জামেয়া ওয়েবসাইট

শুক্রবার-২৯শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি-৪ঠা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ-১৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমড়ার সাতটি অসাধারণ পুষ্টিগুণ

আমড়ার সাতটি অসাধারণ পুষ্টিগুণ

 

আমাদের দেশে নানা রকম মৌসুমি ফলের দেখা মেলে। এর মধ্যে দেশি ফল আমড়া মুখরোচক ও সুস্বাদু। টকমিষ্টি স্বাদের এ ফলটি কাঁচা ছাড়াও আচার, চাটনি, জ্যাম ও রান্নাসহ বিভিন্ন উপায়ে এটি খাওয়া যায়। আমড়ার অনেক আয়ুর্বেদিক গুণাগুণও রয়েছে। এটিকে আয়ুর্বেদে বলা হয় অম্রাতক। এছাড়া আমড়া গাছেরও রয়েছে অনেক ঔষধি গুণাগুণ। এ গাছের বিভিন্ন অংশ ডায়রিয়া, কানের ব্যথা, ক্ষত এবং হাইপার সিডিটি চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।

আমড়ার অনেক উপকারী দিক রয়েছে। এটি মুখের রুচি ফিরিয়ে আনতে অনেক কার্যকরী। একটি আপেলের চেয়েও বেশি পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও আয়রন থাকে একটি আমড়ায়। এ কারণে একে গোল্ডেন আপেলও বলা হয়ে থাকে। আর জেনে অবাক হবেন—এ ফলটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্যও অনেক উপকারী। ডায়রিয়া, জ্বালাপোড়া, জ্বর, হজমের সমস্যায় ও কফসহ নানা রকম সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে আমড়া। সাধারণ ও ফলটির অসাধারণ কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা জেনে নিন:

১. হজমে উপকারী

আমড়ায় অনেক পরিমাণে ফাইবার বা আঁশ থাকে। এ কারণে এটি হজমশক্তি বৃদ্ধি করতে অনেক কার্যকরী। এছাড়া হজমের কারণে যে সমস্যাগুলো দেখা দেয়; যেমন—গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি সমস্যা দূর করতেও অনেক উপকারী ভূমিকা রাখে এটি। আর নিয়মিত খাবারের পর আমড়া খেলে তা ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে পারে অনেকটাই।

২. হিমোগ্লোবিনের উৎপাদন বৃদ্ধি করে

আমড়ায় প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকার কারণে এটি শরীরে হিমোগ্লোবিন এবং মায়োগ্লোবিন উৎপাদনে সাহায্য করে। আর এর ফলে শরীরে অক্সিজেন পরিবহণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এছাড়া আমড়ায় শরীরের রক্তাস্বল্পতা এবং অন্যান্য রক্তের সমস্যা প্রতিরোধেও অনেক উপকারী।

৩. ভিটামিন সি’র ভালো উৎস

আমড়ায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। এ কারণে এটি শরীরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অংশ যেমন হাড় ও দাঁতের রক্ষণাবেক্ষণ এবং মেরামতসহ নানান রোগের নিরাময়ে অনেক উপকারী ভূমিকা রাখে। এছাড়া আমড়ায় থাকা ভিটামিন সি মানুষের দেহের প্রোটিন কোলাজেন উৎপাদনে সহায়তা করে ত্বকের উজ্জ্বলতা, দৃঢ়তা বজায় রাখতে এবং ত্বকের বলিরেখা প্রতিরোধেও অনেক ভালো কাজ করে।

৪. হাড়কে মজবুত করে

আমড়ায় অনেক বেশি পরিমাণে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। তাই নিয়মিত এটি খেলে তা আপনার প্রতিদিনের ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করতে পারে। ফলে হাড়ের যে কোনো রোগ দূর করা ছাড়াও হাড়কে শক্তিশালী রাখতেও সাহায্য করে এটি।

৫. অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ

আমড়ায় বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেমন ভিটামিন, মিনারেল ও ফাইটোকেমিক্যাল থাকে। আর এ উপাদানগুলো আপনার শরীরের সিস্টেমের কারণে সহায়তা করে স্ট্রেসের প্রভাব কমাতে সহায়তা করে।

৬. পেশিশক্তি বৃদ্ধি করে

আমড়ায় থিয়ামিন নামের একটি উপাদান পাওয়া যায়, যেটি মানুষের শরীরে পেশি সংকোচন ও স্নায়ু সংকেত সঞ্চালনে সহায়তা করে। তাই আমড়া মানুষের পেশির দুর্বলতা দূর করে তাকে শক্তিশালী করতে উপকারী হিসেবে কাজ করে।

৭. মূত্রবর্ধক

আমড়ার রসে অনেক ঔষধি গুণাগুণ পাওয়া যায়। এটি মূত্রবর্ধক হিসেবে কাজ করে পর্যাপ্ত প্রস্রাবের মাধ্যমে মানুষের শরীর থেকে তরল বের করে দিতে সহায়তা করে। ফলে শরীর থেকে সোডিয়াম কমে গিয়ে উচ্চরক্তচাপের ঝুঁকি কমে যায়। এছাড়া এটি সর্দি-কাশি ও জ্বরের সমস্যা দূর করতেও অনেক উপকারী ভূমিকা পালন করে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on pinterest
Pinterest
Share on telegram
Telegram
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

সর্বশেষ