রঙ্গীন স্বপ
মোহাম্মদ আমজাদ ইউনুস
ইচ্ছে করে দূর আকাশে পাখি হয়ে উড়ি
ইচ্ছে করে দিন দুপুরে উড়াই রঙ্গীন ঘুড়ি।
ইচ্ছে করে মৎস্য হয়ে ঘুরতে সাগর দেশে
ইচ্ছে করে যেতে গুলবাগে প্রজাপতির বেশে।
ইচ্ছে করে খোকা হয়ে যেতে মায়ের কোলে
ইচ্ছে করে একটু হাসতে সকল দুঃখভুলে।
ইচ্ছে করে তুলে দিতে অন্ন অনাহারীর মুখে
ইচ্ছে করে ভীষণ কাঁদতে তাদেরকষ্টে দুঃখে।
ইচ্ছে করে কলম নিয়ে লেখতে মনের কথা
ইচ্ছে করে শিল্পী হয়ে আঁকতে মনের ব্যথা।
ইচ্ছে করে অহর্নিশি গাইতে প্রভুর গান
ইচ্ছে করে দিতে জোরে বিশ্বাসের শ্লোগান।
ইচ্ছে করে গ্রন্থ পাঠে কাটাতে রাত-দিন
ইচ্ছে করে খোদার রাহে করতে জীবন লীন।
সান্তনা
হ. ম. সাইফুল ইসলাম মনজু
বিশ্বাসে আছি বিশ্বাসে বাঁচি বিশ্বাসে থাকি চেয়ে,
তুমি নব বেশে প্রাণখুলে হেসে আসবে এখানে ধেয়ে।
তোমার পরশে হৃদয় হরষে-খুশিতে উঠবে দোলে,
অতিশয় সুখ! সজল দু’চোখ! ঢলে যাব নিদকোলে!
হৃদয়ের টানে চেয়ে পথপানে কেটে যায় দিবারাত,
জ্বলি তাপদাহে চোখ তবু রাহে অসহ তিলিসমাত!
কত এল ঝড় লাগেনি তা ডর সয়েছি নিরবে বসে,
বন্ধুরা এসে বাঁকাহাঁসি হেসে মজেছে রঙ্গ রসে!
পথ চেয়েচেয়ে দু’কপোল বেয়ে ঝরেছে তপ্ত বারি,
তৃষায় পা-তক যেন সে চাতক পাখিটির আহাজারি!
বেলা প্রায় শেষ সে নিরুদ্দেশ হয়ত হবেনা দেখা,
র’ল অপূরণ খোলেনি তোরণ এ যে অদৃষ্টলেখা!
করেছি ছবর এবার কবর যায় যদি যাক হয়ে,
সমাধির ‘পর রচুক সে ঘর নতুন আসন লয়ে।
তবু আমি জানি আসবে সে মানি তুমুলগতিতে ধেয়ে,
বিশ্বাসে আছি যদিও না বাঁচি সান্ত¡না পাবো পেয়ে!
প্রভুর বন্দনা
হাজেরা সুলতানা হাসি
দেখে প্রকৃতি রূপ
ভালোলাগা দেয় ডুব
বলি সুবহানাল্লাহ
গেয়ে তব গুণগান
শেষ হবে না মহিয়ান
তুমি মালিক আল্লাহ।
পাখির উড়াওড়ি
মধুর সুর লহরী
দৃশ্য মনোরম
তোমার তুলনা তুমি
হে প্রিয় অন্তর্যামী
তুমিই অনুপম।
নদীর কলকল ধ্বনি
বলে যায় একই বাণী
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ
গেয়ে যায় পাখি
কয় ডাকিডাকি
তিনি মালিক আল্লাহ।
নতুন বছর
আয়েশা সিদ্দিকা আতিকা
আজ যেন সব কিছুতে
নতুনত্বের ছোঁয়া
পালিয়ে যাচ্ছে তাই সব
অমোঘ কালো ধোয়া।
নতুনের মাঝে নতুনত্ব সব
নতুন করে চাওয়া
জীবনের সব স্বপ্নগুলো আজ
হয় যেনগো পাওয়া।
নতুন করে সাজাবো সব
ঝড়বে পুরাতন সব
আনন্দে আজ চারিদিকে
করছে কলরব।
নতুন বছর নতুন করে
হোক সবার শপথ
নতুন বছরের শুরু হোক
করে আমল এবাদাত।
বছরটা শুরু থেকেই যাবে
অনেক বেশি ভালো
প্রভূগো চাই সবসময় আমি।
ঘড়ি
গোফরান উদ্দীন টিটু
মাদিবাই বলেছেন
যেকোন কাজে
পৌঁছেই যেও ঠিক
নির্ভয়ে, লাজে ।
মিনিট পনেরো আেেগ
আমারই মত
পৃথিবীটা সুখ পেত
শান্তি হত ।
হায় তবু হাতঘড়ি
আর দেয়ালের
চলছে ইচ্ছেমত
যত খেয়ালের ।
দিচ্ছে না যেতে আগে
রাখে পিছিয়েই
যতই এগোতে চাই
হারাই যে খেই ।
কাঁটাগুলো ধীর গতি
দৃঢ় নয় মোটে
ফুলগুলো যেন আজ
ভুল হয়ে ফোটে ।
বাড়ে না সময় কোন
কমেও না আর
পিছিয়েই রাখে পথ
জীবন আমার ।
তাই আমি নিরুপায়
সময়ের কাছে
ঘড়িগুলো ভূত হয়ে
ঘাড় ধরে নাচে!