আত্মহত্যা
সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম
মানুষের চেয়ে বড় কেহ নয় সবার ঊর্ধ্বে মানুষ
হ্যাঁ থাকে যদি মানবতা, হয় উন্নত মহান থাকে যদি হুঁশ।
চোর ডাকাত ধর্ষক খুনি হলে, মদ গাজা ভাং নেশাখোর হলে
সে তো মানুষ নয়, পশু-জানোয়ার কে তাকে মানুষ বলে?
হত্যা-খুনের চেয়ে বড় পাপ নেই, এটি যে মহা অপরাধ
হে বিশ্ববাসী এমন পাপীকে আগ্নি সাগরের অতলে কষে বাধ।
একজন মানুষকে যে হত্যা করে, তার যে আকাশছোঁয়া পাপ
সে যেন সমস্ত পৃথিবীর মানুষের হত্যাকারী পাবেনা কখনো মাপ।
হায়রে! মূর্খ জানোয়ার নরকী পাপিষ্ঠ আত্মঘাতি খুনী
হৃদয় সাগরে এত কি আগুন, যে দুঃখে জীবন বলী দিলি শুনি?
হায়রে! পামর নরপশু, বেঁচে গেলি কি নিজেকে খুন করে
তোর দুঃখের শেষ নেই কভু দুঃখের সাগরে জ্বলিবি জনম ভরে।
তাই তো আত্মঘাতি-খুনী পৃথিবীর সমগ্র মানুষের হত্যাকারী
কোন্ আনন্দ উল্লাসের ব্যর্থ কামনায় হায় দিলি এ সাগর পাড়ি?
হায়রে! ছাত্র-ছাত্রী, প্রেমিক-প্রেমিকা স্বামী-স্ত্রী কী ছিল ধর্ম তোদের
কী শিক্ষা দিয়ে গেলি হায়! কলঙ্ক আকিলি তোদের জীবনের।
হে বনী আদম- মানব জাতি- মহাসত্যের মূল উৎস কী শোন্
আল্লাহর প্রতি গভীর বিশ্বাসের বীজ তোদের হৃদয় ভূমিতে বোন।
হে কলঙ্কিনী অভিশপ্ত দুরাচার এখনও আত্মহননের পথ খুঁজেছে যারা
অনন্ত কালের মহা দুঃখ থেকে বাঁচার তরে ফিরে আয় তোরা।
মানুষের জীবনের ভালো-মন্দের বিচার হবেই যে একদিন
পবিত্র আত্মার অধিকারী হলে অবিশ্যি বেঁচে যাবে সেই দিন।
নাফরমান পাপিষ্ঠ হলে জ্বলিবি চির দিন জাহান্নামের লেলিহানে
আল্লাহর আশেক হলে থাকিবি চিরদিন জান্নাতের ফুল কাননে।
আদীব হুজুর
উপদেশ সব আঁখিজলে
ভাসছে আমার প্রতি-ক্ষণে।
সব সময়ে ফুলের মতন
বলতেন কথা কোমল স্বরে,
জীবন তাঁহার কেটে গেলো
কিতাবাদি ব্যাখ্যা করে।
জামিয়া আজ ব্যথায় বিধুর
মহামান্য ওহে আদীব!
দোয়া মাগি প্রভু পানে
হয় গো যেন বেহেস্ত নসিব।
নূরুদ্দীন খাঁ
অমাবস্যা নামলো দেখো
ঐ আকাশের জোছনা চাঁদে,
শোক বিয়োগে তারার মিছিল
ফুঁপিয়ে আজ ভীষণ কাঁদে।
ফের আবারও ছেড়ে গেলো
রফিক (রহ.) এতিম করে,
শীতল মায়ায় শুয়ে গেলেন
চির সত্য মাটির ঘরে।
কত কিতাব লিখলেন হুজুর
ছোট্ট ক্ষণিক এ জীবনে,
জীবন মানে
মাহাদী বিন আবদুল মজিদ
জীবন মানে উথান পতনে
সম্মুখপানে চলা,
ঝড় ঝঞ্জা পিছে ফেলে
জয়ের কথা বলা।
জীবন মানে সংগ্রাম শপথ
বুক উঁচিয়ে চলা,
অপদার্থ সব ছাই কুটাকে
নিজের পায়ে মাড়া।
জীবন মানে সুখ দুঃখ
হাজার কথার ছন্দ,
ফুলের মতো সূবাসে ভরা
মাকালের মতো মন্দ।
জীবন মানে পাহাড় ডিঙিয়ে
ওপর পথে চলা,
দুর্গম সব কাজকে
দুঃসাহসে করা।
মকতবে যায় পড়তে
জিশান মাহমুদ
রোজ সকালে খোকন সোনা
মকতবে যায় পড়তে
কুরআন শিখে মুমিন হয়ে
ঈমান নিয়ে মরতে।
আলিফ বা তা পড়তে যায় সে
হাতে কায়দা নিয়ে
সুরে সুরে সুরা পড়ে
মনোযোগটা দিয়ে।
সুরা কিরাত শিখে খোকন
নিত্য নামাজ পড়ে
কুরআনেরই হরফগুলো
বুকে রাখে ধরে।
বাল্যকালের এই শিক্ষাটা
হুযুরে দেয় শিক্ষা
মকতবেতে গিয়ে খোকন
পেল সঠিক দীক্ষা।
কপাল তোদের ফাটা
মুহিউদ্দীন খান
আমরা এখানে ভাড়াটিয়া
তোমরা তো ভাই রাজা
হর হামেশা ফাকা বুলি
অনলাইনে দেখি তাজা।
মানুষ জাতের প্রাণী তারা
স্বভাব শিয়াল মামার
ঘাপটি মেরে বসে থাকে
খুজতে নগ্ন খাবার।
ভিজে মোল্লার আলখাল্লা
রাম রহিমের ঘরে
খাবার দাবার ওষুধপত্র
বিলাই কষ্ট করে।
চার দেয়ালের অন্তরালে
নিজুম কাদা ছোড়ে।
জীবন গেল বন্যা জলে
দেখিনি কবু তারে।
হিসেব খুঁজে অবদানের
মোল্লার হিসেব কই
ভদ্রলোক তাই ভদ্র গালি
তুই কোনো পানির কৈ।
পাগলেরা পাগলা ঘোড়ায়
তবেই ফাটে মাথা।
এন টিভিতে নিউজ দেখি
কাপের তলা ফাটা
মোল্লাদের কাপ বিশ্বজোড়া
শুদ্ধ তাদের প্রথা।
তোমাদের এই অশুদ্ধ কাপ
তাদের কাছে ছাতা।
ভুলে গেলি ওই নিচুমন
আলেমদের সেই কথা
কল্লা দিয়া দেশ আনিল
এখন বলছিস যা-তা।
দু-এক দেশরে হারানোতে
তোদের কত নির্লজ্জতা
শত শত দেশ হারিয়েও
মোদের নেই দাম্ভিকতা।
কইতে গেলে শেষ হবে না
দুঃখের অনেক কথা
ভালো হবি না নিজুম তোরা
কপাল তোদের ফাটা।