জামেয়া ওয়েবসাইট

শনিবার-৩০শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি-৫ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ-২০শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গীবত ও চোগলখোরির অভ্যাস মানুষকে ধ্বংস করে দেয়

গীবত ও চোগলখোরির অভ্যাস মানুষকে ধ্বংস করে দেয়

আমাতুল্লাহ তাসনীম

এ প্রবন্ধে এমন এমন একটি বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করা হবে, যা থেকে বেঁচে থাকা খুব কঠিন নয়। বেঁচে থাকা খুব সহজ, কিন্তু বাঁচতে পারছে না অনেক মানুষ। সেটি হচ্ছে গীবত ও চোগলখোরি। আল্লাহ তাআলা কুরআনে এবং রসুল (সা.) তাঁর হাদীসে অত্যন্ত কঠোর ভাষায় তা থেকে বিরত থাকতে নিষেধ করেছেন এবং তাতে কেউ লিপ্ত হলে তাকে কঠিন শাস্তির ভয় দেখানো হয়েছে।

গীবত ও চোগলখোরি অর্থ

মানুষের অজান্তে দোষ বর্ণনার নাম গীবত। যদিও উক্ত দোষ তার মাঝে বর্তমান থাকে। চোগলখোর ওই ব্যক্তিকে বলা হয়, যে মানুষের মাঝে ঝগড়া লাগানোর উদ্দেশ্যে একজনের কথা অন্যজনের কাছে বর্ণনা করে। গীবতকারী ও চোগলখোরের মধ্যে পার্থক্য এই যে, চোগলখোরের মধ্যে ঝগড়া লাগানোর ইচ্ছা থাকে। আর গীবতকারীর মধ্যে তা থাকা শর্ত নয়।

গীবত ও চোগলখোরির শাস্তি

গীবতকারী ও চোগলখোররা মানুষের মধ্যে বিচ্ছেদ ও ঝগড়া সৃষ্টির উদ্দেশ্যে একজনের কথা অন্যজনের কাছে বর্ণনা করে থাকে। মানুষের পারস্পরিক ভালোবাসাকে শত্রুতায় পরিণত করে। তারা মানুষের মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্ট লোক এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী। তাদেরকে আপনি দেখতে পাবেন যে, একজনের কাছে এক রকম এবং অন্যজনের কাছে অন্যরকম চেহারা নিয়ে উপস্থিত হচ্ছে। তারা নিজেদের ইচ্ছামত যখন যা খুশি তাই বলে থাকে। আল্লাহ তাআলা তাদেরকে ধমক দিয়ে বলেন,

وَيْلٌ لِّكُلِّ هُمَزَةٍ لُّمَزَةِۙ۰۰۱

‘প্রত্যেক পশ্চাতে ও সম্মুখে পরনিন্দাকারীর জন্য দুর্ভোগ।’[1]

তারা নিজেদেরে কথা এবং কাজের মাধ্যমে মানুষের দোষ বর্ণনা করে থাকে, তারা ক্রোধ ও ঘৃণার হকদার। কারণ তারা মিথ্যা, গীবত, চোগলখোরি, খিয়ানত, হিংসা এবং ধোঁকা থেকে বিরত হয় না। এ জন্যই কবরের আজাবের অন্যতম কারণ হল চোগলখোরি করা। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযি.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন,

عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: مَرَّ النَّبِيُّ ﷺ بِحَائِطٍ مِنْ حِيْطَانِ الْـمَدِيْنَةِ، أَوْ مَكَّةَ، فَسَمِعَ صَوْتَ إِنْسَانَيْنِ يُعَذَّبَانِ فِيْ قُبُوْرِهِمَا، فَقَالَ النَّبِيُّ ﷺ: «يُعَذَّبَانِ، وَمَا يُعَذَّبَانِ فِيْ كَبِيْرٍ»، ثُمَّ قَالَ: «بَلَىٰ، كَانَ أَحَدُهُمَا لَا يَسْتَتِرُ مِنْ بَوْلِهِ، وَكَانَ الْآخَرُ يَمْشِيْ بِالنَّمِيْمَةِ»، ثُمَّ دَعَا بِجَرِيْدَةٍ فَكَسَرَهَا كِسْرَتَيْنِ، فَوَضَعَ عَلَىٰ كُلِّ قَبْرٍ مِنْهُمَا كِسْرَةً، فَقِيْلَ لَهُ: يَا رَسُوْلَ اللهِ، لِـمَ فَعَلْتَ هَذَا؟ قَالَ: «لَعَلَّهُ أَنْ يُخَفَّفَ عَنْهُمَا مَا لَـمْ تَيْبَسَا»، أَوْ: «إِلَىٰ أَنْ يَيْبَسَا».

‘একদিন রসুল (সা.) মদীনা বা মক্কার কোনো একটি বাগানের পাশ দিয়ে অতিক্রম করছিলেন। সেখানে তিনি দুজন এমন মানুষের আওয়াজ শুনতে পেলেন, যাদেরকে কবরে শাস্তি দেওয়া হচ্ছিল। রসুল (সা.) বললেন, ‘তাদেরকে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে, অথচ বড় কোনো অপরাধের কারণে আজাব দেওয়া হচ্ছে না।’ অতঃপর তিনি বললেন, ‘তাদের একজন পেশাব করার সময় আড়াল করত না। আর দ্বিতীয় ব্যক্তি একজনের কথা অন্যজনের কাছে লাগাত।’ এরপর নবী (সা.) একটি কাঁচা খেজুরের শাখা আনতে বললেন। অতঃপর উক্ত খেজুরের শাখাটিকে দুভাগে বিভক্ত করে প্রত্যেক কবরের ওপর একটি করে রেখে দিলেন। রসুল (সা.)-কে জিজ্ঞাসা করা হল, আপনি কেন এ রকম করলেন? উত্তরে তিনি বললেন, ‘হয়তো খেজুরের শাখাদুটি জীবিত থাকা পর্যন্ত তাদের কবরের আজাব হালকা করা হবে।”[2]

হযরত আনাস (রাযি.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুল (সা.) বলেছেন,

عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ: «لَـمَّا عُرِجَ بِيْ مَرَرْتُ بِقَوْمٍ لَـهُمْ أَظْفَارٌ مِنْ نُحَاسٍ يَخْمُشُوْنَ وُجُوْهَهُمْ وَصُدُوْرَهُمْ، فَقُلْتُ: مَنْ هَؤُلَاءِ يَا جِبْرِيْلُ، قَالَ : هَؤُلَاءِ الَّذِيْنَ يَأْكُلُوْنَ لُـحُوْمَ النَّاسِ، وَيَقَعُوْنَ فِيْ أَعْرَاضِهِمْ».

‘যখন আমাকে মি’রাজে নিয়ে যাওয়া হল, তখন আমি তামার নখবিশিষ্ট একদল লোকের কাছ দিয়ে অতিক্রম করলাম। তারা নখগুলো দিয়ে তাদের মুখমণ্ডল ও বক্ষদেশে আঘাত করে ক্ষত-বিক্ষত করছিল। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, হে জিবরীল! এসব লোক কারা? হযরত জিবরীল (আ.) বললেন, এরা দুনিয়ায় মানুষের গোশত খেত এবং তাদের মান-সম্মান নষ্ট করত অর্থাৎ তারা মানুষের গীবত ও চোগলখোরি করত।’[3]

হযরত কাতাদা (রাযি.) হতে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন, আমাদেরকে বলা হয়েছে যে, কবরের আজাবের এক-তৃতীয়াংশ হবে গীবতের কারণে, এক-তৃতীয়াংশ পেশাব থেকে সাবধান না থাকার কারণে এবং এক-তৃতীয়াংশ চোগলখোরির কারণে। যেহেতু গীবতকারী এবং চোগলখোর মিথ্যা কথাও বলে থাকে, তাই সে মিথ্যাবাদীর শাস্তিও ভোগ করবে। সামুরা ইবনে জুন্দুব (রাযি.) হতে বর্ণিত রসুল (সা.)-এর স্বপ্নের দীর্ঘ হাদীসে এসেছে,

«فَأَتَيْنَا عَلَىٰ رَجُلٍ مُسْتَلْقٍ لِقَفَاهُ، وَإِذَا آخَرُ قَائِمٌ عَلَيْهِ بِكَلُّوْبٍ مِنْ حَدِيْدٍ، وَإِذَا هُوَ يَأْتِيْ أَحَدَ شِقَّيْ وَجْهِهِ فَيُشَرْشِرُ شِدْقَهُ إِلَىٰ قَفَاهُ، وَمَنْخِرَهُ إِلَىٰ قَفَاهُ، وَعَيْنَهُ إِلَىٰ قَفَاهُ، قَالَ: وَرُبَّمَا قَالَ أَبُوْ رَجَاءٍ: فَيَشُقُّ قَالَ: ثُمَّ يَتَحَوَّلُ إِلَى الْـجَانِبِ الْآخَرِ فَيَفْعَلُ بِهِ مِثْلَ مَا فَعَلَ بِالْـجَانِبِ الْأَوَّلِ، فَمَا يَفْرُغُ مِنْ ذَلِكَ الْـجَانِبِ حَتَّىٰ يَصِحَّ ذَلِكَ الْـجَانِبُ كَمَا كَانَ، ثُمَّ يَعُوْدُ عَلَيْهِ فَيَفْعَلُ مِثْلَ مَا فَعَلَ الْـمَرَّةَ الْأُولَىٰ».

‘অতঃপর আমরা এমন এক লোকের কাছে উপস্থিত হলাম, যাকে চিৎ করে শায়িত অবস্থায় রাখা হয়েছে। একজন লোক লোহার বড়শি হাতে নিয়ে তার মাথার পাশে দাঁড়িয়ে আছে। দাঁড়ানো ব্যক্তি শায়িত ব্যক্তির মুখের একদিকে লৌহাস্ত্র প্রবেশ করিয়ে পিছনের দিকে ঘাড় পর্যন্ত চিরে ফেলছে। নাকের ছিদ্র দিয়ে প্রবেশ করিয়ে অনুরূপ করা হচ্ছে এবং চোখের ভেতর প্রবেশ করিয়েও অনুরূপ করা হচ্ছে। একদিকে চিড়ে শেষ করে অন্যদিকেও অনুরূপ করা হচ্ছে। দ্বিতীয় দিকে চিরে শেষ করার সাথে সাথে প্রথম দিক আগের মত হয়ে যাচ্ছে। আবার প্রথম দিকে নতুন করে চিরা হচ্ছে। হাদীসের শেষাংশে এসেছে, রসুল (সা.) জিজ্ঞাসা করলেন, ‘কি অপরাধের কারণে তাকে এভাবে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে?’ হযরত জিবরীল (আ.) বললেন, এ হল এমন লোক যে সকাল বেলা ঘর থেকে বের হয়েই মিথ্যা কথা বলত এবং সে মিথ্যা চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়তো।’[4]

হাদীসে চোগলখোরের কঠিন শাস্তির কথা এসেছে। যেমন হযরত হুযাইফা (রাযি.) রসুল (সা.) হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন,

«لَا يَدْخُلُ الْـجَنَّةَ قَتَّاتٌ»

‘চোগলখোর জান্নাতে প্রবেশ করবে না।’[5]

হযরত আম্মার ইবনে ইয়াসির (রাযি.) নবী করীম (সা.) হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন,

عَنْ عَمَّارٍ، قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ: «مَنْ كَانَ لَهُ وَجْهَانِ فِي الدُّنْيَا، كَانَ لَهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ لِسَانَانِ مِنْ نَارٍ».

‘যে ব্যক্তি দুনিয়ায় দুজনের নিকট দুই রকম কথা বলবে, কিয়ামতের দিন তার আগুনের দুটি জিহ্বা হবে।’[6]

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রাযি.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন,

سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ يَقُوْلُ: «مَنْ حَالَتْ شَفَاعَتُهُ دُوْنَ حَدٍّ مِنْ حُدُوْدِ اللهِ، فَقَدْ ضَادَّ اللهَ، وَمَنْ خَاصَمَ فِيْ بَاطِلٍ وَهُوَ يَعْلَمُهُ، لَـمْ يَزَلْ فِي سَخَطِ اللهِ حَتَّىٰ يَنْزِعَ عَنْهُ، وَمَنْ قَالَ فِيْ مُؤْمِنٍ مَا لَيْسَ فِيهِ أَسْكَنَهُ اللهُ رَدْغَةَ الْـخَبَالِ حَتَّىٰ يَخْرُجَ مِمَّا قَالَ».

‘আমি নবী (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ‘যার সুপারিশ আল্লাহর নির্ধারিত কোনো দণ্ডবিধি বাস্তবায়ন করার প্রতিরোধ হয়ে দাঁড়াল, সে আল্লাহর সাথে সংগ্রামে লিপ্ত হল। যে ব্যক্তি জেনে-বুঝে ও অন্যায়ভাবে কারো সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত হল সে তা থেকে বিরত থাকার পূর্ব পর্যন্ত আল্লাহর ক্রোধের ভেতরে থাকবে। আর যে ব্যক্তি কোনো মুমিন সম্পর্কে এমন কথা বলবে, যা তার ভেতরে নেই, সে যদি তা বর্জন করত তাওবা না করে মৃত্যু বরণ করে, আল্লাহ তাকে রাদাগাতুল খাবালে প্রবেশ করাবেন। তার উক্ত কথার প্রায়শ্চিত্ত না হওয়া পর্যন্ত তারা সেখানে অবস্থান করবে।”[7]

হযরত আবু হুরাইরা (রাযি.) নবী করীম (সা.) হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন,

عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ: «مَنْ أَكَلَ لَـحْمَ أَخِيْهِ فِي الدُّنْيَا، قُرِّبَ إِلَيْهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، فَيُقَالُ لَهُ: كُلُّهُ حَيًّا كَمَا أَكَلْتَهُ مَيِّتًا. فَيَأْكُلُهُ، وَيَكْلَحُ وَيَصِيْحُ».

‘যে ব্যক্তি দুনিয়ায় তার ভাইয়ের গোশত খাবে (গীবত করবে) কিয়ামতের দিন গীবতকারীর সামনে গীবতকৃত ব্যক্তিকে মৃত অবস্থায় উপস্থিত করা হবে এবং বলা হবে তুমি মৃত অবস্থায় তার গোশত ভক্ষণ কর যেমনভাবে জীবিত অবস্থায় তার গোশত ভক্ষণ করতে। অতঃপর সে অতি অনিচ্ছা সত্ত্বেও চিৎকার করতে করতে তা খাবে।’[8]

বর্তমানে মুসলমানরা ব্যাপকভাবে এই অপরাধটিতে লিপ্ত রয়েছে। বিশেষভাবে মহিলাগণ একাজে বেশি লিপ্ত হয়। সমাজে ব্যাপকভাবে এর চর্চা থাকার কারণে প্রতিনিয়ত মানুষের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদের সৃষ্টি হচ্ছে। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিগণকে সতর্ক থাকতে হবে। আল্লাহ আমাদের সকলকে গীবতকারীদের অনিষ্টতা হতে হেফাজত করুন। আমীন।

 

ইসলামে নারীর অধিকার ও মর্যাদা নাজমুল হাসান সাকিব

পৃ. ২৯-এর ৩য় কলামের পর……

ইসলাম নারীকে ক্ষেত্রবিশেষ পুরুষদের চেয়েও বেশি অধিকার দিয়েছে। অর্থ সম্পদের দিক থেকে ইসলাম নারীকে যে নিশ্চয়তা দিয়েছে তা বলতে গেলে প্রয়োজনেরও অধিক। কারণ মিরাস হিসাবে নারী তার ভাইয়ের অর্ধেকের অংশীদার। অথচ পিতা-মাতার পরিবারের কাউকে লালন-পালনের দায়িত্ব তার নেই। অন্যদিকে ভাই পরের মেয়েকে বিয়ে করে ঘরে আনবে। ওই মেয়ের সকল দায়-দায়িত্ব তার ওপর বর্তাবে। পিতা-মাতার দায়িত্বও তার ওপর। কিন্তু নারীর সম্পদ হস্তক্ষেপ করার কারো অধিকার নেই। এগুলো তার একমাত্র নিজস্ব। পবিত্র কুরআনুল করীমে তাই বর্ণনা করা হয়েছে,

وَلِلنِّسَآءِ نَصِيْبٌ مِّمَّا اكْتَسَبْنَؕ ۰۰۳۲

‘আর নারীরা তাই পাবে যা তারা অর্জন করবে।’[9]

বর্তমান বিশ্বে নারীর যথাযথ অধিকার দেওয়া হচ্ছে না। তাদের ন্যায়সংগত অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হলো, মুসলিম সমাজেও ইসলাম প্রদত্ত নারীর অধিকারকে স্বীকার করা হয় না। যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এ অবস্থায় এটি ইউরোপীদের সংস্কৃতি সদৃশ্য হয়। আর তাদের সবকিছু উপেক্ষা করে চলা প্রতিটি মুমিনের জন্য অত্যাবশ্যক।

নারী শিক্ষার ব্যাপারে সামাজিক সচেতনতা একবারে নেই বললেই চলে। অথচ আল্লাহ তাআলা নারী-পুরুষ উভয়কে সম্মান দিয়েছেন। ইসলাম পুরুষদের তুলনায় নারীদেরকে ভিন্ন চোখে দেখেনি; বরং যুগ যুগ থেকে চলে আসা অবহেলিত নারী সমাজকে পুরুষদের সমমর্যাদা এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে তার চেয়েও অধিক মর্যাদা দান করেছেন। সেই সাথে ইসলাম আমাদেরকে এই শিক্ষা দেয় যে, মানুষ হিসেবে নারী-পুরুষ সমান। ইসলামি জ্ঞান অর্জন সবার জন্যই আবশ্যক। নবীজি (সা.) বলেন, দীনি ইলম (জ্ঞান) অর্জন করা প্রত্যেক নর-নারী ওপর ফরজ।

নারী তার নারীত্বের মর্যাদা বজায় রেখে সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছেন এবং রেখেছেন। নারী ছাড়া অন্য কেউই মাতৃত্বের সেবা ও সহধর্মিনীর গঠনমূলক সহযোগি ভূমিকা পালন করতে সক্ষম নয়। মায়েরাই পরিবারের প্রধান উৎস। পৃ. ২৬-এর ২ কলামে দেখুন

[1] আল-কুরআন, সুরা আল-হুমাযা, ১০৪:১

[2] আল-বুখারী, আস-সহীহ, দারু তওকিন নাজাত লিত-তাবাআ ওয়ান নাশর ওয়াত তাওযী’, বয়রুত, লেবনান (প্রথম সংস্করণ: ১৪২২ হি. = ২০০১ খ্রি.), খ. ১, পৃ. ৫৩, হাদীস: ২১৬

[3] আবু দাউদ, আস-সুনান, আল-মাকতাবাতুল আসরিয়া, বয়রুত, লেবনান, খ. ৪, পৃ. 269-270, হাদীস: 4878

[4] আল-বুখারী, আস-সহীহ, খ. ৯, পৃ. ৪৪, হাদীস: ৭০৪৭

[5] আবু দাউদ, আস-সুনান, খ. ৮, পৃ. ১৭, হাদীস: ৬০৫৬

[6] আবু দাউদ, আস-সুনান, খ. ৪, পৃ. ২৬৮, হাদীস: ৪৮৭৩

[7] আবু দাউদ, আস-সুনান, খ. ৩, পৃ. ৩০৫, হাদীস: ৩৫৯৭

[8] আত-তাবারানী, আল-মু’জামুল আওসাত, দারুল হারামইন লিত-তাবাআ ওয়ান নাশর ওয়াত তাওযী’, কায়রো, মিসর (প্রথম সংস্করণ: ১৪১৫ হি. = ১৯৯৫ খ্রি.), খ. ২, পৃ. ১৮২, হাদীস: ১৬৫৬

[9] আল-কুরআন, সুরা আন-নিসা, ৪:৩২

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on pinterest
Pinterest
Share on telegram
Telegram
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

সর্বশেষ