শুক্রবার-১৬ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি-১৬ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-২রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খাসোগির হত্যাকাণ্ড মধ্যপ্রাচ্যে কতটা ঝড় তুলবে?

খাসোগির হত্যাকাণ্ড মধ্যপ্রাচ্যে কতটা ঝড় তুলবে?

খাসোগির হত্যাকাণ্ড মধ্যপ্রাচ্যে কতটা ঝড় তুলবে?

সৌভিক ঘোষাল

মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম বিখ্যাত ও অতি জনপ্রিয় সাংবাদিক ছিলেন জামাল খাসোগি। ট্যুইটারে তাকে অনুসরণ করতেন ষোল লক্ষ মানুষ। ২ অক্টোবর কিছু ব্যক্তিগত কাগজপত্র নেবার জন্য তিনি তুরস্কের সৌদি দূতাবাসে প্রবেশ করেন। তার পর থেকে তার আর খোঁজ পাওয়া যায় নি। সন্দেহকে সত্যি প্রমাণ করে দু সপ্তাহ পর সৌদি শাসন অবশেষে স্বীকার করে নেয় যে খাসোগিকে দূতাবাসেই হত্যা করা হয়েছিল। সৌদি কর্তৃপক্ষ বচসা ও হাতাহাতির ঘটনায় খাসোগির মৃত্যু হয়েছে—এই প্রাথমিক দাবি করলেও তা যে নির্লজ্জ মিথ্যা তার অনেক প্রমাণ প্রতিনিয়ত উঠে আসছে। এর মধ্যেই স্পষ্ট হয়ে গেছে এটা পূর্বপরিকল্পিত এক চক্রান্ত। এই হত্যা কান্ডের বিরুদ্ধে বিশ্ব জনমত ক্রমশ সোচ্চার হচ্ছে এবং তা ঝড়ের আকার নিয়ে সৌদি রাজতন্ত্রের স্বৈরশাসনের ওপর আছড়ে পড়ছে।

জামাল খাসোগির সাংবাদিকতা জীবন প্রায় তিন দশকের এবং অনেকদিন ধরেই তিনি মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম বিশিষ্ট সাংবাদিক হিসেবে বিখ্যাত। ১৯৫৮ সালে সৌদির মদিনা শহরে তার জন্ম। পড়াশুনো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা নিয়ে। আরব জোড়া বিখ্যাত সংবাদপত্র আল হায়াতে তিনি দীর্ঘদিন সাংবাদিকতা করেছিলেন। খাসোগি সাংবাদিক হিসেবে বিশ্বের নজরে আসেন আফগানিস্থান, আলজেরিয়া, কুয়েত এবং মধ্যপ্রাচ্যর বিভিন্ন অঞ্চল থেকে তার পাঠানো প্রতিবেদনগুলির জন্য। নব্বই এর দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে তিনি লাদেন এর অনেকগুলি সাক্ষাৎকার নেন এবং সেগুলি গোটা বিশ্বে আলোড়ন তোলে।

১৯৯৯ সালে সৌদিভিত্তিক সংবাদপত্র আরব নিউজ এ সহকারী সম্পাদক হিসেবে তিনি কাজে যোগ দেন। প্রথম দিকে তার সাথে সৌদি শাসকদের সম্পর্ক ভালোই ছিল কিন্তু নানা সমালোচনামূলক লেখার সূত্রে তা ক্রমশ তিক্ত হতে শুরু করে। আল ওয়াতার পত্রিকায় প্রধান সম্পাদক হিসেবে তিনি যোগ দিয়েছিলেন কিন্তু দ্রুতই শাসকদের চাপে সেখান থেকে তাকে বরখাস্ত করা হয়। এরপর পরিস্থিতি কিছুটা বদলায় ও তিনি সৌদি যুবরাজ তুর্কি বিন ফয়সলের গণমাধ্যম উপদেষ্টা হিসেবে কাজ শুরু করেন। ২০০৭ সালে আল ওয়াতন পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে তিনি পুনর্বহাল হন। কিন্তু সৌদি সমাজ সম্পর্কে ‘সীমাতিরিক্ত বিতর্ক তৈরির অভিযোগে তাকে আবার বরখাস্ত করা হয় ২০১০ সালে।

পরিস্থিতি জটিলতর হয় মহম্মদ বিন সালমানের সৌদি শাসনতন্ত্রে দ্রুত উত্থানের পর্বে। বিভিন্ন লেখায় খাসোগি দেখান সালমান একদিকে সৌদিতে ব্যাপক সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন, অন্যদিকে বাস্তবে সামনের সারির বিখ্যাত ব্যবসায়ী, নানা ক্ষেত্রের সক্রিয় কর্মী ও মুসলিম নেতাদের ধরপাকড় চলছে। খাসোগি সৌদিতে মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে একের পর এক লেখা লিখতে থাকেন। ২০১৭ তে মুসলিম ব্রাদারহুডকে সৌদি কর্তৃপক্ষ সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করায় তিনি তীব্র আপত্তি জানান। খাসোগির বিরুদ্ধে সৌদি শাসকের রোষানল বাড়তে থাকে। তাকে মুখ বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয় এবং তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে আসতে বাধ্য হন। আমেরিকার বিখ্যাত সংবাদপত্র ওয়াশিংটন পোস্ট এ সৌদি জমানাকে বে আব্রু করে তার লেখা বিশ্বের কাছে সৌদির ভেতরের আসল চেহারা আরো স্পষ্টভাবে উন্মোচিত করে দেয়। ওয়াশিংটন পোস্টে এই লেখাটি Saudi Arabia wasnt always this repressive. Now its unbearable (www.washingtonpost.com/news/global-opinions/wp/2017/09/18/saudi-arabia-wasnt-always-this-repressive-now-its-unbearable/?utm_term=.b72292b5ac0a) প্রকাশিত হবার পর মক্কার মেয়র ও সৌদি শাসনের অত্যন্ত ক্ষমতাবান মানুষ যুবরাজ আল সৌদ প্রকাশ্যে ট্যুইটারে তার বিরুদ্ধে আক্রমণ শানান। আল-হায়াত সংবাদপত্র তার সাথে সব সম্পর্ক শেষ করে দেয় প্রকাশ্য ঘোষণার মাধ্যমে।

এই লেখায় সৌদির তথাকথিত নতুন জমানা ও তার সংস্কার প্রক্রিয়া সংক্রান্ত বিশ্বজোড়া প্রচার ও তার প্রকৃত বাস্তবতার দ্বন্দ্বকে খাসোগি সামনে নিয়ে আসেন। ২০১৫ সালে সৌদির সর্বময় কর্তা হন বাদশাহ সালমান। তার পুত্র যুবরাজ বা ক্রাউন প্রিন্স পদে বসেন মহম্মদ বিন সালমান। নয়া যুবরাজ তরুণ সালমান বেশ কিছু আর্থিক ও সামাজিক সংস্কারের কথা ঘোষণা করেন এবং তা নিয়ে বিশ্বজোড়া আলোচনা শুরু হয়। প্রস্তাবিত সংস্কারগুলির মধ্যে ছিল বিভিন্ন (বিরোধী) মতামতের প্রশ্নে আরো বেশি সহিষ্ণু হওয়া, যে সমস্ত বিষয় আরবিয় সমাজকে পেছনে ফেলে রেখেছে সেগুলিকে বদলানো, যেমন নারীদের ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া ইত্যাদি। বাস্তবে এর বিরুদ্ধে দেখা যাচ্ছে ভিন্নমতকে দমন করা। ভিন্নমত পোষণকারীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, শাসককে যে কোনও রকম সমালোচনা করলেই বুদ্ধিজীবীদের প্রকাশ্যে অসম্মান করা হচ্ছে।

এরপর ওয়াশিংটন পোস্ট এ তিনি সৌদি স্বৈরশাসনের বিভিন্ন দিক উন্মোচিত করে একের পর এক আরো অনেক লেখা লিখতে থাকেন। এর প্রেক্ষিতেই স্বৈরশাসনের দিক থেকে তাকে চিরতরে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা হয়ে থাকবে। পূর্বতন বিবাহ বিচ্ছেদের কাগজ সংগ্রহের জন্য গত ২ অক্টোবর তিনি তুরস্কের সৌদি দূতাবাসে আসেন। এরপর থেকে আর তার খোঁজ পাওয়া যায় নি। প্রথম দিকে সৌদি দূতাবাস ও শাসকদের তরফ থেকে বলা হচ্ছিল তিনি দূতাবাস ছেড়ে চলে গেছেন কিন্তু তা বিশ্বাসযোগ্য বলে মানুষের মনে হয় নি। বিশ্বের বিভিন্ন মহল থেকে সদ্য উদঘাটনের জন্য সৌদির ওপর প্রবল চাপ তৈরি করা শুরু হয়। অবশেষে ঘটনার প্রায় দু সপ্তাহ পর সৌদি কর্তৃপক্ষ স্বীকার করে নেয় যে দূতাবাসের মধ্যেই খাসোগি খুন হয়েছেন। প্রথমদিকে একে তারা একটি বচসা ও হাতাহাতির পরিণতি বলেছিল। কিন্তু দ্রুত অন্যান্য তথ্যপ্রমাণ সামনে আসতে থাকে। দেখা যায় পনেরো জনের একটি টিম অনেক আগে থেকেই এই হত্যাকা-ের পরিকল্পনা নিয়ে তুরস্কের সৌদি দূতাবাসে অবস্থান করছিল। তাদের মধ্যে ডি এন এ বিশেষজ্ঞ থেকে খাসোগির বডি ডাবল পর্যন্ত অনেকেই ছিলেন,লক্ষ্য ছিল খুনের বিষয়টিকে গোপন করা।

খাসোগি হত্যাকা- সৌদি স্বৈরশাসনকে আরো বেশি বেআব্রু করে দিয়েছে। বিশ্ব জনমত সৌদির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবীতে ক্রমশ এককাট্টা হচ্ছেন। যদিও সৌদির স্বৈরশাসকদের মদতদাতা আমেরিকার ট্রাম্প প্রশাসন ইতোমধ্যেই ঘটনাটিকে লঘু করার চেষ্টা শুরু করেছে। সৌদির সাথে বিপুল অঙ্কের যে মিলিটারি ডিল এই ঘটনার ফলে থমকে আছে তাকে ট্রাম্প দেশের পক্ষে ক্ষতি বলে বর্ণনা করেছেন। খাসোগি হত্যাকা- প্রসঙ্গে ‘এরা ঘটনাকে ভালোভাবে ধামাচাপাও দিতে পারে না র মতো ট্রাম্পসুলভ অসংবেদনশীল কথাও আমরা শুনেছি। তবে মার্কিন প্রশাসন দেশের গণতান্ত্রিক মহল ও ধারাবাহিকতার চাপে সৌদি প্রশাসনের বিরুদ্ধে কঠোর কথাবার্তা বলতে বাধ্য হয়েছে। সেক্রেটারি অব স্টেট মাইক পম্পিও জানিয়েছেন সৌদি সরকারের যারা এই হত্যাকান্ডে জড়িত তাদের কয়েকজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সৌদি সরকারকেও চাপের মুখে তদন্ত নামক এক প্রহসন শুরু করতে হয়েছে এবং কিছু লোককে আপাতত বলি দিতে হয়েছে। তারা আঠারোজনকে আটক করেছে এবং পাঁচজন উচ্চপদস্থ কর্মচারীকে তদন্তের স্বার্থে বরখাস্ত করেছে। তবে চাপের মুখে সৌদির এইসব ‘তদন্ত ও ব্যবস্থার গুরুত্ব হাস্যকরভাবেই উপেক্ষণীয়, কারণ প্রশাসনের সর্বোচ্চ পর্যায়ের নির্দেশেই এই হত্যাকা- হয়েছে। ধামাচাপা দেবার প্রচেষ্টার ব্যর্থতা ঢাকতেই তাদের এইসব নাটক করতে হচ্ছে। তুরস্কের সংসদে দাঁড়িয়ে তাঁর বক্তৃতায় রাষ্ট্রপ্রধান এরদোগান জানিয়েছেন যে তারা চান এই হত্যাকান্ড সৌদি শাসনের ওপর থেকে নীচ পর্যন্ত যারা দোষী সবাই উন্মোচিত হোন এবং যথাযোগ্য শাস্তি পান।

ট্রাম্প এর ব্যক্তিগত মত যাই হোক না কেন মার্কিন সেনেট এই হত্যাকা- নিয়ে তীব্র বিরোধিতা করেছে এবং চাপের মুখে ট্রাম্প জানিয়েছেন তিনি খাসোগী হত্যাকা- সম্পর্কিত গোটা বিষয়টিতে মার্কিন সিনেটের মত অনুযায়ীই চলবেন। তুরস্ক দূতাবাসে হত্যার আগে খাসোগীকে অত্যাচার করা সম্পর্কিত একটি অডিও টেপ তুরস্কের কর্তৃপক্ষের কাছে আছে এবং সেখানে তদন্ত করতে গিয়ে তা শুনে এই সংক্রান্ত বিবৃতি দিয়েছেন সি আই এ র ডিরেক্টর গিনা হসপেল। জার্মানী সৌদির সঙ্গে হতে চলা অস্ত্র চুক্তি স্থগিত রেখেছে। ফ্রান্স আপাতত সৌদির সাথে সমস্ত কূটনৈতিক সম্পর্ক বাতিল করেছে।

পরিকল্পিত হত্যা কান্ডের আরো অনেক খবর তদন্তের চাপে ক্রমশ সামনে আসবে এবং সৌদি স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে এই বিশ্বজনীন ঝড় তাদের কতটা তছনছ করে সেটা আগামী দিনে ক্রমশ স্পষ্ট হবে। তবে এই নিয়ে আশাবাদী হওয়ার চেয়ে সংশয়ই বেশি। আর এই সংশয়ের কারণ পশ্চিম এশিয়া নিয়ে মার্কিন ও ইউরোপীয় শক্তিগুলির দীর্ঘকালের নীতিমালা। সৌদির বিরুদ্ধে স্বৈরশাসনের অভিযোগ নতুন কিছু নয়। তা স্বত্ত্বেও গত সাত দশক ধরে কখনো কখনো নিয়মতান্ত্রিক কিছু সমালোচনা করলেও সৌদি এই অঞ্চলে বরাবরই মার্কিনের প্রধান অক্ষ হয়ে থেকেছে। তেলের অর্থনীতিই হোক বা অস্ত্র ব্যবসা, প্যালেস্টাইন এর মুক্তি সংগ্রাম বা ইরানকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টাই হোক অথবা ইরাক বা লিবিয়ার ওপর হামলা চালানোর সামরিক বেস ই হোক—সৌদি মার্কিন জোট সৌদির স্বৈরশাসন স্বত্ত্বেও বরাবর অটুট থেকেছে। ন্যাটোভুক্ত মার্কিনের ইউরোপীয় মিত্রশক্তিরাও বিবৃতি দেওয়ার বাইরে শক্তিশালী কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। সাত দশকের এই নীতি এক খাসোগি হত্যার ঘটনায় পাল্টে যাবে, এমন আশা বাস্তবোচিত নয়। তবে হত্যাকা-জাত চাপের সাময়িকতায় তারা কিছু কিছু ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হচ্ছে মাত্র। আরব বসন্তের মতো জনগণের আন্দোলনের কোনও ঢেউ ই সৌদি স্বৈরশাসনের জমানাকে পাল্টে দিতে পারে। খাসোগি হত্যাকা- নিয়ে আলোড়ন সৌদি এবং মধ্যপ্রচ্যের জনগণকে কতটা প্রভাবিত করছে এবং এখান থেকে আগামী গণ আন্দোলনের রসদ কতটা তৈরি হচ্ছে সেটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

তবে সোভিয়েত ভাঙনের পরে যে একমেরু বিশ্বের আবহাওয়া তৈরি হয়েছিল এবং এই অংশে সৌদি মার্কিন অক্ষ অপ্রতিদ্বন্দ্বী শক্তি হয়ে উঠেছিল, সেই অবস্থার বেশ কিছু পরিবর্তন হচ্ছে। সোভিয়েত ভাঙনের ধাক্কা কাটিয়ে রাশিয়ার নতুনভাবে আত্মপ্রকাশ এবং সামরিক অর্থনৈতিক পরাশক্তি হিসেবে আমেরিকার প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠা চীনের সাথে তার জোট এই অঞ্চলের দ্বন্দ্বে বেশ কিছু নয়া সমীকরণ তৈরি করছে। মার্কিন বিরোধী এই অক্ষের পাশে ইরান, সিরিয়ার পাশাপাশি কাতার, ইয়েমেন সহ বেশ কিছু নতুন শক্তিরও সমাবেশ সাম্প্রতিক সময়ে আমরা লক্ষ্য করছি এবং এই অঞ্চলের ভূরাজনীতিতে তা নতুন নতুন মাত্রা যোগ করছে। পশ্চিম এশিয়ার রাজনীতির এই অক্ষটি সৌদি মার্কিন জোট বিরোধী এবং খাসোগী হত্যাকা- নিয়ে তারা যথেষ্টই সরব। তুরস্কের মাটিতে সৌদি দূতাবাসে সংঘটিত এই হত্যাকা-কে যে তারা একেবারেই ভালোভাবে নেয় নি এরদোগান সরকার নানাভাবে তা স্পষ্ট করে দিয়েছে। হত্যা কান্ডের সবচেয়ে বড় প্রমাণ যে অডিও টেপটি তা তারা দ্রুত জনসমক্ষে নিয়ে এসেছে এবং এটাই ঘটনাকে চেপে যাবার সৌদি কৌশলের পর্দা সবচেয়ে স্পষ্টভাবে বে আব্রু করে দিয়েছে। খাসোগির হত্যাকারীরা কত দ্রুত শাস্তি পায় তা দেখার পাশাপাশি পশ্চিম এশিয়ার দ্বন্দ্বসংকুল রাজনৈতিক মানচিত্রকে এই হত্যাকা- কীভাবে প্রভাবিত করে তা গামী দিনে ক্রমশ স্পষ্ট হবে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on pinterest
Pinterest
Share on telegram
Telegram
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

সর্বশেষ