জামেয়া ওয়েবসাইট

রবিবার-২৪শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি-২৬শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-১২ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কবিতা

লাঞ্ছনা

হ. ম. সাইফুল ইসলাম মনজু

লাঞ্ছিত করো কারে!

সেই লাঞ্ছনা ফিরে এসে দেখো দাঁড়াবে তোমার দ্বারে।

যদি ভেবে থাকো ‘নীতিকথা’ কিবা বুঝে নাও পুরো মিছে,

ইতিহাস তবে মেলে ধরো প্রিয়! তাকাও খানিক পিছে।

বৃটিশেরা ছিল ভারতবর্ষে জবরদখলে স্বামী,

আধুনিক বলে ছিল বলিয়ান ছুটেছে উর্ধ্বগামী।

জনগণ হয় লাঞ্ছিত নিতি মার খেয়ে খেয়ে সারা,

তিক্ত জনতা ঐক্য গড়েছে, বৃটিশ খেয়েছে তাড়া।

ভিয়েতনামের সকরূণ রূপ!আজও চোখটিপে কাঁদে,

জালিমের দল কতছিল বল! পড়েনি নিজেরা ফাঁদে?

বেঁচে গেছে যারা লাঞ্ছিত হয়ে আজও যদি স্মৃতি স্মরে,

চমকায় পিলে কাঁপে থরথর! সেই আতঙ্ক-ডরে!

রাশান বাহিনী নিয়েছিল করে আফগান, ছিল বল,

কতদিন ছিল শাসন-শোষণ! হয়েছে কি শেষফল!

ঘেঁটে দেখো প্রিয় দুনিয়ার যত জুলুমের ইতিহাস,

লাঞ্ছনাকারী লাঞ্ছিত হয়, কর্মের পরিহাস!

ক্ষমতার বলে অন্ধ হয়ো না, চোখ রাখো আগে-পিছে,

নিজে ছোটো যদি উপরের দিক, পড়ে যেতে হবে নিচে।

পতন ঠেকাতে পারবে না কেউ, পাবে না কাউকে কাছে,

লাঞ্ছনা সেতো আপনি আসে না, তোমারই কর্ম যাচে।


 

চির স্মরণীয় দিন

আ. র. ফ. আসআদ ইবনে শাহীন লালপুরী

একে জানুয়ারি দুই হাজার আঠারো সনে

হঠাৎ দ্বিপ্রহর ক্ষণে, ভেঁসে আসে কানে-

তুমি নেই আর আমাদের মাঝে,

তুমি ছিলে দীন-দরদী মানুষের তরে

হিতাকাঙ্খী,শুভাকাক্সক্ষী,ব্যক্তিত্বের অধিকারী-

তাবলীগের কাজ করেছো তুমি সকাল-সাঁঝে।

দ্বীনের দাওয়াতের লাগি দিয়েছো বিসর্জন

সব ছেড়ে তোমার জীবন,কর্ম ও উপার্জন-

তোমার কৃতিত্ব স্মৃতিস্পটে থাকবে অম¬ান,

কেউ কল্পনাও করেনি, যাবে তুমি চলে

সব কিছু রেখে সবাইকে এতিম করে-

সবার হৃদয়ে ছিল তোমার প্রতি শ্রদ্ধা-সম্মান।

হঠাৎ-ই আঁধারে আচ্ছন্ন হয়ে উঠে চারিদিকে

তোমার চিরবিদায় নেওয়ার দুঃসংবাদে-

কান্নার স্রোত বয়তে থাকে সবার হৃদয়তন্ত্রীতে,

বসতবাড়ি জুড়ে শুধুই কান্না-আহাজারি

পাড়ায় পাড়ায় ছেঁয়ে যায় শোক সংবাদে-

তুমি যে নেই আর এই নশ্বর পৃথিবীতে।

তোমার চিরবিদায় ক্ষণে, প্রতিটি প্রহর কাঁটে

বিষণèতার স্রোত উঁপচে পড়ছে কষ্টের তরীতে-

চোখের অশ্রু-জল বয়ে চলছে তোমার স্মরণে,

চির অমর,অমলিন হয়ে থাকবে সবার হৃদয়ে

স্বর্ণাক্ষরে রবে লেখা তোমারই কৃতিমালা-

স্মৃতির পাতায় রবে তুমি এই স্বরণীয় দিনে।


 

শুধু তোমারি জন্য

আজহার মাহমুদ

যদি এই পৃথিবীতে তোমার জন্য

আমাকেই  করা হইতো সৃষ্টি,

তবে তুমি কখনোই রাখিতেনা

আমিহীনা অন্য কোথাও দৃষ্টি।

আমার জন্য একটিবার যদি

তোমার পাষাণ মনটি কাদিত,

তবে পিছন ফিরে তোমার ঠোঁটে

তোমারি মন আমায় ডাকিত।

তোমার মাঝে তুমি কখনো

আমায় দাও নি টাই,

তবুও আমার হৃদয়ে তুমিহীনা

অন্য কেউ নাই।

তোমায় আমি ভালোবেসে

দিয়েছি জীবনের ফুল,

এটাই ছিলো আমার জন্য

জীবনের বড় ভুল।


 

ছিনিয়ে আনো

আলমগীর মুরতাজা

শপথ করো পৃথিবীতে

মুক্ত হয়ে বাঁচার

আজ সকলে কঠিন লোহা

ভাঙতে হবে খাঁচার।

অত্যাচারী বেইমানেরা

করছে শুধু পীড়ন

ফেলছে মুছে দু’চোখ থেকে

সুখের যতো কিরণ।

নাও ফিরিয়ে বুকে বুকে

মুক্তিনেশার জোগান

গর্জে উঠে ছাড়তে হবে

বজ্রমুঠি শ্লোগান।

রক্তবিহীন কোনোকালে

আসতে পারে কি জয়?

ছিনিয়ে আনো মুক্তিসেনা

যুদ্ধ করে বিজয়।


 

মধুর সুর

হেদায়ত উল্লাহ

আজানের ঐ মধুর সুরে

মন ভেসে যায় বহু দূরে

আল্লাহু আকবার ধ্বনিতে

নাচে মন হর্ষ মনোরথে।

 

আজানের ঐ মধুর সুরে

পূর্ব দিকে সূর্য উঠে

পলাশ,শিমুল,চা¤পা-বেলি

হরেক রকম প্রসূন ফুটে।

 

আজানের ঐ মধুর সুরে

ঢেউ নাচে তালে তালে

মাঝিরা ছুটে পশ্চিমেতে

নায়ে নব পাল তোলে।

 

আজানের ঐ মধুর সুরে

ঘুম ভাঙে খুব ভোরে

আল্লাহু আকবার ধ্বনিতে

মুমিন বান্দা শুরু করে।

 

আজানের ঐ মধুর সুরে

ভেদাভেদ সব ভুলে

একসাথে দলে দলে হরদম

মসজিদ পানে চলে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on pinterest
Pinterest
Share on telegram
Telegram
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

সর্বশেষ