জামেয়া ওয়েবসাইট

শনিবার-৩০শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি-৫ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ-২০শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারতবর্ষে নকশবন্দিয়া তরীকার ক্রমবিকাশ

 মুহাম্ম রবিউল হক

ভারতবর্ষে নকশবন্দিয়া সিলসিলার দাওয়াত-তাবলীগ, তাযকিয়া-তরবিয়ত, সংস্কার ও বিপ্লবের পরিধি ব্যাপক ও বিস্তৃত। মুজাদ্দিদিয়া, মা’সুমিয়া, আহসানিয়া ও মুহাম্মদিয়া নামে এই সিলসিলার বৈশিষ্ট্যময় স্বতন্ত্র শাখাগুলোর খেদমত ইতিহাসে ভাস্বর হয়ে রয়েছে।হিজরি দ্বিতীয় সহস্রাব্দের শুরুতে মুসলিম বিশ্বের অনেক অঞ্চলে বিশেষ করে ইরান ও ভারতবর্ষে এই স্লোগান উচ্চারিত হচ্ছিল, ‘নতুন যুগ নতুন আইন, নতুন সহস্রাব্দ ও নতুন নেতৃত্ব’ এবং পরে ‘দীনে ইলাহী’ নামে ধর্মের নতুন সংস্করণ প্রকাশ করা হয়। ঠিক তখনই সরহিন্দের দিক থেকে একজন ঘোষকের আওয়াজ শোনা যায়, ‘পথ পরিষ্কার করুন, পথিক আসছেন…।’

নকশবন্দিয়া সিলসিলার প্রতিষ্ঠাতা খাজা বাহাউদ্দীন নকশবন্দী (রহ.)। নকশবন্দিয়া সিলসিলা ভারতবর্ষে দুটি মাধ্যমে আগমন করে; আমীর আবদুল্লাহ আকবরাবাদী (রহ.) যিনি আপন পিতৃব্য আবদুল্লাহ আহরারী (রহ.)-এর কাছ থেকে নকশবন্দিয়া তরীকায় এজাজত ও খিলাফত লাভ করেছিলেন। এই তরীকায় নকশবন্দিয়া ও চিশতিয়া পরস্পরের সঙ্গে জড়িত ও সম্পর্কিত। ভারতের দানাপুর, মারহারা প্রভৃতি জায়গায় আবুল আলায়ী সিলসিলা তার দ্বারা চালু রয়েছে। অন্য মাধ্যমে শায়খ আবদুল বাকী নকশবন্দী দেহলভী যিনি খাজা বাকী বিল্লাহ নামে সমধিক প্রসিদ্ধ। তিনি আধ্যাত্মিক প্রশান্তি ও আল্লাহ তাআলার খোঁজে মা ওয়ারাউন নাহারের অনেক শায়খদের মজলিসে হাজিরা দিতে থাকেন এবং বায়আত হন।

পরবর্তীতে স্বপ্নযোগে খাজা বাহাউদ্দীন নকশবন্দী (রহ.)-এর জিয়ারত লাভ করেন এবং নকশবন্দিয়া তরীকার অন্যতম বুজুর্গ কাশ্মীরের বাবা কুবরাবীর খেদমতে পৌঁছেন এবং উপকৃত হন। তাঁর ইন্তিকালের পর খাজা উবায়দুল্লাহ আহরার (রহ.)-এর সঙ্গে রুহানি সম্পর্ক তৈরি করেন এবং তালিম ও তরবিয়ত নিয়ে পূর্ণতাপ্রাপ্ত হন। তাঁর রচনাবলির মধ্যে ‘সিলসিলাতুল আহরার’ উল্লেখযোগ্য। শায়খ বাকী বিল্লাহ (রহ.)-এর খলীফাদের মধ্যে মুজাদ্দিয়া তরীকার ইমাম ও প্রতিষ্ঠাতা শায়খ আহমদ সরহিন্দ মুজাদ্দিদে আলফে সানী (রহ.), শায়খ হুসসামুদ্দীন ইবনে নিজামুদ্দীন বাদাখশী (রহ.), শায়খ ইলাহদাদ দেহলভী (রহ.) ও মুহাদ্দিস আবদুল হক দেহলভী প্রমুখ উল্লেখযোগ্য।

মুজাদ্দিদিয়া তরীকার প্রতিষ্ঠাতা শায়খ আহমদ সরহিন্দ (রহ.) ছিলেন ফারুকী বংশের। তাঁর পিতা মখদূম শায়খ আবদুল আহাদ (রহ.) ছিলেন চিশতিয়া সিলসিলার অন্যতম বুজুর্গ শায়খ আবদুল কুদ্দুস গঙ্গুহী (রহ.) ও শায়খ রুকনুদ্দীন (রহ.) থেকে খেলাফত প্রাপ্ত। হযরত মুজাদ্দিদে আলফে সানী (রহ.) পিতার অধীনে চিশতিয়া কাদিরিয়া তরীকার সুলুকের মনযিল অতিক্রম করেন। অতঃপর তিনি নকশবন্দিয়া তরীকার মহান রাহবার খাজা বাকী বিল্লাহ (রহ.)-এর খেদমতে হাজির হয়ে বায়আত হন এবং এজাজত লাভে ধন্য হন।

হজরত মুজাদ্দিদ (রহ.) এ ক্ষেত্রে কামালিয়াত এবং ইমামতের দরজায় পৌঁছে যান যে, খাজা বাকী বিল্লাহ (রহ.) মুরিদদেরকে তাঁর অবর্তমানে মুজাদ্দিদ (রহ.)-এর সাথে সম্পর্ক রাখতে আদেশ করেন। তিনি তার দুই দুগ্ধপোষ্য শিশুপুত্র খাজা উবায়দুল্লাহ ও খাজা আবদুল্লাহকে হজরত মুজাদ্দিদের দ্বারা ‘তাওয়াজ্জুহ’ প্রদান করান। কবি বলেন, ‘আত্মসচেতন এক পুরুষ পৃথিবী পালটে দিলো, পালটে দিলো পৃথিবীর পরিবেশ।’

হজরত মুজাদ্দিদ (রহ.)-এর সবচেয়ে বড় অবদান তিনি সরহিন্দের নিভৃত খানকায় বসে হিজরী দ্বিতীয় সহস্রাব্দের সবচেয়ে বড় ফিতনা ‘দীনে ইলাহী’ যা মুহাম্মদী দীনকে বিকৃত সাধন করেছিল, তা থেকে ইসলামকে রক্ষা করেন। এ জন্য তিনি ইতিহাসে ‘মুজাদ্দিদে আলফে সানী’ বা ‘হিজরী দ্বিতীয় সহস্রাব্দের সংস্কারক’ হিসেবে প্রসিদ্ধ হয়ে আছেন। দীনে ইলাহির ইরতিদাদের ফিতনা থেকে ইসলামকে রক্ষা করতে তিনি কী কী কর্মপন্থা গ্রহণ করেছিলেন তার জন্য স্বতন্ত্র নিবন্ধের প্রয়োজন।

মুজাদ্দিদ (রহ.)-এর রচনাবলির মধ্যে তার ‘মাকতুবাত’ সংকলন অন্যতম। যার দর্শন, সাহিত্যমান নিয়ে বহু গবেষণাধর্মী গ্রন্থ রয়েছে। বাগদাদের প্রখ্যাত আলিম আল্লামা মাহমুদ আলুসী (রহ.) তাঁর বিখ্যাত তাফসির গ্রন্থ রুহুল মাআনীতে মুজাদ্দিদ (রহ.)-এর মাকতুবাত থেকে রেফারেন্স গ্রহণ করেছেন। শায়খ মুহাম্মদ মুরাদ মক্কী মুজাদ্দিদ (রহ.)-এর দাওয়াত, তরবিয়ত ও সংস্কারের ওপর ‘যায়লুর রাশাহাত’ নামে একটি অনবদ্য গ্রন্থ রচনা করেন।

মুজাদ্দিদ (রহ.)-এর খলীফাদের নির্দিষ্ট পরিসংখ্যান ইতিহাসে উল্লেখ নেই। তবে তিনি উপমহাদেশসহ বিশ্বের প্রতিটি অঞ্চলে খলীফাগণের প্রতিনিধি প্রেরণ করেন। তবে তার অন্যতম দুজন খলীফা যাদের মাধ্যমে মুজাদ্দিদিয়া, নকশবন্দিয়া সিলসিলার প্রসিদ্ধি পেয়েছে এবং ভারতবর্ষে সুলুক, তরবিয়ত দ্বারা জনসাধারণের ঈমান-আকিদা পরিশুদ্ধ করেছেন তারা হলেন; খাজা মাসুম (রহ.)। যিনি মুজাদ্দিদ (রহ.)-এর সাহেবজাদা ও মাসুমিয়া সিলসিলার প্রতিষ্ঠাতা এবং সাইয়েদ আদম বানুরী (রহ.) যিনি ‘আহসানিয়া’ সিলসিলার প্রতিষ্ঠাতা।

খাজা মাসুম ইবনে আহম ইবনে আবদুল আহাদ আল-উমারী (রহ.) নিজ পিতা মুজাদ্দিদ শায়খ আহমদ সরহিন্দ (রহ.)-এর থেকে সুলুকের উচ্চ মাকাম অতিক্রম করেন যে, পিতা তাঁকে ‘কাইয়ূমিয়াত’ প্রভৃতির মতো মর্তবার সুসংবাদ প্রদান করেন। পিতার ইন্তিকালের পর তিনি তাঁর আসনে সমাসীন হন। কথিত আছে, নয় লক্ষ মানুষ তার হাতে বায়আত হন। তার মধ্যে মোগল শাহজাদা (পরবর্তীকালে সম্রাট) আওরঙ্গজেব অন্যতম। তাঁর খলীফাদের সংখ্যা ছিল সাত হাজার, এর মধ্যে চার হাজার কামালিয়াত অর্জন করে ইজাজত প্রাপ্য ছিলেন।

যারা ভারতবর্ষ ছাড়াও আরব, আজম, খুরাসান, রুম ও মা ওয়ারাউন নাহর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছিলেন। শায়খ মাসুম কর্তৃক লিখিত মাকতুবাত (পত্রাবলি) তিন খণ্ডে সংকলিত। খাজা মাসুম (রহ.) নিজের স্থলাভিষিক্ত হিসেবে তার দ্বিতীয় পুত্র খাজা মুহাম্মদ নকশবন্দী (রহ.)-কে মনোনীত করেন। পিতার ইন্তিকালের পর তিনি হেদায়েত ও তরবিয়তের কাজে নিমগ্ন হয়ে পড়েন। তাঁর খলীফাদের মধ্যে ছিলেন খাজা মুহাম্মদ যুবায়ের ইবনে আবুল আলা ইবনে খাজা মাসুম। খাজা যুবায়েরের খলীফাদের মধ্যে তিন জন প্রসিদ্ধি পান। তারা হলেন, শাহ যিয়াউল্লাহ (রহ.) যার খলীফাদের মধ্যে শাহ মুহাম্মদ আফাক (রহ.) অন্যতম। খাজা মুহাম্মদ নাসির আন্দালিব (রহ.) যার পুত্র খাজা মীর দরদ দেহলভী। খাজা আবদুল আদল যার খলীফা হলেন শাহ ওয়ালিউল্লাহ দেহলভী (রহ.)-এর পুত্র, কুরআনুল করীমের ফারসি অনুবাদক শাহ আবদুল কাদির দেহলভী (রহ.)।

শাহ মুহাম্মদ আফাক (রহ.)-এর খলীফাদের মধ্যে মাওলানা ফযলে রহমান গঞ্জে মুরাদাবাদি (রহ.) প্রসিদ্ধ। যার যুহদ, তাকওয়া, শরিয়ত ও সুন্নাহর অনুসরণের কারণে তাকে সে যুগের ‘ওয়ায়েস আল-কারনী’ বলা হতো। মুজাদ্দিদিয়া মাসুমিয়া সিলসিলার বুজুর্গদের মধ্যে খাজা সাইফুদ্দীন সরহিন্দী যিনি আপন পিতা খাজা মাসুমের নির্দেশে দিল্লীতে খানকা স্থাপন করেন এবং তরবিয়তের ধারা অব্যাহত রাখেন।

এ খানকায় বড় বড় শায়খ সুলুকের পথ প্রাপ্ত হন তার মধ্যে বাদশাহ মুহিউদ্দীন আওরঙ্গজেব (রহ.) অন্যতম। খাজা সাইফুদ্দীন (রহ.)-এর পর সাইয়েদ নুর মুহাম্মদ বাদায়ূনী (রহ.) তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন। তাঁর ইন্তিকালের পর মির্যা মাজহার জানে জানাঁ (রহ.) স্থলাভিষিক্ত হন এবং প্রায় ৩৫ বছর পর্যন্ত রাজধানী দিল্লীতে প্রেমের বাজার উত্তপ্ত রাখেন। শাহ ওয়ালিউল্লাহ দেহলভী (রহ.) ‘কলেমাতে তাইয়েবা’ গ্রন্থে তাঁর ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।

মুজাদ্দিদিয়া তরীকার বিশ্বব্যাপী প্রচার-প্রসার শাহ গোলাম আলী বাটালভী (রহ.)-এর মাধ্যমে পায়। ভারতবর্ষের এমন কোনো শহর ছিল না যেখানে তার মুরিদ ছিল না। কেবল আম্বালা শহরে তাঁর পঞ্চাশজন খলীফা ছিল। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন শাহ আহমদ সাঈদ ইবনে শাহ আবু সাঈদ (রহ.)। তাঁর খলীফাদের মধ্যে মাওলানা সাইয়েদ আবদুস সালাম ওয়াসেতী হাসুভী (রহ.) এবং মুহাদ্দিস শাহ আবদুল গনী (রহ.) প্রসিদ্ধ।

শাহ আবদুল গনী (রহ.) ইলমে হাদীস, সুলুক ও তাসাউফকে এমনভাবে একত্র করেন যার নজির শাহ আবদুল আযীয দেহলভী (রহ.)-কে বাদ দিলে আর কোথাও পাওয়া যায় না। বাতেনি ইলমের পাশাপাশি তিনি ‘উস্তাযুল হিন্দ’ হিসেবে প্রসিদ্ধ ছিলেন যার দরসে মাওলানা কাসিম নানুতবী, মাওলানা রশীদ আহমদ গঙ্গুহী (রহ.)-এর মতো বিখ্যাত আলিম উপস্থিত থাকতেন। যাদের হাতে দারুল উলুম দেওবন্দ, মাজাহিরুল উলুমের মতো জগৎবিখ্যাত হাদীস চর্চার কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৮৫৭ সালের (সিপাহি) বিপ্লবের পর তিনি মদীনা মুনাওয়ারা হিজরত করেন এবং কানযুল উম্মালের লেখক শায়খ আলী মুত্তাকী (রহ.)-এর সুন্নত জীবিত করে হারামাইন শরীফাঈনে হাদীসের দরস দিতে থাকেন। মুজাদ্দিদ আলফ সানীর বিশিষ্ট খলীফা, ‘আহসানিয়া মুজাদ্দিদিয়া’ সিলসিলার প্রতিষ্ঠাতা শায়খ সাইয়েদ আদম হুসাইনী বানুরী (রহ.) যিনি হুসাইন (রযি.)-এর বংশের ছিলেন। তিনি মুলতানে মুজাদ্দিদ সাহেবের মুরিদ হাজী খিজির রূগানী (রহ.) থেকে আধ্যাত্মিকতার সবক গ্রহণ করেন এবং দুমাস পর তার হুকুমে মুজাদ্দিদ সাহেবের খেদমতে হাজির হন।

হাফিয সাইয়েদ আবদুল্লাহ আকবরাবাদী (রহ.)-এর মাধ্যমে আহসানিয়া মুজাদ্দিদিয়া সিলসিলার সর্বাধিক প্রচার ও প্রসার ঘটে। শাহ ওয়ালিউল্লাহ দেহলভী (রহ.)-এর পিতা শাহ আবদুর রহীম ফারুকী (রহ.) তাঁর খলীফা ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ছিলেন। যিনি ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া (ফতোয়ায়ে আলমগীরী নামে প্রসিদ্ধ) রচনা কমিটির অন্যতম সদস্য ছিলেন। এই সিলসিলা থেকেই হুজ্জাতুল ইসলাম শাহ ওয়ালিউল্লাহ দেহলভী (রহ.), শাহ আবদুল আযীয (রহ.) এবং তার থেকে সাইয়েদ আহমদ শহীদে বালাকোট ও মিয়া নূর মুহাম্মদ ঝিনঝিনাভী (রহ.)-এর খেলাফতপ্রাপ্ত হন।

মিয়া নূর মুহাম্মদ ঝিনঝিনাভী (রহ.) থেকে শায়খুল আরব ওয়াল আজম হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কী (রহ.) ও তাঁর খলীফা মাওলানা কাসিম নানুতবী (রহ.) (দারুল উলুম দেওবন্দের প্রতিষ্ঠাতা), মাওলানা রশীদ আহমদ গঙ্গুহী (রহ.), হাকিমুল উম্মত মাওলানা আশরাফ আলী থানভী (রহ.), শায়খুল হিন্দ মাহমুদ হাসান দেওবন্দী (রহ.), শাহ আবদুর রহীম রায়পুরী (রহ.), মাওলানা ইয়াহইয়া কান্ধলভী (রহ.), মাওলানা খলিল আহমদ সাহারানপুরী (রহ.) (বযলুল মজহূদ প্রণেতা), সাইয়েদ হুসাইন আহমদ মাদানী (রহ.), মাওলানা আবদুল কাদির রায়পুরী (রহ.), মাওলানা ইলিয়াস কান্ধলভী (তাবলীগ জামায়াতের প্রতিষ্ঠাতা), শায়খুল হাদীস যাকারিয়া কান্ধলভী (রহ.) এবং সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নদভী (রহ.) প্রমুখ উল্লেখযোগ্য। তাঁরা প্রত্যেকেই মুজাদ্দিদিয়া আহসানিয়া সিলসিলার থেকে খেলাফত ও অনুমতিপ্রাপ্ত ছিলেন।

সাইয়েদ আহমদ শহীদ (রহ.) ‘তরীকায়ে মুহাম্মদিয়া’ নামে ভিন্ন ধারা প্রতিষ্ঠা করেন। রুহানি তরবিয়তের মাধ্যমে তৈরি জামায়াত নিয়ে তিনি বালাকোটের ময়দানে শহীদ হন। যাদের মধ্যে শাহ ইসমাইল শহীদ (রহ.) ও মাওলানা আবদুল হাই বুরহানবী (রহ.) বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তাঁর রচিত সিরাতুল মুস্তাকিম একটি অনবদ্য গ্রন্থ। বর্তমান বিশ্বে নকশবন্দী তরীকার সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য মনীষী হলেন শাহ সূফি জুলফিকার আহমদ নকশবন্দী (হাফি.)।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on pinterest
Pinterest
Share on telegram
Telegram
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

সর্বশেষ