ওলামায়ে কেরামের সমালোচনার অশুভ পরিণাম
আবিদুর রহমান তালুকদার
সাধারণ মুসলমানের দোষ-ত্রুটি অন্বেষণ ও কুৎসা রটনা ইসলামে নিষিদ্ধ ও গর্হিত। ওলামায়ে কেরাম হলেন জাতির সূর্যসন্তান ও উম্মতের বিবেক। কুরআনের ভাষায় তারাই আল্লাহকে অধিকতর ভয় করে। কুরআন-সুন্নাহর বিস্তারে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করার কারণে তারা নবির ওয়ারিশ হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন। এ মুবারক জামায়াতের সমালোচনা একটি জঘন্যতম মহাপাপ। এমনিতেই সাধারণ মুসলমানের গিবত করাকে আল-কুরআনে মৃত ভাইয়ের গোশত ভক্ষণের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। মুসলমান ভাইয়ের গিবত দুনিয়া-আখিরাতের সমূহ ক্ষতির কারণ। ওলামায়ে কেরামের সমালোচনা ও তাদের গিবত করা মৃত্যুর সময় ঈমান-হারা হওয়ার মতো অশুভ পরিণাম ডেকে আনতে পারে। ইমাম ইবনে আসাকির (রহ.) বলেন,
إِنَّ لُـحُوْم الْعُلَمَاءِ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِمْ مَسْمُوْمَةٌ.
‘ওলামায়ে কেরামের নিন্দাবাদ ও সমালোচনা খুবই বিষাক্ত।’[1]
শরীয়তে মুমিনের মর্যাদা
রাসুল (সা.) একজন মুসলমানের নিকট অপর মুসলমানের রক্ত-মাংস, ধন-সম্পদ ও মান-ইজ্জত অতীব মর্যাদাবান বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বিদায় হজের প্রাক্কালে আরাফাতের মাঠে ঘোষণা করেন,
«فَإِنَّ دِمَاءَكُمْ وَأَمْوَالَكُمْ وَأَعْرَاضَكُمْ عَلَيْكُمْ حَرَامٌ، كَحُرْمَةِ يَوْمِكُمْ هَذَا، فِيْ بَلَدِكُمْ هَذَا، فِي شَهْرِكُمْ هَذَا».
‘আরাফাতের দিন, জিলহজ মাস ও মক্কা শহর যেভাবে সম্মানিত, মুসলমানের ধন-সম্পদ ও ইজ্জত সম্মানও ঠিক তেমন মর্যাদাবান।’[2]
ইসলামে একজন সাধারণ মুসলমানের ইজ্জত-সম্মান বায়তুল্লাহর ইজ্জতের চেয়েও অধিকতর মর্যদাবান। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রাযি.) বর্ণনা করেন,
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ، قَالَ: رَأَيْتُ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ يَطُوْفُ بِالْكَعْبَةِ، وَيَقُوْلُ: «مَا أَطْيَبَكِ وَأَطْيَبَ رِيْحَكِ، مَا أَعْظَمَكِ وَأَعْظَمَ حُرْمَتَكِ، وَالَّذِيْ نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ، لَـحُرْمَةُ الْـمُؤْمِنِ أَعْظَمُ عِنْدَ اللهِ حُرْمَةً مِنْكِ، مَالِهِ، وَدَمِهِ، وَأَنْ نَظُنَّ بِهِ إِلَّا خَيْرًا».
‘হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রাযি.) বর্ণনা করেন, আমি রাসুল (সা.)-কে কাবা তাওয়াফ করার সময় দেখেছি, তিনি কাবাকে সম্বোধন করে বলছেন, ‘হে কাবা! তুমি কতো পবিত্র! তোমার আলো-বাতাস কতো মনোরম! তুমি কতো মহান! তোমার সম্মান কতো মহান! মুহাম্মদ এর জীবন যার হাতে সে আল্লাহর কসম! আল্লাহর নিকট তুমি অতি সম্মানিত। তবে মুমিনের ইজ্জত আল্লাহর নিকট তোমার সম্মানের চেয়ে অধিক। তার ধন-সম্পদ ও রক্ত-মাংসও তেমন মর্যাদাবান।’’[3]
যারা সদা-সর্বদা মানুষের দুর্নাম করে তাদের ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَيْلٌ لِّكُلِّ هُمَزَةٍ لُّمَزَةِۙ۰۰۱
‘যারা প্রকাশ্যে ও অপ্রকাশ্যে মানুষের নিন্দাবাদ করে তাদের জন্য দুর্ভোগ।’[4]
ওলামায়ে কেরামের মর্যাদা
ইসলামি শরীয়তের রক্ষণাবেণের দায়িত্ব ওলামায়ে কেরামের হাতে ন্যস্ত। এ সুবাদে নবি-রসূলের পর তারাই অধিকতর মর্যাদার অধিকারী। আল্লাহ ও তাঁর রসূলের অনুগত্যের পর ওলামায়ে কেরামের অনুগত্যের বিষয়ে আল-কুরআনে সুস্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন,
يٰۤاَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْۤا اَطِيْعُوا اللّٰهَ وَاَطِيْعُوا الرَّسُوْلَ وَاُولِي الْاَمْرِ مِنْكُمْۚ ؒ۰۰۵۹
‘তোমরা আল্লাহ, তাঁর রাসুল ও ওলামায়ে কেরামের অনুগত্য করো।’[5]
একত্ববাদ ও সত্যের সাক্ষ্যদানের ক্ষেত্রে আল্লাহ ও ফেরেশতাদের সাথে ওলামায়ে কেরামকে সংযুক্ত করে স্বয়ং রব্বুল আলামীন বলেন,
شَهِدَ اللّٰهُ اَنَّهٗ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ١ۙ وَالْمَلٰٓىِٕكَةُ وَاُولُوا الْعِلْمِ قَآىِٕمًۢا بِالْقِسْطِؕ۰۰۱۸
‘আল্লাহ ও ফেরেশতাগণ এ কথার সাক্ষ্য দিয়েছেন যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই। আর আহলে ইলমগণ (ওলামায়ে কেরাম) ন্যায়বিচারের ওপর অধিষ্ঠিত।’[6]
যারা ওলামায়ে কেরামের অধিকার সম্পর্কে সচেতন নয়, ইসলামি শরীয়তে তারা এ উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়। রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন,
«لَيْسَ مِنْ أُمَّتِي مَنْ لَـمْ يُجِلَّ كَبِيْرَنَا، وَيَرْحَمْ صَغِيْرَنَا، وَيَعْرِفْ لِعَالِـمِنَا حَقَّهُ».
‘যারা বড়দের সমীহ করে না, ছোটদের স্নেহ করে না এবং ওলামায়ে কেরামের ইজ্জত করে না, তারা আমার দলভুক্ত নয়।’[7]
যারা আল্লাহর অলিদের সাথে শত্রুতা পোষণ করে, তাদের বিরুদ্ধে আল্লাহ তাআলা যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছেন মর্মে হাদীসে কুদসিতে বর্ণিত আছে। আল্লাহর বন্ধু ও অলি হওয়ার ক্ষেত্রে ওলামায়ে কেরামের চেয়ে কেউ বেশি হকদার হতে পারে না। রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন,
عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ: «إِنَّ اللهَ قَالَ: مَنْ عَادَىٰ لِيْ وَلِيًّا فَقَدْ آذَنْتُهُ بِالْـحَرْبِ».
‘হযরত আবু হুরাইরা (রাযি.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘আল্লাহ তাআলা বলেন, যারা আমার অলির সাথে শত্রুতা পোষণ করে, তাদের বিরুদ্ধে আমি যুদ্ধ ঘোষণা করলাম।’’[8]
মুসলমানদের শেষ রাতে নামাযের জন্য জাগ্রত করার কারণে রাসুল (সা.) মোরগের তিরস্কার করতে নিষেধ করেছেন। আর যে সকল ওলামায়ে কেরাম দীনের জন্য সর্বস্ব ত্যাগ করে সার্বক্ষণিক মানুষকে আল্লাহর পথে আহ্বান জানায়, তাদের সমালোচনার কী পরিণতি হতে পারে? রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন,
«لَا تَسُبُّوا الدِّيكَ فَإِنَّهُ يُوقِظُ لِلصَّلَاةِ».
‘তোমরা মোরগকে গালমন্দ করো না। কেননা মোরগ মানুষকে নামাযের জন্য জাগ্রত করে।’[9]
ওলামায়ে কেরামের মান-মর্যাদা প্রসঙ্গে হাসান আল-বাসরী (রহ.) বলেন,
«الدُّنْيَا كُلُّهَا ظُلْمَةٌ إِلَّا مَجَالِسَ الْعُلَمَاءِ».
‘আলিমদের মজলিস ব্যতীত সমগ্র পৃথিবী অন্ধকারাচ্ছন্ন।’[10]
ইমাম আবু জা’ফর আত-তাহাওয়ী (রহ.) বলেন,
وَعُلَمَاءُ السَّلَفِ مِنَ السَّابِقِيْنَ، وَمَنْ بَعْدَهُمْ مِنَ التَّابِعِيْنَ – أَهْلِ الْـخَيْرِ وَالْأَثَرِ، وَأَهْلِ الْفِقْهِ وَالنَّظَرِ – لَا يُذْكَرُوْنَ إِلَّا بِالْـجَمِيْلِ، وَمَنْ ذَكَرَهُمْ بِسُوءٍ فَهُوَ عَلَىٰ غَيْرِ السَّبِيْلِ.
‘পূর্ববর্তী ওলামায়ে কেরাম, তাদের অনুসারীগণ, উম্মতের চিন্তাশীল ও কল্যাণকামী সকল ফকীহ ওলামায়ে কেরামকে সুন্দর অভিধায় স্মরণ করেছেন। যারা তাদেরকে মন্দ বিশেষণে আলোচনা করে তারা বিপথগামী ও পথভ্রষ্ট।’[11]
ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ.) থেকে বর্ণিত,
لحوم العلماء مسمومة، من شمها مرض، ومن أكلها مات.
‘ওলামায়ে কেরামের দুর্নাম ও নিন্দাবাদ খুবই বিষাক্ত। যে এ বিষের ঘ্রাণ নেবে সে রোগাক্রান্ত হয়ে পড়বে, আর যে এ বিষ ভক্ষণ করবে তার মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী।’[12]
ইমাম আবদুল্লাহ ইবনুল মুবারক (রহ.) বলেন,
مَنِ اسْتَخَفَّ بِالْعُلَمَاءِ، ذَهَبتْ آخِرَتُهُ، وَمَنِ اسْتَخَفَّ بِالأُمَرَاءِ، ذَهَبتْ دُنْيَاهُ، وَمَنِ اسْتَخَفَّ بِالإِخْوَانِ، ذَهَبتْ مُرُوءتُهُ.
‘যারা ওলামায়ে কেরামকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করবে তাদের আখিরাত নষ্ট হয়ে যাবে, যারা রাষ্ট্রের কর্তাব্যক্তিদের তিরস্কার করবে তাদের দুনিয়া ধ্বংস হয়ে যাবে। আর যারা নিজ ভ্রাতৃবর্গের নিন্দাবাদ করবে তাদের মানবিকতায় ধস নামবে।’[13]
ইমাম আহমদ ইবনে আযরায়ী (রহ.) বলেন,
الوقيعة في أهل العلم لا سيما أكابرهم من كبائر الذنوب.
‘আহলে ইলমদের গিবত করা বিশেষত এই উম্মতের অগ্রবর্তী ওলামায়ে কেরামের কুৎসা রটনা করা কবিরা গোনাহের অন্তর্ভুক্ত।’[14]
ওলামায়ে কেরামের কুৎসা রটনাকারীদের শাস্তি
ওলামায়ে কেরাম নবীর উত্তরসূরি ও শরীয়তের হেফাজতকারী। তাঁদের অপমান ও অসম্মান করা নবি-রাসুলদের অসম্মান করার সমতুল্য। তাদের সাথে বেয়াদবির পনিাম অশুভ ও ভয়াবহ। ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ.) বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন,
خِيَارُ عِبَادِ اللهِ الَّذِيْنَ إِذَا رُءُوْا، ذُكِرَ اللهُ، وَشِرَارُ عِبَادِ اللهِ الْـمَشَّاءُوْنَ بِالنَّمِيْمَةِ، الْـمُفَرِّقُوْنَ بَيْنَ الْأَحِبَّةِ، الْبَاغُوْنَ الْبُرَآءَ الْعَنَتَ.
‘আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে সর্বোত্তম ব্যক্তি হলো যাদের দেখলে অল্লাহর কথা স্মরণ হয়। সর্বনিকৃষ্ট বান্দা হলো, যারা চোগলখোরি করে, বন্ধু-বান্ধবদের মধ্যে ফাটল সৃষ্টি করে এবং নেককার লোকদের দোষ-ত্রুটি তালাশ করে।’[15]
অন্য বর্ণনা মতে,
الباغون للبراء العيب.
‘এ দুষ্ট-চক্রটি পুত-পবিত্র সম্ভ্রান্ত লোকদের দোষ-ত্রুটি তালাশ করে।’
দরসে নিযামীর প্রবক্তা নিযামুল মুলক আত-তুসী (রহ.) তালিবে ইলমদের ভাতা প্রদানের জন্য বাদশাহর নিকট একটি পরিকল্পনা পেশ করেন। বাদশাহ তাতে অসম্মতি প্রকাশ করেন। মন্ত্রী নিযামুল মুলক একটিমাত্র বাক্যে বাদশাহকে এমন জবাব দেন যাতে বাদশাহর চিন্তাধারায় আমূল পরিবর্তন সাধিত হয় এবং এক কথায় তিনি কুপোকাত হয়ে যান।
أقمتُ لكَ بها جُنْدًا لا تُرَدُّ سِهامُهُمْ بالأسْحارِ.
‘আমি এ পরিকল্পনার মাধ্যমে আপনার পক্ষে এমন একটি বাহিনী প্রস্তুত করতে চাই, যাদের শেষ রাত্রীর তীরসমূহকে কেউ প্রতিহত করতে পারে না।’
বাদশাহ মন্ত্রীর এ পরিকল্পনা একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ ও সঠিক সিদ্ধান্ত বলে স্বীকৃতি প্রদান করেন এবং সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করেন।[16]
মুখাল্লাদ বর্ণনা করেন, আমার এক বন্ধু বলেন, হাসান ইবনে যাকওয়ান এর নিকট একজন আলিম সম্পর্কে কটূক্তি করা হলে উত্তরে তিনি বলেন,
مه! لا تذكر العلماء بشيءٍ، فيميت الله قلبك.
‘থামো! আলিমদের মন্দভাবে উপস্থাপন করো না। এর পরিণতিতে আল্লাহ তোমার অন্তরের মৃত্যু ঘটাতে পারেন।’
ওলামায়ে কেরামের সমালোচনাকারীদের মৃত্যুকালীন পরিনাম
শাফিয়ী মাযহাবের বিশিষ্ট ফকীহ কাযী মুহাম্মদ ইবনে আবদুল্লাহ আল-যাবিদী (রহ.)। যিনি ৭১০ হি. জন্মগ্রহণ করে দরস ও ফতওয়া প্রদানে সু-খ্যাতি অর্জন করেন। যার ফলে ইয়েমেনে তার শিষ্যের বিশাল একটি জামাত তৈরি হয়। তিনি চব্বিশ খণ্ডে আল-তানবীহর ভাষ্যগ্রন্থ প্রণয়ন করেন। জামাল মিসরি বর্ণনা করেন, মৃত্যুর সময় মুখ থেকে তার জিহ্বা বের হয়ে ঝুলে পড়ে এবং কালো বর্ণ ধারণ করে। মানুষের ধারণা হলো, শায়খ মুহিউদ্দিন নাবাওয়ীর কূটসা রটনার কারণে তার এ পরিণতি হয়েছিলো।[17]
[1] ইবনে আসাকির, তাবয়িয়ীনু কিযবিল মুফতারী ফিমা নুসিবা ইলাল ইমামিল আবিল হাসান আল-আশআরী, দারুল কিতাব আল-আরাবী, বয়রুত, লেবনান (তৃতীয় সংস্করণ: ১৪০৪ হি. = ১৯৮৫ খ্রি.), পৃ. ২৯
[2] আল-বুখারী, আস-সহীহ, দারু তওকিন নাজাত, বয়রুত, লেবনান (প্রথম সংস্করণ: ১৪২২ হি. = ২০০১ খ্রি.), খ. ৫, পৃ. ১৭৭, হাদীস: ৪৪০৬, হযরত আবু বাকরা থেকে বর্ণিত
[3] ইবনে মাজাহ, আস-সুনান, দারু ইয়াহইয়ায়িল কুতুব আল-আরাবিয়া, বয়রুত, লেবনান, খ. ২, পৃ. ১২৯৭, হাদীস: ৩৯৩২
[4] আল-কুরআন, সুরা আল-হুমাযা, ১০৪:১
[5] আল-কুরআন, সুরা আন-নিসা, ৪:৫৯
[6] আল-কুরআন, আলে ইমরান, ৩:১৮
[7] আত-তাবারানী, মাকারিমুল আখলাক, দারুল কুতুব আল-ইলমিয়া, বয়রুত, লেবনান (প্রথম সংস্করণ: ১৪০৯ হি. = ১৯৮৯ খ্রি.), পৃ. ৩৬৭, হাদীস: ১৪৭, হযরত উবাদা ইবনুস সামিত (রাযি.) থেকে বর্ণিত
[8] আল-বুখারী, আস-সহীহ, খ. ৮, পৃ. ১০৫, হাদীস: ৬৫০২
[9] আবু দাউদ, আস-সুনান, আল-মাকতাবাতুল আসরিয়া, বয়রুত, লেবনান, খ. ৪, পৃ. ৩২৭, হাদীস: ৫১০১
[10] ইবনে আবদুল র্বার, জামিউ বয়ানিল ইলমি ওয়া ফযলিহি, দারু ইবনিল জাওযী, দাম্মাম, সউদী আরব (প্রথম সংস্করণ: ১৪১৪ হি. = ১৯৯৪ খ্রি.), খ. ১, পৃ. ২৩৬, হাদীস: ২৬৪
[11] আত-তাহাওয়ী, আল-আকীদাতুত তাহাবিয়া, আল-মাকতাবুল ইসলামী, বয়রুত, লেবনান (দ্বিতীয় সংস্করণ: ১৪১৪ হি. = ১৯৯৩ খ্রি.), পৃ. ৮২, ক্র. ৯৭
[12] আল-আলমাওয়ী: আল-আকদুত তালীদ ফী ইখতিসারিদ দুররিন নাযীদ = আল-মুয়ীদ ফী আদাবিল মুফীদ ওয়াল মুসতাফীদ, মাকতাবাতুস সাকাফা আদ-দীনিয়া, কায়রো, মিসর (প্রথম সংষ্করণ, ১৪২৪ হি. = ২০০৪ খ্রি.), পৃ. ৬০
[13] আয-যাহাবী, সিয়ারু আ’লামিন নুবালা, মুআস্সাসাতুর রিসালা, বয়রুত, লেবনান (তৃতীয় সংস্করণ: ১৪০৫ হি. = ১৯৮৫ খ্রি.), খ. ৮, পৃ. ৪০৮
[14] ইবনে নাসিরউদ্দীন আদ-দিমাশকী, আর-রাদ্দুল ওয়াফির, আল-মাকতাবুল ইসলামী, বয়রুত, লেবনান (প্রথম সংস্করণ: ১৩৯৩ হি. = ১৯৭৩ খ্রি.), পৃ. ১৯৭
[15] আহমদ ইবনে হাম্বল, আল-মুসনদ, মুআস্সিসাতুর রিসালা, বয়রুত, লেবনান (প্রথম সংস্করণ: ১৪২১ হি. = ২০০১ খ্রি.), খ. ২৯, পৃ. ৫২১, হাদীস: ১৭৯৯৮
[16] ইবনুল আত্তার, তুহফাতুত তালিবীন ফী তারজুমাতিল ইমাম মুহউদ্দীন, আল-দারুল আসরিয়া, আম্মান, জর্ডান (প্রথম সংস্করণ: ১৪২৭ হি. = ২০০৭ খ্রি.), পৃ. ১১২
[17] ইবনে হাজর আল-আসকলানী, আদ-দুরারুল কামিনা ফী আ’য়ানিল মিয়াতিস সামিনা, দায়িরাতুল মা‘আরিফ আল-উসমানিয়া, হায়দরাবাদ, ভারত (প্রথম সংস্করণ: ১৩৯২ হি. = ১৯৭২ খ্রি.), খ. ৪, পৃ. ১০৬