তাবলীগ জামায়াত ও বর্তমান বাস্তবতা
মাওলানা এরফান শাহ
দাওয়াত ও তাবলীগ শরীয়ার গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। মানুষের কাছে দীন ইসলাম পৌঁছানোর অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে দাওয়াত ও তাবলীগ। মানবজাতির পথপ্রদর্শক, মানবতার অগ্রদূত, মুহাম্মদে আরবি রসুলে আকরম (সা.)-এর পর আর কোনো নবী এ দুনিয়াতে আসবেন না। অতএব নবীওয়ালা এ মেহনত, পবিত্র এ দায়িত্ব ও মুবারক এ জিম্মাদারি আখেরি নবীর উম্মতকে পালন করতে হবে। রসুলুল্লাহ (সা.) এ দায়িত্ব উম্মতে মুহাম্মদীর ওপর অর্পণ করে গেছেন। বিদায়ী হজের ভাষণে রসুল (সা.) বলেন,
«وَلْيُبَلِّغِ الشَّاهِدُ الْغَائِبَ».
‘তোমরা যারা উপস্থিত তারা যারা অনুপস্থিত তাদের কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দাও।’[1]
ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় বিদায়ী হজের ভাষণের পর সোয়া লক্ষ সাহাবায়ে কেরামের মধ্যে স্বল্পসংখ্যক সাহাবায়ে কেরাম ব্যতিত প্রায় সকল সাহাবায়ে কেরাম দীনের দাওয়াত নিয়ে পৃথিবীর আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে পড়েছেন। দাওয়াত ও তাবলীগের উদ্দেশ্যে সারা দুনিয়া, দেশ হতে দেশান্তরে ঘুরে বেড়িয়েছেন। ইসলামের প্রচার-প্রসারের জন্য সফর করেছেন। সাহবায়ে কেরাম ইসলামের মর্মবাণী মানুষের দ্বারে দ্বারে, ঘরে-ঘরে, বাড়ি-বাড়ি, গ্রামে-গ্রামে, শহরে-শহরে এবং দেশে-দেশে পৌঁছে দিয়েছেন। তাদের জীবন চিল্লার বদৌলতে আমরা ইসলাম পেয়েছি। এ কথা অনস্বীকার্য সাহাবায়ে কেরামের ত্যাগ ও কুরবানীর ফলে দাওয়াত ও তাবলীগের মাধ্যমে ইসলামের মতো মহান নেয়ামত সারা দুনিয়ার মানুষ সহজে ও বিনামূল্যে লাভ করতে সক্ষম হয়েছে।
দুনিয়াতে বেঁচে থাকার জন্য মৌলিক জিনিসের যেমন প্রয়োজন, অনুরূপভাবে পরকালের মুক্তি ও শান্তির জন্য দীন ইসলাম ততোধিক বেশি প্রয়োজন। দুনিয়ার মৌলিক বিষয় ছাড়া যেমন ইহকাল অচল, অনুরূপভাবে দীন ইসলাম ছাড়াও আখেরাত তথা পরকাল অচল। জিন ও ইনসানের যেহেতু এ জীবনের পরেও আরেকটি জীবন রয়েছে আর সেই জীবনে শান্তিতে থাকার জন্য আল্লাহপাক দান করেছেন আল্লাহর মনোনীত ধর্ম ‘ইসলাম’। মানুষকে আল্লাহর পথে, দীনের পথে, রসুলের পথে, হিদায়েতের পথে, ইসলামের পথে, কল্যাণের পথে, আলোর পথে আহ্বান করার জন্য সুসংহত একটি জামায়াত চলমান থাকা চাই। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে,
وَلْتَكُنْ مِّنْكُمْ اُمَّةٌ يَّدْعُوْنَ اِلَى الْخَيْرِ وَيَاْمُرُوْنَ بِالْمَعْرُوْفِ وَيَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنْكَرِ١ؕ وَاُولٰٓىِٕكَ هُمُ الْمُفْلِحُوْنَ۰۰۱۰۴
‘তোমাদের মধ্যে হতে একটি জামায়াত এমন হওয়া জরুরি যারা মানুষকে কল্যাণের পথে আহ্বান করবে, সৎ কাজের আদেশ করবে এবং অসৎ কাজের নিষেধ করবে, আর তারাই হবে সফলকাম।’[2]
পরকালের অপরিহার্য বিষয় ‘দীন ইসলাম’ সহজে ও বিনামূল্যে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছেন বর্তমান তাবলীগ জামায়াত। তারা দীনের এ মহান জিম্মাদারি ও দায়িত্ব নিরবে-নিভৃতে পালন করে চলেছেন।
দাওয়াত ও তাবলীগের পবিত্র এ জিম্মাদারি রসুলুল্লাহ (সা.) থেকে সাহাবায়ে কেরাম, তাবিয়ীন, তবে-তাবিয়ীন, আয়িম্মায়ে মুজতাহিদীন, সালফে সালিহীন, আউলিয়ায়ে কেরাম, ওয়ায়েজীনে কেরাম, ওলামায়ে কেরাম তথা ধারাবাহিকভাবে বর্তমান তাবলীগ জামায়াত দীনের প্রতি মানুষকে আহ্বান করে যাচ্ছেন। আল্লাহ পাক পবিত্র কুরআনে বলেন,
وَمَنْ اَحْسَنُ قَوْلًا مِّمَّنْ دَعَاۤ اِلَى اللّٰهِ وَعَمِلَ صَالِحًا وَّقَالَ اِنَّنِيْ مِنَ الْمُسْلِمِيْنَ۰۰۳۳
‘সেই ব্যক্তির কথা হতে উত্তম কথা আর কার হতে পারে, যে মানুষকে আল্লাহর দিকে ডাকে, নিজে নেক আমল করে এবং বলে যে, নিশ্চয়ই আমি মুসলমানদের মধ্য হতে একজন।’[3]
হাদীসে রসুলুল্লাহ (সা.) বলেন,
«بَلِّغُوْا عَنِّيْ وَلَوْ آيَةً».
‘আমার পক্ষ থেকে একটি বাণী হলেও পৌঁছে দাও।’[4]
রসুলুল্লাহ (সা.)-এর উদ্দেশ্য ছিল সারা দুনিয়ার মানুষ ইসলাম গ্রহণ করুক। এক আল্লাহর প্রতি ঈমান আনুক। আল্লাহকে ভয় করুক। আল্লাহর ইবাদত করুক। ইসলামের ওপর চলুক। দীন মতো জীবন যাপন করুক। সারা দুনিয়ার মানুষ জাহান্নাম থেকে মুক্তি পেয়ে জান্নাতবাসী হোক। বর্তমান তাবলীগ জামায়াতও একই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে বিশ্বব্যাপী দাওয়াত ও তাবলীগের মুবারক মেহনত চালিয়ে যাচ্ছেন। খালেস ও নির্ভেজাল দীনী এক মেহনত ও ভ্রাম্যমান এক পাঠশালার নাম হচ্ছে বর্তমান তাবলীগ জামায়াত।
দাওয়াত ও তাবলীগ নতুন কোনো আবিস্কার নয়। রসুলে আকরম (সা.) থেকে ধারাবাহিকভাবে এ কর্মসূচি চলে আসছে। একথা নির্দ্বিধায় বলা যায় পৃথিবীর সকল মসজিদ বায়তুল্লাহর শাখা। আর পৃথিবীর সমস্ত মাদারেসে দীনিয়া নবীজী (সা.)-এর দারুস সুফফার শাখা। অনুরূপভাবে বর্তমান তাবলীগ জামায়াত নবীজী (সা.)-এর দাওয়াত ও তাবলীগের শাখা। উদ্দেশ্য ও গন্তব্য যদি এক ও অভিন্ন হয় তাহলে গতি পথ ভিন্ন হলেও একই পথের পথিক বলা হয়। অতএব রসুলুল্লাহ (সা.)-এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য আর বর্তমান তাবলীগ জামায়াতের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য যেহেতু এক ও অভিন্ন সেহেতেু বলা যায় বতর্মান দাওয়াত ও তাবলীগ আর নবীজী (সা.)-এর দাওয়াত ও তাবলীগ এক ও অভিন্ন। মসজিদ মাদরাসাসহ দীনের অন্যান্য প্রতিষ্টানগুলো যেভাবে সংস্কার হয়েছে সেই একই ধারায় মুজাদ্দেদে মিল্লাত হজরতজি হজরত মাওলানা ইলিয়াস (রহ.) শরীয়ার আলোকে মুবারক এ মেহনত ও কাফেলার সংস্কার, যুগোপযোগী পরির্বতন, পরিবর্ধন, পরিমার্জন, মডিফাই ও আপডেট করেছেন মাত্র। হজরতজির এ গবেষণাধর্মী জামায়াত পৃথিবীতে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। নিরব বিপ্লব ঘটিয়েছে। নিঃসন্দেহে এর মাধ্যমে মানবজাতি উপকৃত হচ্ছে। সমাজ আলোকিত হচ্ছে। গোমরাহি তথা বদদীন দূরীভূত হচ্ছে। এ মুবারক মেহনতের ওপর মুসলিম উম্মাহর ইজমা হয়েছে এবং সারা দুনিয়ায় এ মেহনত প্রশংসিত ও সমাদৃত হয়েছে।
লিল্লাহিয়াত, মুখলিস, খাঁটি, নিরব ও প্রচার বিমুখ একটি জামায়াতের নাম হচ্ছে তাবলীগ জামায়াত। যাদের ইখলাস, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে অমুসলিমরাও কখনো প্রশ্ন তোলার সুযোগ পায়নি। এক কথায় সকল বিতর্ক ও সমালোচনার ঊর্ধ্বে। প্রত্যেক শ্রেণি-পেশার মুসলমানের আস্থা ও ভালবাসার প্রতিক। তবে অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় সাম্প্রতিককালে সেই তাবলীগ জামায়াত নিয়ে নানামুখী ষড়যন্ত্র লক্ষ করা যাচ্ছে! মুসলমানের হৃদয় মক্কা ও মদীনার তত্ত্বাবধায়ক সৌদি প্রশাসন হঠাৎ করে তাবলীগ জামায়াতের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করায় হতবাক মুসলিম বিশ্ব! শতবর্ষী একটি প্রাচীন মেহনতের প্রতি সৌদি সরকারের বিদ্বেষপ্রসূত বক্তব্য! ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স দপ্তরের অদ্ভুদ নির্দেশনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন মুসলিম বিশ্বের স্কলাররা। তাবলীগ জামায়াত সন্ত্রাসবাদের প্রবেশদ্বার এমন আষাড়ে গল্প! তাবলীগীরা কবরকে সেজদার স্থান বানায় এমন কাল্পনিক-আজগুবি তথ্য সৌদি প্রশাসন কোথায় পেলেন? বিগত ১০০ বছরেও কী সৌদি সরকার ও প্রশাসনের তাবলীগ জামায়াতের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ও আকীদা-কর্মসূচি সম্পর্কে সম্মক জ্ঞান ও তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি? অন্ধ হলে কী প্রলয় বন্ধ থাকে? কারা সৌদি প্রশাসনকে এই ধরনের ভূয়া তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করলো? সেসব ফিতনাবাজদের চিহ্ণিত করতে হবে। দলিল-প্রমাণ ছাড়া ভিত্তিহীন অভিযোগ দিয়ে পরীক্ষিত ও প্রমাণিত একটি সত্য কাফেলার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হঠকারিতা নয় কী? সৌদি সরকারের এমন সিদ্ধান্ত বিশ্বের কোটি কোটি মুসলমানের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে! অবিলম্বে এই আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে। নুরানি মাদরাসায় আমাদের কচি-কাঁচা শিশুরা নবীজী (সা.)-এর একটি হাদীস দরাজ গলায় পড়তে শোনা যায়। যাচাই-বাছাই না করে মিথ্যুকের ভাষায় কথা বলা মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য এটুকুই যতেষ্ট।
আমাদের দেশে আহলে হাদীস তথা সহীহ আকীদার নামে একটি গোষ্ঠী দীর্ঘ দিন যাবৎ মুসলমানদের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টির পায়তারা করছে। তারা আহলে হক ওলামায়ে কেরামের বিরুদ্ধে বিষোদগার ও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। মাঠে-ময়দানে তাদের বক্তারা নিজেদের বড় শায়খ জাহির করতে বিরোধপূর্ণ মাসআলাগুলো যেভাবে সর্বসাধারণের মাঝে উপস্থাপন করেন, অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় সহীহ আকীদার নামে তারা মানুষকে গোমরাহ করার মিশনে নেমেছেন। আহলে হাদীসের নামে মুসলিম উম্মাহকে বিভক্ত করছেন। তাদের কর্মকাণ্ডে সাধারণ মানুষ ফিতনায় পড়ছে। এসব অপ্রয়োজনীয় বক্তব্য তথাকথিত শায়খদের কাছ থেকে প্রত্যাশা করি না। পবিত্র কুরআনে সূরা মুমিনূনে মুমিনের গুণাবলি বর্ণনা করা হয়েছে,
وَالَّذِيْنَ هُمْ عَنِ اللَّغْوِ مُعْرِضُوْنَۙ۰۰۳
‘যারা বেহুদা কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকে।’[5]
নামে আহলে হাদীস হলেও বাস্তবে তারা হাদীসবিরোধী। নিজেরাই একমাত্র সহীহ আর অন্যরা গায়রে সহীহ এ ধরনের মানসিকতা অহংকারের বহিঃপ্রকাশ ও হাদীসবিরোধী কর্মকাণ্ড। হাদীসে এসেছে,
«لَا يَدْخُلُ الْـجَنَّةَ أَحَدٌ فِيْ قَلْبِهِ مِثْقَالُ حَبَّةِ خَرْدَلٍ مِنْ كِبْرِيَاءَ».
‘যার অন্তরে বিন্দু পরিমাণ অহংকার থাকবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না।’[6]
কর্মজীবনে সুদীর্ঘ সময় সৌদি আরবে মসজিদে ইমামের দায়িত্বে ছিলাম। তাই তাদের অনেক কিছু স্বচক্ষে দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। অনেকে বলে থাকেন সৌদি আরবের লোকেরা নাকি আহলে হাদীস এ কথা র্নিলজ্জ মিথ্যাচার ও অপপ্রচার। সৌদি আরবে আহলে হাদীস নামে কোনো সংগঠন নেই। সৌদি জনগণ লা-মাযহাবীও নয়, বরং তারা হাম্বলী মাযহাবের অনুসারী। সৌদিরা তাবলীগ জামায়াতকে মনেপ্রাণে ভালবাসেন। বিশ্ব ইজতেমা থেকে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ভারতে সময় লাগিয়েছেন এমন ব্যক্তির সাথে আমার দীর্ঘ আলাপ-আলোচনা হয়েছে। নানা অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। তবে অনেক সৌদি তাবলীগ জামায়াত সম্পর্কে এখনো পরিপূর্ণ অবগত নয়। যারা অবগত এবং সংশ্লিষ্ট তারা তাবলীগ জামায়াতের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য একজন সৌদি আরবের জেদ্দা মসজিদে জরীর ইবনে তবারীর সম্মানিত খতীব ও জামিয়া মদীনা মুনাওয়ারার সাবেক অধ্যাপক ফযীলাতুশ শায়খ ড. ওয়াহীব বিন আবদুর রহমান আল-খাওজ হাফিযাহুল্লাহ। যিনি তাবলীগ জামায়াতে সময় লাগিয়েছেন এবং তাবলীগ জামায়াত সম্পর্কে উনার অভিমত ও অভিজ্ঞতা মুসলিম বিশ্বের সাথে শেয়ার করেছেন। তিনি বলেন, ‘সততা ও নিষ্ঠার সাথে বলছি এই জামায়াতে এমন কল্যাণ রয়েছে যা অন্য কোথাও নেই। সাহাবায়ে কেরামের গুণাবলি ও বৈশিষ্ট্য তাবলীগ জামায়াতের সাথীদের মাঝে লক্ষ করা যায়।’
নবীজী (সা.)-এর সংজ্ঞা ‘হককে অস্বীকার করা অহংকারের বহিঃপ্রকাশ!’ সত্য ও বাস্তবতা জানতে ও বুঝতে সৌদি সরকার ও প্রশাসনের অজ্ঞতা ও ব্যর্থতার কারণে সৌদি আরবে আগে থেকেই মসজিদে তাবলীগ জামায়াতের কার্যক্রম চলত না। তবে মসজিদের আশেপাশে তাবলীগ জামায়াতের অনুসারীরা জমায়েত হত এবং দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করত। প্রশাসনের হঠকারী সিদ্ধান্তের কারণে তাও কঠিন হয়ে পড়ল। এ ধরনের প্রজ্ঞাপন খুবই দুঃখজনক! তাবলীগ জামায়াতের প্রতি মস্তবড় জুলুম! মুসলিম মিল্লাতের প্রতি চরম অবিচার! উপমহাদেশ ও আরব বিশ্বের উচ্চ পর্যায়ের আহলে ইলমগণ একসাথে বসে পরস্পর আলোচনা পর্যালোচনার মাধ্যমে এই ভুল-বুঝাবুঝি ও বিভ্রান্তির অবসান করতে হবে। সারা বিশ্বে তাবলীগ জামায়াতের কার্যক্রম যেভাবে অবাধে চলছে অনুরূপভাবে বিশ্ব মুসলমানের প্রাণকেন্দ্র মক্কা-মদীনাসহ সমগ্র সৌদি আরবেও তাবলীগ জামায়াতের প্রবেশাধিকারসহ সকল কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে পরিচালনার সুযোগ দিতে হবে। আশা করি সৌদি সরকার মুসলিম বিশ্বের এ প্রাণের দাবির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করবে এবং তাদের গর্হিত সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করবে।
[1] আল-বুখারী, আস-সহীহ, দারু তওকিন নাজাত, বয়রুত, লেবনান (প্রথম সংস্করণ: ১৪২২ হি. = ২০০১ খ্রি.), খ. ১, পৃ. ২৩, হাদীস: ১০৪
[2] আল-কুরআন, সূরা আলে ইমরান, ৩:১০৪
[3] আল-কুরআন, সূরা ফুসসিলাত, ৪১:৩৩
[4] আল-বুখারী, আস-সহীহ, খ. 4, পৃ. 170, হাদীস: 3461
[5] আল-কুরআন, সূরা আল-মুমিনূন, ২৩:৩
[6] মুসলিম, আস-সহীহ, দারু ইয়াহইয়ায়িত তুরাস আল-আরবী, বয়রুত, লেবনান (প্রথম সংস্করণ: ১৩৭৪ হি. = ১৯৫৫ খ্রি.), খ. ১, পৃ. ৯৩, হাদীস: ৯১