জামেয়া ওয়েবসাইট

মঙ্গলবার-১লা জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি-৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ-২০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বন্দুক যুদ্ধে বিপর্যস্ত আমেরিকা

বন্দুক যুদ্ধে বিপর্যস্ত আমেরিকা

 মোহাম্মদ বজলুর রশীদ

লেখক: অবসরপ্রাপ্ত যুগ্মসচিব ও গ্রন্থকার

একের পর এক বন্দুক হামলায় বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্র। বন্দুক হামলা থেকে রেহাই পাচ্ছে না স্কুল, বিদ্যালয়, হাসপাতাল, গির্জা, শপিংমল, মুসলিম জনসাধারণ ও কালো চামড়ার মানুষগুলো। গত বছর জুলাই মাসে টেক্সাসে স্কুলে হামলায় ২১ জন শিশু শিক্ষার্থী প্রাণ হারায়। বন্দুকধারীর নাম সালভাদর রামোস, বয়স মাত্র ১৮ বছর। ২০২৩ সালের দুই মাসেও বেশ কয়েকটি সহিংসতায় অনেকে নিহত হয়েছে।

নিরাপত্তার জন্য স্কুলের শিক্ষক ও স্টাফদের হাতে তথা বন্দুক তুলে দেওয়ার আইন পাস করা হয়েছে। উত্তর আমেরিকার ওহাইও অঙ্গরাজ্যের শিক্ষক-ছাত্রদের নিরাপত্তার জন্য এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়। আরেকটি ঘটনা ঘটে জুন মাসে। নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের একটি সুপার মার্কেটে বন্দুক হামলায় নিহত হন ১০ জন। মার্চ ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রে উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যের গ্রেসল্যান্ড সমাধিক্ষেত্রে একব্যক্তির শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে একাধিক গুলিবর্ষণ করা হয়। এতে পাঁচজন আহত হয়। হামলাকারীও পুলিশের গুলিতে নিহত হয়।

যুক্তরাষ্ট্র তার ৩২ কোটি নাগরিকের হাতে ৩৯ কোটি বন্দুক আইনিভাবে রাখার সুযোগ দিয়েছে। আর এ জন্যই এমন সব ঘটনা ঘটছে বলে এএফপির এক সংবাদ বিশ্লেষণে বলা হয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তরুণ আমেরিকানদের মৃত্যুর প্রধান কারণ সড়ক দুর্ঘটনা। তার পরই আছে বন্দুক হামলায় মৃত্যু। সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু কমলেও আগ্নেয়াস্ত্রের ওপর নিয়ন্ত্রণের অভাবে বন্দুকের ব্যবহার বেড়েই চলছে। তবুও অস্ত্র আইনে বড় পরিবর্তন আনেনি রিপাবলিকান বা ডেমোক্র্যাট কোনো সরকারই।

যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) বলছে, ২০২০ সালে গুলিতে প্রাণ হারিয়েছে চার হাজার ৩০০ শিশু। তাদের বয়স এক থেকে ১৯ বছরের মধ্যে। ২০১৯ সালের চেয়ে যা ৩৩.৪ শতাংশ বেশি। সিডিসি বলছে, দেশে ২৯.৫ শতাংশ শিশু, কিশোর আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে। গুলিতে মৃত্যুর ঘটনাগুলোর মধ্যে আছে খুন, আত্মহত্যা, অনিচ্ছাকৃত হত্যাকাণ্ড। এ সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে আত্মহত্যার হার বাড়ে ১ দশমিক ১ শতাংশ। আইনিভাবে আগ্নেয়াস্ত্র রাখার সুযোগ প্রায় অবাধ। সে জন্যই এসব ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করেন অনেক বিশ্লেষক। তারা বলেন, এসব ঘটনার মূল কারণ বিনামূল্যে আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়ার সুবিধা। যুক্তরাষ্ট্রে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণের দাবি বিভিন্ন সময়ে উত্থাপিত হলেও, অস্ত্র প্রস্তুতকারকদের কারণে তা আলোর মুখ দেখেনি।

মিডিয়া ও বিক্ষোভকারীরা বলেছে, ‘যথেষ্ট হয়েছে’। বন্দুক হামলার লাগাম টানতে ব্যবস্থা গ্রহণে কংগ্রেসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি চান, অ্যাসল্ট ওয়েপনস নিষিদ্ধ করা, অস্ত্রের জন্য আবেদনকারীর অতীত বৃত্তান্ত বিস্তারিত খতিয়ে দেখা এবং আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণের অন্যান্য পদক্ষেপ গ্রহণ করতে। বাইডেন বলেন, ‘বন্দুক হামলায় স্তব্ধ দেশ।’ তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘আর কত প্রাণের বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্রে আগ্নেয়াস্ত্র আইন পরিবর্তন আসবে?’

বন্দুক সহিংসতা একটি দৈনন্দিন ট্র্যাজেডি যা বিশ্বজুড়ে মানুষের জীবন প্রভাবিত করছে। আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সহিংসতায় প্রতিদিন পাঁচ শতাধিক মানুষ মারা যায়। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বন্দুক সহিংসতাকে বৈশ্বিক মানবাধিকার ইস্যু হিসেবে দেখছে। সমাজ বিজ্ঞানীরা এই সমস্যাকে সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয় মনে করে, ধর্মীয় পণ্ডিতরা এটিকে বর্ণনা করেন ধর্মীয় কৃষ্টি ও বিশ্বাস থেকে মানুষের দূরে সরে যাওয়ার ফল হিসেবে। আগ্নেয়াস্ত্রের উপস্থিতি প্রায়ই মানুষকে ভীত করে তোলে। অস্ত্র ব্যক্তি এবং পুরো সম্প্রদায়ের ওপর গুরুতর এবং দীর্ঘমেয়াদি মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব ফেলতে পারে।

যখন লোকেরা বন্দুককে ভয় পায়, তখন তা মানুষের শিক্ষা বা স্বাস্থ্যসেবার অধিকারের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তারা স্কুল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেতে ভয় পায়। বিশ্লেষকরা মনে করেন, বৈধ বা অবৈধ যাই হোক আগ্নেয়াস্ত্রের সহজপ্রাপ্তিই বন্দুক সহিংসতার অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তি।

মানবাধিকারের সর্বোচ্চ সুরক্ষা নিশ্চিত করার বাধ্যবাধকতা রাষ্ট্রের ওপর রয়েছে। বেশির ভাগ মানুষের জন্য, বিশেষত যারা সবচেয়ে বড় ঝুঁকিতে রয়েছে বলে বিবেচিত হয়, সবচেয়ে নিরাপদ সম্ভাব্য পরিবেশ তৈরি করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। যদি কোনো রাষ্ট্র ক্রমাগত বন্দুক সহিংসতার মুখে আগ্নেয়াস্ত্রের দখল এবং ব্যবহারের ওপর পর্যাপ্ত নিয়ন্ত্রণ প্রয়োগ না করে তবে এটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের অধীনে তাদের বাধ্যবাধকতা লঙ্ঘনের জন্য দায়ী হয়ে পড়ে।

বিশ্বব্যাপী মোট হত্যাকাণ্ডের ৪৪ শতাংশের সাথে বন্দুক সহিংসতার সংশ্লিষ্টতা আছে। ২০১২ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী আগ্নেয়াস্ত্রজনিত মৃত্যুর সংখ্যা ১.৫ মিলিয়ন। ভুক্তভোগী এবং অপরাধীদের বেশির ভাগই তরুণ পুরুষ, তবে নারীরা বিশেষত ঘনিষ্ঠ সঙ্গীর হাতে আগ্নেয়াস্ত্র সহিংসতার ঝুঁকিতে রয়েছে। পরিসংখ্যানে আরও দেখা যায়, প্রতিদিন আনুমানিক দুই হাজার মানুষ গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয় এবং বিশ্বে অন্তত ২০ লাখ মানুষ আগ্নেয়াস্ত্রের আঘাত নিয়ে বেঁচে আছে। যুক্তরাষ্ট্রে ২০১৭ সালে আগ্নেয়াস্ত্রের আঘাতে প্রায় এক লাখ ৩৪ হাজার মানুষ গুলিবিদ্ধ ও আহত হয়েছে।

মার্কিন মুল্লুকে বন্দুক সহিংসতা মানবাধিকার সংকটে পরিণত হয়েছে। ব্যক্তি ও পরিবারের কাছে আগ্নেয়াস্ত্রের সহজ ও ব্যাপক প্রবেশাধিকার এবং শিথিল বিধিবিধানের ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর ৩৯ হাজরেরও বেশি পুরুষ, মহিলা এবং শিশুকে বন্দুক দিয়ে হত্যা করা হয় মর্মে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল প্রতিবেদনে বলেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিদিন গড়ে ৩৬০ জনেরও বেশি মানুষ গুলিবিদ্ধ হয় ও আহত অবস্থায় বেঁচে থাকে।

২০১৭ সালে প্রায় ৩৯ হাজার ৭৭৩ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১০৯ জন লোক মারা গিয়েছিল। এই হিসাব অন্যান্য শিল্পোন্নত দেশের উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি রাজ্যে নাগরিকরা আইনত প্রকাশ্যে বা গোপনে আগ্নেয়াস্ত্র বহন করতে পারে এবং বেশির ভাগ রাজ্যে আইনত প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র বহন করতে পারে। যাই হোক, জনসমক্ষে আগ্নেয়াস্ত্র বহন নিয়ন্ত্রণকারী আইনগুলোতে দেশব্যাপী কোনো অভিন্নতা নেই এবং কিছু রাজ্যে কোনো আইন নেই। ১২টি রাজ্য কোনো লাইসেন্স বা অনুমতি ছাড়াই প্রকাশ্যে গোপন অস্ত্র বহন করার স্বাধীনতা রয়েছে, ৩০টি রাজ্য কোনো লাইসেন্স বা অনুমতি ছাড়াই প্রকাশ্যে হ্যান্ডগান বহনের অধিকার রয়েছে।

বর্তমানে ৪৫টি রাজ্যে প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র বহনের অনুমতি রয়েছে। মাত্র সাতটি রাজ্যে মানুষকে একটি বিশ্বাসযোগ্য যুক্তি দেখাতে হয় বা লুকানো আগ্নেয়াস্ত্র বহন করার প্রয়োজনীয়তা দেখাতে হয়। সব ৫০টি রাজ্য এবং ওয়াশিংটন ডিসিতে প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্রের গোপনভাবে বহনের অনুমতি রয়েছে। দেখা যায়, মার্কিন সরকার মৌলিক মানবাধিকারের চেয়ে বন্দুকের মালিকানাকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। প্রচুরসংখ্যক বন্দুক প্রচলিত থাকা সত্ত্বেও এবং প্রতিবছর বন্দুকের দ্বারা নিহত মানুষের সংখ্যা বাড়তে থাকলেও, ফেডারেল প্রবিধানের বিস্ময়কর অভাব রয়েছে যা হাজারও লোককে বাঁচাতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের নির্বাহী পরিচালক মার্গারেট হুয়াং এক বিবৃতিতে এ তথ্য পেশ করেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, আফ্রিকান-আমেরিকান সম্প্রদায়, বিশেষত তরুণ কৃষ্ণাঙ্গ পুরুষরা বন্দুক সহিংসতায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২০১৭ সালে বন্দুক হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৪ হাজার ৫৪২ জন। আফ্রিকান-আমেরিকানরা মার্কিন জনসংখ্যার ১৩ শতাংশ হওয়া সত্ত্বেও দেশব্যাপী ৫৮.৫ শতাংশ নিহত হয়। শ্বেতাঙ্গ পুরুষ এবং ছেলেদের থেকে তাদের আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে হত্যায় মারা যাওয়ার সম্ভাবনা ১০ গুণ বেশি। পদ্ধতিগত বৈষম্য মোকাবেলায় ব্যর্থতা, আগ্নেয়াস্ত্রের অপব্যবহার, বন্দুক সহিংসতা প্রতিরোধ কর্মসূচিতে বিনিয়োগে ব্যর্থতা এই সংকট বাড়িয়ে তোলে।

আরেকটি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০০৯ ও ২০১৬ সালের মধ্যে ১৫৬টি গণহত্যা হয় এতে মোট ৮৪৮ জন নিহত ও ৩৩৯ আহত হয়। এখানে যে গোলাগুলিতে চারজন বা তার অধিক নিহত হয়েছে সেটিকে গণহত্যার হিসাবে নেওয়া হয়েছে।

বন্দুকের আঘাত প্রায়ই জীবনযাত্রা বা লাইফ স্টাইল পাল্টে দেয় এবং ভুক্তভোগীদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের ওপর দীর্ঘমেয়াদি মারাত্মক প্রভাব ফেলে। এর মধ্যে কিছু স্থায়ী, আজীবন যত্নের প্রয়োজন পড়ে, অনেকে তাদের কাজ করার ক্ষমতা হারায়, বিশেষত শারীরিক চাহিদাযুক্ত চাকরিতে। উন্নত দেশ হলেও পর্যাপ্ত দীর্ঘমেয়াদি যত্ন, পুনর্বাসন এবং চাকরির পুনপ্রশিক্ষণ প্রদানকারী প্রোগ্রামগুলোর কার্যত অস্তিত্বহীনতা নিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো আন্দোলন করছে। বন্দুক সহিংসতার শিকার ব্যক্তি, পরিবারের সদস্য এবং চিকিৎসাসেবার ওপর যে প্রভাব পড়েছে তার ফলে দীর্ঘস্থায়ী জনস্বাস্থ্য সংকট দেখা দিয়েছে। সরকারি সহায়তা উল্লেখযোগ্যভাবে কম।

বন্দুক সহিংসতা বিশেষত আমেরিকায় প্রচলিত যেখানে আগ্নেয়াস্ত্রের সহজ অ্যাক্সেস, দুর্বল নিয়ন্ত্রণ বা আগ্নেয়াস্ত্র সহিংসতা মোকাবেলার আইন প্রয়োগে দুর্বলতা বিদ্যমান। লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে দুর্নীতি, সংগঠিত অপরাধ এবং একটি অকার্যকর ফৌজদারি বিচারব্যবস্থা এই সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে তোলে।

বৈশ্বিকভাবে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের মধ্যে ব্রাজিলে ৭২ শতাংশ, এল সালভাদরে ৯১.১ শতাংশ, হন্ডুরাসে ৫৮.৯ শতাংশ যা উদ্বেগ প্রকাশ করে শেষ করার মতো নয়।

প্রতি বছর আট মিলিয়ন নতুন ছোট অস্ত্র এবং ১৫ বিলিয়ন রাউন্ড গোলাবারুদ উৎপাদিত হয়। ক্ষুদ্র অস্ত্র বাণিজ্যের পরিমাণ বছরে আনুমানিক ৮.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

আগ্নেয়াস্ত্র সহিংসতার একটি শক্তিশালী আর্থসামাজিক মাত্রা রয়েছে। এটি সাধারণত নিম্ন আয়ের শহুরে পাড়াগুলোতে উচ্চ স্তরের অপরাধের সাথে কেন্দ্রীভূত হয়। এর মধ্যে প্রায়ই অবৈধ মাদক পাচার, অপর্যাপ্ত পুলিশিং অন্তর্ভুক্ত থাকে যা মানবাধিকার ও আইন প্রয়োগের আন্তর্জাতিক মান মেনে চলে না।

কঠোরভাবে বন্দুক নিয়ন্ত্রণ ও সহিংসতা প্রতিরোধ প্রকল্প হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করতে পারে। বেসরকারি ব্যক্তিদের সহজে আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ বহন নিয়ন্ত্রণ করা দরকার। ব্যক্তিস্বাধীনতা ও মানবাধিকার বিষয়গুলো বন্দুক সহিংসতার আলোকে বিশ্লেষিত হওয়া প্রয়োজন। এখন এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আওয়াজ উঠেছে যে, লাইসেন্স ছাড়া আগ্নেয়াস্ত্র রাখা নিষিদ্ধ করতে হবে। রাজ্যগুলোতে সব আগ্নেয়াস্ত্র নিবন্ধন করতে হবে এবং লাইসেন্সবিহীন অস্ত্র রাখা ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করতে হবে।

একটি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স নির্দিষ্ট মানদণ্ড পূরণসাপেক্ষে হওয়া উচিত। বন্দুকের লাইসেন্স সময়-সীমাবদ্ধ হওয়া এবং অস্ত্র ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক হওয়া উচিত। প্রয়োজন ও বিশ্বাসযোগ্য যৌক্তিকতার ভিত্তিতে একজন ব্যক্তি কত অস্ত্র রাখতে পারবেন এবং তার ধরনও কঠোরভাবে সীমাবদ্ধ হওয়া উচিত।

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বছরের পর বছর ধরে চলা এ সহিংসতা থামানোর ব্যর্থতার পেছনে এসংক্রান্ত আইন পাস বন্ধে আগ্নেয়াস্ত্র নির্মাতা ও তাদের সমর্থকদের দায়ী করেছেন। সম্প্রতি তিনি কঠোর আইন প্রয়োগে চলমান বিক্ষোভকারীদের সাথেও একাত্মতা ঘোষণা করেছেন।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on pinterest
Pinterest
Share on telegram
Telegram
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

সর্বশেষ