জামেয়া ওয়েবসাইট

রবিবার-৪ঠা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি-৮ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ-২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কবিতা

উস্তাদের সম্মান

সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম

বিশ্বনিখিল পাঠশালা মোর

সবার আমি ছাত্র,

সবার থেকেই শিখছি আমি

শিখছি দিবা-রাত্র।

শিখতে আমার নেই কো লজ্জা

নাহি যে অংহবোধ,

কোনো দিনো পারবো নাকো

উস্তাদের ঋণ শোধ।

ছাত্র যারা শুনে রাখ

মোর প্রাণের আজ,

জেনে রাখ একটি কথা

এই উস্তাদ মাথার তাজ।

মাতা-পিতার চেয়েও বেশি

এ উস্তাদের সম্মান,

দোয়ায় শরীক করবে তাদের

তাই খুশি হবে প্রাণ।

বেয়াদবি করলে তুমি

ধ্বংস হয়ে যাবে,

মাহরুম হবে এলেম থেকে

আল্লাহ নারাজ হবে।

 

 

 

মুনাজাত

আলাউদ্দিন কবির

আর যতোদিন বাঁচাও খোদা, আর যতোদিন বাঁচি

থাকি যেনো তোমার দেওয়া আলোর কাছাকাছি,

পুণ্য করার সুযোগ যখন আসবে আগামীতে

পুণ্য যেনো করতে পারি তোমার দেয়া রীতে।

 

পঙ্কিলতার এই বয়সে পাপের ঝলকানিতে

তোমায় ভুলে যাই না যেনো পুণ্য-তলানিতে,

আগুনভরা ফাগুনহরা যৌবনের এই দিনে

শুভ্র করো, শুদ্ধ করো আমায় পুণ্য-ঋণে।

 

এই না পথের সঙ্গী যারা, বন্ধু যারা আমার

গন্তব্যের আগে যেনো নামও না নেয় থামার,

তোমার দয়ার রঙে সাজাও আমার সকলকিছু

তুমি ছাড়া কারো কাছে করো না কো নীচু!

নানার স্মৃতি

ইমরান তালিব

মাগো আমার নানাজান কই

দেখি না কেন তারে,

তোর নানা বাবা ঘুমিয়ে আছেন

ধোয়া পুকুরের পাড়ে!

ত্রিশ বছর বছর আগে এই জমিতেই

সবজি করিতো চাষ,

এই পুকুরেই পালিতো বাবা

এক ঝাঁক পাতিহাঁস।

আজও আছে সেই পুকুরটা দেখ

পড়ে আছে ওই জমি,

কতো যে কেঁদেছি লুটিয়ে হেথায়,

জানে সে অন্তর্যামী।

রোজ পোহাতে বাবার কণ্ঠে

শুনিতাম আজান সুর,

মসজিদ তখন এই বাড়ি থেকে

ছিল না তো বেশি দূর।

বাদ ফজরে কোরআন খুলে

পড়িতাম খোদায়ী বাণী,

বাবা তখন রশি-ঘটি লয়ে,

তুলিতো কুয়ার পানি।

শীতসকালে রসের হাড়ি

আনিতো বাবা ঘরে,

সকলেরে ডাকি পান করাতেন,

কাসার গিলাসে ভরে।

মায়ের আদর পায়নি রে আমি

পেয়েছি বাবার মায়া,

সব হারিয়েই নিঃস্ব ছিলাম,

পাইনি কোথাও ছাঁয়া।

বহুদিন আগে বাবাজান মোরে

কহিছিল এক প্রাতে,

নাতি যেন মোর বড় হয়ে সদা

চলে আল্লাহর পথে।

সেই থেকে মোর স্বপ্ন যে তুই

তুই জীবনের আশা,

তোর পানে চাহি উপচে ওঠে

হৃদয়ের ভালোবাসা।

বিদায় বেলায় মরনো জ্বালায়

দেখেছি বাবার দুঃখ,

কেঁদে-কেঁদে দুই অশ্রু জলেই

ভাসিয়ে ছি এই বুক।

শত বেদনায় চৌচির বাবা

ডেকে লয়ে মোরে পাশে,

বলেছিল মোরে কাঁদিস নে মা;

যাচ্ছি প্রভুর কাছে।

বাবার সেই চাঁদমাখা মুখ

সিক্ত চোখের পানি,

জানিস বাবা দিনে-রাতে মোরে,

কাঁদিয়েছে কতখানি!?

দোয়া কর ওরে কলিজা আমার

নানা ভাইয়ার তরে,

দয়াময় যেন সুখে রাখে তাঁরে

বেহেস্ত নসিব করে।

ওহে মুমিন জেগে ওঠো

উমার ফারুক

ওহে মুমিন শয্যা ছাড়ো

সময় আজ জাগিবার;

রণাঙ্গনে ছুটে চলো

হাতে নাও তলোয়ার।

ওহে মুমিন আঁখি খোলো

দেখো গো চারিধার;

ঈমানদার আজ নির্যাতিত

শুনা যায় হাহাকার।

ওহে মুমিন জেগে ওঠো

আকসা তোমায় ডাকছে;

সকল অলসতা ঝাড়ো

দামামা তো বাজছে।

ওহে মুমিন আওয়াজ তুলো

জেগে ওঠো আবার;

খোদার সেই পাক নামটি ধরো

তা আল্লাহু আকবার।

 

মন মুকুরে

মোয়াজ্জেম হোসেন

মনের ভেতর অচিন পাখি

ডাক দিয়ে যায় দিন দুপুরে,

ইচ্ছে করে আগলে রাখি

রাখব ধরে মন মুকুরে।

ইচ্ছেরা সব লাগাম ছিড়ে

যাই হারিয়ে বন বাদাড়ে,

পাইনা খুঁজে লোকের ভিড়ে

সময় করে ফিরবে নীরে।

 

হতেম যদি পাখি

জিশান মাহমুদ

থাকত যদি দুটি ডানা

হতেম যদি পাখি

উড়ে যেতাম নবীর দেশে

মেলে দুটি আঁখি।

রওজা পাকে সালাম করব

মনে আছে আশা।

জমজমের পানি খাব

নিয়ত বড়ই খাসা।

দরুদ পড়ে নবীর তরে

পেশ করতাম সালাম

আমার দোয়া কবুল কর

আল্লাহ পাক কালাম।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on pinterest
Pinterest
Share on telegram
Telegram
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

সর্বশেষ