শীতের মৌসুমে ঝুঁকিতে থাকে হাঁপানীর রোগীরা
ডা. মুহাম্মদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ
লেখক: প্রতিষ্ঠাতা, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি
হাঁপানি রোগীদের জন্য শীতল আবহাওয়া, সর্দি-কাশি-ফ্লু বা ঠাণ্ডা জ্বর প্রচণ্ড কষ্ট আর বিপদের কারণ হতে পারে। প্রতি বছর শীতে শিশুদের ক্ষেত্রে ৮০ শতাংশ এবং বড়দের ৪০ শতাংশ হাঁপানি বা শ্বাসকষ্টের তীব্রতা বেড়ে যায়। এর প্রধান কারণগুলো হল: এই সময়ে ঠাণ্ডা, জ্বর বা ফ্লুর প্রকোপ, ঠাণ্ডা-শুষ্ক বাতাস যা শ্বাসতন্ত্র সংকুচিত করে, শীতে বেড়ে যাওয়া ধুলাবালু ও ধোঁয়ার পরিমাণ, কুয়াশা ও বদ্ধ গুমোট পরিবেশ ইত্যাদি। এসবই শ্বাসতন্ত্রের সংবেদনশীলতা বাড়িয়ে দেয়, ফলে হাঁপানি রোগীর কষ্ট বাড়ে। এই দুরারোগ্য ব্যাধি করোনাকালে যাদের হাঁপানির সমস্যা রয়েছে তারা বেশি সংক্রমণের ঝুঁকিতে আছে। তাই এই সময় অবশ্যই হাঁপানি রোগীদের বেশি সতর্ক থাকতে হবে। অনেকেই হাঁপানি সমস্যায় ভুগে থাকেন। হাঁপানি হচ্ছে একটি ক্রনিক সমস্যা যা শ্বাসপ্রশ্বাসে অসুবিধা তৈরি করে। এটি এমন একটি সমস্যা যা প্রাণঘাতীও হয়। এক একজনের ক্ষেত্রে হাঁপানির সমস্যা এক একরকমের হতে পারে। হাঁচি, কাশি, বুকে চাপা ভাব, শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া ইত্যাদি হাঁপানির অন্যতম লক্ষণ। হাঁপানি, ক্রনিক ব্রংকাইটিস, আইএলডি দীর্ঘমেয়াদি রোগে ভুগছেন যাঁরা, তাঁদের শ্বাসতন্ত্র নাজুক থাকে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণে তাই তাঁদের জটিলতার আশঙ্কা বেশি। এ ধরনের রোগীর তীব্র নিউমোনিয়াই শুধু নয়, অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ডিসট্রেস সিন্ড্রোমও (এআরডিএস) হতে পারে। এআরডিএসে ফুসফুসের টিস্যু পর্যাপ্ত অক্সিজেন পায় না। কিছু কিছু খাবার আছে যা হাঁপানি রোগীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দেয়।
গত ২ বছর করোনা ভাইরাসটি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনাকেই চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে। হাঁপানি দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসতন্ত্রীয় রোগে ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের করোনাভাইরাসে সংক্রমণজনিত জটিলতার ঝুঁকি অনেক বেশি। বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস সংক্রমণে যাদের মৃত্যু হয়েছে, তাদের প্রায় ৬ দশমিক ৩ শতাংশের শ্বাসতন্ত্রীয় সমস্যা ছিল। যেসব ফুসফুসীয় রোগ করোনা জটিলতার উচ্চ ঝুঁকি বহন করে, তা হল অ্যাজমা ও ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ (সিওপিডি)। সিওপিডির মধ্যে ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিস ও এল্ফিম্ফসেমা উভয়ই রয়েছে। সিওপিডির প্রধান কারণ হচ্ছে ধূমপান। তাই যারা বছরের পর বছর ধরে ধূমপান করে আসছেন, তাদের করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে সৃষ্ট জটিলতার বাড়তি ঝুঁকি রয়েছে। তাহলে আসি আজকের বিষয় নিয়ে কিছু কথা, অ্যাজমা হচ্ছে ক্রনিক এবং জীবন সংশয়ী মারাত্মক একটি ফুসফুসের রোগ, আমাদের দেশে হাঁপানি রোগ হিসেবে পরিচিত, এই রোগে সাধারণত কাশির সাথে বুকে ঘড়ঘড় শব্দ এবং শ্বাসকষ্ট অনুভূত হয়ে থাকে। পাক-ভারত উপমহাদেশে এটি অতি প্রাচীন রোগ। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে এই রোগটি সম্পর্কে প্রথম ধারণা পাওয়া যায়। বর্তমানে একবিংশ শতাব্দীর দ্বারপ্রান্তে এসে পর্যাপ্ত গবেষণা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ও অ্যালোপ্যাথিতে হাঁপানীর কোন স্থায়ী চিকিৎসা আজও আবিষ্কৃত হয়নি। রোগটিকে শুধু চিকিৎসার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ রাখা যায় কিন্তু হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার মাধ্যমে সেটিকে পূর্ণ আরোগ্য করা যায়। আর আমাদের দেশের হাঁপানির সঠিক কোন পরিসংখ্যান জানা না থাকলেও আমেরিকায় প্রায় ২০ মিলিয়ন মানুষ অ্যাজমায় ভুগছেন। তাদের মধ্যে ১০ মিলিয়নই (এর মধ্যে তিন মিলিয়ন শিশুও আছে) ভুগছেন অ্যালার্জিজনিত অ্যাজমায়। তাই বলা যায় আমাদের দেশেও অ্যাজমার প্রকোপ কম নয়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, সঠিক ও নিয়মিত চিকিৎসা ও পরিকল্পিত জীবনযাপনের মাধ্যমে এ রোগীরা অ্যাজমার তীব্রতা থেকে রক্ষা পেতে পারেন। আবার পৃথিবীর মধ্যে বেশ কিছু দ্বীপে এই রোগের প্রকোপ খুব বেশি, যেমন- ত্রিস্রোতা, দে-কুনে নামক দ্বীপের বাসিন্দাদের মধ্যে শতকরা প্রায় ৪৬ ভাগের ও বেশি মানুষ এই রোগের শিকার ছিল। আর একটি দ্বীপ যার নাম করিলিস্কি সেখানেও প্রায় শতকরা ২০ থেকে ৬০ ভাগ মানুষ এই রোগে ভুগে থাকে। অনুরূপে পৃথিবীতে অনেক দেশে আছে যেখানে এই রোগীর হার খুবই কম যেমন- জাম্বিয়া, নাইজেরিয়া, কেনিয়া ইত্যাদি।
হাঁপানী এমন একটি দুরারোগ্য ব্যাধি যাতে একবার আক্রান্ত হলে দুঃসহ যন্ত্রণা নিয়ে রোগীকে সারা জীবন কাটাতে হয়। হাঁপানী রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি কখনো সামাজিক বা পারিবারিক আনন্দ উল্লাসে যোগদান করতে পারে না। পারে না কোন পরিশ্রমের কাজে অংশ নিতে, তাকে অনেক সময় গৃহবন্দী অবস্থা দিন কাটাতে হয়। অধিকাংশ রোগীর ক্ষেত্রেই ঠাণ্ডা আবহাওয়া অত্যন্ত বিপজ্জনক। বর্ষার ঠাণ্ডায়, শীতের ঠাণ্ডায় রোগ বৃদ্ধি পায়। বিশেষ করে ব্রংকিয়াল হাঁপানী শীতকালে বাড়ে। শীতের ঠাণ্ডা রোগীর অসহ্য। শীতকালে নাকে একটুখানি ঠাণ্ডা বাতাস বা কুয়াশা প্রবেশ করলেই প্রথমে হাঁচি নাকঝরা ও পরে শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। বর্ষা কালে দুয়েক ফোটা বৃষ্টির পানি গায়ে পড়লে, খোলা জানালার পাশে রাতে ঘুমালে, ভেজা বাতাসে ভ্রমণ করলে রোগ লক্ষণ বৃদ্ধি পায়
অ্যাজমা
অ্যাকিউট অ্যাজমা: তীব্রতা অনুসারে অ্যাজমা তীব্র হাঁপানি এতে ফুসফুসের বায়ুবাহী নালীসমূহ আকস্মিকভাবে সংকুচিত হয় ও শ্বাস-প্রশ্বাসে কষ্টের সৃষ্টি করে।
ক্রনিক অ্যাজমা: দীর্ঘমেয়াদী হাঁপানি এতে ঘন ঘন অ্যাজমায় আক্রান্ত হয় এবং রোগ নিয়ন্ত্রণে ও প্রতিরোধে চিকিৎসার প্রয়োজন পড়ে।
কারণ: অ্যালার্জিক অ্যাজমা সাধারণত কোন অ্যালার্জেন বা এন্টিজেন নিঃশ্বাসের মাধ্যমে ফুসফুসে ঢুকলে আমাদের ইমিউন সিস্টেম-এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলে। যেমন- ফুলের রেণু, বিভিন্ন প্রাণীর লোম, মাইট ও ধুলাবালি ইত্যাদি। ফলশ্রুতিতে স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস বাধাগ্রস্ত হয় ও হাপানী দেখা দেয়। একে এটোপিক অ্যাজমা বা অ্যালার্জিক অ্যাজমাও বলা হয়।
নন অ্যালার্জিক অ্যাজমা: এ ধরনের অ্যাজমা অ্যালার্জি ঘটিত নয় বরং ধূমপান, রাসায়নিক দ্রব্য, জীবাণুর সংক্রমণ, মানসিক চাপ, অট্টহাসি, অধিক ব্যায়াম, অ্যাস্পিরিন জাতীয় ওষুধ সেবন, খাদ্য সংরক্ষণকারী উপাদান, পারফিউম, অত্যাধিক ঠাণ্ডা, গরম, আর্দ্র ও শুষ্ক বাতাসের কারণে দেখা দেয়।
বিভিন্ন প্রকারের অ্যাজমা
মিশ্র অ্যাজমা: এক্ষেত্রে রোগী পূর্বোক্ত অ্যালার্জিক ও নন-অ্যালার্জিক দুই ধরনের অ্যাজমাতেই ভোগেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রকোপ বেড়ে যায়।
রাত্রিকালীন অ্যাজমা: এ ধরনের হাঁপানি রাতের বেলা, বিশেষত রাত ২ টা থেকে ৪টার মধ্যে আক্রমণ করে। রোগীর শারীরিক দুর্বলতার জন্য রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ে। এমনকি দিনের বেলায় স্বল্পকালীন নিদ্রা যায়। রাত্রিকালীন অ্যাজমা গুরুত্বের সাথে নেওয়া উচিত কারণ এ ক্ষেত্রে রেসপিরেটরি অ্যারেস্ট হয়ে রোগীর মৃত্যু ঘটে।
অ্যাজমা রোগীর প্রাথমিক লক্ষণ: বুকে সাঁই সাঁই বা বাঁশির মত শব্দ হওয়া। শ্বাস কষ্ট হওয়া, বুকে চাপ অনুভব করা। দীর্ঘ মেয়াদি কাশিতে ভুগতে থাকা। ব্যায়াম করলে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়া। শীতকালে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়া। ঘন ঘন শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া, কাশির সাথে কফ নির্গত হওয়া। গলায় খুসখুস করা ও শুষ্কতা অনুভব করা। রাতে কাশি বেড়ে যাওয়া, নাড়ীর গতি দ্রুত হওয়া। কথা বলতে সমস্যা হওয়া। সর্বদা দুর্বলতা অনুভব করা। দেহ নীল বর্ণ ধারণ করা।
অ্যাজমা রোগীকে কিছু পরামর্শ মেনে চলতে হবে: বিছানা ও বালিশ প্লাস্টিকের সিট দিয়ে ঢেকে নিতে হবে বা বালিশে বিশেষ ধরনের কভার লাগিয়ে নিতে হবে। ধুলো বাড়াবাড়ি করা চলবে না। ধোঁয়াযুক্ত বা খুব কড়া গন্ধওয়ালা পরিবেশে থাকা চলবে না। আলো-হাওয়া যুক্ত, দূষণমুক্ত খোলামেলা পরিবেশ থাকা দরকার। কারণ স্যাঁতস্যাঁতে জায়গায় ফাঙ্গাল স্পোর অনেক সময় হাঁপানির কারণ হয়। হাঁপানি রোগীর আশেপাশে ধূমপান বর্জনীয় ও মশার কয়েল জ্বালানো যাবে না। অতিরিক্ত পরিশ্রমের জন্যও হাঁপানি রোগীরা শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। তাই নিজের শরীরের অবস্থা বুঝে পরিশ্রমের ঝুঁকি নেওয়া উচিত। হালকা খাওয়া-দাওয়া করা উচিত যাতে হজমের কোনও অসুবিধে না হয়। কারণ বদহজম এবং অম্বল থেকেও হাঁপানি হতে পারে। যে খাবারে অ্যালার্জি আছে তা বর্জন করে চলতে হবে। প্রয়োজনে স্থান ও পেশা পরিবর্তন করতে হবে। শুধু নিয়ম মেনে চললেই এই ধরনের রোগীর শতকরা পঞ্চাশ ভাগ ভালো থাকেন।
অ্যাজমা রোগীর খাবার: কুসুম গরম খাবার। মৌসুমি ফলমূল। ছাগলের দুধ (তেজপাতা, পুদিনা ও কালোজিরা সহ)। আয়োডিন যুক্ত লবণ ও সৈন্ধব লবণ। মধু, স্যুপ, জুস, কালোজিরার তেল, আদা পুদিনার চা।
হাপানী রোগীর জন্য যেসব খাবার নিষিদ্ধ: ডিম, দুধ, বাদাম, গম, চিংড়ি মাছ, ফ্রিজের কোমল পানীয়, আইসক্রিম, ফ্রিজে রাখা খাবার, ইসুবগুল ও গ্রেবী জাতীয় খাবার, কচুর লতি, তিতা জাতীয় খাবার, পালং শাক ও পুই শাক, মাষকলাই, মাটির নীচের সবজি, অধিক আয়রনযুক্ত টিউব অয়েলের পানি।
অ্যাজমা রোগী যেসব জামা কাপড় পরিধানও ব্যবহার করবে: কটন জাতীয় নরম ঢিলে-ঢালা পোশাক পরিধান করতে হবে। সিল্ক, সিনথেটিক, পশমি কাপড় পরিধান না করাই উত্তম। পাতলা বালিশ ও নরম বিছানায় শোয়া উচিত। বাসস্থান শুষ্ক ও পর্যাপ্ত সূর্যের আলো-বাতাস সম্পন্ন হওয়া উচিত।
অ্যাজমা কারণ-তত্ত্ব: অত্যন্ত শুষ্ক, উত্তপ্ত বা কলুষিত এবং জলীয় বাষ্পপূর্ণ আবহাওয়া এর কারণ মধ্যে গণ্য। বংশগত অর্থাৎ পূর্ব পুরুষগণের এই ব্যাধি, এই রোগ উৎপত্তির একটি প্রধান কারণ। ধুলা, অশ্বগবাদির দেহের গন্ধ বা পুষ্পের রেনু যুক্ত বায়ু অথবা খাদ্য বিশেষের সংক্ষুব্ধতা বশত তদ্বারা এই রোগের উদ্ভব হইতে পারে। নাসিকামধ্যস্থ ঝিল্লির প্রদাহ, নাসিকা মধ্যস্থ অর্বুদ টনসিলের বিবৃদ্ধি, এডিনয়েড, রোগের আক্রমণ প্রবণতা বৃদ্ধি করে।
হোমিও সমাধান: হোমিওপ্যাথি মতে তিনটি রোগ-বীজ হল সব রকম অসুস্থতার কারণ। সোরা, সাইকোসিস, সিফিলিস, সোরা-সাইকোসিস বা সোরা-সাইকোসিস-সিফিলিস মিশ্রভাবে অ্যাজমা রোগের জন্য দায়ী। বর্তমান যুগের এই মিশ্র রোগ-বীজকে অনেকে টিউবারকুলার মায়াজম নামে নামকরণ করে থাকে। এই জন্য একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসক কে ডা. হানেমানের নির্দেশিত হোমিওপ্যাথিক নিয়মনীতি অনুসারে সঠিক রোগীলিপি করণের মাধ্যমে যদি চিকিৎসা করা যায় তাহলে অ্যাজমা সহ যেকোনো জটিল কঠিন রোগের চিকিৎসা ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্য ভিত্তিক লক্ষণ সমষ্টি নির্ভর ও ধাতুগতভাবে চিকিৎসা দিলে আল্লাহর রহমতে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব। চিকিৎসা বিজ্ঞানে চিরন্তন সত্য বলে কিছুই নেই। কেননা একসময় আমরা শুনতাম যক্ষ্মা হলে রক্ষা নেই, বর্তমানে শুনতে পাই যক্ষ্মা ভালো হয়। এ সবকিছু বিজ্ঞানের অগ্রগতি ও উন্নয়নের ফসল। এজমা চিকিৎসা হোমিওপ্যাথিতে সবচেয়ে জনপ্রিয় চিকিৎসা পদ্ধতি। সামগ্রিক উপসর্গের ভিত্তিতে ওষুধ নির্বাচনের মাধ্যমে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা করা হয়। এটিই একমাত্র চিকিৎসা পদ্ধতি যার মাধ্যমে রোগীর কষ্টের সমস্ত চিহ্ন এবং উপসর্গগুলি দূর করে সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যের অবস্থা পুনরুদ্ধার করা যায়। বিবিসি নিউজের ২০১৬ তথ্য মতে, দেশের প্রায় ৪০ শতাংশ রোগী হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা গ্রহণ করে আরোগ্য লাভ করে, আবার ইদানীং অনেক নামধারী হোমিও চিকিৎসক বের হয়েছে। তাঁরা এজমা রোগীকে কে পেটেন্ট টনিক, মিশ্র প্যাথি দিয়ে চিকিৎসা দিয়ে থাকে তাদের কে ডা. হানেমান শংকর জাতের হোমিওপ্যাথ বলে থাকেন, রোগীদেরকে মনে রাখতে হবে, হাঁপানী কোন সাধারণ রোগ না, কাজেই এ সময় শ্বাসকষ্টের রোগীদের কিছু বিষয়ে অবশ্যই সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে।