জামেয়া ওয়েবসাইট

সোমবার-৯ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি-১৪ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ-২৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খলিফা হারুনের সেই ছেলেটি

খলিফা হারুনের সেই ছেলেটি

খলিফা হারুনের সেই ছেলেটি

কাজী আবুল কালাম সিদ্দীক

খলিফা হারুনুর রশিদের ছিলো ষোল বছরের এক ছেলে। তাকওয়া-পরহেজগারি ও দীনদারিতে সে ছিলো অতুলনীয়। বুজুর্গানে দীনের মজলিশে সে বেশী বেশী আসা-যাওয়া করতো এবং প্রায়ই কবরস্থানে গিয়ে কবরবাসীদেরকে বলতো, ‘হে কবরবাসীগণ! তোমরা একদিন এই দুনিয়ার মালিক ছিলে। তোমাদের কথায় কত মানুষ উঠা-বসা করতো। কত সুস্বাদু খাবারই না তোমরা খেয়েছো। কত মূল্যবান পোশাক পরিধান করেছো। কত প্রভাব প্রতিপত্তিই না ছিলো তোমাদের। কত বিশাল সহায় সম্পত্তির মালিক ছিলে তোমরা। কিন্তু আজ এগুলো কোথায়? দুনিয়া তোমাদের ধরে রাখতে পারেনি। তোমরা নির্জন কবরে পৌঁছে গিয়েছো। আফসোস! আমি যদি জানতাম তোমাদের কি অবস্থা হয়েছে এবং তোমরা কিরূপ প্রশ্নোত্তরের সম্মুখীন হয়েছো! একথা বলে সে অধিকাংশ সময় একটি কবিতা আবৃত্তি করতো,

تُروِّعني الجنائز كل يومٍ
ويُحزِنُني بكاء النائحات

‘জানাযাসমূহ প্রতিদিন আমাকে ভীত-সন্ত্রস্ত করে দেয় এবং মুর্দার জন্য কান্না-কাটিকারিনী মেয়েদের কান্না আমাকে চিন্তাযুক্ত করে রাখে।’

একদিন হারুনুর রশিদের এই ছেলে সাধারণ একটি কাপড় পরিধান করে মাথায় একটি লুঙ্গি বেঁধে খলিফার দরবারে হাজির হলো। এতে উপস্থিত সভাসদগণ একথা বলে কানাঘুষা করতে লাগল যে, এই ছেলের চালচলন বাদশাহকে অন্যান্য রাজা-বাদশাহের নিকট হেয় প্রতিপন্ন করেছে। খলিফা যদি ছেলেকে সতর্ক করে দিতেন তবে অবশ্যই সে এরূপ অশোভনীয় আচরণ থেকে বিরত থাকতো। তাদের এ কানাঘুষা খলিফার কানে পৌঁছলে তিনি ছেলেকে ডেকে বললেন, ‘বেটা! বাদশাহের ছেলে হিসেবে তুমি একটু ভদ্র হয়ে চলাফেরা করো। তুমি তো আমাকে মানুষের সামনে লজ্জিত করছো। এরূপ করা তোমার জন্য মোটেও সমীচীন হচ্ছে না।’

ছেলেটি পিতার কথার কোনো উত্তর দিল না। কিছুক্ষণ নীরব থেকে হঠাৎ নিকটে বসা একটি পাখিকে লক্ষ্য করে বললো, ‘সেই জাতের কসম দিয়ে বলছি, যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন, তার হুকুমে আমার হাতে এসে বসো।’

পাখিটি তৎক্ষণাত তার হাতে এসে বসলো। আবার উড়ে গিয়ে আপন স্থানে বসার নির্দেশ দিলে পাখিটি তাই করলো।

খলিফা হারুনুর রশিদ ছেলের কারামতি দেখে আশ্চর্য হলেন। ভাবলেন, আমার বাদশাহি তো কেবল মানুষের ওপর চলে, আর আমার পুত্রের বাদশাহি পশু-পাখির ওপরও চলে।

এবার ছেলেটি পিতাকে সম্বোধন করে বললো, ‘আব্বাজান! আপনি যে দুনিয়াকে মহব্বত করেন তা-ই আমাকে বেইজ্জত করে রেখেছে। দুনিয়ার আরাম আয়েশ আর আভিজাত্যকে আমি মোটেও পছন্দ করি না। আমি দৃঢ় সংকল্প করেছি যে, আপনি অনুমতি দিলে আমি অনেক দূরে চলে যাবো।’

একথা বলে সে এক জিল্দ কুরআন শরিফ ও তার মায়ের দেয়া একটি মূল্যবান আংটি সঙ্গে নিয়ে সোজা বসরা শহরে চলে গেলো।

বসরা আসার পর সে কেবল শনিবার দিন কাজ করতো এবং এক দিরহাম ও এক ষষ্ঠাংশ পারিশ্রমিক হিসেবে গ্রহণ করতো। এই সামান্য পয়সা খরচ করে সাপ্তাহের বাকি দিনগুলো চলতো এবং মহান আল্লাহর ইবাদত বন্দেগিতে কাটিয়ে দিত।

আবু আমের বসরী (রহ.) বলেন, আমার একটি ভাঙ্গা দেয়াল ছিল। সেটা মেরামত করার জন্য আমি একজন রাজমিস্ত্রি তালাশ করছিলাম। এ অবস্থায় একজন লোক আমাকে বললো, ‘এখানে একটি ছেলে থাকে, সেও রাজমিস্ত্রির কাজ করে। আপনার ইচ্ছে হলে তাকে দিয়েও কাজ করাতে পারেন।’

লোকটির কথা শুনে আমি ছেলেটিকে খুঁজতে শুরু করি। এক সময় পেয়েও যাই। দেখি সে অত্যন্ত সুললিত কণ্ঠে কালামে পাক তেলাওয়াত করছে। তেলাওয়াত শেষ হওয়ার পর বললাম, ‘বেটা! মজদুরি করবে?’

সে বললো, ‘কেন করবো না? মজদুরি করার জন্যই তো দুনিয়াতে এসেছি। বলুন, আপনার কি খেদমত করতে পারি?’

আমি বললাম, ‘একটি দেয়াল মেরামত করতে হবে।’

সে বললো, ‘ঠিক আছে। তবে শর্ত হলো, নামাযের সময় আমাকে ছুটি দিতে হবে এবং এক দিরহাম ও এক ষষ্ঠাংশের বেশি মজুরি নেয়ার জন্য আমাকে পীড়াপীড়ি করতে পারবেন না।’

আমি উভয় শর্ত মেনে নিলাম এবং তাকে কাজে লাগিয়ে বাইরে চলে গেলাম। মাগরিবের সময় আমি তার কাজ দেখে সীমাহীন বিস্মিত হলাম। দেখলাম, সে একা দশজনের কাজ করে ফেলেছে। আমি খুশি হয়ে তাকে দুই দিরহাম মজুরি দিলাম। সে অতিরিক্ত নিতে অস্বীকার করলো এবং এক দিরহাম ও এক দানেক নিয়ে চলে গেলো।

পরে আবার তাকে খোঁজ করলাম। কিন্তু কোথাও তাকে পেলাম না। লোকজন বললো, সে কেবল শনিবারই কাজ করে। আমি তার কাজে সন্তুষ্ট ছিলাম। তাই ছয়দিন কাজ বন্ধ রেখে পরের শনিবারই তার খোঁজে আবার বের হই। দেখি সে এবারও মধুর কণ্ঠে পবিত্র কালাম তিলাওয়াত করছে।

আমি তাকে সালাম দিয়ে কাজের কথা বললে সে আগের মতোই দুটি শর্তারোপ করলো। আমি শর্ত দুটি মঞ্জুর করে আবারও তাকে কাজে লাগিয়ে দিলাম।

গত শনিবারের কাজ দেখে আমার মনে কৌতুহল জাগে যে, সে কীভাবে একা দশজনের কাজ করে, তা আমাকে দেখতে হবে। তাই আমি আজ বাইরে না গিয়ে লুকিয়ে তার কাজ দেখতে লাগলাম। তার কাজের অবস্থা দেখে আশ্চর্য না হয়ে পারলাম না। দেখলাম, সে গারা নিয়ে দেয়ালে রেখে দেয়ার সাথে সাথে ইটগুলি অটোমেটিক এসে জোড়া লেগে যায়। এ দৃশ্য অবলোকন করে আমার দৃঢ় বিশ্বাস জন্মাল যে, এ ছেলে নিশ্চয় আল্লাহর ওলি হবে। অন্যথায় সাধারণ মানুষের পক্ষে তা মোটেও সম্ভব নয়।

সন্ধ্যা বেলা আমি তাকে তিন দিরহাম দিতে চাইলাম। কিন্তু সে অস্বীকার করে বললো, ‘আমি এতো পয়সা দিয়ে কি করবো? আমার জন্য তো সামান্য পয়সাই যথেষ্ট।’ একথা বলে সে আগের সমপরিমাণ পয়সা নিয়েই বিদায় নিল।

তৃতীয় শনিবার তার খুঁজে আবার বের হলাম। লোকজন বললো, সে আজ তিনদিন যাবত অসুস্থ অবস্থায় অমুক জঙ্গলে পড়ে আছে। আমি দেরি না করে তৎক্ষণাত সেখানে গিয়ে দেখি সে বেহুঁশ হয়ে শুয়ে আছে। তার মাথার নিচে রয়েছে একটি ইটের টুকরো। আমি তাকে পর পর দু’বার সালাম দেয়ার পর সে চোখ খুলল এবং আমাকে চিনে ফেলল। আমি তাড়াতাড়ি তার মাথার নিচ থেকে ইট সরিয়ে দিয়ে তাকে কোলে তুলে ফেললাম। এমন সময় সে কয়েকটি হৃদয়গ্রাহী কবিতা পাঠ করলো। তন্মধ্যে দুটি হলো,

يا صاحبي لا تغترِرْ بتنعّمٍ
فالعمر ينفذ والنعيم يزولُ
وإذا حملتَ إلى القبورِ جنازةٍ
فاعلم بأنك بعدها محمولُ
‘হে বন্ধু! দুনিয়ার নেয়ামতের ধোকায় পড়ো না। কেননা দুনিয়ার নেয়ামত চিরস্থায়ী নয়। একদিন তা শেষ হয়ে যাবে। তদুপরি তুমি কিন্তু ক্রমান্বয়ে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে চলছ। তুমি যখন কোনো জানাযা কাঁধে নাও তখন মনে করবে যে, তোমাকেও একদিন এভাবে নেয়া হবে।’

তারপর সে আমাকে বললো, ‘জনাব! আমার প্রাণবায়ূ যখন উড়ে যাবে, তখন আপনি নিজের হাতে গোসল দিয়ে আমার পরিধেয় কাপড় দিয়েই আমাকে কাফন দিবেন।’

আমি বললাম, ‘ভাই! তোমার জন্য নতুন কাপড়ের ব্যবস্থা হলে অসুবিধা কি?’

সে বললো, ‘নতুন কাপড়ের জন্য জীবিত লোকেরাই বেশি উপযোগী। কাফন পুরনো হোক আর নতুন হোক তা একদিন পঁচেই যাবে। কবরে মানুষের সঙ্গে কেবল ঈমান আর আমলই থাকবে। আমার এই লুঙ্গি ও পাত্রটা কবর খননকারীকে দিয়ে দেবেন। আর মেহেরবানি করে এই আংটি ও কুরআন শরিফখানা খলিফা হারুনুর রশিদের নিকট পৌঁছে দেবেন। তাঁকে বলবেন, এগুলো একটি পরদেশি মুসাফির ছেলের আমানত। আমার পক্ষ থেকে তাঁকে একথাও বলবেন যে, গাফলত ও ধোকার হালতে যেন তাঁর মৃত্যু না আসে।’

একথা বলার পর সে ইহলোক ত্যাগ করে মহান প্রভুর সান্নিধ্যে চলে গেলো।

এতক্ষণে আমার ধারণা হলো, ছেলেটি নিশ্চয় বাদশাহজাদা হবে।

আবু আমের বসরী (রহ.) বলেন, আমি অসিয়ত মোতাবেক তাকে দাফন করে আংটি ও কুরআন শরিফ নিয়ে বাগদাদে পৌঁছলাম। আমি শাহি বালাখানার নিকট গিয়ে দেখলাম, বাদশাহর সাওয়ারি বের হচ্ছে। প্রথমে অনুমানিক ১০০০ লোকের বাহিনী বের হলো। আমি একটি উঁচু জায়গায় দাঁড়িয়ে এ দৃশ্য দেখছিলাম। এরপর আরও দশটি অনুরূপ বাহিনী বের হলো। দশম বাহিনীর মধ্যে স্বয়ং আমিরুল মুমেনিন ছিলেন। আমি তাঁকে দেখতে পেয়ে উচ্চস্বরে আওয়াজ দিয়ে বললাম, ‘হে আমিরুল মুমেনিন রাসুল (সা.)-এর আত্মীয়তার উসিলা দিয়ে বলছি, আপনি একটু থামুন।’

আমার আওয়াজ শুনে খলিফা থেমে গেলেন। আমি তাড়াতাড়ি তাঁর নিকট গিয়ে বললাম, ‘আমি একটি বিদেশী ছেলের আমানত নিয়ে এসেছি। এগুলো পৌঁছাতে সে আমাকে অসিয়ত করে গিয়েছিল।’ এ বলে আমি তাঁর নিকট আংটি ও কুরআন শরিফ সোপর্দ করলাম।

এগুলো দেখামাত্র খলিফা সবকিছু বুঝে ফেললেন। কিছুক্ষণ মাথা নিচু করে রাখলেন। এ সময় তাঁর চোখ দিয়ে অশ্রুধারা প্রবাহিত হচ্ছিল। বেশ কিছুক্ষণ কাঁদার পর তিনি দারোয়ানকে বললেন, ‘আমি ফিরে এলে এ লোকটিকে আমার নিকট পৌঁছাবে।’ একথা বলে তিনি চলে গেলেন।

খলিফা ফিরে আসার পর দারোয়ানকে ডেকে বললেন, ‘লোকটিকে আমার নিকট হাজির করো। আমি জানি, সে আমার ব্যথাকে তাজা করে দেবে।’

দারোয়ান এসে আমাকে বললো, ‘আমিরুল মুমেনিন বড় চিন্তাযুক্ত আছেন। সাবধানে কথা বলিও। দশটি কথা বলতে চাইলে পাঁচটি বলেই ক্ষান্ত হইও।’

আমি খলিফার নিকট গিয়ে দেখি তিনি নির্জন কক্ষে একাকী বসে আছেন। আমাকে দেখে কাছে নিয়ে বসালেন। তারপর অশ্রুসজল নয়নে বললেন, ‘তুমি কি আমার সেই ছেলেকে চেনো?’

: ‘জি হ্যাঁ।’

: ‘সে কী কাজ করতো?’

: ‘রাজমিস্ত্রির কাজ।’

খলিফা পুনরায় বললেন, ‘তুমি তাকে দিয়ে কোনো কাজ করিয়েছো?’

আমি বললাম, ‘হ্যাঁ করিয়েছি।’

তিনি বললেন, ‘সে যে রাসুল (সা.)-এর আত্মীয় একথা তোমার খেয়াল হয়নি?’

আমি বললাম, ‘আমিরুল মুমেনিন! প্রথমে আমি আল্লাহর দরবারে ক্ষমা চাই। তারপর আপনার নিকটও ক্ষমা চাচ্ছি। প্রকৃত কথা হলো, তখন তার ব্যাপারে আমি কিছুই জানতাম না। ইন্তেকালের সময় আমি জানতে পেরেছি।’

তারপর খলিফা আমাকে প্রশ্ন করলেন, ‘তুমি কি নিজ হাতে তাকে গোসল দিয়েছ?’

আমি বললাম, ‘জি হ্যা। আমি নিজ হাতেই তাকে গোসল দিয়েছি ও কাফন-দাফন সম্পন্ন করেছি।’

তিনি বললেন, ‘তোমার হাতটি এদিকে দাও।’

আমি তাঁর দিকে হাত বাড়িয়ে দিলে তিনি আবেগাপ্লুত হয়ে হাতখানা তার বুকের সাথে মিশিয়ে নিলেন। অতঃপর কয়েকটি বয়াত পাঠ করলেন,

يا غريبا عليه قلبي يذوب
ولعيني عليه دمعٌ سكوبُ

يا بعيد المكانِ حُزني قريبُ
كدّر الموتُ كل عيشٍ يطيبُ
كان بدراً علىٰ قضيبِ لُجينٍ
فهوى البدرُ في الثرى والقضيبُ

‘হে মুসাফির! তোমার জন্য আমার হৃদয় গলে যাচ্ছে। চোখ থেকে অবিরাম ধারায় অশ্রু প্রবাহিত হচ্ছে। হে প্রিয়! তোমার কবর তো এখান থেকে অনেক দূরে কিন্তু তোমার ফিকির আমার অতি নিকটে। নিশ্চয় মৃত্যু যে কোনো শান্তির অবসান ঘটিয়ে দেয়। সেই মুসাফির একটি চাঁদের টুকরো ছিল। সে চাঁদের টুকরোও আজ কবরে পৌঁছে গেলো।’

অতঃপর খলিফা হারুনুর রশিদ আমাকে সঙ্গে নিয়ে কবর যিয়ারতের উদ্দেশ্যে বসরা শহরে গেলেন। সেখানে কবরের পাশে দাঁড়ানোর পর তাঁর দু’চোখে দেখা দিল উপচানো অশ্রুধারা। মনে হলো, কি একটা অভাব যেন তাঁকে তিলে তিলে নিঃশেষ করে দিচ্ছে। প্রিয় পুত্রের বিয়োগব্যথায় মুক্তাধারার মতো দুগণ্ড বেয়ে অশ্রুধারা বেয়ে পড়ছে। ফোঁপানো কান্নার সকরুণ সুর আর বাধভাঙ্গা অশ্রু মুছে এক সময় তিনি কয়েকটা কবিতা পড়লেন। দীর্ঘক্ষণ কবিতা পাঠ করার পর খলিফা বাগদাদে চলে গেলেন। আমিও আমার বাড়িতে চলে গেলাম। বাড়িতে যাওয়ার পর ওই রাত্রেই আমি যখন অযিফা শেষ করে শুয়ে পড়ি, তখন স্বপ্নযোগে একটি নুরের কোব্বা দেখতে পাই। যার ওপর মেঘমালার ন্যায় রয়েছে শুধু নুর আর নুর। সেই নুরের মেঘমালা থেকে ছেলেটি আওয়াজ দিয়ে বললো, ‘আবু আমের! আল্লাহ পাক তোমাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন। তুমি আমার উপযুক্ত কাফন-দাফনের ব্যবস্থা করেছ। আমার অসিয়ত যথাযথভাবে পালন করেছ।’

আমি বললাম, ‘হে প্রিয় বৎস! তোমার অবস্থা কী?’

সে বললো, ‘আমি এখন এমন এক মনিবের আশ্রয়ে আছি, যিনি বড়ই দয়ালু এবং অতিশয় মেহেরবান। তিনি আমার ওপর অত্যন্ত রাজি-খুশি হয়েছেন।’

তারপর সে বললো, ‘আল্লাহ পাক কসম খেয়ে বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি দুনিয়া থেকে আমার মতো হয়ে আসবে তাকে আমার মতোই ইজ্জত ও সম্মান দান করা হবে।’

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on pinterest
Pinterest
Share on telegram
Telegram
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

সর্বশেষ