জামেয়া ওয়েবসাইট

রবিবার-২৪শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি-২৬শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-১২ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রতিবেশীর অধিকার: সীরাতে রাসূল (সা.)-এর আলোকে

প্রতিবেশীর অধিকার: সীরাতে রাসূল (সা.)-এর আলোকে

মোহাম্মদ সদরুল আমীন রাশেদ

প্রতিবেশীর সাথে সদাচরণ ও ভালো ব্যবহার করা একজন মুসলমানের অন্যতম কর্তব্য। সামাজিক শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার্থে হৃদয়ের সবটুকু ভালবাসা উজাড় করে দিয়ে প্রতিবেশীর সাথে সুসম্পর্ক স্থাপন করা ও সদ্ভাব বজায় রাখা অপরিহার্য। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি এটা পছন্দ করে যে, আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সা.) তাকে ভালবাসুক, সে যেন নিজের প্রতিবেশীর সাথে ভালো ব্যবহার করে।’

প্রতিবেশী কারা এ বিষয়ে রাসুলুল্লাহ (সা.)  কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন- আমাদের আশেপাশের ৪০ বাড়ি পর্যন্ত সবাই প্রতিবেশী। প্রতিবেশীর অধিকার হাক্কুল এবাদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সহপাঠী, কর্মক্ষেত্রে সহকর্মী, যাত্রাপথে সহযাত্রীও প্রতিবেশীর অন্তর্ভুক্ত। প্রতিবেশী ৩ প্রকার:-

১. মুসলিম আত্মীয় প্রতিবেশী,

২. মুসলিম অনাত্মীয় প্রতিবেশী ও

৩. অমুসলিম প্রতিবেশী।

আমানত রক্ষা করা যেমন মুমিনদের জন্য আবশ্যক তেমনি প্রতিবেশীর অধিকার পূর্ণ করাও আবশ্যক। প্রতিবেশীর সম্পদ বা কথা যে কোন ধরনের আমানত হিফাজত করতে হবে। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বলেন,

كُنْتُمْ خَيْرَ اُمَّةٍ اُخْرِجَتْ لِلنَّاسِ تَاْمُرُوْنَ بِالْمَعْرُوْفِ وَتَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنْكَرِ ؕ ۰۰۱۱۰

‘তোমরাই শ্রেষ্ঠ জাতি, মানুষের কল্যাণের জন্য তোমাদের আবির্ভাব, তোমরা মানুষকে সৎ কাজের আদেশ দিবে এবং অসৎ কাজ থেকে বিরত রাখবে।’

রাসুল (সা.)  বলেছেন, ‘যিনি মানুষের কল্যাণ চিন্তা করে না তিনি আমার উম্মত নয়।’ এখানে একজন মুসলমানকে সকল মানুষের কল্যাণ কামনার বিষয়টি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘অন্যের কল্যাণ কামনাই হচ্ছে দীন।’ এবং ‘মুসলমান হচ্ছে তিনি যার মুখ ও হাত থেকে অন্যজন নিরাপদ থাকে।’ প্রতিবেশীর সাথে সদাচারণ ও ভালো ব্যবহার করা একজন মুসলমানের অন্যতম কর্তব্য। সামাজিক শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার্থে হৃদয়ের সবটুকু ভালবাসা উজাড় করে দিয়ে প্রতিবেশীর সাথে সুসম্পর্ক স্থাপন করা ও সদ্ভাব বজায় রাখা অপরিহার্য। রাসুলুল্লাহ (সা.)  বলেছেন, যে ব্যক্তি এটা পছন্দ করে যে, আল্লাহ ও তাঁর রাসুল তাকে ভালবাসুক, সে যেন নিজের প্রতিবেশীর সাথে ভালো ব্যবহার করে। রাসুল (সা.)  বলেছেন, ‘জিবরীল আমাকে প্রতিবেশীর সাথে ভালো ব্যবহার করার জন্য এত ঘন ঘন উপদেশ দিতে থাকেন যে, আমি ভেবেছিলাম হয়তো শেষ পর্যন্ত প্রতিবেশীকে সম্পত্তির উত্তরাধিকারী করা হবে।’

يٰۤاَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا لَا تَدْخُلُوْا بُيُوْتًا غَيْرَ بُيُوْتِكُمْ حَتّٰى تَسْتَاْنِسُوْا وَتُسَلِّمُوْا عَلٰۤى اَهْلِهَا١ؕ ذٰلِكُمْ خَيْرٌ لَّكُمْ لَعَلَّكُمْ تَذَكَّرُوْنَ۰۰۲۷ فَاِنْ لَّمْ تَجِدُوْا فِيْهَاۤ اَحَدًا فَلَا تَدْخُلُوْهَا حَتّٰى يُؤْذَنَ لَكُمْ١ۚ وَاِنْ قِيْلَ لَكُمُ ارْجِعُوْا فَارْجِعُوْا هُوَ اَزْكٰى لَكُمْ١ؕ وَ اللّٰهُ بِمَا تَعْمَلُوْنَ عَلِيْمٌ۰۰۲۸ لَيْسَ عَلَيْكُمْ جُنَاحٌ اَنْ تَدْخُلُوْا بُيُوْتًا غَيْرَ مَسْكُوْنَةٍ فِيْهَا مَتَاعٌ لَّكُمْ١ؕ وَ اللّٰهُ يَعْلَمُ مَا تُبْدُوْنَ وَ مَا تَكْتُمُوْنَ۰۰۲۹

‘হে মুমিনগণ! তোমরা নিজের বাড়ি ছাড়া অন্যদের বাড়িতে ঢুকে পড়ো না যতক্ষণ না তোমরা অনুমতি নাও অথবা আলাপ পরিচয় না করো এবং বাড়ির লোকজনকে সালাম না করো। এটাই তোমাদের জন্য উত্তম, যাতে তোমরা স্মরণ রাখো বা উপদেশ গ্রহণ করো। যদি তোমরা বাড়িতে কাউকে না পাও, তাহলে তাতে ঢুকে পড়ো না যতক্ষণ পর্যন্ত তোমাদের অনুমতি না দেয়া হয়। আর যদি তোমাদেরকে ভেতর থেকে বলা হয় ফিরে যাও তবে তোমরা ফিরে যাবে। এতে তোমাদের জন্য অনেক পবিত্রতা রয়েছে এবং তোমরা যা কিছু করো, আল্লাহ তা ভালোভাবেই জানেন।’

একজন মুসলিমের ওপর অপর মুসলিমের ছয়টি অধিকার রয়েছে। যথাঃ সালামের জবাব দেওয়া, রোগীকে দেখতে যাওয়া, জানাযায় অংশগ্রহণ করা, দাওয়াত কবুল করা, ওয়াদা পূরণ করা, হাঁচিদানকারীর জবাব দেওয়া ও সাক্ষাতে অসাক্ষাতে সর্বাবস্থায় তার কল্যাণ কামনা করা।

প্রতিবেশীর কোন দোষত্রুটি পরিলক্ষিত হলে সংশোধনের উদ্দেশ্যে তাকে খোলাখোলিভাবে একান্তে বলতে হবে। রাসুল (সা.)  বলেন, ‘এক মুমিন অপর মুমিনের জন্য আয়না স্বরূপ।’ আয়না যেমন দেহের দোষত্রুটি ধরে দেয় তেমন এক ভাই অপর ভাইয়ের দোষত্রুটি সংগোপনে ধরে দেবে।

রাসুল (সা.)  বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানের একটি প্রয়োজন পূরণ করল আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার সকল প্রয়োজন পূরণ করে দিবেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘তোমরা তোমাদের ভাইকে সাহায্য কর সে অত্যাচারী হোক অথবা অত্যাচারিত হোক।’ অর্থাৎ প্রতিবেশী যদি অত্যাচারী হয় তবে তাকে অত্যাচার থেকে বিরত রাখার মাধ্যমে সাহায্য করতে হবে। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা পরস্পরকে ভাল কাজ ও খোদাভিরুতায় সাহায্য করবে এবং অপরাধমূলক কাজে অসহযোগিতা করবে।’ সাহায্য ও ঋণ চাইলে দিতে হবে। প্রতিবেশী পরামর্শ চাইলে সুপরামর্শ দিতে হবে।

আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তাদের সম্পদে রয়েছে প্রার্থী ও বঞ্চিতজনের অধিকার।’ হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযি.) বলেন, আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ‘সেই ব্যক্তি মুমিন নয় যে তৃপ্তি সহকারে আহার করে অথচ তার প্রতিবেশী তার পাশেই অনাহারে থাকে (মিশকাত)।’

রাসুলুল্লাহ (সা.)  আরও বলেছেন, ‘দরিদ্র প্রতিবেশী কিয়ামতের দিন ধনী প্রতিবেশীকে জাপটে ধরে বলবে, হে প্রভু! এ ভাইকে তুমি সচ্ছল বানিয়েছিলে এবং সে আমার নিকটেই থাকতো, কিন্তু আমি ভুখা থাকতাম আর সে পেট পুরে খেত। ওকে জিজ্ঞাসা করো, কেন সে দরজা বন্ধ করে রাখতো এবং আমাকে বঞ্চিত করতো।’ রাসুলুল্লাহ (সা.)  বলেছেন, ‘হে আবু যর! তুমি যখন তরকারী রান্না কর তখন তাতে পানি বেশী করে দাও এবং তা দিয়ে প্রতিবেশীর খবর নাও (সহীহ মুসলিম)।’ হযরত এবনে ওমরের একজন ইহুদী প্রতিবেশী ছিল। যখনই তাঁর বাড়িতে ছাগল যবেহ হতো, তিনি বলতেন, ‘আমার ইহুদি প্রতিবেশীকে কিছু গোশত দিয়ে এসো (সুনানে আবু দাউদ ও তিরমিযী)।’

পারস্পরিক বিবাদ মীমাংসা ও সামাজিক শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা করা প্রতিবেশীর নৈতিক দায়িত্ব। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘যদি মুমিনদের দুটি দল ঝগড়া বিবাদে লিপ্ত হয় তবে তাদের মধ্যে ফায়সালা করবে।’ বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানে এবং বিশেষ দিনে প্রতিবেশীকে নিমন্ত্রণ করা কর্তব্য। এক্ষেত্রে সমাজের ধনী গরীব সকলকে সমান চোখে দেখতে হবে।

উপঢৌকন আদান প্রদানের মাধ্যমে পারস্পরিক সম্পর্ক বৃদ্ধি পায়, ভালবাসা বৃদ্ধি পায় ও দ্বন্দ নিরসন হয়। রাসুল (সা.)  বলেছেন, ‘তোমরা পরস্পরকে ভালবাস এবং উপঢৌকন দাও।’ রাসুলুল্লাহ (সা.)  আরো বলেছেন, ‘হে মুসলিম নারীগণ, কোন প্রতিবেশিনী অপর প্রতিবেশিনীকে যত সামান্য উপহারই দিক, তাকে তুচ্ছ মনে করা উচিত নয় (সহীহ আল-বুখারী ও মুসলিম)।

হযরত আয়েশা (রাযি.) বলেন, আমি বললাম, হে রাসুলুল্লাহ (সা.)  আমার দুজন প্রতিবেশী রয়েছে, তার মধ্যে কার কাছে উপহার পাঠাবো? রাসুলুল্লাহ (সা.)  বললেন, ‘তাদের মধ্যে যে জনের দরজা তোমার থেকে নিকটতর তার কাছে।’

প্রতিবেশীর দ্বারা কোন দোষত্রুটি সংঘটিত হলে তা গোপন রাখা একজন মুসলমানের অপরিহার্য কর্তব্য। রাসুল (সা.)  বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোন মুসলমানের দোষত্রুটি গোপন রাখবে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তার দোষ-ত্রুটি গোপন রাখবেন।’ প্রতিবেশীর জানমালের নিরাপত্তা বিধান করা আবশ্যক। রাসুল (সা.)  বলেন, ‘আল্লাহ তায়ালা তোমাদের ওপর তোমাদের জান, মাল ও সম্পদ হরণ করা হারাম করে দিয়েছেন।’ রাসুল (সা.)  আরও বলেন, ‘যে ব্যক্তির অত্যাচার থেকে তার প্রতিবেশী নিরাপদ নয় সে মুমিন নয়।’ প্রতিবেশীর কোন বিপদ দেখা দিলে তা থেকে তাকে উদ্ধার করা প্রতিবেশীর দায়িত্ব ও কর্তব্য। বিভিন্ন প্রকার বিপদ-আপদে তাকে সান্ত¡না দিতে হবে এবং তাদের সুখে আনন্দ প্রকাশ করতে হবে। এক ব্যক্তি রাসুল (সা.)- কে বললো, হে রাসুলুল্লাহ (সা.)! অমুক মহিলা প্রচুর নফল নামায, রোযা ও সদকার জন্য প্রসিদ্ধ কিন্তু প্রতিবেশীকে কটু কথা বলার মাধ্যমে কষ্ট দেয়। রাসুলুল্লাহ (সা.)  বললেন, ‘সে জাহান্নামে যাবে।’ লোকটি আবার বললেন, হে রাসুলুল্লাহ অমুক মহিলা সম্পর্কে খ্যাতি রয়েছে যে, সে খুবই নফল নামায, রোযা ও সদকা করে কিন্তু নিজের জিহ্বা দিয়ে প্রতিবেশীকে কষ্ট দেয় না। রাসুল (সা.)  বললেন, ‘সে জান্নাতে যাবে।’ রাসুলুল্লাহ (সা.)  আরো বলেছেন, ‘কেয়ামতের দিন সর্বপ্রথম যে দু’ব্যক্তির মামলা আল্লাহর আদালতে বিচারার্থে পেশ করা হবে তারা হবে দু’জন প্রতিবেশী (মিশকাত)।’ প্রতিবেশীর ইজ্জতের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে হবে, কোনভাবেই তার সম্মানের হানি করা যাবে না। কাউকে হেয় বা ছোট করা ও মন্দ নামে ডাকা যাবে না। রাসুল (সা.)  বলেছেন, ‘তিনটি গুনাহ সবচেয়ে ভয়াবহ। আল্লাহর সাথে শিরক করা, অভাবের ভয়ে সন্তানকে হত্যা করা এবং প্রতিবেশীর স্ত্রীর শ্লীলতাহানি করা (সহীহ বুখারী, মুসলিম, সুনানে নাসায়ী ও তিরমিযী)।’

একজন মানুষ সবদিক থেকে পরিপূর্ণ হতে পারে না। সূরা আল-মাউনের ৭ আয়াতে আল্লাহ বলেন,

وَيَمْنَعُوْنَ الْمَاعُوْنَؒ۰۰۷

‘ধ্বংস তাদের জন্য যারা তাদের প্রতিবেশীকে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস দিতে চায় না।’

প্রতিবেশীর অসুবিধা হয় এমন কাজ করা যাবে না যেমনÑ কটু কথা বলা, নিন্দা করা, গোয়েন্দাগিরি করা, গীবত করা, পরনিন্দা করা, তিরষ্কার করা, উত্ত্যক্ত করা, গালি দেওয়া, কুৎসা রটানো, খোঁটা দেওয়া, গোলযোগ ও মনোমালিন্য সৃষ্টি করা, উপহাস করা, ছিদ্রান্বেষণ করা ইত্যাদি। রাসুলুল্লাহ (সা.)  বলেছেন, ‘আল্লাহর কসম সে মুমিন নয়।’ জিজ্ঞেস করা হলো, হে রাসুলুল্লাহ (সা.)! কে? তিনি বললেন, ‘যার প্রতিবেশী তার কষ্টদায়ক আচরণ থেকে নিরাপদ থাকে না।’ রাসুলুল্লাহ (সা.)  আরও বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখেরাতে বিশ্বাস করে সে যেন প্রতিবেশীকে কষ্ট না দেয়।’ ফলের খোসা এমনভাবে ফেলতে হবে যাতে করে পাশের দরিদ্র প্রতিবেশীর শিশু তা দেখে কষ্ট না পায়।

প্রতিবেশীর প্রতি সহিষ্ণুতার পরিচয় দেওয়া খুবই মহৎ কাজ। হযরত সাহল ইবনে আবদুল্লাহ তাসতারীর (রহ.)-এর একজন অগ্নিউপাসক প্রতিবেশী ছিল। প্রতিবেশীর ঘর থেকে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণ ময়লা-আবর্জনা তার অলক্ষ্যে সাহলের ঘরে এসে পড়ত। কিন্তু সেজন্য তিনি প্রতিবেশীর কাছে কোন অভিযোগ করতেন না। দিনের বেলা আবর্জনা জমা করে ঢেকে রাখতেন এবং রাত্রে বাইরে ফেলে দিতেন। সাহলের মৃত্যুর সময় ঘনিয়ে আসলে তিনি তার প্রতিবেশীকে ডেকে আবর্জনার স্তূপ দেখিয়ে বললেন, আমার মৃত্যু ঘনিয়ে না আসলে আপনাকে এটা দেখতাম না। আমার আশংকা যে, আমার মৃত্যুর পর আমার পরিবারের আর কেউ আমার মত সহনশীলতা দেখাতে পারবে না। তাই আপনাকে দেখালাম। আপনি যা ভাল মনে হয় করুন। প্রতিবেশী অগ্নি উপাসকের বিস্ময়ের অবধি রইল না। সে সাহলের হাতে হাত রেখে ইসলাম গ্রহণ করলো। রাসুল (সা.)  পৃথিবীর মানুষকে বললেন, সব মানুষ সমান। সবাই একজন আরেকজনের আত্মীয়। সবার বাঁচার অধিকার রয়েছে। কারো ওপর কোন অন্যায় করা যাবে না। মদীনা সনদের একটি ধারায় বলা হয়েছে, প্রত্যেক ধর্মাবলম্বী স্বাধীনভাবে তাদের ধর্ম পালন করতে পারবে। কেউ কারো ধর্মে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। পৃথিবীতে আগে এর চেয়ে অসাম্প্রদায়িক ঘোষণা আর কেউ দিতে পারেনি। কুরআনের সূরা আল-বাকারার ১২৩ আয়াতে বলা হয়েছে, ‘পৃথিবীর সব মানুষ তোমরা একটিমাত্র সম্প্রদায়।’ সূরা আল-মুমিনুনের ৫২ আয়াতে বলা হয়েছে,

وَاِنَّ هٰذِهٖۤ اُمَّتُكُمْ اُمَّةً وَّاحِدَةً ۰۰۵۲

‘নিশ্চয় তোমাদের এ ধর্ম সম্প্রদায় একই জাতিভুক্ত।’

সুতরাং যিনি মুসলমান তিনি সাম্প্রদায়িক হতে পারে না।


আল-কুরআন, সূরা আলে ইমরান, ৩:১১০

আল-কুরআন, সূরা আন-নূর, ২৪:২৭:২৯

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on pinterest
Pinterest
Share on telegram
Telegram
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

সর্বশেষ