জামেয়া ওয়েবসাইট

মঙ্গলবার-১লা জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি-৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ-২০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

دَارُ الافتاء جامعہ اسلاميہ پٹیہ، چاٹگام ফতওয়া বিভাগ আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়া, চট্টগ্রাম

دَارُ الافتاء جامعہ اسلاميہ پٹیہ، چاٹگام

ফতওয়া বিভাগ

আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়া, চট্টগ্রাম

ইমেইল: daruliftapatiya@gmail.com

পেইজলিংক: Facebook.com/Darul-ifta-Jamia-Patiya

 

পবিত্রতা-তাহারাত

সমস্যা: হুযুর আমি একজন স্কুল-কলেজপড়ুয়া ছাত্র, অনেক সময় রাস্তা-ঘাটে তাবলীগ জামাতের ভাইদের সাথে সাক্ষাৎ হলে তারা আমাদেরকে নামাজের জন্য ডাকে। তখন নামাজ পড়ার মতো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পোশাক পরা অবস্থায় থাকি না, কাপড়ে প্রস্রাব লাগার কারণে কাপড়ও নাপাক থাকে। তাই আমরা তাদেরকে বলি, পরে পড়বো, এখন নামাজ পড়ার মতো অবস্থায় নেই, প্রশ্ন হচ্ছে, আমাদের জন্য সেই অবস্থায় নামাজ পড়ার সুযোগ আছে কি না?

সালেহ আহমদ

পটিয়া, চট্টগ্রাম

সমাধান: এক ফোঁটা প্রস্রাব লাগলেই কাপড় নামাজের অযোগ্য হয়ে যায় না। প্রথম কথা হচ্ছে, শুধুমাত্র সেই জায়গাটুকু ধুয়ে নিয়ে নিলেই তো হয়। আর যদি কোনো কারণে তা সম্ভব না হয়, তখন ওই কাপড় নিয়ে নামাজ আদায় করলেও তা সহীহ হয়ে যাবে। কারণ ঠেকার সময় এ ধরনের কাপড় নিয়ে নামাজ পড়া যায়। আর এত সামান্য পরিমাণ নাপাকি এমন না যে, তার কারণে একেবারে নামাজই সহীহ হবে না।

উল্লেখ্য যে, অনেকের মনে সন্দেহ হয়, কাপড়ে হয়ত নাপাকি থাকতে পারে। এটা ঠিক না, বরং তা শয়তানের ধোঁকা ও ওয়াসওয়াসা এবং ফাঁদ, আপনি যেহেতু ধোয়া ও পবিত্র কাপড় পরিধান করেছেন। পরে খামোখা কাপড় নিয়ে সন্দেহে পতিত হওয়ার কোনো কারণ নেই, সাথে টিস্যু রাখুন। প্রস্রাব-পায়খানার সময় যথাসাধ্য পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্নতা অর্জন করুন। পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্নতা মুসলমানের বৈশিষ্ট্য রসুল (সা.) বলেছেন, ‘পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অঙ্গ।’ প্রস্রাবের সময় প্রস্রাবের ফোঁটা কাপড়ে লাগা অপছন্দনীয়। যা শরীরে জীবাণুও ছড়াতে পারে। তাই একজন ভদ্র মানুষ হিসেবে তা খেয়াল রাখা প্রয়োজন, আরও উল্লেখ্য যে, জেনারেলদের জন্য, আপামর জনসাধারণের জন্য নামাজের সময় আলাদা পোশাক পরে নামাজ আদায় করা জরুরি নয়। স্কুলে যান আর কলেজে বা অন্য কোনো কাজে যখন যে পোশাকেই থাকেন তা নিয়ে নামাজ আদায় করে নিলে নামাজ আদায় হয়ে যাবে। সূরা আল-মুদ্দাসসির: ৪, আহকামুল কুরআন: ৩/৬৩০, রদ্দুল মুহতার: ১/৫৪৬, ফতওয়ায়ে হিন্দিয়া: ১/১০৫, হালবিল কাবীর: ১/৩৩৫

সমস্যা: হুযুর! আমি একজন গর্ভবতী মহিলা। আমার প্রসব সন্নিকটে হওয়ার কারণে এক সপ্তাহ যাবত সাদা স্রাব যাচ্ছে। জানতে চাই ওই সাদা স্রাবের কী হুকুম? এ অবস্থায় আমি কিভাবে পবিত্র হবো? এবং নামাজ পড়বো?

সাদিয়া সোলতানা

সাতকানিয়া, চট্টগ্রাম

সমাধান: সন্তান প্রসবের পূর্বে মহিলাদের যে সাদা স্রাব যায় তা নাপাক। তা থেকে পবিত্র হয়ে নামাজ আদায় করতে হবে। কিন্তু স্রাব ধারাবাহিকভাবে নির্গত হতে থাকলে মাজুরের হুকুম ধর্তব্য হবে। এক্ষেত্রে প্রতি ওয়াক্ত নামাজের জন্য অজু করতে হবে এবং ওই অজু দ্বারা ফরজ নামাজ এবং অন্যান্য নফল ও সুন্নাত নামাজও আদায় করা যাবে। তবে অজু ভঙ্গের অন্য কোনো কারণ পাওয়া গেলে নতুন করে অজু করতে হবে। এবং এক নামাজের ওয়াক্ত চলে যাওয়ার পর দ্বিতীয় ওয়াক্তের নামাজের জন্য পুনরায় অজু করতে হবে। রদ্দুল মুহতার: ১/৫৬৬, ফতওয়ায়ে হিন্দিয়া: ১/৯২, আল-মুহীতুল বুরহানী: ১/৩৩৭, বাদায়িউস সানায়ি: ১/১৬৪

সালাত-নামাজ

সমস্যা: আমরা অনেক সময় কুরআনের তিলাওয়াত বা জিকিরে ব্যস্ত থাকি। ওই সময় যদি আযান শুরু হয় তখন কী করব? তিলাওয়াত ও যিকির বন্ধ রেখে আযানের উত্তর দেবো? নাকি তিলাওয়াত ও যিকিরে মশগুল থাকবো? আযান শেষ হওয়ার পর উত্তর দেবো?

মোহাম্মদ যাকারিয়া

নোয়াখালী

সমাধান: সাধারণ অবস্থায় তিলাওয়াত বা যিকিরে থাকা অবস্থায় আযান শুনলে তিলাওয়াত বা যিকির মওকুফ রেখে আযানের জওয়াব দেওয়াই উত্তম, কিন্তু যারা কুরআন মজীদ শিখা বা শিখানোর কাজে ব্যস্ত থাকে তারা তাদের পড়াশোনা অব্যাহত রাখতে পারে, এ অবস্থায় তাদের আযানের জাওয়াব না দেওয়ার ও অবকাশ রয়েছে। ফতওয়ায়ে হিন্দিয়া: ১/১১৪; ফাতহুল কাদীর: ১/২৫৪; মারাকিল ফালাহ: ২০২; আল-বাহরুর রায়িক: ১/৪৫১,৪৫২; রদ্দুল মুহতার: ২/৮১

সমস্যা: আমি একাকী যোহরের নামাজ আদায়কালে প্রথম দুই রকআতে সূরা ফাতিহার সাথে অন্য সূরা মিলিয়ে পড়ি এবং তৃতীয় ও চতুর্থ রকআতেও ভুলে সূরা ফাতিহার সাথে অন্য সূরা মিলিয়ে পড়ি, অতঃপর সিজদায়ে সাহু করা ব্যতীত সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করে ফেলি। এ অবস্থায় আমার উক্ত নামাজের হুকুম কী?

মুহাম্মদ সালমান

কক্সবাজার

সমাধান: ফরজ নামাজের শেষ দুই রকআতে সূরা ফাতিহার সাথে অন্য সূরা মিলানো সুন্নাহ পরিপন্থী। তাই ইচ্ছাকৃত এমনটি করা থেকে বিরত থাকতে হবে। তবে এর দ্বারা সাহু সেজদা ওয়াজিব হয় না। তাই প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনার নামাজ আদায় হয়ে গেছে। মারাকিল ফালাহ: ২৪৮; আল-বাহরুর রায়িক: ২/১৬৭; রদ্দুল মুহতার: ২/১৮৬; আল-মুহীতুল বুরহানী: ২/৫৭

সওম-ইতিকাফ

সমস্যা: রমজানে অনেক সময় রাস্তা দিয়ে হাঁটার সময় গাড়ি থেকে বের হওয়া ধোয়া, ধুলাবালি, এবং পোকা ইত্যাদি মুখ ও নাক দিয়ে ঢুকে যায় এর দ্বারা রোজা নষ্ট হয়ে যাবে কিনা?

কামরুল ইসলাম

সিলেট

সমাধান: ধোঁয়া, ধুলাবালি, মশা-মাছি ও পোকা ইত্যাদি অনিচ্ছাকৃত রোজাদারের মুখ ও নাক দিয়ে ঢুকে যাওয়ার দ্বারা রোজা নষ্ট হবে না। আদদুররুল মুখতার ৩/৩৬৬; ফতওয়ায়ে হিন্দিয়া: ১/২৬৬; ফতওয়ায়ে কাযীখান: ১/১৮৪; ফতওয়ায়ে সিরাজিয়া: ১/২৯০

সমস্যা: গত রমজানে প্রচণ্ড গরম পড়েছিল। গরমের কারণে অত্যন্ত ক্লান্ত হয়ে পড়তাম। এবং প্রচণ্ড রকমের পানির পিপাসা লাগত ৷ তাই আমি পুকুরের ঠান্ডা পানিতে গোসল করতাম। যেন পানির পিপাসা কমে যায় এবং শারীরিক ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। কেউ বলেছে, এভাবে গোসল করা না কি মকরুহ। তাদের কথা কি সঠিক?

সালেম

পটিয়া

সমাধান: না, তাদের একথা সঠিক নয়। রোজা অবস্থায় অতি গরমের কারণে শারীরিক ক্লান্তি ও দুর্বলতা ও পিপাসার কষ্ট কমানোর উদ্দেশ্যে গোসল করলে রোজার কোনো ক্ষতি হবে না। সুনানে আবু দাঊদ: ২৩৬৫; আদদুররুল মুখতার: ৩/৪৫৮-৪৫৯; ফতওয়ায়ে হিন্দিয়া: ১/২৬২; মারাকিল ফালাহ: ৬৮৩

যাকাত

সমস্যা: কোনো কয়েদি ব্যক্তি যদি যাকাত গ্রহণের যোগ্য হয়, তাহলে তাকে মুক্ত করার জন্য যাকাতের টাকা ব্যয় করলে যাকাত আদায় হবে কিনা?

মোহাম্মদ সোলাইমান

সোনাগাজী, ফেনী

সমাধান: কয়েদি ব্যক্তি যদি যাকাত গ্রহণের যোগ্য হয়, তাহলে তার অনুমতিক্রমে তার মুক্তিপনে যাকাতের টাকা ব্যয় করলে তা দ্বারা যাকাত আদায় হয়ে যাবে। বরং তা উত্তম হবে। তাফসীরে কুরতুবী: ৮/১৯৭, আল-মাওসুআতুল ফিকহিয়া আল-কুয়েতিয়া: ২৩/৩২০-৩২১, আল-মুগনী: ৯/১০৪

সমস্যা: আমাদের প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন উপলক্ষে পুরস্কার দেওয়া হয়। হুজুরের কাছে জানতে চাই, যাকাতের টাকা দ্বারা পুরস্কার দেওয়া যাবে কি না?

তাকী উসমানী

সাতকানিয়া, চট্টগ্রাম

সমাধান: যাদেরকে পুরস্কার দেওয়া হবে তারা যদি যাকাত গ্রহণের উপযুক্ত হয়, তাহলে তাদেরকে যাকাতের টাকা দ্বারা পুরস্কার দেওয়া যাবে। আদ-দুররুল মুখতার: ৩/৩০৭, খুলাসাতুল ফাতওয়া: ১/২৪৩, ফতওয়ায়ে তাতারখানিয়া: ৩/২১৮, ফতওয়ায়ে হিন্দিয়া: ২/২৫২

হজ

সমস্যা: আমার আব্বুর ওপর হজ ফরজ ছিল, কিন্তু তিনি কোনো কারণে হজ করতে পারেননি। মৃত্যুর পূর্বে তার পক্ষ থেকে বদলি হজ করার জন্য অসিয়ত করেছেন। আমাদের এক আত্মীয় সৌদিতে থাকেন। আমরা চাচ্ছি তার মাধ্যমে আমার আব্বুর বদলি হজ করাতে। এটি জায়েয হবে কিনা?

আরফাতুল ইসলাম

পেকুয়া, চট্টগ্রাম

সমাধান: প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনার আব্বু যেহেতু তার পক্ষ থেকে বদলি হজ করার জন্য অসিয়ত করেছেন তাই তার রেখে যাওয়া যাবতীয় সম্পত্তির একতৃতীয়াংশ সম্পদ দ্বারা কারো মাধ্যমে বদলি হজ করানো ওয়াজিব। যদি তার রেখে যাওয়া যাবতীয় সম্পদের এক তৃতীয়াংশ সম্পদ দ্বারা দেশ থেকে কারো মাধ্যমে হজ করা যায় তাহলে বিদেশে বসবাসরত কারো মাধ্যমে বদলি হজ সহীহ হবে না, আর যদি এক তৃতীয়াংশ সম্পদ দ্বারা দেশ থেকে পাঠানো না যায় তাহলে তার এক তৃতীয়াংশ সম্পদ ব্যয় করে অন্য জায়গা থেকে কারো মাধ্যমে হজ করাবে। সহীহুল বুখারী: ১/২৫০; তিরমিযী: ১/২৮২; মুসান্নাফে ইবনে আবু শায়বা: ৪/৪২৮; রদ্দুল মুহতার: ৪/২১; আল-মুহীতুল বুরহানী: ৩/১৯; খুলাসাতুল ফাতওয়া : ২৭৮

সমস্যা: কোনো কোনো হাজীকে দেখা যায় হজে যাওয়ার সময় কিছু মালামাল নিয়ে যায়। সৌদিতে এগুলো বিক্রি করে। আবার আসার সময় কিছু মাল দেশে এনে বিক্রি করে। এ ধরনের ব্যবসা কি জায়েয? এতে কি হজের কোনো ক্ষতি হবে? এতে কি হজের কোনো ক্ষতি হবে?

মুহাম্মদ আবদুল্লাহ

বগুড়া

সমাধান: যেসব মাল আদান-প্রদান উভয় দেশের সরকার কর্তৃক অনুমোদিত সেগুলো আনা-নেওয়া করে ব্যবসা করা নাজায়েয হবে না। হজের ক্ষতি হওয়া না-হওয়ার সম্পর্ক হল সহীহ নিয়ত এবং হজের আমলসমূহ ঠিকমতো আদায় করা না-করার সাথে। সুতরাং হজের উদ্দেশ্যেই যদি সফর হয় এবং সহীহ নিয়তে হজের কার্যাদি যথাযথ আদায় করে তবে ব্যবসার কারণে হজের কোনো ক্ষতি হবে না। সূরা আল-বাকারা: ১৯৮

নিকাহ-তালাক

সমস্যা: আমার আব্বু প্রথমে আমার আম্মুকে বিয়ে করেছেন। আমার আম্মু ইন্তিকাল করার পর তিনি আমার ছোট আম্মুকে বিয়ে করেন। তাঁকে আমার আব্বু বিয়ে করার পূর্বে অন্য আরেক জায়গায় বিয়ে দেওয়া হয়েছিল, সে ঘরে একটি মেয়ে হয়েছিল। এখন প্রশ্ন হলো, ওই মেয়েকে বিয়ে করা আমার জন্য জায়েয হবে কিনা?

আবদুল্লাহ মামুন

নাপোড়া, বাঁশখালী, চট্টগ্রাম

সমাধান: ওই মেয়েটির সাথে আপনার বিয়ে সহীহ হবে। কারণ আপনারা উভয় জনের বাবা-মা ভিন্ন এবং আপনাদের মাঝে রক্তের সম্পর্ক নেই। সূরা নিসা: ২৪, মুসান্নাফে ইবনে আবদুর রাজ্জাক: ৬/২৬৪; আদদুররুল মুখতার: ৪/১১২; তানকীহুল ফাতাওয়াল হামিদিয়া: ১/১৬

সমস্যা: গত সপ্তাহে আমাদের এলাকায় ইমাম সাহেব একটি বিয়ে পড়ান। যখন ইমাম সাহেব ছেলেকে কবুল বলতে বলল, তখন ছেলে কবুল না বলে ‘আ‍ল-হামদু লিল্লাহ’ বলে, এখন আমার জানার বিষয় হলো, কেহ কবুল না বলে আল-হামদু লিল্লাহ বা এই রকম এমন কোনো শব্দ বলা, যার দ্বারা সন্তুষ্ট বুঝা যায় বিয়ে হবে কিনা?

মোহাম্মদ আহসান হাবিব

রামু, কক্সবাজার

সমাধান: বিয়ের ইজাব করার পর বিয়ের প্রস্তাবের উত্তরে পাত্র যদি কবুল শব্দ না বলে অন্য কোনো শব্দের মাধ্যমে তার সম্মতি ও সন্তুষ্টি প্রকাশ করে তা দ্বারাও বিয়ে সহীহ হয়ে যায়। সুতরাং প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে পাত্র আল-হামদু লিল্লাহ বলে তার সম্মতি প্রকাশ করার দ্বারা বিয়ে সহীহ হয়ে যাবে। খুলাসাতুল ফাতওয়া: ২/৩; ফতওয়ায়ে হিন্দিয়া: ১/৩৩৭; ফাতওয়া বাযযাযিয়া: ১/৭৩; আহসানুল ফাতওয়া : ৫/৩৬

মুআমালা-লেনদেন

সমস্যা: মাদি গরু-ছাগলের গর্ভসঞ্চারের জন্য ষাঁড় বা পাঠা ছাগলের প্রয়োজন হয়। কিছু লোক ষাঁড় ও পাঠা ছাগল লালন করে এবং এগুলো দিয়ে ব্যবসা করে থাকে। যেমন মাদি ছাগল বা গাভী দেখানোর জন্য একটি পারিশ্রমিক নিয়ে থাকে। এভাবে পারিশ্রমিক নেওয়া কি বৈধ?

তাছাড়া আজকাল গর্ভধারনের জন্য বিদেশ থেকে আমদানিকৃত বিভিন্ন ষাঁড়ের কীট যুক্ত ইঞ্জেকশন পাওয়া যায়। এগুলো কেনাবেচা করার হুকুম কি?

মুহাম্মদ আবু বকর

গোপালগঞ্জ

সমাধান: ষাঁড় বা পাঠা ছাগল দিয়ে ওই ধরনের উপার্জন হালাল নয়। তাই এভাবে উপার্জিত টাকা মালিকদেরকে ফেরত দিতে হবে। যথাযথ অনুসন্ধানের পরও মালিক না পাওয়া গেলে মালিকের পক্ষ থেকে ওই টাকা সদকা করে দিতে হবে। আর ষাঁড়ের কীটযুক্ত ইঞ্জেকশন বেচাকেনা করা জায়েয। রদ্দুল মুহতার ৬/৫৫; আল-মুগনী ৬/৩২০; সুনানে দারাকুতনী ৩/৪৭; ফয়জুল কাদীর ৬/৩২৮, ৩৩৫

সমস্যা: প্রতি বছর অক্টোবর-নভেম্বরের দিকে বাজারে প্রচুর পরিমাণে আদা পাওয়া যায়। আমি যদি অধিক পরিমাণে তা কিনে রেখে দেই আর বছরের শেষে যখন দাম বাড়বে তখন বিক্রি করি তবে কি এটা জায়েয হবে?

মিজান

রামু, কক্সবাজার

সমাধান: এভাবে রেখে দেওয়ার দ্বারা যদি বাজারে বিশেষ কোনো প্রভাব না পড়ে এবং এ কারণে মানুষের কষ্ট না হয় তবে তা জায়েয হবে। আদ-দুররুল মুখতার ৬/৩৯৮; ফাতওয়া শামী ৬/৩৯৮

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on pinterest
Pinterest
Share on telegram
Telegram
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

সর্বশেষ