জামেয়া ওয়েবসাইট

সোমবার-৭ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি-১১ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ-২৬শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে প্রিয়া সাহার নালিশ

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে প্রিয়া সাহার নালিশ

ড. খালিদ হোসেন

বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়া সাহা ওরফে প্রিয়া বালা wek^vm কর্তৃক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিষয়ে নালিশের ঘটনা প্রিন্ট ও সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় তুলেছে। তিনি মহিলা ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার সময় তিনি ছাত্র ইউনিয়নের রাজনীতির সঙ্গে ছিলেন সম্পৃক্ত।

গত ১৬ জুলাই ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার ২৭ ব্যক্তির সঙ্গে বৈঠক করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে ১৬টি দেশের প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করে। প্রিয়া সাহাও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পান। দেশগুলো হচ্ছে, মিয়ানমার, নিউজিল্যান্ড, ইয়েমেন, চীন, কিউবা, ইরিত্রিয়া, নাইজেরিয়া, তুরস্ক, ভিয়েতনাম, সুদান, ইরাক, আফগানিস্তান, ইরাক, উত্তর কোরিয়া, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, ইরান ও জার্মানিসহ আরও কয়েকটি দেশ।

এতে বাংলাদেশি পরিচয়ে প্রিয়া সাহা উপস্থিত হয়ে ট্রাম্পের কাছে অভিযোগ করেন, ‘আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি। বাংলাদেশে ৩ কোটি ৭০ লাখ হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান নিখোঁজ রয়েছেন। দয়া করে আমাদের লোকজনকে সহায়তা করুন। আমরা আমাদের দেশে থাকতে চাই। এখন সেখানে ১ কোটি ৮০ লাখ সংখ্যালঘু রয়েছে। আমরা আমাদের বাড়িঘর খুইয়েছি। তারা আমাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছে, তারা আমাদের ভূমি দখল করে নিয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো বিচার পাইনি।’

এক পর্যায়ে ট্রাম্প নিজেই সহানুভূতিশীল হয়ে প্রিয়া সাহার সঙ্গে হাত মেলান। এ সময় ট্রাম্প প্রশ্ন করেন, ‘কারা জমি দখল করেছে, কারা বাড়ি-ঘর দখল করেছে?’

ট্রাম্পের প্রশ্নের উত্তরে প্রিয়া সাহা বলেন, ‘তারা মুসলিম মৌলবাদি গ্রুপ এবং তারা রাজনৈতিক আশ্রয় পায়। সব সময়ই পায়।’ (নয়াদিগন্ত, ২০ জুলাই ২০১৯)

মার্কিন টিভি চ্যানেল এবিসি নেটওয়ার্কের চ্যানেল এবিসি ফোর ট্রাম্পের সঙ্গে প্রিয়া সাহার সেই সাক্ষাতকারের ভিডিও প্রকাশ করার পরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে সেটি।

প্রিয়া সাহার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘এসব পুরোপুরি মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যমূলক। কথা হচ্ছে যে, এ ধরনের অভিযোগ (সংখ্যালঘু নির্যাতন) বাংলাদেশের কোন মানুষই বিশ্বাস করবে না; করেও না। কারণ, এদেশ অসাম্প্রদায়িক চেতনার। ভিডিওতে যে মহিলাকে (প্রিয়া সাহা) কথা বলতে দেখা গেছে, তিনি তো আমাদের কাছে এসে এমন দুঃখের কথা কোনোদিন বলেন নি। পুলিশ প্রশাসন সবসময় সজাগ থাকে যেন দেশের কোনও জায়গায় সংখ্যালঘুরা কোনোভাবে অত্যাচারিত না হয়। ‘নিশ্চয়ই এর পেছনে কোনো উদ্দেশ্য আছে। আর তিনি যে বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া ও জমি কেড়ে নেওয়ার কথা বলেছেন, সেটা কোথায় হয়েছে, বলুক। এরপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ (বাংলা ট্রিবিউন, ১৯ জুলাই ২০১৯)

এদিকে ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার রাজধানীর মেরুল বাড্ডা বৌদ্ধমন্দিরে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, প্রিয়া সাহার অভিযোগ ঠিক নয়। বাংলাদেশ ধর্মীয় সহিষ্ণুতার নিদর্শন। বাংলাদেশ নিয়ে প্রিয়া সাহার মিথ্যা অভিযোগের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলম। নিজের ফেসবুক পেজে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রিয়া সাহা কেন এমনটি করলেন তার অভিযোগগুলোও সরকার শুনবে এবং খতিয়ে দেখবে। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পও জানেন যে তার কাছেও মিথ্যা অভিযোগ করা হয়। মার্কিন প্রশাসন তাদের এখানকার দূতাবাসের মাধ্যমেই প্রতিনিয়ত তথ্য পেয়ে থাকে এবং আমরা সার্বক্ষণিক যোগাযোগে থাকি।

যে প্রিয়া সাহা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নালিশ করছেন তাঁর স্বামী প্রজাতন্ত্রের দুর্নীতি দমন কমিশনের মত একটি দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানের উপপরিচালক। প্রিয়া সাহার বক্তব্যের অসাড়তা প্রমাণের জন্য কোন নিরপেক্ষ সংস্থার মাধ্যমে একটি নিবিড় জরিপ চালানো দরকার। প্রশাসন, বিচার, আইন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিভাগে এবং পুলিশ, আনসার, সীমান্তরক্ষী, কোস্টগার্ড, র‌্যাব, সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীতে কতজন সংখ্যালঘু উচ্চপদে রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করছেন তার একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা জনসমক্ষে আসা দরকার। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ তুলে প্রিয়া সাহা এক সাথে কয়েকটা উদ্দেশ্য চরিতার্থ করেন।

প্রথমত বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র যেখানে তাঁর জন্ম, বেড়ে উঠা, পড়া লেখা, জীবিকা অর্জন, ‘শারি’ নামে এনজিও পরিচালনা, স্বামী সংসার, সেই দেশের বিরুদ্ধে তিনি জঘন্য মিথ্যাচার করেন এবং বাংলাদেশের অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে ক্ষতিগ্রস্থ করে দেন।

দ্বিতীয়ত সংখ্যালঘুদের ‘ডিসেপিয়ার’, বাড়ি ঘরে অগ্নিসংযোগ, জমি দখল, বাস্তুভিটা থেকে উচ্ছেদ এ জাতীয় কোন ঘটনা বাস্তবে ঘটে থাকলে তিনি তাঁর ফোরাম থেকে যথাযথ কর্তৃপক্ষের গোচরিভূত করতে পারতেন। তথ্য উপাত্ত নিয়ে হাইকোর্টে রিট করতে পারতেন। কিন্তু তিনি বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করে দিলেন।

তৃতীয়ত বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ বর্তমান সরকারের সাথে ঘনিষ্ট। সরকার তাদের রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নে এই সংগঠনকে ব্যবহার করে থাকে। এর সভাপতি অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত মানবতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধের জন্য গঠিত ট্রাইবুন্যালের সরকার নিযুক্ত প্রসিকিউটর। প্রিয়া সাহার কথায় সরকার বিব্রত অবস্থায় পড়েছে।

চতুর্থত প্রিয়া সাহার বাবার বাড়ি পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার চরবানিয়ারী গ্রামে। সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ তুলে তিনি ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সুবিধা অর্জনের চেষ্টায় রয়েছেন বলে পিরোজপুরের সাংবাদিক মহল ও এনজিও সেক্টরের ব্যক্তিরা অভিমত ব্যক্ত করেন। তাঁর দুই মেয়ে প্রজ্ঞা পারমিতা সাহা ও ঐশ্বর্য লক্ষ্মী সাহা যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পিরোজপুরের এক এনজিও কর্মী বলেন, হয়তো নিজের মেয়েদেরকে গ্রিনকার্ড পাইয়ে দেওয়ার জন্য প্রিয়া সাহা ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে এ সব ভিত্তিহীন অভিযোগ করছেন। (ইত্তেফাক, ১৯ জুলাই ২০১৯) তাঁর নিজের অথবা স্বামীর এমন কি আয় যার মাধ্যমে তাঁদের দু’মেয়েকে আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করাচ্ছেন, এমন প্রশ্ন অনেকে তুলছেন।

পঞ্চমত এই মন্তব্যের মাধ্যমে ‘শারি’ নামে বাংলাদেশের দলিত সমপ্রদায় নিয়ে তিনি যে এনজিও পরিচালনা করেন তার জন্য বৈদেশিক সাহায্যের পথ খুলে যাবে। অনেকে তাঁর প্রতি হয়তো সহানুভূতিশীল হয়ে পড়বেন।

ষষ্টত চরম মুসলিম বিদ্বেষী প্রেসিডেস্ট ট্রাম্পকে মিথ্যা নালিশ করে তিনি বিশ্বব্যাপী সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প উস্কে দিয়েছেন।

সপ্তমত বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে মাঝে মধ্যে এ দেশে যেসব কথা বলেন প্রিয়া সাহার বক্তব্যেও তার প্রতিধ্বনি পাওয়া যায়। প্রিয়া সাহার ‘ডিসেপিয়ার’ এবং এডভোকেট রানা দাশগুপ্তের ‘মিসিং পিপল’ এর মধ্যে বেশি ফারাক নেই। নিরাপত্তাহীনতার কারণে ফরিদপুরের হিন্দুরা দেশ ত্যাগ করছে এমন বক্তব্য দেয়ায় ২০১৫ সালে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক রানা দাশগুপ্তের বিরুদ্ধে নোটিশ ইস্যু করেন। এইসব ব্যাপারে সরকারের অবস্থান পরিষ্কার করা প্রয়োজন।

একথা দুনিয়াবাসী জানে বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পাদপীঠ। এখানে ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি নেই। এই দেশে আরএসএস বা বজরং দলের মত উগ্র সাম্প্রদায়িক সংগঠন নেই। এখানে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, পাহাড়ি সবাই শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে বসবাস করে আসছে। কদাচিৎ কোন সহিংস ঘটনা ঘটে থাকলে তা বিচ্ছিন্ন। ধর্মচর্চা, ধর্মানুশীলন, শিক্ষার্জন ও চাকুরির ক্ষেত্রে কোন ভেদ বৈষম্য নেই। রাষ্ট্রের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর ও বিভাগের স্তরে স্তরে সংখ্যালঘু কর্মকর্তাবৃন্দ উচ্চপদে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। সংখ্যালঘুভূক্ত বিভিন্ন সম্প্রদায় আলাদা আলাদাভাবে মোট জনসংখ্যার কত পার্সেন্ট আর চাকুরিতে তাঁদের অবস্থান কী? এ প্রসঙ্গটি তোলা অসঙ্গত হবে না।

এডভোকেট রানা দাশগুপ্ত বলেন, পাকিস্তানের পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী ’৪৭-এর দেশভাগের পর অবিভক্ত পাকিস্তানে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী ছিল ২৯ দশমিক ৭ শতাংশ। ’৭১ সালের পর তা কমে ১৯ থেকে ২০ শতাংশে নেমে আসে। আর বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০১১ সালের সর্বশেষ জরিপে ওই হার ৯ দশমিক ৭ শতাংশে নেমে এসেছে। অর্থনীতিতে একে বলা হয় মিসিং পিপল আর বাংলায় একে নিরুদ্দিষ্ট বা হারিয়ে যাওয়া জনগোষ্ঠী হিসেবে অভিহিত করা হয়। (প্রথম আলো, ২০ জুলাই ২০১৯)

৪৭-এর দেশভাগের পর নানা কারণে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী বিশেষত সনাতন ধর্মাবলম্বীগণ ভারতে আশ্রয় নিতে থাকেন। পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠীর হিন্দুবিদ্বেষ, ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ, ১৯৯২ সালের বাবরি মসজিদ ভাঙ্গা নিয়ে উত্তেজনা, বাংলাদেশের অস্থির রাজনৈতিক পরিবেশ এর অন্যতম কারণ। ধর্মীয় ও জনসংখ্যাগত কারণে সনাতন ধর্মাবলম্বীগণ ভারতকে অধিকতর নিরাপদ মনে করেন। ওপারে তাঁদের অনেক আত্মীয়-স্বজন রয়েছেন। তথ্য নিলে স্পষ্ট হবে বাংলাদেশের অপেক্ষাকৃত অবস্থাসম্পন্ন হিন্দুজনগোষ্ঠীর সন্তানেরা ভারতের বিভিন্ন বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করে। অনেক পরিবারের একাধিক সদস্য পশ্চিমবঙ্গে জমি কিনে বাড়ি করেছেন এবং চাকরি ও ব্যবসার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করেন। কেবল নিরাপত্তার অভাবে দেশ ছেড়েছেন এই কথা সত্য নয়। স্বেচ্ছা উদ্যোগের হার বেশি। এমন নজিরও আছে সারা জীবন এই দেশে চাকরি করে অবসর নেওয়ার পর পেনশন, প্রভিডেন্ট ফান্ড ও গ্রাচুয়েটি নিয়ে ভারতে পাড়ি জমিয়েছেন। সম্প্রদায়, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে কোন নাগরিক নিরাপত্তাহীনতায় ভোগবেন এটা আমাদের কাম্য নয়। যে ধর্মেরই হোক কেউ যদি কারো জমি দখল করে, বাস্তুভিটা উচ্ছেদ করে, গৃহে অগ্নিসংযোগ করে, ভীতিসঞ্চার করে, নারীদের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করে এবং দেশত্যাগে বাধ্য করে তাহলে আইন অনুযায়ী অপরাধীর কঠোর বিচার হোক। আমরা চাই আইনের শাসন সমুন্নত ও অসাম্প্রদায়িক চেতনা অটুট থাকুক। সংবিধানে প্রতিটি নাগরিকের অধিকারের স্বীকৃতি রয়েছে। মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, পাহাড়ী নির্বিশেষে প্রত্যেকেই এই দেশের স্বাধীন নাগরিক। আমরা এই দেশকে ভালবাসি। বহুত্ববাদী সমাজ (Pluralistic Society) আমাদের বৈশিষ্ঠ্য। বৈচিত্র্যের মাঝে সংহতি আমাদের বজায় রাখতে হবে। গুটি কয়েক ব্যক্তির মিথ্যা ও উদ্দেশ্যমূলক প্রচারণায় বিভ্রান্ত হলে চলবে না। তারা ওপরেরটাও খায় তলারটাও কুড়ায়।

লেখক: অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক, ওমরগনি এমইএস কলেজ, চট্টগ্রাম

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on pinterest
Pinterest
Share on telegram
Telegram
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

সর্বশেষ