বৃহস্পতিবার-১৫ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি-১৫ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শায়খ আওয়ামার সান্নিধ্য-সৌরভে কিছুক্ষণ

শায়খ আওয়ামার সান্নিধ্য-সৌরভে কিছুক্ষণ

মাহফুয আহমদ

 

২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাস। অধমের জন্য ইস্তাম্বুলের প্রথম ইলমি সফর। সপ্তাহব্যাপী সেই ইলমি সফরের মূল লক্ষ্য ছিলো সেখানকার উলামা-মাশায়েখ এবং শিক্ষাবিদদের সাক্ষাত ও সাহচর্য গ্রহণ করা। তবে যাঁর সাক্ষাতের আশায় মন ব্যাকুল হয়ে ছিলো তিনি হলেন বর্তমান বিশ্বের অন্যতম সেরা একজন হাদীস বিশারদ। আল্লামা শায়খ মুহাম্মাদ আওয়ামা হাফিযাহুল্লাহ। কিন্তু আমার দুর্ভাগ্য ছিলো যে, শায়খ তখন ইস্তাম্বুল ছিলেন না। তিনি ছিলেন সোনার মদীনায়। অবশ্য তাঁর সুযোগ্য ছেলে ড. শায়খ মুহি উদ্দিন আওয়ামা হাফিযাহুল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ হাতছাড়া করিনি। শায়খ আওয়ামার ব্যক্তিগত অফিসে বসে দীর্ঘসময় তাঁর সঙ্গে কথাবার্তা হয়। তাঁর আতিথেয়তা ছিলো মুগ্ধ হওয়ার মতো। ফেরার পথে তিনি নিজের এবং স্বীয় পিতা রচিত বেশ কয়েকটি মূল্যবান গ্রন্থ হাদিয়া দিয়ে অধমকে ধন্য ও অনুপ্রাণিত করলেন। সেগুলোর মধ্যে আসারুল হাদীসিশ শারীফ ও আদাবুলিখতিলাফের নতুন সংস্করণ, মিন সিহাহিল আহাদীসিল কিসার, হায়াতুশ শায়খ আওয়ামা প্রভৃতি। অধমও তাঁকে একটি কলম হাদিয়া দেওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করি।

মোটকথা ওই সফরে শায়খ আওয়ামার সঙ্গে দেখা করতে না পারলেও তাঁর সুপুত্র ড. মুহিউদ্দিনের সঙ্গে ইলমি সম্পর্ক স্থাপনের সুযোগ পেয়ে যাই। লন্ডন ফেরার পরও এই ইলমি সম্পর্ক ও যোগাযোগ অব্যাহত থাকে। অধম কর্তৃক সংকলিত আল-ফাওয়াইদুল মুনতাকাহ মিন আমালি ইমামিল আসর মুহাম্মাদ আনওয়ার শাহ কাশ্মীরী বইয়ের জন্য ড. মুহিউদ্দিন তাৎপর্যবহ একটি ভূমিকা লিখে দেন, যা বইয়ের মান ও সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে বলে আমি মনে করি।

২০১৯ সালের সেপ্টেম্বেরের শেষদিকের কথা। সেসময় ইস্তাম্বুলে একটি আন্তর্জাতিক আরবি বইমেলা চলছিলো। অধমের আল-ফাওয়াইদু মুনতাকা গ্রন্থের প্রকাশক, জর্ডানের দারুল ফাতহ এর সত্ত্‌বাধিকারী, ড. ইয়াদ আল-গুজ এই অধমকে আমন্ত্রণ জানালেন সেখানে উপস্থিত হওয়ার জন্য। মাত্র চারদিনের এক ইলমি সফরে আবারও হাজির হই ইস্তাম্বুল| উল্লেখ্য যে, ইস্তাম্বুলের ইলমি সেই দুই সফরের সংক্ষিপ্ত ইতিবৃত্ত আমি ইতোপূর্বে লিখেছি এবং বিভিন্ন সাময়িকীতে তা ছাপাও হয়েছে।

এবার অবশ্য সফরের ফ্লাইট বুকিং দেওয়ার পূর্বেই ড. মুহিউদ্দিন সাহেবের সঙ্গে যোগাযোগ করি। কথা বলে নিশ্চিত হলাম যে, শায়খ মুহাম্মাদ আওয়ামা হাফিযাহুল্লাহ তখন ইস্তাম্বুলেই থাকবেন। শায়খের সঙ্গে সময় নির্ধারিত হয় ১ অক্টোবর বাদ আসর। সময় মাত্র আধা ঘণ্টা।

পূর্বনির্ধারিত সময়েই শায়খের অফিসে গিয়ে পৌঁছাই। অধমের সঙ্গে সেখানকার দুজন সুহৃদও এই সাক্ষাৎপর্বে যুক্ত হতে চেয়েছিলেন। একজন মুহাম্মাদ কাসসার আরেকজন শায়খ আবু আনাস নাবিল। আমরা তিনজনই হাজির হলাম।

শায়খকে তাঁর ছেলে ড. মুহিউদ্দিন আগে থেকেই এই অধম সম্পর্কে অবগত করে রেখেছিলেন। আমাদের দেখে শায়খ নিজের লেখালেখির রুম থেকে বের হয়ে মিটিং রুমে চলে আসলেন। মুচকি হেসে শায়খ আমাদের দিকে এগিয়ে এলেন। আমরা শায়খের কোমল হাত ধরে মুসাফাহা করার সৌভাগ্য অর্জন করলাম। শায়খের নির্দেশ পালনার্থে তাঁর পাশের সোফায় অধম বসে পড়লাম। শায়খ তাঁর স্বভাবজাত মৃদু কণ্ঠে অধমের সার্বিক অবস্থা জানতে চাইলেন। আমরাও শায়খের শারীরিক সুস্থতার কথা জিজ্ঞেস করলাম।

প্রথমেই শায়খ আলোচনা তুললেন হিন্দুস্তানি (ভারত-পাকিস্তান-বাংলাদেশ) উলামায়ে কেরামের কথা। বললেন, তাঁদের অনেক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো, তারা দুনিয়ার যেখানেই থাকেন না কেন; নিজেদের ছেলেমেয়ে এবং নতুন প্রজন্মের দীনী শিক্ষার প্রতি যত্নবান হয়ে থাকেন। সেজন্য ইউরোপ-আমেরিকাসহ দুনিয়ার যে অঞ্চলেই তারা পা রেখেছেন সেখানেই মসজিদ-মকতব-মাদরাসা গড়ে তুলতে সচেষ্ট হয়েছেন।

অধম শায়খের নিকট অনুরোধ পেশ করলাম, যেহেতু এই অধম একটি অমুসলিম প্রধান দেশে বসবাস করছি সেজন্য সেখানে দীনী শিক্ষা প্রচারের ক্ষেত্রে আমাদের করণীয় কী এ বিষয়ে যদি কিছু দিকনির্দেশনা প্রদান করতেন। এপ্রসঙ্গে শায়খ বললেন, দেখুন! কিছু নসিহত তো বিশেষভাবে পশ্চিমা দেশগুলোর জন্য প্রযোজ্য আর বাকিগুলো সবার ক্ষেত্রে অনুসরণযোগ্য। (সঙ্গতকারণে প্রথম প্রকারের নসিহতগুলো এখানে উল্লিখিত হয়নি।)

এক. আরবি ভাষা শিক্ষাদানের প্রতি বিশেষ জোর দেওয়া। দেখুন! সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নদবী (রহ.)। তাঁর আরবি বলা ও লেখা ¯^fveRvZ আরবদের জন্যও ছিলো ঈর্ষণীয়। অন্যদিকে মাওলানা আশিকে এলাহী বুলন্দশহরী (রহ.)। আমি তাঁকে মদীনায় পেয়েছি। একজন আল্লাহ ওয়ালা আলিম ছিলেন তিনি। কিন্তু মদীনায় এতো বছর থাকার পরও তাঁর আরবি বলায় জড়তা ছিলো। এর পেছনে মূল কারণ হলো, আরবি ভাষার কাওয়াইদ ও নিয়মাবলি ভালোভাবে রপ্ত করা হলেও সেগুলোর প্রায়োগিক চর্চা হয়েছিলো তুলনামূলক কম। সেজন্য আপনাদের উচিত, আরবি ব্যাকরণ (নাহু-সারফ প্রভৃতি) এর নিয়মাবলি শিক্ষাদানের পাশাপাশি সেগুলোর প্রায়োগিক চর্চার প্রতি সবিশেষ গুরুত্ব দেওয়া। আর এজন্য দারস হতে হবে আরবি ভাষায়।

দুই. আপনাদের দরসে নিযামীতে মাশাআল্লাহ হাদীসের অনেক কিতাব পড়ানো হয়। কিন্তু আপনাদের পাঠদান পদ্ধতিতে ফিকহুল হাদীসের গুরুত্বই সর্বাধিক। এটি অবশ্য ভালো একটা দিক। তবে সেক্ষেত্রে ‘হিফযুল হাদীস’ একেবারে উপেক্ষিত থেকে যায়। সুতরাং এর প্রতি বিশেষভাবে মনোনিবেশ করা চাই। এক্ষেত্রে সবচেয়ে উপযোগী কিতাব হলো ইমাম নাওয়াওয়ী (রহ.)-এর রিয়াযুস সালিহীন। কেননা একে তো এর হাদীসগুলো সনদের বিচারে সহীহ ও নির্ভরযোগ্য। আর দ্বিতীয়ত এর হাদীসসমূহ একজন মুসলমানের দৈনন্দিন জীবনের কার্যাদির সঙ্গে সম্পর্কিত। এর আগে অবশ্য ইমাম নাওয়াওয়ির আল-আরবায়ীনও মুখস্থ করে নেওয়া যেতে পারে। আর মিশকাতুল মাসাবিহের হাদীসগুলোও মুখস্থ করে নিতে পারলে কতইনা উত্তম হতো। আসল বিষয় হলো, হাদীস ও নুসূস মুখস্থকরণের প্রতি ছাত্রদের উৎসাহ প্রদান করা। মাঝেমধ্যে প্রতিযোগিতার আয়োজন করে বিজয়ীদের পুরস্কৃত করার ব্যবস্থা নেওয়া। এটা খুবই ফলপ্রসূ হবে ইনশাআল্লাহ। আপনাদের তো আদত হয়ে গেছে, হাদীস বলার পর ‘আও কামা কালা আলাইহিস সালাম যুক্ত করে দেওয়া। যদি হাদীসের শব্দগুলো মুখস্থ করে নেওয়া যেত তাহলে এই বাক্যটি বারবার সংযুক্ত করার প্রয়োজনই দেখা দিতো না।

তিন. সিলেবাসের নির্ধারিত কিতাবাদি পড়ানোর সঙ্গে তালিবুল ইলমের ফিকরি ও আখলাকি তরবিয়ত বা চিন্তা ও চরিত্রের পরিশুদ্ধির প্রতিও বিশেষ দৃষ্টি দেওয়া। সালাফে সালিহিন তথা পুণ্যবান পূর্বসূরিদের জীবনী থেকে তাদের সামনে নমুনা উপস্থাপন করা।

চার. তরুণ শিক্ষার্থীদের এই বিষয়ের প্রতি তাগিদ দেওয়া যে, বিশুদ্ধ ইলম হাসিল করতে হলে সুহবতের কোনো বিকল্প নেই। কেবল বই পড়ে কেউ প্রকৃত আলিম হতে পারবে না কখনও। এখন তো এটা একটা ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে, যে কোনো শাস্ত্রের লোক ধর্ম সম্পর্কে দুই-চারটা বই পড়ে নিজেকে পণ্ডিত ভাবতে শুরু করেন। তারা নিজেদের নাম দিয়েছেন ইসামি। এটি অত্যন্ত মারাত্মক একটি ব্যাধি এবং ধ্বংসাত্মক চিন্তাধারা। এরা মূলত সালাফে সালিহিনের মূলনীতি থেকে সরে গিয়ে নিজেরাও বিভ্রান্ত হচ্ছেন এবং অন্যদেরকে বিপথগামী বানিয়ে দিচ্ছেন। এই যে শায়খ নাসিরুদ্দিন আলবানির অবস্থা দেখুন! তাঁর শিষ্যরাও একই পথে হাঁটছেন। জর্ডানের তাঁর এক ছাত্র নাকি ‘সহিহু সহিহিল বোখারি’ একটি গ্রন্থ সংকলন করেছেন। কী আজব কাণ্ড!

পাঁচ. দরসে নিযামী তৎকালীন সমাজের জন্য খুব উপযোগী একটা শিক্ষাব্যবস্থা ছিলো। সময়সময় এতে সংযোজন-বিয়োজন হয়েছে। এই প্রক্রিয়া এখনও চলমান থাকা উচিত। সিলেবাসের কিছু কিতাব নিয়ে দায়িত্বশীলদের পুনঃচিন্তা করা দরকার। যেমন আল হিদায়া। ফিকহে হানাফির অন্যতম একটি মৌলিক গ্রন্থ এটি। কুদুরী পড়ুয়া একজন ছাত্র কি এই কিতাব বুঝে উঠতে পারবে? আল্লামা আনওয়ার শাহ কাশ্মীরী (রহ.) তো বলেছেন, হিদায়া হলো নিহায়াতুল মুনতাহিন। (একথা বলে শায়খের হাতে থাকা অধমের আল-ফাওয়াইদুল মুনতাকা বইটির প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, এতে আল্লামা কাশ্মীরীর আরও উক্তি তো আপনি উল্লেখ করেছেন।) সুতরাং ইলমের একটি বিশেষ স্তরে পৌঁছার পরই কেবল একজন ছাত্রের জন্য হিদায়া প্রকৃতভাবে বোঝা সম্ভবপর হবে। তেমনি শারহু নুখবাতিল ফিকার। এটাও তো মুসতালাহুল হাদীসের প্রাথমিক পর্যায়ের কোনো গ্রন্থ নয় যে, সাধারণ ছাত্ররা তা থেকে কিছু উপলব্ধি করতে পারবে। বরং এটিও তো মুতাখাসসিস তালিবুল ইলমের জন্য উপযুক্ত কিতাব। হাফিয ইবনে হাজার আল-আসকালানী (রহ.) নিজের লেখা যেসব কিতাবের ওপর সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তার মধ্যে এই শারহুন নুখবা একটি। এবার বুঝুন বইটা আসলে কোন স্তরের তালিবুল ইলমের জন্য উপযোগী। সমকালীন লেখকদের বইপত্র আমি খুবই কম দেখে থাকি। তবে শুনেছি, ড. মাহমুদ তাহহান এ বিষয়ে ছাত্রদের উপযোগী করে সহজভাষায় একটি পুস্তক রচনা করেছেন। বস্তুত ক্লাসে পাঠদানের জন্য ওইসব গ্রন্থই মুনাসিব; যেগুলো পূর্ববর্তী উলামায়ে কেরামের কিতাবাদির আলোকে লিখিত; তবে সহজ-সরল ভাষায়, নতুন আঙ্গিকে, সুবিন্যস্ত, সমকালীন ছাত্রদের মন-মানসিককতার প্রতি লক্ষ রেখে।

দেখুন! নুরুল ঈযাহ। এতে কি পূর্ববর্তী কিতাবগুলোর বাইরে খুব বেশি নতুন মাসায়েল আছে? না। তারপরও এটি কীভাবে এতো পাঠকপ্রিয়তা পেলো? কেননা এর লেখক আল্লামা শুরুম্বুলালী (রহ.) মাসয়ালাগুলো সুবিন্যস্তভাবে সাজিয়ে দিয়েছেন। ফলে যে কারো পক্ষে তা থেকে উপকৃত হওয়া সহজ হয়ে গেছে। তাই ক্লাসে পাঠদানের জন্য এরকম গ্রন্থই মানানসই। বরঞ্চ এর সঙ্গে যদি অনুশীলনও থাকে তাহলে আরও ভালো। মোটকথা, দারসের জন্য ইলমি কিতাব নয়; সহজবোধ্য কিতাবগুলোই অধিক উপকারী।

ছয়. অধমের এক প্রশ্নের উত্তরে শায়খ বলেন, সসবসময় দুটি দুআর ওপর ইহতিমাম করা। প্রকৃত ইলমের অপূরণীয় অভাবের এই কঠিন সময়ে ইলম বৃদ্ধির জন্য এই দুআ পাঠ করা:

اللّٰهُمَّ علمْنَا مَا يَنْفَعْنَا وانْفَعْنَا بِمَا عَلَّمْتَنَا وَزِنَا عِلْمًا وَّعَمَلًا يَا أَرْحَمَ الرَّاحِمِينَ.

আর নিজেকে এবং নিজের ইলমকে শাসকদের ফিতনা থেকে নিরাপদ রাখার জন্য এ দুআ পাঠ করা:

رَبَّنَا لَا تُزِغْ قُلُوْبَنَا بَعْدَ اِذْ هَدَيْتَنَا وَهَبْ لَنَا مِنْ لَّدُنْكَ رَحْمَةً١ۚ اِنَّكَ اَنْتَ الْوَهَّابُ۰۰۸

আলোচনার ফাঁকে মদীনার তাজা খেজুর আর চা-নাস্তাও পরিবেশিত হলো। শায়খের ইশারায় তাঁর অমূল্য নসিহত শুনতে শুনতে আমরা তাও উপভোগ করলাম। তাছাড়া অধমের ব্যক্তিগত কিছু প্রশ্নের উত্তর এবং পরামর্শ দিয়ে আবারও অধমকে ঋদ্ধ করে রাখলেন। অধম কর্তৃক সংকলিত আল-ফাওয়াইদুল মুনতাকাহ সম্পর্কে ‘একটি ভালো কাজ করেছেন’ বলে শায়খ আমাকে সাহস ও অনুপ্রেরণা যোগালেন। আরও বললেন, সর্বদা নিজের মাশায়েখ ও উসতাযগণের সঙ্গে সম্পর্ক জারি রাখবেন, ইস্তিফাদা করতে থাকবেন।

এবারও ফেরার সময় শায়খের ছেলে ড. মুহিউদ্দিন পুরো একবক্স ভর্তি কিতাব হাদিয়া দিয়ে ধন্য করলেন। কিছু কিতাবের একাধিক নুসখা ছিলো এতে। তিনি বললেন সেগুলো লন্ডনের আহলে ইলমের মাঝে বণ্টন করে দিতে।

প্রিয় পাঠকের স্মরণ থাকার কথা যে, এই ইলমি মাজলিসের পূর্বনির্ধারিত সময় ছিলো মাত্র আধা ঘণ্টা। কিন্তু শ্রদ্ধেয় শায়খ খুশিমনে যেভাবে মণিমুক্তা ছড়িয়ে যাচ্ছিলেন, দেড়ঘণ্টা সময় কীভাবে পার হয়ে গেলো অনুমানই করতে পারিনি। মাগরিবের পূর্বমুহূর্তে মাজলিস সমাপ্ত হলো। দেড় ঘণ্টার সেই সোনালি মুহূর্ত অধমের জীবনের একটি স্মরণীয় উপাখ্যান হয়ে থাকবে। অনেক বড় তৃপ্তি, বিশাল প্রাপ্তি এবং ইলমি অর্জন ছিলো সেটা।

লেখক: উসতাযুল হাদীস, মাদানী মাদরাসা, লন্ডন

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on pinterest
Pinterest
Share on telegram
Telegram
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

সর্বশেষ