জামেয়া ওয়েবসাইট

রবিবার-২৪শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি-২৬শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-১২ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শীতে প্রবীণদের যত্নে ছয় পরামর্শ

শীতে প্রবীণদের যত্নে ছয় পরামর্শ

ডা. গুলজার হোসেন উজ্জ্বল

প্রবীণরা শিশুদের মতই নাজুক। তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। তাই তাঁদের জন্যও চাই বিরূপ আবহাওয়ায় বাড়তি যত্ন।

১.         শীতে প্রবীণরা ফ্লুতে আক্রান্ত হয় সহজে। ফ্লু থেকে নিউমোনিয়া হতে পারে। তাই বাড়তি সাবধানতা প্রয়োজন। খেয়াল রাখতে হবে যেন ঠান্ডা না লাগে।  সোয়েটার, জ্যাকেট বা শীতের কাপড় যেন পর্যাপ্ত পরিধান করে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।  বাইরে গেলে মাফলার, কানটুপি পরতে হবে। ফ্লু হলে বিশ্রামে থকতে হবে। ভিটামিন সি জাতীয় খাবার, ফলের রস ও প্রচুর পানি পান করতে হবে।

২.         শীতে হাঁপানি, ব্রঙ্কাইটিসের প্রকোপ বেড়ে যায়। যাঁরা ইনহেলার ব্যবহার করেন, তাঁরা যেন নিয়মিত ব্যবহার করেন, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

৩.        প্রবীণদের ত্বক তরুণদের তুলনায় বেশি শুষ্ক থাকে। এই শুষ্কতা শীতে আরো বাড়ে। শুষ্ক ত্বকে গ্লিসারিন, পেট্রোলিয়াম জেলি, জলপাইয়ের তেল ব্যবহার করবেন। এই সময়ে প্রবীণদের ত্বক ফাটা, পা ফাটা প্রভৃতি সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। গ্লিসারিন, পেট্রোলিয়াম জেলিতে নিরাময় না হলে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।

৪.         শীতে চুলে খুশকি বেড়ে যায়। প্রবীণদের ত্বকের শুষ্কতা খুশকির প্রবণতা বাড়িয়ে দেয়। কিটোকোনাজল রয়েছে এমন শ্যাম্পু ব্যবহার করলে খুশকির আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

৫.         শীতে বিভিন্ন ধরনের বাত ব্যথার প্রকোপ বাড়ে। অস্টিওআর্থ্রাইটিস, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের রোগীরা তাই এ সময় সাবধানে থাকবেন। কুসুম গরম পানিতে গোসল করলে এসব ব্যথা থেকে উপশম হয়।

৬.        শীতে প্রবীণদের টাটকা শাকসবজি খেতে দিতে হবে। হালকা ব্যয়াম বা হাঁটাচলায় উৎসাহিত করতে হবে। দীর্ঘ সময় বিছানায় শুয়ে বসে কাটালে ‘ডিপ ভেইন থ্রম্বসিস’ বা ‘শিরায় রক্ত জমাট বাঁধা’ রোগ হতে পারে। কিছুক্ষণ পরপর একটু হাঁটাহাঁটি, নড়াচড়া, খালি হাতে ব্যয়াম ডিভিটি প্রতিরোধ করে।

সর্বোপরি প্রবীণদের সময় দিতে হবে। কথা বলতে হবে তাদের সঙ্গে। সম্ভব হলে কোথাও ঘুরতে যাওয়া যেতে পারে। এতে মন ভালো থাকবে তাদের।

বাঁধাকপি অনেক পুষ্টিগুণসম্পন্ন একটি খাবার

বাঁধাকপি অনেক পুষ্টিগুণসম্পন্ন একটি খাবার। বাঁধাকপির মধ্যে কম মাত্রায় ক্যালরি রয়েছে। এতে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, পলিফেনল ও সালফার উপাদান। এটি স্বাস্থ্যের জন্য বেশ ভালো।

বাঁধাকপির কিছু গুণের কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট টপটেন হোম রেমেডি।

  • এক কাপ বাঁধাকপির মধ্যে রয়েছে ২২ ক্যালরি। কম ক্যালরি থাকার কারণে এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে।
  • বাঁধাকপি শরীরের প্রদাহ কমায় এবং হার্টের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখে।
  • বাঁধাকপির মস্তিষ্কের জন্য ভালো। আয়োডিন থাকার কারণে এটি মস্তিষ্কের কার্যক্রম ভালো করতে সাহায্য করে এবং স্নয়ুর পদ্ধতি ঠিকঠাক রাখে।
  • এটি হজম পদ্ধতি ভালো করতে সাহায্য করে। বাঁধাকপি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমাতে কাজে দেয়।
  • বাঁধাকপি ডায়াবেটিস প্রতিরোধে কার্যকর। এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
  • বাঁধাকপির মধ্যে রয়েছে সালফার ও আঁশ। এটি শরীরের বিষাক্ত পদার্থ পরিশোধনে কাজ করে।
  • এটি অ্যামাইনো এসিড তৈরিতে সাহায্য করে; পাকস্থলীকে শক্তিশালী করে এবং আলসারের সমস্যা কমায়।
Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on pinterest
Pinterest
Share on telegram
Telegram
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

সর্বশেষ