জামেয়া ওয়েবসাইট

বুধবার-৯ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি-১৩ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ-২৮শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কাজী নজরুল ইসলাম: একুশ শতকে কেন অনিবার্য?

কাজী নজরুল ইসলাম: একুশ শতকে কেন অনিবার্য?

কাজী নজরুল ইসলাম: একুশ শতকে কেন অনিবার্য?

মুসা আল-হাফিজ

 

তাঁর আবির্ভাব ধুমকেতুর মতো। ধ্বংস, বিনাশ ও হত্যাকাতর পৃথিবীতে সহসা উতলে উঠলো লাল তুফান। ‘সৃষ্টিবৈরীর মহাত্রাস’রূপে সে অচিরেই নিজেকে ঘোষণা করলো, এবং মৃত্যুপূরীকে সজীব করতে তুলার প্রত্যয় উচ্চারণ করে ‘দহন-দীপ্তির দুঃসহমনোরমতায়’ বহুবর্ণিল বজ্রশিখার সাথে ছড়িয়ে পড়লো দিগন্তে দিগন্তে। স্তব্ধ বিস্ময়ে পৃথিবী লক্ষ্য করলো চিরদুর্দম, দুর্বিনীত নৃশংসের ছন্দময় সৌন্দর্য। তিনি বিদ্রোহ করলেন এক হাতে বাঁশের বাঁশী আর হাতে রণতূর্য নিয়ে, অগ্রদূত হয়ে উঠলেন বিশ্বশান্তিবাদের, উদ্গাতা হয়ে উঠলেন মানবতাবাদের, ব্যাখ্যাতা হয়ে উঠলেন স্বাধীনতা ও সাম্যের। মানুষের পর্ণকুঠির থেকে তিনি ছড়িয়ে দিয়েছিলেন বিপ্লবের বীজকণা। ‘রাজপ্রাসাদের খাসমহলের’ অন্তঃপুরের কার্ণিশে কার্ণিশে তা অনুরণন তুললো, কার্ণিশের পলেস্তরা খসানোর পূর্বমুহূর্ত পর্যন্ত, সাম্রাজ্যবাদী- স্বাধীনতাহরণকারী শক্তির কুৎসিত মারণাস্ত্রকে গুড়িয়ে না দেয়া পর্যন্ত বিদ্রোহের ঝড় থামবার ছিলো না। মানুষের আত্মশক্তির জাগরণ কামনা করে এবং মানবাধিকার হরণকারী শক্তির বিনাশ কামনা করে আকাশকাঁপানো নিনাদে তিনি কাব্য করেছেন। চারণিকের চারণবেশে বাংলাজনপদ, লোকপদ থেকে বিশ্বজনপদে ঘুরে বেড়িয়েছেন মাঙ্গলিক আত্মার গান গেয়ে গেয়ে। তার সেই গান যতটা ছিলো সাময়িক, তারচে বেশি ছিলো সময়োত্তর। ফলে তিনি বিদ্রোহী, সকল যুগের, সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে। সকল কালের, সকল অসাম্যের বিরুদ্ধে। কাব্যে পৃথিবীর আর কোথাও তার কোনো প্রতিতুলনা কিংবা প্রতিসাম্য নেই। শাশ্বতকালের মানব অস্তিত্ব সন্ধানী তিনি সেই মহান কবি, যিনি ধ্বংস ও সৃষ্টির সমন্বয়ে স্বীয় সত্তার উন্মোচন করেছেন।

কাজী নজরুলের কথাই বলছি। নিরন্দ্র অন্ধকারে উপমহাদেশের তেত্রিশ কোটি মানুষের জীবন যাপনকে মাথায় নিয়ে স্বাধীনতার বন্দরের দিকে তিনি যাত্রা করলেন। যাত্রা করলেন চড়াই উৎরাই আর বজ্রপাত ঠেলে ঠেলে। পরাধীন উপমহাদেশের অপরিসীম দুরাবস্থার ভিতর দিয়ে বিশ্বমানবাত্মার উৎপীড়িত চেহারা ও লুণ্ঠিত স্বাধীনতার ক্রন্দন তিনি শ্রবণ করলেন। নিপীড়িত মানুষের পৃথিবীটাই তখন ছিলো ঔপনিবেশিক করাল-প্রাচীরে কবরস্থ।

তিনি জানতেন এই করাল প্রাচীরের ভেতর যদি জীবনের উত্থান না ঘটে, তাহলে যেমন সম্ভব হবে না পরাধীনতার দেয়ালকে বিচূর্ণ করা, তেমনি অসম্ভব হয়ে রইবে জনগণের জীবন-জাগৃতি ও আত্মশক্তির উদ্বোধন। কবিকে নিজের চেতনাবোধের ভিতর থেকেই উচ্চারণের ভাষা খুঁজে নিতে হলো। ইকবাল যাকে বলেন খুদি, কাজী নজরুল নিজের সত্তার হিমাদ্রি শিখরে সেই শক্তির তেজ অনুভব করলেন। অতঃপর তাকে বিদ্রোহী কবিতা না লেখে উপায় ছিলো না। তার এই কবিতাটি ছিলো মহাবিস্ফোরণ যা কাঁপিয়ে দিলো করাল-প্রাচীরের বুনিয়াদ, ছাপিয়ে উঠলো বিরাজমান সব স্বাভাবিকতা এবং ঝাঁপিয়ে পড়লো গণসমুদ্রে নতুন জোয়ারের স্ফূর্তিতে। মুক্তধারা সৃষ্টির জন্যে এই-ই ছিলো যথেষ্ট। নড়ে উঠলো অচলায়তন। জাতীয় জীবনের অন্তরাত্মা উদ্দীপ্ত হলো নতুন করে। প্রবর্তিত হলো সৌন্দর্য ও সুস্থতার নতুন প্রেরণা, পরিবেশ ও প্রতিবেশের নৈরাজ্য ও অবক্ষয়কে দলিত-মথিত করে যা অবতীর্ণ হলো মহোত্তম এক যুদ্ধে, যে যুদ্ধ স্বাধীন করবে মানুষের শৃঙ্খলিত মানচিত্রকে। মুক্ত প্রভাত নিয়ে আসবে বন্দিআত্মার উঠানে।

‘মহাবিদ্রোহী রণক্লান্ত

আমি সেই দিন হবো শান্ত

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দন-রোল আকাশে-বাতাসে ধ্বণিবে না

অত্যাচারীর খড়গকৃপাণ ভীম রণভূমে রণিবে না

…. ….. …. …. …. …. ….

আমি পরশুরামের কঠোর কুঠার

নিঃক্ষত্রিয় করিব বিশ্ব, আনিব শান্তি শান্ত উদার।

আমি হল বলরাম-স্কন্ধে

আমি উপাড়ি ফেলিব অধীন-বিশ্ব অবহেলে নব সৃষ্টির মহানন্দে’

কিংবা

‘জরাগ্রস্থ জাতিরে শুনাই নবজীবনের গান

সেই যৌবন উন্মাদ বেগ, হে প্রিয়া তোমার দান’

কিংবা ‘আমি আপনারে ছাড়া করি না কাহারে কুর্ণিশ’

কাজী নজরুল আত্মার বন্দিত্বে কখনো বিশ্বাসী ছিলেন না। আপনাকে ছাড়া আর কাউকেই কুর্ণিশ করতে তিনি শিখেননি। শিখেননি প্রভুত্তকামী কোনো শক্তিদানবের সাথে বিন্দুমাত্র আপোষ। তিনি আপনাকে চিনতে পেরেছিলেন এবং সহসা তার সবগুলো বাঁধ খুলে গিয়েছিলো। ফলে বিশুদ্ধ এক স্বাধীন চিত্ততার জাগরণ তাকে করে তুলেছিলো জন্মস্বাধীন মানুষের অজর প্রতিনিধি। তার স্বপ্ন ছিলো মানুষের পরম মুক্তির এবং সে জন্যে অপরিহার্য ছিলো চিরস্বাধীন আত্মার উত্থান। এক আল্লাহর প্রতিনিধিত্বের অঙ্গীকারে তিনি খোঁজে পান সেই উত্থানের দিশা । কবির ভাষায়: ‘তারই শক্তিতে শক্তি লভিয়া হইয়া তাহারই ইচ্ছাধীন/মানুষ লভিবে পরম মুক্তি, হইবে আজাদ চিরস্বাধীন।’ তাওহীদের মধ্যেই রয়েছে মানুষের স্বাধীনতার বুনিয়াদ। এর অনুপস্থিতি বিশ্বমানব পরিবারের অখ-তাকে ভেঙে দেয়। ‘এই তাওহীদ-একত্ববাদ কালে কালে ভুলে এই মানব/হানাহানি করে ইহারাই হয় পাতাল তলের ঘোর দানব।’ যারা তাওহীদ বিরোধি, অবিশ্বাস ও মানবীয়, প্রভুত্তের প্রবক্তা, তারা মূলত জীবনকে সংকীর্ণতা, পায়রার খোপ ও ডোবার ক্লেদে প্রত্যক্ষ করতে অভ্যস্ত।

‘দাসের জীবন’ তারা শিখেছে এবং ‘নিত্যই মৃত্যুভীতির’ মধ্যে তারা ‘লালসার পাঁকে মুখ ঘষে।’ এই পৌরুষহীন ও বন্দি মানসকে কবি প্রত্যাখ্যান করেছেন। কেননা এরা সংকীর্ণ স্বার্থপুজায় নিমগ্ন হয়ে মানুষকে আবদ্ধ করতে চায় স্বীয় অধীনতায়। এরা হয়তো স্বাধীনতাহরণকারী, নতুবা স্বাধীনতাহরণকারী শক্তির ক্রীতদাস। এরাই মানুষের মধ্যে সৃষ্টি করে বৈষম্যের ভেদজ্ঞান। অতএব ‘জাতিতে জাতিতে মানুষে মানুষে অন্ধকারের এ ভেদজ্ঞান/অভেদ আহাদ মন্ত্রে টুটিবে সকলে হইবে এক সমান।’

জীবন্ত তাওহীদ ও জাগ্রত আত্মবোধ মানুষের চিত্তকে স্বাধীন করবে। তারপর কবি ডাক দিচ্ছেন, ‘আজাদ আত্মা আজাদ আত্মা সাড়া দাও, দাও সাড়া/এই গোলামির জিঞ্জিরে ধরি ভীম বেগে দাও নাড়া।’ এই যে আত্মার আজাদী, সেটা শুধু ভয়-ভীতি-শঙ্কা-হতাশা বা নৈরাশ্যের কবল থেকে নয়, ‘সফেদ দেও’ বা শ্বেত সাম্রাজ্যবাদের রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক কিংবা চিন্তানৈতিক গোলামীর জিঞ্জির থেকে আজাদী। সাম্প্রদায়িক ভেদবুদ্ধি, সামাজিক কুসংস্কার ও কূপমণ্ডুকতার অন্ধকার থেকে মুক্তি।

একটি ‘আজাদ আত্মা’ মানবতার মূর্তপ্রতীক হতে বাধ্য। কবির প্রত্যাশিত মুক্তি সংগ্রামের নিশানবরদার হতে বাধ্য। কাজী কবি তার সন্ধানে ছিলেন ব্যাকুল, ‘কোথা সে আজাদ? কোথায় পূর্ণ মুক্ত মুসলমান/এক আল্লাহ ছাড়া কাউকে ডরে না কোথা সে জিন্দাপ্রাণ।’ কবির বিশ্বাস, মানুষ প্রত্যেকেই একই বাপ মায়ের সন্তান। জাতির নামে, বর্ণের নামে, শ্রেণি, রাষ্ট্র, সম্প্রদায় কিংবা লিঙ্গের নামে কোনো বিভক্তি, কোনো সংঘাত কিংবা কোনো হানাহানি অন্যায়। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষের প্রতি দরদ ও সহনশীলতা নিয়ে কবিচিত্তের উত্থান ঘটেছে। কবি দেখেন, সৃষ্টির গভীরে মানুষে মানুষে কোনো ভেদজ্ঞান নেই। আছে কেবল বাইরের পরিচয়ে। যা থেকে জন্ম নিয়েছে বৈষম্যের অমানবিকতা। কবি তাই ঘোষণা করেন। ‘আল্লাহর দেওয়া পৃথিবীর ধন ধান্যে/সকলের সম অধিকার/রবী শশী আলো দেয় বৃষ্টি ঝরে/সমান সব ঘরে ইহাই নিয়ম আল্লার’। সুতরাং স্রষ্টার সত্যকে ধারণ করে উচ্ছেদ করতে হবে সমস্ত বৈষম্যের। সব অন্যায় ও নিপীড়নের করাল প্রাচীরকে উৎপাঠন করতে হবে প্রবল জাগরণে। কবি তাই ডাক দিচ্ছেন, ‘এক করে সঞ্চিত, বহু হয় বঞ্চিত/জাগো লাঞ্চিত জনগণ সবে, সংঘবদ্ধ হও/আপনার অধিকার জোর করে কেড়ে লও।’ উৎপীড়িতের ওপর পূজিগর্বী অভিজাতের অকথ্য অত্যাচার পীড়িত করেছে কবিকে। নিষ্ঠুরতা আর বঞ্চনার ক্ষত-বিক্ষত এই জীবনের প্রতি সহানুভূতির বেদনা ও প্রেমে কাজী কবির চোখের পাতা ভিজে যেতো। যতটা সামর্থ তাঁর, তার চেয়ে অনেক বেশি ব্যাকুলতা নিয়ে তিনি চেয়েছেন জীবনের বঞ্চনা ও মানবতার লাঞ্চনার অবসান। এক্ষেত্রে তিনি আশায় বসতি গেড়েছিলেন এবং মানুষের মহিমার বিজয়ের পক্ষে নিখিল স্রষ্টার আশীর্বাদে প্রাণবান ছিলো তার সেই আশা। ফলত তিনি ঘোষণা শুনিয়েছেন, ‘আসিতেছে শুভদিন/দিনে দিনে বহু বাড়িয়াছে দেনা, শুধিতে হইবে ঋণ।’ কবি তার আশাবাদের সমর্থন পেয়েছেন বিশ্ববাস্তবতায়। প্রকৃতির মধ্যেও তিনি উদ্ঘাটন করেছেন দুর্বলের পক্ষে সহানুভূতি। পাশবিক অবিচারের রক্তস্নাত কাহিনি সূর্যোদয়কে করে তুলছে ব্যথায় কাতর। ‘আজ নিখিলের বেদনা-আর্ত-পীড়িতের মাখি খুন/লালে লাল হয়ে উঠিছে নবীন প্রভাতের নবারুণ।’

কবি কেবল চেয়ে আছেন সেই নবজাগ্রত মুক্তি সংগ্রামীদের প্রতি, যারা সংগ্রামে-সাহসে মানবতার নবউদ্ভাসনের পথ রচনা করছে।  ‘তারাই মানুষ, তারাই দেবতা, গাহি তাহাদেরি গান/তাদেরি ব্যথিত বক্ষে পা ফেলে আসে নব উত্থান।’ কবি আকাশে বাতাসে সেই নবউত্থানের মার্চপাস্ট লক্ষ্য করেন। তিনি মুক্তি ও স্বাধীনতার পতাকা উড়তে দেখেন জাগরণের ঝড়ের ওপর। অধঃপতিত মানুষের মাথা তুলে দাঁড়াবার প্রয়াসে প্রত্যক্ষ করেন পুঁজিবাদী নিষ্ঠুরতার অনিবার্য অবসান। কারণ মানুষ পরাশক্তির উৎপীড়ন এবং স্বাধীনতাহরণকারী শক্তির বাঁধা বন্ধনকে পরোয়া করতে ভুলে গেছে। আধিপত্যবাদ চায় তাকে মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে। চিরপরাধীন করে রাখতে। কিন্তু আজ আর তা সম্ভব নয়। কারণ- ‘চিরঅবনত তুলিয়াছে আজ গগনে উচ্চশির/বান্দা আজিকে বন্ধন ছেদি ভেঙেছে কারা-প্রাচীর।’ যুদ্ধে, আঘাতে, কুঠিলতায় যারা উৎপীড়িত জনপদ ও রাষ্ট্র্রসমূহকে পায়েরতলে পিষ্ট করতে চায়, কবি দেখেছেন তাদের বিরুদ্ধে মানবাত্মার দুঃসাহসী প্রতিরোধ-জিহাদ। উৎপীড়ক ও উদ্ধত সাম্রাজ্যবাদের বুকে মরণ কামড় দেবার জন্য নিরক্ত ও নিশক্ত দেহে শক্তি সঞ্চয় করতে মরিয়া তৃতীয় বিশ্বের জনগণ। কবি সেই যুদ্ধে উদ্ধুদ্ধ করছেন মুক্তি সেনাদের আর কামনা করছেন নির্যাতিতের বিজয়:

‘ঐ দিকে দিকে বেজেছে ডংকা শংকা নাহিক আর

মরিয়ার বুকে মারণের বাণী উঠিয়াছে মার মার

রক্ত যা ছিল করেছে শোষণ

নিরক্ত দেহে হাড় দিয়ে রণ

শত শতাব্দী ভাঙেনি যে হাড় সেই হাড়ে ওঠে গান

জয় নিপীড়িত জনগণ জয়, জয় নব উত্থান।’

কাজী কবি যে সংগ্রামের অপরিহার্য দানা ছিটিয়ে গেছেন, জ্বলন্ত সমকালে কি তার চারা ও বৃক্ষ গজিয়ে উঠছে না পৃথিবীর দিকে দিকে? তিনি যে সংগ্রামের কাড়া-নাকাড়া বাজিয়ে গেছেন, তেমন যুদ্ধেই তো আজ না’রায়ে তাকবীর বলে ঝাপিয়ে পড়ছে এশিয়া-আফ্রিকার অজগ্র মুক্তিকামী। ‘শত শতাব্দী ভাঙেনি যে হাড়’ সেই হাড় থেকেই বিদ্রোহের শ্লোগান উচ্চনাদ তুলছে পৃথিবীময়।

সাম্যের জন্য, প্রেমের জন্য, স্বাধীনতার জন্য দিকে দিকে শংকানাশা যে ডংকার ঝংকার শুনা যায় , ঝাকড়া চুলের কাজী নজরুল যেনো সেই সুরের ভৈরবীতে প্রবল প্রাণের ফোয়ারা হয়ে জীবন্ত। স্বাধীনতাহরণকারী সাম্রাজ্যবাদ যতই উন্মাতাল হয়ে উঠছে, রক্তচোষা পুঁজিবাদ যতই শোষণের হাত প্রসারিত করছে, তৃতীয়বিশ্বের বুকচাপড়ানো ততই বেড়ে চলছে, ততই কাজী কবির দ্রোহের আহ্বান হয়ে উঠছে অনিবার্য। মুক্তির সৈনিকরা পৃথিবীর দিকে দিকে যতই ছড়িয়ে দিচ্ছে সংগ্রামের সাইমুম, ততই যেনো গমগমে কণ্ঠস্বরের ঝড় তুলে কাজী কবি গেয়ে উঠছেন, ‘জয় নিপীড়িত জনগণ জয়! জয় নব উত্থান।’

এই একুশ শতকের বিশ্বে মানবতার একান্ত আকাশে কাজী নজরুল উদ্ভাসিত হয়ে আছেন অধিকতরো শক্তি নিয়ে, মুক্তির যুক্তিতে!

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on pinterest
Pinterest
Share on telegram
Telegram
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

সর্বশেষ