জামেয়া ওয়েবসাইট

রবিবার-৪ঠা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি-৮ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ-২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সংঘাতময় বিশ্বপরিস্থিতিতে ইমাম ও খতীবদের ভূমিকা

ড. খালিদ হোসেন

॥১॥

ইসলামের প্রাথমিক কাল থেকে অদ্যাবধি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মসজিদের ইমাম ও খতীবগণ দীনে ইসলামের মর্মবাণীর প্রচার-প্রসার, দাওয়াত-তাবলীগের খেদমত আঞ্জাম দিয়ে আসছেন। ইমামতির পাশাপাশি প্রায় সময় ইমাম ও খতীবদেরকে মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য প্রদান করতে হয়। বিশেষত প্রতি সপ্তাহে জুমার দিন, ঈদের দিন, কদর ও শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতে ওযায ও নসিহত পেশ করা বাধ্যতামূলক। তাঁদের বক্তব্যের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হলো তাওহীদ, রিসালত, আখিরাত, ইসলামের মূল পঞ্চস্তম্ভ, বিদআত পরিহার, সুন্নাতে রাসূলের পুনরুজ্জীবন, সাহাবা ও আওলিয়ায়ে কেরামদের জীবনকাহিনী, তাওবা, নারীর অধিকার, দাম্পত্য জীবনে করণীয়, পর্দার গুরুত্ব, মা-বাবার সেবা, প্রতিবেশীর হক, মানবাধিকার, সময়ের কদর, পরকালীন জবাবদিহিতা, মানবসেবা, মাদকের অপব্যবহার, যৌতুক, সন্ত্রাসবাদ, অন্যায়, যুলুম ও অসত্যের প্রতিবাদ ইত্যাদি। ইসলামী আদর্শের আলোকে সমাজ বিনির্মাণে ইমাম ও খতীবদের ভূমিকা ব্যাপক ও সুদূরপ্রসারী।

॥২॥

ইসলামের সোনালি যুগে মহানবী (সা.) স্বয়ং, সম্মানিত চার খলীফা, উমাইয়া, আব্বাসীয়, ফাতিমী, সেলজুক, মুসলিম স্পেনের রাষ্ট্র প্রধানগণ দেশ পরিচালনার পাশাপাশি রাজধানীর কেন্দ্রীয় মসজিদে ইমামতি করতেন এবং জুমার খুতবা দিতেন। তাঁরা মক্কা-মদীনা সফর করলে হারামাইনেও নামায পড়াতেন ও খুতবা প্রদান করতেন। খুতবায় সমসাময়িক বিষয়ের ওপর তাঁরা অলোকপাত করতেন। পরবর্তীতে এই নিয়ম রহিত হয়ে যায়। ২০১২ সালে মিসরে জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ড. হাফেয মুহাম্মদ মুরসী যেখানে যেতেন নামাযের সময় হলে ইমামতি করতেন।

॥৩॥

ইমাম ও খতীবদের বক্তব্য রাখার পরিধি ব্যাপক। মসজিদের বাইরেও প্রায় সারাবছর বিভিন্ন ওয়ায, তাফসীর ও সীরাত মাহফিলে তাঁদের শরীক থাকতে হয়। ইলম ও আমলের বরকতে সমাজে যাদের গ্রহণযোগ্যতা আছে তাঁরাই ইমাম ও খতীব হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। ভক্তিজনিত কারণে মুসল্লি ও সাধারণ মানুষ তাঁদের কথা শুনেন ও মানেন। সমাজে তাঁদের প্রভাব স্বীকৃত। ইমাম ও খতীবদের বক্তব্য, ওয়ায ও নসীহতের ফলে সমাজে অপরাধের হার হৃাস পায়। জীবন আখিরাতমুখী হয়। পাপমুক্ত জীবন পরিচালানার দীক্ষা পায়। ফরয ও নফল ইবাদতের প্রতি নতুন উদ্যম তৈরি হয়। আল্লাহ তাআলার সাথে বান্দার সম্পর্ক সুদৃঢ় হয়।

॥৪॥

২০১৮ সালের পরিসংখ্যান মতে বাংলাদেশে মসজিদের সংখ্যা ২ লাখ ৫০ হাজার ৩৯৯। এই সব মসজিদে কমবেশি প্রায় ৫ লাখ ইমাম খতীব কর্মরত। কেবল ঢাকা শহরে আছে ৩হাজার মসজিদ। ৩টি সরকারি ছাড়া সব বড় ছোট মসজিদ স্থানীয় কমিটি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। মুসল্লিদের স্বেচ্ছাদানে এসব মসজিদ নির্মিত ও পরিচালিত হয়। ইমাম, খতীব, মুয়ায্‌যিন, খাদিমের জন্য কোনো স্বীকৃত বেতন কাঠামো নেই, নেই চাকরিবিধি। সামান্য ভাতা নিয়ে তাঁরা যুগযুগ ধরে এই সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। আড়াই লাখ মসজিদের জন্য সরকারি অনুদান একেবারেই অপ্রতুল। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৫ হাজার ৩৯৯টি মসজিদের জন্য ১১ কোটি ৪৬ লাখ ৭০হাজার টাকা সরকারি অনুদান দেওয়া হয়। সুলতানী ও মুগল আমলে বড় বড় মসজিদগুলোর নির্মাণ, সম্প্রসারণ ও রক্ষণাবেক্ষণ সরকারিভাবে করা হতো। দিল্লী, লাহোর, আগ্রা, কাশ্মীর, আহমদাবাদ, ফতেপুর সিক্রির বাদশাহী মসজিগুলো তার প্রমাণ। মসজিদের ব্যয়ভার বহনের জন্য কমিটির অনুকুলে বিপুল নিস্করভূমি বন্দোবস্তি প্রদান করা হতো। ইতিহাসের পরিভাষায় এগুলো লাখেরাজ সম্পত্তি নামে খ্যাত। মোগল বাদশাহ আওরঙ্গজেব আলমগীরের আমলে অধিকসংখ্যক মসজিদ ভূসম্পত্তির মালিক ছিল। সন্মানজনক পারিশ্রমিকের কারণে ইমাম ও খতীবগণের আর্থিক অবস্থাও ছিল ভাল। ভারতে ব্রিটিশ রাজত্ব কায়েম হওয়ার পর বন্দোবস্তি বাতিল করা হয়। ইমাম ও খতীবগণ বিনা বেতনে মসজিদের খেদমত অব্যাহত রাখেন। স্থানীয় মুসলিম জনগোষ্ঠী মুসল্লিদের সহায়তায় মসজিদ আবাদ রাখেন।

॥৫॥

গোটা বিশ্বে মসজিদের সংখ্যা ২৫/৩০ লাখ। সিরিয়া ছাড়া আরবলীগভূক্ত দেশের অধিকাংশ মসজিদ সরকারি। ধর্ম ও আওকাফ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত। বহু বাংলাদেশি ইমাম ও খতীব সেখানে কর্মরত। সন্মানজনক বেতন, ভাতা, বাসা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধাও তাঁরা ভোগ করেন। আসমানের ওপরের আর যমিনের নিচের কথা বলতে কোনো বাধা নেই। তবে সমাজ, রাষ্ট্র বা অব্যবস্থা নিয়ে সংযত হয়ে কথা বলতে হয়। ইউরোপ, আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ায় প্রচুর মসজিদ আছে। প্রায় মসজিদ বিভিন্ন দেশ থেকে আগত মুসলিম কম্যুনিটি দ্বারা পরিচালিত। ইমাম ও খতীবগণ তাঁদের নিজ ভাষার ও নিজ দেশের। বিদেশে ইমাম ও খতীবগণ বেশ কোয়ালিফাইড। তাঁরা সংশ্লিষ্ট দেশের আইন ও রীতি মেনে বক্তব্য উপস্থাপন করেন। তাঁদের বক্তব্যের বিষয় ধর্ম, সংস্কৃতি, সভ্যতার পাশাপাশি আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি ও বহুমাত্রিক সমাজে সহিষ্ণুতা। মসজিদগুলো বাংলাদেশি, পাকিস্তানি, ইন্ডিয়ান, আফ্রিকান, মিসরি, সুদানি, সোমালি, ইরিত্রিয়ান, লেবানিজ মসজিদ নামে পরিচিত। ভূমি কিনে অথবা সরকার থেকে লীজ নিয়ে নিজেদের অর্থায়নে মুসলমানরা মসজিদ কমপ্লেক্স তৈরি করে। সউদি বাদশাহ ফাহাদ ও বাদশাহ আবদুল্লাহর আগ্রহে ও অর্থায়নে স্পেন, ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনাসহ অমুসলিম দেশে বেশ মসজিদ কমপ্লেক্স নির্মিত হয়। দু’ চারটি দেশ ছাড়া সরকার বা স্থানীয় জনগণ মসজিদ পরিচালনায় বাধা দেয় না। মাঝে মধ্যে বর্ণবাদী ও উগ্রজাতীয়তাবাদীগোষ্ঠী মসজিদে হামলা চালায় বা গুলি বর্ষণ করে ভীতির জন্ম দেয়। তারপরও মুসলমানরা থেমে নেই। সাম্প্রতিক সময়ে নিউজিল্যান্ডের বেদনাদায়ক ঘটনা সবার জানা।

॥৬॥

২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যেই এথেন্সের প্রথম সরকারি মসজিদে নামাজ আদায় করবেন মুসল্লিরা। এতে প্রায় ১৮০ বছরের অপেক্ষার অবসান হবে এথেন্সের মুসলিমদের। ২০১৬ সালে গ্রিসের পার্লামেন্ট রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় এই মসজিদটি নির্মাণের অনুমোদন দেয়। এরপর থেকে এর নির্মাণকাজ চলছিল। শিক্ষা ও ধর্মমন্ত্রী কোস্টাস গাভরোগলু গ্রিসের শিল্প এলাকা এলিওনাসে মসজিদটির নির্মাণস্থলে গিয়ে কাজের অগ্রগতি দেখেন। মসজিদটিতে সাড়ে তিনশ’ মানুষ একসঙ্গে নামায পড়তে পারবেন। মিনারবিহীন এই স্থাপনাটি তৈরিতে খরচ হচ্ছে প্রায় সোয়া ৮ কোটি টাকা। মিনার না থাকলেও রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় মসজিদটি পেয়ে যারপরনাই আনন্দিত এথেন্সের মুসলিমরা। ১৮৩৩ সালে উসমানীয় শাসকদের হাত থেকে গ্রিস মুক্ত হওয়ার পর এথেন্সে আর কোনো মসজিদ ছিল না। বর্তমানে বৃহত্তর এথেন্সে প্রায় তিন লাখ মুসলিমের বাস। ১৮৯০ সালে গ্রিসের সংসদে এথেন্সে একটি মসজিদ নির্মাণের প্রস্তাব গৃহীত হলেও তা নানা রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কারণে বাস্তবায়িত হয়নি। এথেন্স একমাত্র ইউরোপীয় রাজধানী, যেখানে মসজিদ ছিল না। এতদিন অস্থায়ী ও ব্যক্তিগত জায়গায় এথেন্সের মুসুল্লিরা নামায আদায় করতেন (মাসিক আত-তাওহীদ, চট্টগ্রাম)

॥৭॥

২০১৭ সালে পোল্যান্ডের ওয়ার্সতে একদল দুর্বৃত্ত হামলা চালিয়ে কেন্দ্রীয় মসজিদ ও ইসলামিক সেন্টারের ১২টি দরজা-জানালা ভেঙে ফেলে। ২০১০ সালে রাজধানী ওয়ার্সতে দ্বিতীয় আরেকটি মসজিদ নির্মাণের বিরুদ্ধে স্থানীয় জনগণ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ মিছিল বের করে। পোল্যান্ডে ৪ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে মাত্র ৪০হাজার মুসলমান। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য হলো জরিপে ৪০ হাজার বলা হলেও মুসলমানদের সংখ্যা আসলে অনেক বেশি। নতুন মসজিদ নির্মিত হলে মুসলমানদের তৎপরতা বৃদ্ধি পাবে। যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও ফ্রান্সের পরে পোল্যাণ্ডে মুসলমানদের জনসংখ্যা বাড়তে থাকবে। বর্তমানে বছরে ১৩% হারে মুসলমান বাড়ছে। এই হার অব্যাহত থাকলে আগামী ১০ বছরে পোল্যাণ্ডে মুসলমানদের সংখ্যা ইতালি, স্পেন ও নেদারল্যান্ডসকে অতিক্রম করবে। চীনে মসজিদের মিনার নির্মাণে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। বুড্ডিস্ট প্যাগোডার আদলে মসজিদ তৈরি করার জন্য মুসলমানদের চাপ দেওয়া হচ্ছে। স্লোভাকিয়ায় কোনো মসজিদ নেই। অথচ মুসলমান আছে। পার্লামেন্টে পাশ করা আইনে বাধা রয়েছে। সুইজারল্যান্ডে মসজিদের মিনারা তৈরি নিষিদ্ধ। রেফারেন্ডামের মাধ্যমে এই আইন পাশ হয়। অবশ্য এখানে ধর্মচর্চা ও অনুশীলনে কোনো বাধা নেই।

॥৮॥

কিছু মসজিদ আছে মুতাওয়াল্লী শাসিত। সেখানে মসজিদ পরিচালনার সাথে সাধারণ মুসল্লি যুক্ত হতে পারেন না। মুতাওয়াল্লীদের মধ্যে আল-হামদুলিল্লাহ নেককার ও বিবেচক বহু মানুষ আছেন, যারা মসজিদের উন্নয়নের পাশাপাশি ইমাম, খতীব, মুয়ায্‌যিনের উন্নয়নের দিকেও নযর দেন। কিছু মুতাওয়াল্লীর ভূমিকা স্বেচ্ছারিতাপূর্ণ। বহু সময় কমিটির চাপে ইমাম ও খতীব সব কথা বলতে পারেন না ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও। আরবের রাজতান্ত্রিক দেশগুলোতে সরকারিভাবে রচিত খুতবা পাঠ করা বাধ্যতামূলক খতীবদের জন্য। নামায শেষে পঠিত খুতবার রেকর্ডকপি জমা দিতে হবে সংশ্লিষ্ট দফতরে। সরকারি খুতবার বাইরে কোনো কথা বললে তার জন্য কৈফিয়ত দিতে হয়। আরবের অনেক ইমাম খতীব এখন কারাগারে। এক কথায় ইমাম ও খতীবের স্বাধীনতা বিশ্বজুড়ে সীমিত এবং দায়িত্ব ঝটুকিপূর্ণ ও চ্যালেঞ্জিং।

॥৯॥

প্রতিকুল পরিস্থিতির ভেতরেও ইমাম ও খতীবগণ তাঁদের দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করে চলেছেন। সময় ও যুগ পরিবর্তনের কারণে নতুন সমস্যা, নতুন ইস্যু, নতুন ফিতনা তৈরি হয়েছে। হত্যা, গুম, মিথ্যামামলা, যুলুম, যৌতুক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, ভায়োলেন্স, ধর্ম নিয়ে উপহাস ও কটুক্তি, এসিড নিক্ষেপ, মাদকাসক্তি, ধর্ষণ, বলাৎকার, আত্মহত্যা, এইডস প্রভৃতি এই মুহূর্তে আমাদের জীবন্ত সমস্যা (Burning issue)। স্বাস্থ্য সুরক্ষা, স্যানিটেশন, পথশিশু পরিচর্যা, রক্তদান, শীতবস্ত্র বিতরণ, যাকাত আহরণ ও বিতরণ আলোচনার উপযুক্ত ও আধুনিক বিষয়। ইমাম ও খতীবদের সেই বিষয়গুলোর নেতিবাচক দিকসমূহ মুসল্লিদের সামনে তুলে ধরতে হবে। পবিত্র কুরআন-হাদীসের উদ্ধৃতির সাথে আধুনিক বিজ্ঞানের গবেষণার রেফারেন্স তুলে ধরতে পারলে বক্তব্য আকর্ষণীয় হবে। যেকোনো মূল্যে সমাজ পরিবর্তনের প্রয়াস অব্যাহত রাখতে হবে। মসজিদে রাজনৈতিক বক্তব্য বা বিশেষ কোনো দলের পক্ষে বিপক্ষে সরাসরি বক্তব্য রাখা যুক্তিযুক্ত তো নয়, এমনকি কাঙ্ক্ষিতও নয়। রাজনীতির জন্য আলাদা প্লাটফরম রয়েছে। মুসল্লিদের মধ্যে নানা পথ ও মতের মানুষ থাকেন। ইবাদতের জন্য তাঁরা মসজিদে আসেন; আল্লাহ-রাসূল (সা.)-এর কথা শোনার জন্য আসেন; নিশ্চয় রাজনৈতিক বক্তব্য শোনার জন্য নয়। এই ব্যাপারে ইমাম ও খতীবদের সতর্কতা প্রয়োজন। হক কথা বলতে হবে; করতে হবে যুলুমের প্রতিবাদ; দাওয়াতি রীতি ও অন্তরের দরদ নিয়ে। রাজনৈতিক পরিভাষা ও শব্দ ব্যবহার করলে হাঙ্গামা তৈরি হতে পারে। একই কথা দাওয়াতি স্টাইলে বললে মানুষের মনে দাগ কাটে। আর রাজনৈতিক স্টাইলে বললে জিঘাংসা মনোবৃত্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on pinterest
Pinterest
Share on telegram
Telegram
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

সর্বশেষ