শ্রীলংকায় মুসলিম নিপীড়ন
সাম্প্রতিক সময়ে শ্রীলংকায় নিরীহ মুসলমানদের ওপর দমন পীড়ন উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। সে দেশের ২০ লাখ মুসলিম নারী, পুরুষ ও শিশু-বৃদ্ধ উদ্বেগ ও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। স্বতন্ত্র ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য নিয়ে মুসলিম জাতিগোষ্ঠী দেশের তৃতীয় বৃহৎ ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। নারীদের হিজাব ও বোরকা নিয়েই বেশি করে বিদ্বেষ, ঘৃণা ও সহিংসতার ঘটনা ঘটছে। মুসলমানদের মালিকানাধীন দোকান পাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। মসজিদ ও মুসলিম বসতবাটি লক্ষ্য করে সিনহলি বৌদ্ধরা এলোপাতাড়ি পাথর ছুড়ে মারছে। খাবারে জন্মনিরোধক ট্যাবলেট মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে রাজনৈতিক নেতাদের এমন মিথ্যা অভিযোগে ২৫ জুন থেকে মুসলিম দাতব্য সংস্থা জনপোষা ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কলম্বোর ক্যান্সার হাসপাতাল ও কালুবোইলা হাসপাতালে ধর্ম, বর্ণ ও সম্প্রদায় নির্বিশেষে সংস্থাটির তরফ থেকে প্রতিদিন ২হাজার দরিদ্র রোগীকে বিনামূল্যে খাবার সরবরাহ করা হতো। ভয়ার্ত মুসলমানরা তাদের বাস্তুভিটে ছেড়ে অন্যত্র পালাচ্ছেন।
খ্রিস্টানদের ধর্মীয় উৎসব ইস্টার সানডে উদযাপনকালে ২১ এপ্রিল’১৯ রাজধানী কলম্বো ও তার আশপাশের তিনটি গির্জা ও তিনটি হোটেলসহ আটটি স্থানে সিরিজ বোমা হামলাকে কেন্দ্র করে শ্রীলংকার মুসলমানদের সন্দেহের চোখে দেখা হচ্ছে। উল্লেখ্য যে, এই হামলায় ৪২ বিদেশি নাগরিকসহ অন্তত ২৫৯ জন মানুষ প্রাণ হারান এবং ৫ শতাধিক মানুষ আহত হন। ইসলামিক স্টেট (IS) হামলার দায় স্বীকার করে। এর পর পরই আইএস এর পক্ষ থেকে একটি ভিডি প্রকাশ করা হয়। সেখানে দেখা যায়, রাইফেল হাতে জাহারান অন্য সাত তরুণকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি ছাড়া বাকি সবাই ছিল মুখোশ পরা। তারা ভিডিওটিতে আইএস নেতা আবু বকর আল-বাগদাদীর প্রতি আনুগত্য জানায়। এ ভিডিও প্রকাশিত হওয়ার পর, হামলার সঙ্গে জাহারানের সম্পৃক্ততার দাবি আরও জোরালো হয়।
সে দেশের সরকার ন্যাশনাল তাওহীদ জামায়াত নামে পরিচিত সংগঠনের শীর্ষ নেতা জাহরান হাশিম মুহাম্মদকে (৪০) হামলার মূল হোতা হিসেবে সন্দেহ করছে। পুলিশের ধারণা জাহরান নিজে কলম্বোর শাংরি-লা (Shangri La) হোটেলে আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছেন অথচ জাহরান হামলার বেশ কয়েক মাস আগে থেকে ছিলেন নিখোঁজ। জাহরানের মৃত্যু নিয়ে সৃষ্ট এই অস্পষ্টতা কাটাতেই অপরাধ তদন্ত অধিদপ্তর আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে ডিএনএ পরীক্ষা চালাবে। দৈনিক The Arab News-এর ভাষ্য অনুযায়ী তিনি এখন মালদ্বীপে আশ্রয় নিয়েছেন। প্রতিরক্ষামন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে The Guardian জানায় বোমা হামলাকারীরা সবাই শ্রীলংকান এবং অনেকে যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ায় পড়া লেখা করে। বোমা বিস্ফোরণের পর পর জাহরান হাশিমের পরিবারের ১৮ জন সদস্য নিখোঁজ হয়ে গেছেন অথবা মারা গেছেন। নিরাপত্তা বাহনীর সদস্যগণ জাহরানের গ্রামের বাড়ি কাত্তানকুডিতে অভিযান চালিয়ে তার বাবা, মা, দু’ভাই, স্ত্রী ও সন্তানদের হত্যা করে। (CNN, 28 April’19)
ইতোমধ্যে উগ্র বৌদ্ধদের দাবির মুখে শ্রীলঙ্কায় মুসলিম সম্প্রদায়ের ৯ মন্ত্রী এবং দু’মুসলিম গভর্নর পদত্যাগ করেন। সন্ন্যাসী-রাজনীতিবিদ সিনহলি জাতীয়তাবাদী জাথিকা হেলা উরুমায়া-জেএইচইউ-এর পার্লামেন্টে এমপি আথুরুলিয়া রথানা থেরো শ্রীলংকার বৌদ্ধদের সবচেয়ে পবিত্র স্থান ক্যান্ডির টুথ মন্দিরের বাইরে অনশন শুরু করেন। অনেক সন্ন্যাসী ও অজ্ঞ লোক এই অনশনে যোগ দিয়ে দেশে জাতীয়তাবাদী উন্মাদনা বাড়িয়ে দেন। তিনি মন্ত্রিসভার সদস্য রশিদ বাথিউদ্দিন, ওয়েস্টার্ন প্রভিন্সের গভর্নর আজাদ স্যালি ও ইস্টার্ন প্রভিন্সের গভর্নর হিজবুল্লাহকে তাদের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি করেন। থেরো দাবি করেন, এই তিন মুসলিম রাজনীতিবিদ কোনো না কোনোভাবে শ্রীলংকার মুসলিমদের মধ্যে উগ্রবাদ বৃদ্ধির জন্য দায়ী এবং আত্মঘাতী বোমারুদের নেতা জাহরান কাসিমের সাথে তাদের সম্পর্ক রয়েছে। এ ছাড়া ইস্টার্ন প্রভিন্সের গভর্নর হিজবুল্লাহ সৌদি আরবের তহবিলে ‘শরীয়া বিশ্ববিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠা করছেন এমন একটি অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে।
প্রধানমন্ত্রী বিক্রমাসিংহে বলেন, ‘শ্রীলঙ্কান গোয়েন্দা সংস্থা সম্ভাব্য হামলার বিষয়ে অবহিত ছিল ১০ দিন আগে থেকেই কিন্তু সেই তথ্য তাঁরা কোনো মন্ত্রীকে জানাননি।’ গত ৪ এবং ২০ এপ্রিল দু’দফায় ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা সশস্ত্র হামলা হতে পারে এমন বার্তা শ্রীলংকা সরকারকে দিয়েছিল কিন্তু এ নৃশংসতা ঠেকাতে সতর্কতামূলক কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। ঔদাসিন্য ও ব্যর্থতার দায়ভার সরকার এড়াতে পারে না। প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও পুলিশ প্রধানকে বরখাস্ত করে সরকার দায়িত্ব শেষ করে। প্রেসিডেন্ট বনাম প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার টানাপোড়েনে সুশাসন বাধাগ্রস্থ হয় এবং সমন্বয়হীনতা চোখে পড়ার মত। রাষ্ট্রের আইন শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বিধানের প্রশ্নটি আমলে নেয়া হয়নি। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব রাষ্ট্রপতির হাতে। রাষ্ট্রপতিপক্ষ প্রধানমন্ত্রীপক্ষকে গোয়েন্দা তথ্যটা জানাননি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার মুখপাত্র রজিথা সেনারত্ন বলেন, এটা দুনিয়ার একমাত্র দেশ যেখানে নিরাপত্তা বাহিনী প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দেয় না। সরকার আগাম ব্যবস্থা নিলে এই রক্তপাত এড়ানো যেত।
সহিংস মুসলিম বিদ্বেষী ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ায় বিশ্বের ৫৭টি মুসলিম দেশের সদস্য বিশিষ্ট ইসলামিক সম্মেলন সংস্থা (OIC) শ্রীলংকা কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করে দিয়েছে। এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ওআইসি খুব কাছ থেকে শ্রীলংকায় মুসলমানদের বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে। দেশটিতে মুসলিমদের বিরুদ্ধে ঘৃণা বেড়েছে যা অসহনীয়। এ অবস্থায় দেশটিতে মুসলিম সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। সন্ত্রাস কোনো ধর্ম বা সম্প্রদায় করে না, বরং চরমপন্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত।’
দেশটির মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর ক্রমবর্ধমান হামলার কারণে পাকিস্তান ও শ্রীলংকার মধ্যকার আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ হয়ে গেছে। শ্রীলংকার মুসলিম সম্প্রদায় পাকিস্তান থেকে শ্রীলংকায় চাল, আলু ও পোশাক আমদানি ও বাজারজাত করে থাকেন। হ্রাস পেয়েছে রফতানিও। দোকান, সুপার স্টোর ও গোডাউনে হামলা চালানোর আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। পাকিস্তান থেকে আমদানি করা পণ্যগুলো শ্রীলংকার বিমানবন্দরে পড়ে আছে। কিন্তু আমদানিকারকরা তা সেখান থেকে নিচ্ছে না। বেশিরভাগ পণ্য, বিশেষ করে সবজি ও ফল বিমানবন্দরে নষ্ট য়ে গেছে। এখন পর্যন্ত স্থানীয় বৌদ্ধ সন্ত্রাসীদের হামলায় মুসলিম সম্প্রদায়ের আনুমানিক ৫০ কোটি ডলারের মতো লোকসান হয়েছে। এছাড়া, পাকিস্তানি রফতানিকারকদের ৩ কোটি ডলারের মতো অর্থ পরিশোধ করা বাকি রয়েছে (দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন, ২০ মে ২০১৯)।
ভারত মহাসাগরে অবস্থিত দক্ষিণ এশিয়ার একটি দ্বীপ রাষ্ট্র শ্রীলংকা। শ্রীলংকার অর্থ পবিত্র দ্বীপ। পুরণো নাম সিলন। ১৯৭২ সালে এই নাম বদলে হয় শ্রীলংকা। এটা গণতান্ত্রিক সমাজতান্ত্রিক প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র। সরকার ব্যবস্থা সংসদীয় ও রাষ্ট্রপতিশাসিত পদ্ধতির mgš^q| শ্রী জয়াবর্ধেনেপুরা কোট্টে এর প্রশাসনিক রাজধানী এবং কলম্বো প্রধান বাণিজ্যিক শহর। সাড়ে ৬৫ হাজার বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই দেশে প্রায় ২ কোটি জনসংখ্যার বসবাস। পুরো দেশ মোট নয়টি প্রদেশে বিভক্ত। সিংহলি বৌদ্ধ সম্প্রদায় এই দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী। মূল জনগোষ্ঠীর তারা ৭০ শতাংশ। মুসলিম, হিন্দু, খ্রিস্টান দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। ১৩% হিন্দু, ১০% মুসলিম ও ৮% খ্রিস্টান। এক সময় পর্তুগিজ এবং ডাচ নিয়ন্ত্রিত ছিল শ্রীলঙ্কা। এরপর শাসন করে ব্রিটিশরা। ১৫০ বছর ব্রিটিশ শাসনের পর ১৯৪৮ সালে শ্রীলংকা স্বাধীনতা লাভ করে।
নৈসর্গিক সৌন্দর্য, নয়নাভিরাম সমুদ্রসৈকত, সবুজ উপত্যকা, পাহাড়ি বনভূমি, প্রাচীন স্থাপনা নিদর্শন, রুবি পাথরের প্রাচুর্য এবং সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের কারণে শ্রীলংকা সারা পৃথিবীর পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয়। প্রতিবছর প্রায় ১০ লাখ পর্যটক শ্রীলংকা পরিভ্রমণে আসেন। শ্রীলংকার মোট জাতীয় আয়ের একটি বড় অংশ পর্যটন খাত থেকেই আসে। মাথাপিছু আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে বার্ষিক ১১ হাজার মার্কিন ডলারে। তবে রক্তাক্ত বোমা বিস্ফোরণ এবং হামলা পরবর্তী সহিংসতা ও ভয়ার্ত পরিবেশ পর্যটন খাতে বড় ধরণের বিপর্যয় তৈরি করে। এই ঘটনা শ্রীলংকার অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদী নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। ২০০৪ সালের ভারত মহাসাগরে সৃষ্ট সুনামি এবং অতীতে বিভিন্ন মেয়াদে গৃহযুদ্ধের কবলে পড়ে দেশের অর্থনীতি এমনিতে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। দেশটির উত্তর এবং পূর্বাঞ্চলে সংখ্যাগরিষ্ঠ সিংহলিজ বৌদ্ধ এবং বৃহত্তম সংখ্যালঘু তামিল হিন্দুদের মধ্যে ২৬ বছর ধরে যুদ্ধ চলে। ১৯৮৩ সালের ২৩ জুলাই তারিখ থেকে লিবারেশন টাইগার্স অব তামিল ইলম (LTTE) দ্বীপের উত্তর ও পূর্ব অংশ নিয়ে তামিল জাতিগোষ্ঠীর জন্য একটি স্বাধীন তামিল রাষ্ট্র গঠনের লড়াই চালায়। সরকারি বাহিনী বিদ্রোহী তামিল টাইগারদের সর্বশেষ শক্ত ঘাঁটি দখল করে নেওয়ার পর ২০০৯ সালে সংঘাতের অবসান হয়। ই যুদ্ধে ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারায়।
স্বাধীনতা উত্তরকালে শ্রীলংকায় ধীরে ধীরে সাম্প্রদায়িকতা ও উগ্র জাতীয়তাবাদ বিকশিত হয়। রাজনীতিকগণ বিভেদের সুযোগ নেয়। বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে সম্পর্কের ইতিহাস খুব সুখকর নয়। ২০১২ সালে কট্টর বৌদ্ধরা ক্যান্ডি ও আশপাশের বেশ কিছু শহরের মুসলমানদের বাসা-বাড়ি মসজিদ এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। ২০১৩ সালের জুন মাসে বৌদ্ধ ভিক্ষুর নেতৃত্বে চরমপন্থী বৌদ্ধের একটি দল কলম্বোর শহরতলী দিয়ালায় অবস্থিত একটি মসজিদ লক্ষ্য করে পাথর ও পচা গোশত নিক্ষেপ করে। এ সময় তারা মসজিদ বন্ধের জন্য স্লোগান দিতে থাকে। ২০১২ সালের এপ্রিল মাসে ডাম্বুলো গ্রামের একটি মসজিদে হামলা চালিয়ে বৌদ্ধ ভিক্ষুরা মসজিদ ভেঙে দেয়। হামলাকারীদের দাবি ১৯৬২ সালে অবৈধভাবে ঐ মসজিদটি নির্মাণ করেছিল মুসলমানরা। ভারতের শিবসেনার মতো ধর্মীয় উগ্রবাদী বৌদ্ধরা শ্রীলংকায় ‘বদু বালা সেনা’ অথবা বুড্ডিস্ট ফোর্স নামে চরমপন্থী বৌদ্ধ সংগঠন গড়ে তোলে। তারা হালাল খাবারের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালায় এবং কুরগালায় অবস্থিত দশম শতাব্দীর একটি প্রাচীন মসজিদ ধ্বংসের আহবান জানায়।
এ মুহূর্তে শ্রীলংকান সরকারের দায়িত্ব হলো সাম্প্রদায়িক ও উগ্র জাতীয়তাবাদী শক্তিকে দমন করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পরিবেশ তৈরি করা। ২০ লাখ মুসলমানকে আস্থায় নিয়ে তাদের আর্থ-সামাজিক ও ধর্মীয় নিরাপত্তা বিধান করা এবং তাঁদের সহযোগিতায় বিপথগামী মুসলিম তরুণদের মূল স্রোতধারায় ফিরিয়ে আনা। এ ক্ষেত্রে বৌদ্ধসন্ন্যাসী ও রাজনীতিকদের ভূমিকা ও নৈতিক দায়িত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য সাম্প্রদায়িক সহনশীলতা ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা পূর্বশর্ত। অন্যথায় শ্রীলংকার প্রশাসন, অর্থনীতি, আইন শৃঙ্খলা ও সামাজিক নিরাপত্তা ভেঙে পড়বে। যুদ্ধবিধ্বস্ত শ্রীলংকা বেশি দিন অব্যবস্থাপনার ধকল সইতে পারবে না। এখনই সমস্যা কাটিয়ে ওঠার লক্ষ্যে পদক্ষেপ না নিলে অচিরে আরও ভয়াবহ ক্ষতির মাশুল গুণতে হবে।
ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন