বাংলা সাহিত্যে সিরাতে রসুল (সা.)-এর চর্চা
হাবীবুল্লাহ সিরাজ
লেখক: শিক্ষাসচিব, বায়তুল মুমিন মাদরাসা, উত্তরা, ঢাকা
অন্যান্য ভাষা-সাহিত্যের পাশাপাশি রসুল (সা.)-এর মহাজীবন নিয়ে বাংলা সাহিত্যেও গড়ে উঠেছে বিশাল সাহিত্য-সম্ভার। নবীজীবনের ছোঁয়ায় বাংলা সাহিত্য পেয়েছে ভিন্ন এক মাত্রা। শব্দে-বাক্যে লেগেছে মহাজীবনের ঝংকার। রসুলপ্রেমিক যে কেউ বাংলা সাহিত্যেও পেতে পারে নবীপ্রেমের সুধা। বাংলা সাহিত্যে বহুকালের রচনায় এখন স্বতন্ত্র একটি ধারায় পরিণত হয়েছে নবীজীবনের আলোচনা। যাকে বলা হয়, নবী সাহিত্য বা সিরাত সাহিত্য। সেই আদি যুগ থেকে আরম্ভ হয়ে মধ্য যুগ পেরিয়ে আজকের আধুনিক যুগেও বাংলা সাহিত্যে সিরাত চর্চার আবেদন একটুও কমেনি; রবং অনেক ক্ষেত্রে বেড়ে চলেছে।
আদি যুগের বাংলা কবিদের রচিত নবীচরিত
১৫ শতকের কবি জৈনুদ্দীন (রহ.) বাংলা সাহিত্যে সর্বপ্রথম রসুল (সা.)-এর জীবনীগ্রন্থ রচনা করেন। তার গ্রন্থের নাম ‘রসুল বিজয়’। ফারসি ভাষায় রচিত রসুল (সা.)-এর একটি জীবনীগ্রন্থ অবলম্বনে কবি জৈনুদ্দীন (রহ.) এটি রচনা করেন। এ গ্রন্থে কবিতায় রসুল (সা.)-এর যুদ্ধ-জিহাদ, শক্তিমত্তা ও শৌর্যবীর্যের বিবরণ ছিল। বাংলা সাহিত্যে নবী সাহিত্যের শুভাগমন করান এ ক্ষণজন্মা কবি। তারপর একের পর এক নবী সাহিত্য বাংলা ভাষায় রচিত হতে থাকে। কখনও ছড়া, গল্প-গানে, কখনও উপন্যাস, নাটক বা প্রবন্ধে। কবি জৈনুদ্দীনের পথ ধরেই সাবিরিদ খান (রহ.) রসুল (সা.)-এর মাহাত্ম্য ও বড়ত্ব বর্ণনার উদ্দেশে ‘রসুল বিজয়’ কাব্য রচনা করেন। উভয় কবির রচনার নাম এক হলেও আঙ্গিক-প্রকরণ ভিন্ন ভিন্ন ছিল। এ দুই কবির নবী সাহিত্য রচনার পর বাংলা সাহিত্যকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। তারপর থেকে নবী সাহিত্য রচনার ধারা আরও ব্যাপক ও বিস্তৃত হতে থাকে।
১৬ শতক ও ১৭ শতকের প্রথম দিকের বিখ্যাত কবি সৈয়দ সুলতান (রহ.)-এর সর্ববৃহৎ ও সর্বশ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ হলো ‘নবীবংশ’। এ কাব্যগ্রন্থের কারণে তিনি বাংলা ভাষায় নবী সাহিত্যের রূপকার হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন। জানা যায়, এটিও মূলত বাংলা ভাষায় রচিত নয়; আরবি লেখক সালাবি রচিত ‘কিসাসুল আম্বিয়া’ গ্রন্থের ভাবানুবাদ। এ কাব্যগ্রন্থের বৈশিষ্ট্য হলো, এতে সব নবীর জন্মকথা ছিল। তবে আমাদের রসুল (সা.)-এর জীবনী পূর্ণাঙ্গ ছিল। এ কাব্যগ্রন্থের একটি কবিতার নাম ‘শব-ই-মেরাজ’। এতে কবি রসুল (সা.)-এর মেরাজের পূর্ণাঙ্গ বিবরণ তুলে ধরেন। তবে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পেয়েছে রসুল (সা.)-এর যুদ্ধ-জিহাদ ও বিজয়ের কথামালা। কবিতায় তুলে ধরা হয়েছে হাদীসের সত্য কাহিনি। কবি সৈয়দ সুলতান (রহ.)-এর পরে তার মতো করেই ‘রসুল বিজয়’ নামে সালাবি রচিত ‘কিসাসুল আম্বিয়া’ গ্রন্থের ভাবানুবাদ করেন কবি ও লেখক শেখ চান্দ। এ গ্রন্থের স্বাতন্ত্র্য হলো, বিভিন্ন যুদ্ধের বিবরণের পাশাপাশি ইসলামের প্রচার ও নবী সৃষ্টিতত্ত্বের বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে।
আঠারো শতকে বাংলা সাহিত্যে বহুল আলোচিত গ্রন্থের অন্যতম একটি ‘আম্বিয়াবাণী’। এ কাব্যগ্রন্থটি রচনা করেন আঠারো শতকের অন্যতম মুসলিম কবি হায়াত মা’মুদ। ‘আম্বিয়াবাণী’ সমাজের আলোড়ন সৃষ্টিকারী একটি কাব্যগ্রন্থে পরিণত হয়। এ গ্রন্থে কবি হায়াত মা’মুদ সাহিত্যের ভাষায় রসুল (সা.)-এর বিভিন্ন ঘটনা, জন্ম, নুবুওয়াত, মেরাজ, হাদীস ও সৃষ্টিতত্ত্ব নিয়ে আলোচনা করেন। গ্রন্থটি প্রকাশিত হয় ১৭৫৭ সালে।
মধ্য যুগের বাংলা গদ্যে নবীজীবন
এ যুগে নবী সাহিত্যে ভিন্নমাত্রা যোগ হয়। এ সময় এসে অনেক হিন্দু লেখকও রসুল (সা.)-এর নামে সাহিত্য রচনা আরম্ভ করে। তাদের রচিত নবী সাহিত্যগুলো মুসলিম-অমুসলিম উভয় সমাজে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়। ইতিহাস অনুসন্ধান করে জানা যায়, গিরিশচন্দ্র সেন নামের এক হিন্দু লেখক নবী সাহিত্য রচনার উদ্যোগ নেন। তিনি ‘মহাপুরুষ’ নামে দুখণ্ডে রসুল (সা.)-এর পূর্ণাঙ্গ জীবনী লেখেন। এটাও বলা হয়, তার রচনাতেই প্রথম বাংলা গদ্যরীতিতে রসুল (সা.)-এর জীবনী উঠে আসে। গিরিশচন্দ্র সেনের পথ ধরে ১৯০৪ সালে রামপ্রাণ গুপ্তও রচনা করেন ‘হযরত মোহাম্মদ’ নামে একটি নবী সাহিত্য। এর কিছুদিন পর সঞ্জীবনী পত্রিকার সম্পাদক বাবু কৃষ্ণ কুমার মিত্র রসুল (সা.)-এর জীবনকীর্তি নিয়ে রচনা করেন ‘মুহাম্মদ চরিত’।
মধ্য যুগের বাংলা কবিদের রচিত নবীচরিত
বাংলা সাহিত্যের প্রধানতম কবি গোলাম মোস্তফা ১৯৪২ সালে রচনা করেন ‘বিশ্বনবী’, যা এখনও খ্যাতির শীর্ষে। তার এ রচনা সম্পর্কে অধ্যাপক আবদুল হাই এবং সৈয়দ আলী আহসান লেখেন ‘গোলাম মোস্তফার বিশ্বনবীতে রসুলুল্লাহর জীবনী ও ইসলামের প্রচার ও বিস্তৃতি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। এ গ্রন্থটি এ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ একটি গ্রন্থ। বইটি অত্যন্ত সুলিখিত এবং সুখপাঠ্য।’ কবি গোলাম মোস্তফার ‘বিশ্বনবী’তে কবি মনের প্রকাশ সুস্পষ্ট এবং রচনা ও আবেগ প্রণোদিত। ‘বিশ্বনবী’ গোলাম মোস্তফার সাহিত্যিক জীবনের শ্রেষ্ঠ কীর্তি। প্রেমময় এ কীর্তির পরও তার হৃদয়ে রসুলপ্রেমের যে দহন জ্বলেছিল, তা নেভেনি। সেই প্রেমের আগুনে জ্বলে কবি ১৯৪৮ সালে রচনা করেন ‘মরুদুলাল’। কবি গোলাম মোস্তফার সময়কার প্রখ্যাত সাহিত্যিক মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী রসুল (সা.)-এর জীবনের বিভিন্ন ঘটনাপ্রবাহকে সাহিত্যরসে সাজিয়ে ১৯৪১ সালে রচনা করেন ‘মরু ভাস্কর’। মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী রচিত ‘মরু ভাস্কর’-এর অবিকল নামেই জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামও ১৯৫০ সালে রচনা করেন ‘মরু ভাস্কর’। এ কাব্যগ্রন্থে তিনি তার রসুলপ্রেম ও সাহাবিদের রসুলপ্রেমের কাহিনি তুলে ধরেন। কবি নজরুল এ রচনা দিয়ে মুসলমানদের মনে তার ঈমানি আত্মার পরিচয় দিয়েছেন।
আধুনিক বাংলা গদ্যে নবীজীবন
১৯৪৭ সালে মাওলানা ফজলুল করীম রচনা করেন ‘আদর্শ মানব’। ১৯৪৯ সালে খান বাহাদুর আবদুর রহমান রচনা করেন ‘শেষ নবী’। এমনিভাবে রসুল (সা.)-এর অকৃত্রিম ভালোবাসা ও হৃদয়াবেগে ১৯৫০ সালে মাওলানা আবদুল খালেক রচনা করেন ‘ছাইয়্যেদুল মুরছালিন’। জীবনভিত্তিক গ্রন্থ ‘মানুষের নবী’ ১৯৫৩ সালে রচনা করেন আবদুল জব্বার সিদ্দিকী। পশ্চিমবঙ্গের শেখ আবদুর রহীম ১৮৮৭ সালে কুরআন-হাদীস ও ঐতিহাসিক তথ্যের ভিত্তিতে ‘হযরত মোহাম্মদের জীবন চরিত ও ধর্মনীতি’ রচনা করেন। এ রচনা বাংলা সাহিত্যে তোলপাড় সৃষ্টি করে। এ গ্রন্থটিকে বলা হয় আধুনিক বাংলা সাহিত্যের কোনো মুসলিম সাহিত্যিকের রচিত রসুল (সা.)-এর প্রথম জীবনীগ্রন্থ। এ ধারাবাহিকতার অল্প সময় পরই মুন্সী জমিরুদ্দীন জীবনভিত্তিক ‘শ্রেষ্ঠ নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) ও পাদরির ধোঁকাভঞ্জন’ গ্রন্থটি রচনা করেন।
বাংলা সাহিত্যে একাধিক নবী সাহিত্য রচনা করে শীর্ষে অবস্থান করছেন বাংলা সাহিত্যের অন্যতম লেখক খান বাহাদুর আহ্ছানউল্লা (রহ.)। এর মধ্যে ১৯২৪ সালে প্রকাশিত ‘ইসলাম ও আদর্শ মহাপুরুষ’, ১৯৪৯ সালে প্রকাশিত ‘হযরত মোহাম্মদ পেয়ারা নবী’ ও ‘বিশ্বশিক্ষক’ এবং ১৯৫২ সালে প্রকাশিত ‘এসলাম রবি হযরত মোহাম্মদ’ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এসব গ্রন্থে তিনি রসুল (সা.)-এর জীবনের বিভিন্ন ঘটনা, ইসলামের আবির্ভাব ও ক্রমবিকাশের সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ চিত্র তুলে ধরেন।
আধুনিক বাংলা পদ্যে নবীজীবন
শান্তিপুরের কবি বলে খ্যাত কবি মোজাম্মেল হক রসুল (সা.)-এর জীবনীগ্রন্থ পদ্যাকারে ফুটিয়ে তোলেন। ১৯০৩ সালে প্রকাশিত তার সেই রচনার নাম ‘হযরত মোহাম্মদ’। রংপুরের লেখক শেখ ফজলুল করীম তার ‘পরিত্রাণ’ কাব্যগ্রন্থে নবীজির জীবনী নিয়ে আলোচনা করেন। ‘পরিত্রাণ’ রচনার পর তিনি রসুল (সা.)-এর যুদ্ধ ও সংগ্রামী জীবনকে উপজীব্য করে রচনা করেন ‘পয়গাম্বরের জীবনী’ ও ‘পরশমণি’ নামে দুটি গ্রন্থ।
নবীজীবন নিয়ে শিশুতোষ রচনাবলি
আধুনিক বাংলা সাহিত্যের মূলধারায় যেমন নবী সাহিত্য রচনার হিড়িক পড়েছে, তেমনি শিশুতোষ গল্প-সাহিত্যেও রসুল (সা.)-কে নিয়ে লেখা হয়েছে প্রচুর। বাংলা সাহিত্যের শক্তিমান লেখক ইয়াকুব আলী চৌধুরী ছোটদের জন্য ১৯১৮ সালে রসুল (সা.)-এর জীবনাদর্শ তুলে ধরে রচনা করেন ‘নূরনবী’। এতে নববি চরিত্রের কোমল ও মধুর দিকগুলো শিশুদের জন্য সহজ-সরল ও আকর্ষণীয়ভাবে অঙ্কিত হয়। ১৯২৬ সালে তিনিই বড়দের জন্য নববী শিক্ষা ও জীবনধারাকে উপজীব্য করে রচনা করেন ‘মানব মুকুট’। এ গ্রন্থটি সেকালের প্রকাশিত সেরা গ্রন্থ ছিল। লেখক ও গবেষক খান বাহাদুর তসলিমুদ্দীন আহমদ রসুল (সা.)-এর জীবনীর ওপর গবেষণা করে রচনা করেন ‘সম্রাট পয়গম্বর’। ১৯২৮ সালে প্রকাশিত গ্রন্থটি বিজ্ঞজনের কাছে বেশ সমাদৃত হয়।
সমকালীন বাংলা গদ্যে নবীজীবন
১৯৯৪ সালে সৈয়দ আলী আহসান রচনা করেন ‘মহানবী’। এ রচনা দিয়ে তিনি বেশ সাড়া জাগিয়েছিলেন। এর কিছুদিন আগে সৈয়দ শামসুল হুদা ‘মরুর গোলাপ’ নামে রসুল (সা.)-এর জীবনীনির্ভর গ্রন্থ রচনা করেন। ১৯৭৫ সালে উর্দু লেখক আল্লামা আজাদ সুবহানি (রহ.)-এর লেখা ‘তাজকিরায়ে মুহাম্মদি’ গ্রন্থের ‘বিপ্লবী নবী’ নামে বাংলা অনুবাদ করেন সাংবাদিক মাওলানা মুজিবুর রহমান খাঁ। এ গ্রন্থে রসুল (সা.)-এর সংগ্রামী জীবনের দিকগুলো তুলে ধরে ইসলাম ও স্বাধীনতার প্রতি উদ্বুদ্ধ করা হয়। ড. গোলাম মকসুদ হিলালি (রহ.) ১৯৬৭ সালে আল্লামা শিবলি নোমানি (রহ.) রচিত ‘সিরাতুন্নবী’ অবলম্বনে রচনা করেন ‘হজরতের জীবনী’। এতে তিনি রসুল (সা.)-এর আচার-আচরণ ও চরিত্রের বিশদ বিবরণ দিয়েছেন। ১৯২৬ সালে কাজী আবদুল ওয়াদুদ পূর্ণাঙ্গ জীবনী অবলম্বনে রচনা করেন ‘হযরত মোহাম্মদ ও ইসলাম’। এতে রসুল (সা.)-এর চরিত্রের বিশালতা, বলিষ্ঠতা, সহনশীলতা, মহত্ত্ব, উদারতা ও ব্যক্তিত্বের বর্ণনা ছিল। ১৯৬১ সালে ভাষাবিদ ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ রচনা করেন ‘শেষ নবীর সন্ধানে’। এ গ্রন্থ তখনকার দিনে সিরাতপ্রেমীদের যথেষ্ট চাহিদা মিটিয়েছিল। এরপর ১৯৬২ সালে তিনিই শিশুতোষ গ্রন্থ ‘ছোটদের রসুলুল্লাহ’ রচনা করেন।
চলমান বাংলা গদ্য ও পদ্যে নবীচরিত
বাংলা সাহিত্য আধুনিক যুগে প্রবেশের পর থেকে ব্যাপকভিত্তিতে নবীজিকে নিয়ে সাহিত্য রচনা হচ্ছে। রচনার এ ধারা নতুন নয়। তবে এ সময়ে এসে নবী সাহিত্যে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। তরুণদের মধ্যে অনেকে লিখছেন। নন্দিত লেখক সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর গল্পভাষ্যে রসুল (সা.)-এর দাম্পত্যজীবন নিয়ে লিখেছেন ‘প্রিয়তমা’। তরুণ ছড়াকার আবদুল্লাহ আশরাফ ‘সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ নামক ছড়াগ্রন্থে ছন্দ-ছড়ায় তুলে ধরেছেন রসুল (সা.)-কে। গল্পভাষ্যে শিশুদের জন্য নকীব মাহমুদ লিখেছেন ‘মুস্তফা’।
শেষ কথা
বাংলা সাহিত্যের মজবুত একটি ধারা গড়ে উঠেছে রসুল (সা.)-এর জীবনী ঘিরে। সেই ধারা এখনও অব্যাহত। প্রতিনিয়ত রচিত হচ্ছে অসংখ্য নবী সাহিত্য। বাংলার মানুষের মনে নবীজির প্রতি যে ভালোবাসা তরঙ্গায়িত, তা আমাদের কবি সাহিত্যিকরা ভাষার অলঙ্কারে সাজিয়ে তুলছেন, এটি আমাদের জন্য গর্বের ও আনন্দের।