বইছে চোখে জল
আলাউদ্দিন কবির
আল্লামা বোখারীর শোকে বইছে চোখে জল
কোটি ভক্তকুলের বুকে জ্বলছে দাবানল
বইছে চোখে জল, বুকে জ্বলছে দাবানল।
জ্ঞানে-গুণে যেসব মানুষ
শতো বছর পরে
খোদার বিশেষ রহমতে
জন্মগ্রহণ করে।।
তিনি তেমন বিরল মানুষ, আদর্শ উজ্জ্বল
আল্লামা বোখারীর শোকে বইছে চোখে জল।
আল-জামিয়া পটিয়া যাঁর
চার দশকের স্মৃতি
পাঠদানে ও প্রশাসনে
অসংখ্য যাঁর কৃতি।।
তাঁর প্রীতি তো সকল হৃদয় করবে করতল
আল্লামা বোখারীর শোকে বইছে চোখে জল।
যেই মাটিতে শুয়ে আছেন
মুর্শিদ ও সাথী
সে মাটিতেই কাটুক সুখে
তাঁরও দিবস-রাতি।।
এই কথাটিই শিষ্য কবির খোদার কাছে বল্
আল্লামা বোখারীর শোকে বইছে চোখে জল।
কবিতার ফাঁকি
আজহার মাহমুদ
কবিতা লিখবো বলে আমি
শত-শত রাত জেগে থাকি।
অথচ রাতের পর রাত চলে যায়
কবিতা দিয়ে যায় ফাঁকি।
কবিতার দেওয়া ফাঁকিতে আজ
কষ্ট লাগে না বুকে,
বুকটা’তো ঝাঁঝরা হয়ে গেছে
মানুষের দেওয়া দুখে।
হে বুখারী
নূরুদ্দীন খাঁ
তোমার শোকে কাঁদছে সবাই
কাঁদছে ভীষণ আকাশ ভূমি,
তোমার স্মৃতি এ জামিয়ায়
জুড়ে আছে অন্তর চুমি।
তোমার দরস নিতো সবে
সজাগ চাতক পাখীরমত,
আমরা নাদান সইবো ক্যামনে
এই হারানোর বিদায় ক্ষত?
রম্য কথায় কী নিদারুণ
উপমা যে তুমি দিতে,
দূরে থেকেও এ জামিয়ার
সকল কিছুর খবর নিতে।
শের কবিতায় জ্ঞান গরিমায়
ছিলে যুগের শ্রেষ্ঠ রুমি,
আইন কানুনের বিরোধ করে
চলতে না যে কভু তুমি।
পরের গিবত করলে কেহ
দিতে বাঁধা নরম মুখে,
দীন দরদী মরণ অবধি
করলে জায়গা সবার বুকে।
বাতিল তোমায় দেখেই কাঁপতো
পরাজয়ের লজ্জায় মরে,
আজকে আমার সকল স্মৃতি
চোখের জলে মনে পড়ে।
প্রভুর ডাকে দিলে সাড়া
এই আমাদের এতিম করে,
লক্ষ হাজার আলেম গড়ে
চলে গেলে স্বর্গ ঘরে।