শুক্রবার-১৬ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি-১৬ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-২রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাঠক অভিমত

ধন্যবাদ, যে বিভাগের অপেক্ষায় ছিলাম!

আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়ায় নতুন ভর্তি হওয়ার পর থেকেই পড়া-লেখা বিষয়ক অনেক সমস্যার সম্মুখিন হতাম। কিন্তু কোন সমস্যার কী সমাধান, তা জানার জন্য আসাতেযায়ে কেরামের শরাণাপন্ন হতে পারতাম না। স্বভাবজাত ভীতি লাজুকতার কারণে। কখন কি পড়বো? কিভাবে পড়বো? কি করবো? কিভাবে করবো? মনের এই প্রশ্নগুলো হৃদয়েই থেকে যেতো। তাই, তালিবুল ইলমের জরুরি দিক-নিদের্শনা সংবলিত একটি পত্রিকার জন্য খুবই অপেক্ষায় ছিলাম। এভাবে দুটি বছর চলে গেলো। তবে প্রয়োজনীয় দিক-নিদের্শনার অভাবে কাঙ্ক্ষিত সফলতা অর্জনে ব্যর্থ হচ্ছি। সহপাঠীদের সাথে মতবিনিময়ের পর অনুধাবন করতে সক্ষম হলাম যে, সমস্যায় আমি একা নয়। আরো অনেকেই সমস্যায় ভুগছে। তাই সব সময় নিজেকে এবং আমার মত দিশাহারা শিক্ষার্থীদের বিষয়ে চিন্তা করতাম এবং একটি উপযুক্ত পত্রিকার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করতাম।

আল-হামদু লিল্লাহ, অত্যন্ত সুখের বিষয় যে, জানুয়ারি ২০২০ সংখ্যার মাসিক আত-তাওহীদ হাতে আসার পরশিক্ষার্থীদের পাতা শিক্ষা পরামর্শবিভাগটি দেখে রীতিমতো চমকে উঠি। আনন্দে আত্মহারা হয়ে যাই। মনের অজান্তেই মুখ দিয়ে বের হয়ে গেল ধন্যবাদ-জাযাকাল্লাহ। বিভাগটির সম্পাদনায় আছেন আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়ার সিনিয়র শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের যোগ্য অভিভাবক, স্পষ্টভাষী সর্বমর্মী পাঠদানে সুপ্রসিদ্ধ আদর্শ শিক্ষক, প্রিয় উস্তাদ মাওলানা সলিমুদ্দিন মাহদি কাসেমী (হাফিযাহুল্লাহ)।

আমরা উক্ত বিভাগটি গভীরভাবে অধ্যয়ন করেছি। তাতে আমরা আমাদের জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করেত সক্ষম হচ্ছি। পথহারা শিক্ষার্থীরা পথের দিশা পাচ্ছে। এই বিভাগের উপকার আমাদের জীবনে অম্লান হয়ে থাকবে।

অতএব সম্মানিত সম্পাদক মহোদয় ড. খালিদ হোসেন হাফিযাহুল্লাহর নিকট বিনীত নিবেদন এই যে, ধারাবাহিকভাবে উক্ত বিভাগটি চালু রাখলে শিক্ষার্থীরা শিক্ষাজীবনে সফলতার সন্ধান পাবে এবং শিক্ষা জীবনের করণীয় বর্জনীয় নিরূপণে যথেষ্ট সহায়ক হবে।

পরিশেষে সম্মানিত সম্পাদক বিভাগীয় সম্পাদককে আবারো আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে আজকের মতো বিদায় নিলাম। আল্লাহ আপনাদেরকে সুস্থ দীর্ঘজীবী করুন, আমীন।

ইয়াছিন আরফাত (রাইহান)

শিক্ষার্থী: আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়া, চট্টগ্রাম

 

মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে ওড়না পরা মেয়েদের ক্লাসে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না

মেয়েদের ওড়না পরা নিষিদ্ধ করেছে রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ। এছাড়া ছেলেদের ড্রেস কোডে কোনো পরিবর্তন না আনা হলেও এখন থেকে সাদা টুপি না পরতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে বিভিন্নভাবে। ঢাকার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির এমন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অভিভাবক-শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ।

মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছেলেদের ড্রেস কোড হচ্ছে সাদা শার্ট, নেভিব্লু প্যান্ট, সাদা টুপি সাদা জুতা। ছেলেদের ড্রেস কোডে তেমন পরিবর্তন আনা হয়নি। তবে দীর্ঘদিন থেকে টুপি পরার নিয়ম থাকলেও তা অঘোষিতভাবে নিষেধ করা হয়েছে। বর্তমানে না পরলেও চলবে বলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে এবং মেয়েদের ড্রেস কোড ছিল নেভিব্লু ফ্রক, সাদা পায়জামা, বড় ওড়না, ক্রস বেল্ট তার ওপরে ওড়না এবং জুতা। বর্তমানে মেয়েদের ড্রেস হিসেবে নেভিব্লু ফ্রক, দুপাশে ফাঁড়া কামিজ, সাদা ক্রসবেল্ট জুতা পরতে বলা হয়েছে। বাড়তি ওড়না পরতে নিষেধ করা হয়েছে।

এমন নিষেধাজ্ঞায় জনমনে আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, গভর্নিং বডির সদস্য শিক্ষকদের এমন সিদ্ধান্তে শুধু ইসলামের অবমাননাই হচ্ছে না স্কুলটিও হারাচ্ছে তাদের ঐতিহ্য। প্রতিষ্ঠানের এমন নির্দেশনার পর নিরাপত্তাকর্মিরা যেসব মেয়ে ওড়না পরে স্কুলে এসেছে তাদের ঢুকতে দিচ্ছে না। অনেকে গেট থেকে ব্যাগে করে ওড়না নিয়ে স্কুলে ঢোকার পর ক্লাসে গিয়ে তা পরলেও শারীরিক শিক্ষাবিষয়ক শিক্ষকরা ক্লাসে গিয়ে অপরাধের জন্য মেয়েদের বকাঝকা করছেন।

অভিভাবক-শিক্ষার্থীবৃন্দ

একুশে জার্নাল, ১৫ জানুয়ারি ২০২০

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on pinterest
Pinterest
Share on telegram
Telegram
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

সর্বশেষ