলুম দেওবন্দের শান!
কাদিয়ানির মুকাবিলা করার জন্য বের হয়েছেন দেওবন্দের সন্তানরা। আল্লামা আতাউল্লাহ শাহ বুখারী (রহ.), আনওয়ার শাহ কাশ্মীরী (রহ.)। তাসাউফকে সংস্কার করেছেন দেওবন্দের আরেক সন্তান হাকিমুল উম্মত আশরাফ আলী থানভী (রহ.)। ইংরেজ বেনিয়াদের থেকে এদেশকে মুক্ত করার জন্য আন্দোলন করেছিলেন দেওবন্দের সন্তান শায়খুল হিন্দ আল্লামা মাহমুদ হাসান দেওবন্দী (রহ.)।
দারুল উলুম দেওবন্দ হকের টাওয়ার
মূলত এটি হলো হকের টাওয়ার। এ টাওয়ারের ওপর যুগ-যুগ ধরে হামলা চলে আসছে। তবে আল্লাহ এটির মূল রক্ষাকর্তা, তিনিই এটিকে রক্ষা করবেন কিয়ামত পর্যন্ত ইন শা আল্লাহ। এ হকের টাওয়ারে আজকে একটি এটেম বোমা মারা হয়েছে। ভারত উপমাহাদেশ, আরব-আজম, আফ্রিকা-আমেরিকাসহ গোটা বিশ্বে তার প্রভাব পড়েছে। সেই এটেম বোমা হল, বেতন-ভাতা নিয়ে যারা মাদরাসায় পড়ান তাদের চেয়ে ব্যভিচারী মহিলার উপার্জন অনেক উত্তম! নাউযু বিল্লাহ।
প্রকৃত বাস্তবতা হলো, তখনকার যুগে মুসলিম বিশ্বে ইসলামি শাসন প্রতিষ্ঠিত ছিল। বায়তুল মাল বা সরকারি কোষাগার থেকে ইমাম, মুয়াযযিন ও মাদরাসার মুয়াল্লিমদের বেতন-ভাতার ব্যবস্থা করা হতো। সে যুগে ওলামায়ে কেরাম বলেছেন, কুরআন পড়িয়ে, হাদিস পড়িয়ে বেতন নেওয়া জায়িয হবে না। পরবর্তী সময়ে ইসলামি শাসন ব্যবস্থাও নেই বায়তুল মালও নেই। তখন সকল ওলামায়ে কেরাম ইজমা বা ঐক্যমত হয়ে ঘোষণা দেন যে, বেতন-ভাতা ছাড়া যেহেতু এসব কাজ চলতে পারে না, তাই মাদরাসা-মকতব রক্ষার স্বার্থে শিক্ষকতা, ইমামতি করে বেতন গ্রহণ করা জায়িয আছে। ফতোয়ায়ে শামী, এমদাদুল ফতোয়া, ফতোয়ায়ে দারুল উলুমসহ সকল ফতোয়ার কিতাবাদিতে তা স্পষ্ট লিখা আছে। মূলত একথার মাধ্যমে সূক্ষ্মভাবে চেষ্টা চালানো হচ্ছে, যেন মাদরাসা বন্ধ করা যায়। যেমনি কাফির-মুশরিক ও নাস্তিক-মুরতাদরা চাচ্ছে মাদরাসা বন্ধ হয়ে যাওয়াটা।
চলমান তাবলীগ জামায়াতের সঙ্কট নিরসনে আমাদের করণীয়
এ পরিস্থিতিতে আমারা কী করব? আমরা কি লাঠি নিয়ে মারামারি করব? না, আমরা লাঠি নিয়ে মারামারি করবো না। এ সঙ্কট থেকে জাতিকে মুক্তি দিতে হলে আমাদেরকে কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
এক. আমাদেরকে বেশি বেশি করে দোয়া করতে হবে। যেমন আপনাদেরকে স্পেনের একটি কাহিনি শুনাচ্ছি।
স্পেনে একজন অনেক বড় আল্লাহঅলা বুযুর্গ লোক ছিলেন। তাঁর নাম ছিল আবদুল্লাহ আন্দুলসী। হাজার হাজার মুরিদ ছিল তাঁর। একদিন তিনি এক মূর্তিপূজককে দেখে অত্মহংকারী হয়ে মনে মনে বলেন, আমি এ মূর্তিপূজারীর চেয়ে অনেক ভালো। আমি আল্লাহর একত্ববাদে বিশ্বাসী। তাঁর এই অত্মগৌরবপূর্ণ কথা আল্লাহর পছন্দ হয়নি। তাই আল্লাহ তার ভাগ্য পরিবর্তন করে দেন। একদিন তিনি মুরিদগণকে নিয়ে সফর করেন। এমন সময় এক খ্রিস্টান সুন্দরী মহিলা রাস্তার পাশে দাঁড়ানো অবস্থায় দেখতে পান। ওই বুযুর্গের দৃষ্টি সুন্দরী মহিলার প্রতি পড়ার সাথে সাথেই তিনি মহিলার প্রেমে পাগল হয়ে গেলেন। মুরিদদেরকে বলেন, তোমরা চলে যাও। আর তিনি ওই সুন্দরী মহিলার পিতার কাছে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে গেলেন। সুন্দরী মহিলার পিতা তাকে বলেন, দু’শর্তে আমার মেয়েকে তোমার নিকট বিয়ে দিতে পারি।
এক. তোমাকে খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করতে হবে।
দুই. আমার কিছু শুকর আছে তা চড়াতে হবে।
তিনি উভয় শর্ত মেনে নিয়ে ওই সুন্দরী মহিলাকে বিয়ে করলেন। মুরিদরা মুরশিদের জন্য কান্নাকাটি করতে লাগলেন। দীর্ঘদিন পর আল্লাহ তাদের দোয়া কবুল করলেন। ওই পীর সাহেব হুঁশ ফিরে পেলেন। তিনি সবকিছু ছেড়ে পুনরায় নিজের খানকায় ফিরে আসলেন এবং ওই খ্রিস্টান মহিলাও ইসলাম কবুল করে নিলেন।
তেমনি আমাদেরকেও আল্লাহর দরবারে সিজদাবনত হয়ে বেশি বেশি কান্নাকাটি করতে হবে। যিনি একথাগুলো বলেছেন এবং যারাই তার পক্ষাবলম্বন করেছেন তাদের হিদায়তের জন্য এবং আমাদের নিজেদের হিদায়তের জন্য বেশি বেশি দোয়ায় মশগুল থাকতে হবে। আমরা আল্লাহকে বলব, হে আল্লাহ! যারা বুঝছে না, যারা দেওবন্দের এ টাওয়ারে হামলা করতে চায় তাদেরকে হিদায়ত দান করুন। এভাবে যদি আমরা দোয়া করতে থাকি তাহলে অচিরেই যারা বুঝছে না তারাও ওই মহিলার মতো মুসলমান হয়ে ফিরে আসবে, ইন শা আল্লাহ। লাঠি নিয়ে মারামারি করে এ সমস্যার সমাধান কখনো সম্ভব নয়। আমি সেদিন কক্সবাজারে গিয়ে শুনলাম সেখানে একজন এসে বয়ান করছেন, অন্য দলের লোকেরা তাকে বের করে দেয় এবং মিম্বারটি বাইরে নিয়ে বড় দা দিয়ে টুকরা টুকরা করে দেয়, আহ!।
তাবলীগী জামায়াত তো একটি আদর্শ জামায়াত ছিল। ঐক্য, ভ্রাতৃত্ব ও ভালবাসার নজীরবিহীন একটি জামায়াত ছিল। সেই জামায়াতের আজ এ দুরাবস্থা! সত্যিই আমদেরকে এই পরিস্থিতি খুবই কষ্ট দেয়। আল্লাহ রক্ষা করুন। আমাদের অনেক আকাবির বলেছেন, হযরত মাহদী এসে যে হক দলের সাথে যোগদান করবেন তা হলো তাবলীগ জামায়াত। কিন্তু আফসোস, আজ সেই জামায়াতের এই করুন দশা! আল্লাহ হিফাজত করুন।
মূলত আমাদের মনে রাখতে হবে এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি পরীক্ষা। হয়ত আল্লাহ আমাদেরকে পরীক্ষা করছেন যে, তোমরা কি ব্যক্তি বিশেষের কারণে তাবলীগ করছো? আমরা বলব, না আমরা কোন ব্যক্তি বিশেষের কারণে নয়, একমাত্র আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার জন্যই তাবলীগ করে থাকি।
আবদুল্লাহ আন্দুলসী (রহ.) যখন খ্রিস্টান হয়ে গেছেন তখন তাঁর মুরিদগণ কি খ্রিস্টান হয়ে গেছেন? না, তাঁর মুরিদগণ খ্রিস্টান হননি। রবং তাঁরা আল্লাহর দরবারে সিজদায় পড়ে দোয়ায় মশগুল ছিলেন। ফলে আল্লাহ তাআলা আবদুল্লাহ আন্দুলসীকেও হিদায়ত দান করেছেন এবং ওই মহিলাকেও হিদায়ত দান করেছেন। তেমনি এখনও যদি আমরা সিজদাবনত হয়ে আল্লাহর দরবারে দোয়ায় মশগুল থাকি তাহলে ইন শা আল্লাহ তাঁদেরকে আল্লাহ আবারো আমাদের মাঝে ফিরিয়ে দেবেন।
দুই. এ দাওয়াতে তাবলীগের প্রতিষ্ঠাতা হলেন দেওবন্দের সন্তান হযরত মাওলানা ইলিয়াছ (রহ.)। তাঁর লিখিত নীতিমালা অনুসরণ করে আমরা তাবলীগি কাজ চালিয়ে যাব।
তিন. আমাদের মূল পরিচয় হল দেওবন্দিয়ত তাই, দেওবন্দের সিদ্ধান্ত মেনেই তাবলীগী কাজ অব্যহত রাখবো।
চার. ব্যক্তিগতভাবে সাথীদেরকে বুঝানোর চেষ্টা করবো। মারামারি ও ঝগড়া-ঝাটি করে রাজনৈতিক পন্থা অবলম্বন করবো না। বরং বেশি বেশি করে দোয়া করবো। মনে রাখবেন, হযরত ওমরের হিদায়ত কিন্তু দোয়ার মাধ্যমেই হয়েছিল। আল্লাহ আমাদের সকলকে হিদায়ত দান করুন, যারা দাওয়াত ও তাবলীগের কাজের সাথে লেগে আছেন তাঁদের সকলকে হিদায়ত দান করুন, আমীন।
সংকলন:
মুহাম্মদ সলিমুদ্দিন মাহদি কাসেমী
শিক্ষক, জামিয়া ইসলামিয়া পটিয়া, চট্টগ্রাম
[1] আল-কুরআন, সুরা আল-ফাতিহা, ১:৫
[2] আত-তিরমিযী, আল-জামি‘উল কবীর = আস-সুনান, মুস্তফা আলবাবী অ্যান্ড সন্স পাবলিশিং অ্যান্ড প্রিন্টিং গ্রুপ, কায়রো, মিসর, খ. ৫, পৃ. ২৬, হাদীস: ২৬৪১