স্মৃতির মিনারায় আল্লামা মোস্তফা আল-হোসাইনী (রহ.)
মুহাম্মাদ আবদুর রহমান গিলমান
আল্লাহা তাআলা তাঁর দীনকে দুনিয়াতে প্রতিষ্ঠা এবং প্রচার-প্রসারের জন্য যুগে যুগে অসংখ্য নবী রাসুল প্রেরণ করেছেন। নবী-রাসুল আগমনের এই ধারা সমাপ্ত হয় রাসুলে করীম হজরত মুহাম্মদ মোস্তফা (সা.)-এর মাধ্যমে। তাঁর পরে আর কোন নবী রাসুল দুনিয়ায় আগমন করবেন না। রাসুল (সা.)-এর পরে কিয়ামত পর্যন্ত দীনের কাজ আঞ্জাম দেওয়ার দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে নবীগণের ওয়ারিস ওলামায়ে কিরামের ওপর। আল্লাহ তাআলা যুগে যুগে এমন কিছু ওলামায়ে কিরাম তৈরি করেছেন, যারা হকের আওয়াজকে সমুন্নত রাখতে এবং বাতিলকে প্রতিহত করতে আমরণ সংগ্রাম করে গেছেন। দীনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁদের অবদান অবিস্মরণীয়। উপমহাদেশের প্রখ্যাত আলেমে দীন, আল্লামা মোস্তফা আল হোসাইনী (রহ.) তাঁদের অন্যতম একজন। দীনের বহুমুখী খেদমতে তিনি নিয়োজিত ছিলেন। তিনি একাধারে যোগ্য শায়খুল হাদীস, মুহাক্কিক আলেম, বিচক্ষণ রাজনীতিবিদ, বিশিষ্ট মুফাসসিরে কুরআন, সংগ্রামী সাধক ও ক্ষুরধার লেখক ছিলেন। তাঁর নামের শুরুতে ‘আল্লামা’ শব্দটি নামের মতোই যুক্ত হয়ে গেছে। ‘আল্লামা’ ব্যতীত তাঁর নামটি অপূর্ণই মনে হয়। আর বাস্তবিকই তিনি ‘আল্লামা’ বা ‘মহাজ্ঞানী’ ছিলেন। গত বছর ০৫ জুলাই দীনের এই মহান দাঈ আমাদের থেকে বিদায় নিয়েছেন। এই মহান ব্যক্তিকে নিয়ে স্মৃতির ডায়েরি থেকে কিছু কথা পাঠকদের উদ্দেশ্যে তুলে ধরছি।
আমার বয়স তখন তিন থেকে চার বছর। আমাদের গ্রামে নোয়াপুর তাফসীরুল কুরআন মাহফিলের সূচনা হয়েছে। আল্লামা মোস্তফা আল-হোসাইনী (রহ.)-এর শুভাগমন এই তাফসীর মাহফিলকে উপলক্ষ করেই। মাহফিলের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান আয়োজক আমার মুহতারাম আব্বাজান মাওলানা নুর মোহাম্মদ সাহেব দা. বা.। তাই হুযুর মাহফিলে এসে আমাদের বাড়িতেই আসেন। নোয়াপুর তাফসীর মাহফিলে আল্লামা মোস্তফা আল-হোসাইনী (রহ.)-এর আগমনের ইতিহাস অনেক দীর্ঘ। ২০১৬ সালে প্রকাশিত তাফসীর স্মারকে সেই ইতিহাস লেখা হয়েছে।
১৯৯২ সালে শুরু হওয়া নোয়াপুর তাফসীর মাহফিলের ২৬ তম মাহফিল সম্পন্ন হয়েছে। এই ২৬ বছরের ২৪ বছরই হুযুরের আগমনে ধন্য হয়েছে নোয়াপুরের মাটি। মাঝে শুধু এক বছর অসুস্থতার কারণে আসতে পারেননি। ইন্তেকালে আগের বছরও প্রচ- অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও আব্বাজানের অনুরোধে এবং নোয়াপুরবাসীর ভালোবাসার টানে হুযুর এসেছিলেন। দীর্ঘ ২৫ বছর পর গতবার হোসাইনী ছাড়া নোয়াপুরে তাফসীর মাহফিল হয়েছে। হোসাইনীর শূন্যতা নোয়াপুরবাসী গভীরভাবে অনুভব করেছে।
এই পঁচিশ বছর প্রকৃতি যেভাবে প্রতি বছর বসন্তের ছোঁয়ায় উজ্জীবিত হয়েছে, তেমনি আমিও হুযুরের সান্নিধ্যের ছোঁয়া পেয়েছি। কিন্তু দুঃখজনক কথা হল, যে বয়স থেকে হুযুরের সান্নিধ্য পেয়েছি সে বয়সে হুযুর থেকে কোন কিছু গ্রহণ করার সেই যোগ্যতা আমার হয়ে উঠেনি। তারপরও আমার দৃঢ়বিশ্বাস, হুযুরের দোয়া থেকে আমি বঞ্চিত হইনি। হুযুরের স্নেহ-মায়া মমতা থেকে মাহরুম হইনি। যতদিন জীবিত ছিলেন হুযুর দোয়া এবং দয়ার চাদরে আমাকে ঢেকে রেখেছিলেন। এই দীর্ঘ সময়ে হুযুরকে আমার একজন প্রকৃত অভিভাবক হিসেবে পেয়েছি। হুযুর আমার উঠাবসা, চলাফেরা, পড়ালেখা, বিয়ে-শাদি, সাংগঠনিক জীবন সর্ববিষয়ে বিশেষ লক্ষ্য রেখেছেন। দিক নির্দেশনা দিয়েছেন।
সম্ভবত নাহবে মীর বা হিদায়াতুন্নাহব জামাতে পড়ি তখন। আমার বড় ভগ্নিপতি হাফেজ মাওলানা আবদুল কাইয়ুম সাহেব সৌদি আরব থেকে আমার জন্য উন্নতমানের পাঞ্জাবীর কাপড় নিয়ে এসেছিলেন। সেই কাপড় দিয়ে পাঞ্জাবী পড়ে নোয়াপুর মাহফিলে হুযুরের সাথে সাক্ষাত করতে গেলাম। আমার গায়ে এই পাঞ্জাবী দেখে হুযুর সাথে সাথে আব্বাজানকে বললেন, এতো অল্প বয়সে দামী কাপড় পড়ার অভ্যাস করানো ঠিক হবে না। হুযুরের অপছন্দের ইঙ্গিত পেয়ে সাথে সাথে বাড়ি গিয়ে পাঞ্জাবি পরিবর্তন করে আসি। পাঞ্জাবি পরিবর্তন দেখে হুযুর অনেক খুশি হয়েছেন।
নোয়াপুর মাহফিলে হুযুর আসলে সার্বক্ষণিক হুযুরের খেদমতে থাকার চেষ্টা করতাম। কখনো সাক্ষাতে দেরি হলে হুযুর আমার খোঁজ নিতেন। যতক্ষণ হুযুরের পাশে থাকতাম, হুযুর আমার পড়াশোনার খোঁজ-খবর নিতেন। যখন নিচের দিকের জামাতে পড়তাম, হুযুর অনেক কঠিন কঠিন সীগাহ জিজ্ঞেস করতেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন মাসআলা আমাকে শিখানোর উদ্দেশ্যে জিজ্ঞেস করতেন। আমি উত্তর দিতে পারলে হুযুর খুশি হতেন। একবার আজানের মধ্যে নির্ধারিত মদ্দের অধিক টানা বিষয়ে হুযুরের সাথে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা হয়েছে।
আল্লামা মোস্তফা আল-হোসাইনী (রহ.) একজন বিচক্ষণ রাজনীতিবিদ ছিলেন। তাঁর রাজনৈতিক জীবনের বৃহৎ অংশ কেটেছে ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন (পরবর্তী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ)-এর সাথে। তিনি ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এর সমন্বয়কারী ছিলেন। পরবর্তীতে নায়েবে আমীরের দায়িত্ব পালন করেছেন দীর্ঘ দিন। বার্ধক্যে উপনিত হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি এই দায়িত্ব পালন করে গেছেন। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে তিনি টেলিভিশনে ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের পক্ষ হয়ে ইসলামী ঐক্যজোটের নির্বাচনী ইশতিহার পাঠ করেছিলেন। বাংলার জমিনে আল্লাহর দীন বাস্তবায়নের সুমহান দায়িত্ব পালনার্থে ইসলামী রাজনীতির দাওয়াত ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে তিনি ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের তৎকালীন আমির সৈয়দ মাওলানা ফজলুল করীম (রহ.)-এর সাথে ছুটে গেছেন বাংলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে। ২০০১ সালে ইসলামী রাজনীতির কঠিন মুহূর্তে নারী নেতৃত্ব গ্রহণ এবং জামায়াতের সাথে জোট গঠন ইস্যুতে পীর সাহেব চরমোনাই (রহ.)-এর সাথে তিনিও এর কঠিন বিরোধী ছিলেন। আমি ২০০১ সালে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনে যোগদান করি। সংগঠনের প্রতি উদ্বুদ্ধ হওয়া এবং যোগদানের অন্যতম একটি কারণ হল আল্লামা মোস্তফা আল-হোসাইনী (রহ.)-এর মতো ব্যক্তি এই সংগঠনের নায়েবে আমীর হওয়া। যখন থেকে সংগঠন কিছুটা বুঝতে শিখেছি, হুযুর নোয়াপুর মাহফিলে আসলে সাংগঠনিক বিভিন্ন বিষয়ে হুযুরকে জিজ্ঞেস করতাম। বাংলাদেশের ইসলামী রাজনীতির বিভিন্ন ইতিহাস জানতে চাইতাম। হুযুর অনেক বিষয়ে যুক্তিপূর্ণ এবং তাত্ত্বিক জবাব দিতেন। আর কোন কোন বিষয়ে আমার বুঝার সক্ষমতা না থাকার কারণে বলতেন এগুলো বড় হলে জানবে।
ইন্তিকালের কয়েকমাস পূর্বে হুযুর যখন অসুস্থ ছিলেন, নায়েবে আমীরুল মুজাহিদীন আল্লামা মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম (দা. বা.) হুযুরকে দেখতে যান। আমারও সাথে যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল। সেখানে কথার এক পর্যায়ে আল্লামা মোস্তফা আল-হোসাইনী (রহ.) নায়েবে আমীর সাহেব হুযুরকে আমার পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন যে, ‘গিলমানকে চিনেন তো? সে তো আমার জামাই। সে সংগঠনে এসেছে আমার মাধ্যমে।’ নায়েবে আমীর সাহেব হুযুর তখন বলেছিলেন, ‘হ্যাঁ, গিলামনকে তো ভালোভাবে চিনি। সে অনেক ভালো লেখে।’
রাজনৈতিক ব্যক্তিদের জন্য পত্রিকা পাঠ একটি জরুরি বিষয়। যখন ছাত্র আন্দোলনের কর্মী হয়েছি তখন পত্রিকা পাঠের প্রতি বেশ গুরুত্ব ছিল। কিন্তু পত্রিকা পাঠের কোন নিয়মনীতি জানতাম না। হুযুর যখন নোয়াপুর মাহফিলে আসতেন, প্রায়ই আমাকে পত্রিকা সংগ্রহ করে দিতে বলতেন। পত্রিকা আনার পর বসে বসে হুযুরের পত্রিকা পাঠ দেখতাম। তিনি প্রত্যেকটা পৃষ্ঠার প্রতিটি কলামে নজর বুলাতেন। প্রয়োজনীয় সংবাদগুলো পড়তেন। কোন কোন সংবাদ পাঠ করে উপস্থিত ব্যক্তিদের সামনে সেই বিষয়ে হুযুরের নিজস্ব মতামত পেশ করতেন। সম্পাদকীয় এবং উপসম্পাদকীয় কলামগুলো হুযুর অনেক মনোযোগ দিয়ে পড়তেন।
আমার নানী আমার ডাক নাম ‘গিলমান’ রেখেছেন। জান্নাতের সেবকদের নাম ‘গিলমান’ এই হিসেবে এই নাম রেখেছেন। ‘গিলমান’ শব্দটি বহুবচন। এক ব্যক্তির নামের ক্ষেত্রে বহুবচন শব্দ ব্যবহার আরবি নিয়ম বহির্ভুত। একবার ফেনী ধুমসাদ্দা একটি তাফসীর মাহফিলে হুযুরের সাথে দেখা করার জন্য মাওলানা আবদুর রাজ্জাক সাহেব এবং আমি গিয়েছিলাম। সেখানে হুযুর আমার ‘গিলমান’ নামের একটি সুন্দর ব্যাখ্যা করেছেন। ফার্সী ভাষায় ‘গিল’ অর্থ মাটি, আর ‘মান’ অর্থ অবস্থানকারী। তাই ‘গিলমান’ অর্থ মাটিতে অবস্থানকারী অর্থাৎ বিনয়ী। আল্লাহ তাআলা হুযুরের এই ব্যাখ্যা অনুযায়ী আমার মাঝে এই গুণ দান করুন।
২০১১ সালে নোয়াপুর মাহফিলে হুযুর আগমন করলেন। বিভিন্ন বিষয়ে আলাপচারিতার এক ফাঁকে হুযুর মুখে মৃদু হাসি নিয়ে বললেন, আমার নাতীন বিয়ে করবে? নাতীন বলতে হুযুর বুঝিয়েছেন, আমার শ্রদ্ধেয় কাকা, হারদুঈ হযরতের বিশিষ্ট খলীফা, মাওলানা আবদুস সাত্তার সাহেব (রহ.)-এর মেয়েকে। হুযুরের কথা শুনে আমি লজ্জায় লাল হয়ে যাই। কারণ এধরনের কথা শোনার জন্য তখন মোটেই প্রস্তুত ছিলাম না। বিয়ের চিন্তা করারও তখন সময় হয়নি। যাক, এ নিয়ে হুযুর আর কিছু বলেননি। আমিও হুযুর আমার সাথে রসিকতা করেছেন ভেবে আর কোন কিছু চিন্তা করিনি। পরের বছর যখন হুযুর মাহফিলে আসলেন, আব্বাজানের সাথে দীর্ঘ সময় ধরে কী যেন আলাপ করলেন। আমাকে আর কিছু বলেননি। মাহফিল শেষে হুযুর যাওয়ার সময় যখন বিদায় জানাতে আসলাম, তখন হুযুর বললেন, ‘মুরুব্বীরা তোমার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিলে তুমি না করিও না।’ হুযুর এ কথা বলার পর মনের মাঝে অনেক কথা ঘুরপাক খাচ্ছে। এভাবে কয়েকদিন যাওয়ার পর লাকসামের মোরশেদ ভাই (ইসলামী যুব আন্দোলন কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক) আমাকে ফোন দিয়ে বললেন, কী গিলমান ভাই! চুপে চুপে বিয়ে করে ফেলছেন! আমাদেরকে একটু জানাচ্ছেনও না! আমি বললাম, কী হয়েছে, ঘটনা খুলে বলুন। সত্য কথা হলো আমি কিছুই জানি না। মোরশেদ ভাই আমার কথা বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। তারপরও বললেন, হোসাইনী সাহেবের জামাতা লাকসামের মুফতি আবু ইউসুফ সাহেবের মেয়ের জন্য আপনার ব্যাপারে কথাবার্তা চলছে। আপনি জানেন না? আমি বললাম, সত্যিই আমি জানি না। মোরশেদ ভাইয়ের কথায় এখন বুঝতে পারলাম, আব্বাজানের সাথে হুযুরের দীর্ঘ কথাবার্তা এবং আমাকে মুরুব্বীদের সিদ্ধান্ত মান্য করতে বলার হিকতম কী?
যাক বিয়ের বিষয়ে উভয় পক্ষের মাঝে কথাবার্তা চলছিল। এরই মাঝে তৃতীয় এক পক্ষ কিছু ভুল তথ্য আদান-প্রদান করার কারণে এখানে আর সম্পর্ক হয়নি। সম্পর্ক না হওয়ার সিদ্ধান্ত তাঁরাই নিয়েছিলেন এবং এই সিদ্ধান্ত হুযুরের মতের বিরোধী ছিল। যার কারণে হুযুর অনেক মনক্ষুণ্ন হয়েছিলেন। হুযুর পরে আব্বাজানকে বলেছিলেন, আপনারা চিন্তা করবেন না, গিলমানকে বিয়ে আমিই করাবো। এরপর হুযুর মাওলানা ইয়াকুব কাসেমী দা. বা. (যিনি হুযুরের শ্যালক এবং অত্যন্ত স্নেহভাজন)-এর মেয়ের ব্যাপারে প্রস্তাব দেন। উভয় পক্ষের আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে এখানে সম্পর্ক হওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তবে তাঁদের পক্ষ থেকে বলা হয়, শুধু আমার মা এবং বোনেরা মেয়ে দেখবে। আমি দেখতে পারবো না। এ বিষয়ে আমাদের আপত্তি ছিল। আমাদের কথা ছিল, আমিও মেয়ে দেখবো। (তাঁরা অবশ্য মেয়ের কোনো দুর্বলতার কারণে বলেনি। পরিবারের অন্যদের বিয়েও এভাবে হয়েছে। তাই তাঁরা এ কথা বলেছেন।)
হুযুর আমাকে বললেন, আবদুর রহমান! আমি যে বলছি, মেয়ে সব দিক দিয়ে ঠিক আছে, তুমি দেখার প্রয়োজন নেই, আমার কথা তোমার বিশ্বাস হচ্ছে না? আমি অত্যন্ত আদবের সহিত হুযুরকে বললাম, হুযুর! আপনার কথা অবশ্যই বিশ্বাস হচ্ছে। কিন্তু হুযুর! ইবরাহীম (আ.) আল্লাহর কথা আমার চেয়ে বেশি বিশ্বাস করেছিলেন, তারপরও দেখার আর্জি পেশ করেছিলেন এবং আল্লাহ তাআলা সেই আর্জি পুরণও করেছিলেন। হুযুর আমার কথা শুনে মুচকি হাসলেন। আর কিছু বলেননি। এরপর নির্ধারিত তারিখে হুযুরের বিয়ে পড়ানোর মাধ্যমেই শুভকাজটি সম্পন্ন হয়েছে। আল-হামদুলিল্লাহ, হুযুরের দোয়ায় আমাদের দাম্পত্যজীবন অনেক সুখেই কাটছে। আল্লাহ তাআলা হুযুরকে জান্নাতের উঁচু মাকাম দান করুক।