জামেয়া ওয়েবসাইট

শনিবার-৩০শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি-৫ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ-২০শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কবিতার পাতা

বন্ধু

আবদুল আজিজ

বন্ধু তুমি চলে যাবে

একদিন আমায় ছেড়ে,

আমার অবুঝ মনটা তুমি

নিয়ে গেলে কেড়ে।

তোমার স্মৃতি রয়ে যাবে

আমার মনে প্রাণে,

অফুরন্ত ভালবাসা

বন্ধু তোমার সনে।

স্মৃতি টুকু রেখো বন্ধু

তুমি যত্ন করে,

ভালবাসা রইলো আমার

বন্ধু তোমার তরে।

 

ভদ্র মেয়ে

আরিফুল ইসলাম সাকিব

সবার আদেশ-নিষেধ শুনে

অসৎকাজে যায় না,

পড়ালেখার সময়ে সে

করে না সে বায়না।

সত্যকথা বলে সদা

সঠিক পথে চলে,

মিলেমিশে থাকে সে তো

মিথ্যা সে না বলে।

নামায-কালাম রোজা করে

পর্দা করে চলে,

সু-আচরণ সবার সাথে

তাকেই ভদ্র বলে।

 

শিশুকাল

আজহার মাহমুদ

শিশুকালের সময় গুলো

মধুর ছিলো বড়ই

হাসিখুশি খেলাধুলায়

কাটতো পুরো সময়।

মিষ্টি মিষ্টি দুষ্টুমি আর

দৌড়াদৌড়ি করতাম

বাবা মায়ের বকা শুনে

অল্প করে পড়তাম।

সেই স্মৃতিগুলো পড়লে মনে

খুবই ভালো লাগে

মনের মাঝে আনন্দ আর

হাসিব ঢেউ জাগে।

 

মুগ্ধ করে প্রাণ

শওকত আলী

আমার প্রিয় বাংলাদেশ

ফলে ফুলে ভরা,

লিখি আমি তাদের নিয়ে

মজার অনেক ছড়া।

সন্ধ্যা বেলা ফুল পাখিরা

যখন বসাই মেলা,

তখন আমি মুগ্ধ চোখে

দেখি তাদের খেলা।

সবুজে ভরা বাংলা আনার

মুগ্ধ করে প্রাণ,

নানান রঙ্গের ফুল ফুটে যায়

মন কাড়ানো ঘ্রাণ।

 

মনরহস্য

গোফরান উদ্দীন টিটু

মন ভালো নেই আজ

মন ভালো নেই

তবু মন সুখে আছে

নাচে ধেই ধেই।

মন ভালো আছে আজ

মন ভালো খুব

তবু মন দেয় কেন

দুঃখেই ডুব?

মন আমার বেদনার

কোন জলছবি?

এই হয় নির্ভয়

এই সাজে কবি।

 

পাশের বাড়ি

জসিম উদ্দীন মিসবাহ

মাগো পাশের বাড়ি কোন

কিছু হয়নি আজ রান্না,

ওই যে দেখ অবুঝ শিশুর

কি যে করুণ কান্না।

বিত্তবানের পাশের বাড়ি

পায় না তারা আহার,

বিত্তবানের ঘরে দেখ

নানা রঙ্গের বাহার।

পাশের বাড়ির দাদু টাও

ক্ষুদার জ্বালায় মরে,

কত আহার যায় পঁচে

নীল দালানের ঘরে।

নীল দালানের সেই ছেলেটা

থাকে মায়ের কোলে,

কুঠির বাড়ির শিশুর হাতে

ভিক্ষার থলে ঝুলে।

 

রাব্বুল আলামীন

হাজেরা সুলতানা হাসি

তোমার নামে সূর্য্য হাসে

শিশির ঝরে দূর্বাঘাসে

রাতের পরে আসে দিন,

সকল তা’রীফ শুধুই তোমার

একবার নয় বলি বারেবার

ওগো রাব্বুল আলামীন।

আধো আধো শিশুর বুলি

যখন হাসে প্রাণটা খুলি

বাজে তখন খুশীর বীন,

সবকাজেতে তোমায় পাই

তুমি ছাড়া গতি নাই

ওগো রাব্বুল আলামীন।

মায়ের হৃদে দিলে ঢেলে

যেখানেতে শুধুই মেলে

সুখ ও শান্তি সীমাহীন,

তাইতো আমি বলি বারেবার

তুমিবিনে চাইনা কিছু আর

ওগো রাব্বুল আলামীন।

 

 

তোমার নাম

খোবাইব হামদান

যখন দেখি নভ’র বারিদ

লেখা আছে তোমার নাম,

সিন্ধুর জলে দূর্বা ঘাসে

দেখি শুধুই তোমার নাম।

প্রতি গাছের ঢালে ঢালে

প্রতি পাতায় একটি খাম,

সেই খামেতে একটি চিঠি

সেথাও লেখা তোমার নাম।

গাছে আছে যত ফুল ফল

কাঁঠাল লিচু আম বা জাম,

প্রতি ফলের কায়ায় ভরে

লেখা আছে তোমার নাম।

এই মৃত্তিকায়, বালুকণায়

যেদিক তাকায় ডানও বাম,

অন্তরীক্ষে ভূমির বৃক্ষে

চারিদিকেই তোমার নাম।

 

মানুষ হবো

আজহার মাহমুদ

কালাম স্যার ক্লাসে এসে করলো জিগ্যাসা;

বড় হয়ে কার আছে কি হওয়ার আশা।

মিতু বলে, ডাক্তার হবে, নিজাম বলে, ব্যংকার;

নাহিদ নাকি ব্যবসা করবে, ফয়সাল হবে অফিসার।

অনিমেষ হবে বড় নেতা, রাহিদ হবে ক্রিকেটার,

তুষার-হাসান দুজন নাকি হবে ইঞ্জিনিয়ার।

সবার আশা শুনে স্যার চুপ করে বসে;

সবার দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে অল্প করে হাসে।

একটি কথা বলি তোমদের রেখো সবাই মনে

মনে রাখলে কাজে আসবে তোমাদের জীবনে।

মানুষ হবো এটাই যেন সবার আশা হয়

মানুষ হলে করতে পারবে পৃথিবীটা জয়।

 

খানা নিয়ে ফানা

আমজাদ ইউনুস

এক দেশে ছিল এক মন্ত্রীর পুত

কাজ কাম তার সব ছিল অদ্ভুত।

খানা খানা করে খেত দুধ আর ভাত

খানা নিয়ে ফানা হত সারা দিনরাত।

মোটা তাজা গুরু হলো খেয়ে ফ্রুট জল

খেতে খেতে তার পেট হলো ফুটবল।

যত খানা দিত তাকে করত সাবাড়

সব খানা শেষ করে চায় তো আবার।

তবু ক্ষিধে মিটে না পেট তার ভরে না

খেয়ে পেট চুলকায় কাজ সে করে না।

একজন যদি দিনে এত খায় খানা

গরীবের পাতে কি জুটে দু’মুঠো দানা।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on pinterest
Pinterest
Share on telegram
Telegram
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

সর্বশেষ