জামেয়া ওয়েবসাইট

রবিবার-৪ঠা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি-৮ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ-২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনাভাইরাস হয়তো কখনোই নির্মূল হবে না

করোনাভাইরাস হয়তো কখনোই নির্মূল হবে না

বিবিসির প্রতিবেদন

 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্ক করেছে যে, পৃথিবী থেকে নভেল করোনাভাইরাস ‘হয়তো কখনোই নির্মূল হবে না।’

এই ভাইরাস কবে নির্মূল হবে, বুধবার সেবিষয়ে ধারণা প্রকাশ করার ব্যাপারেও সতর্ক করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইমার্জেন্সি বিষয়ের পরিচালক ডা. মাইক রায়ান।

তিনি বলেছেন যে প্রতিষেধক যদি পাওয়াও যায়, তবুও এই ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ‘ব্যাপক প্রচেষ্টা’ চালাতে হবে।

এখন পর্যন্ত সারাবিশ্বে ৪৩ লাখের বেশি মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং প্রায় তিন লাখ মানুষ মারা গেছে।

জেনেভার ভার্চুয়াল প্রেস কনফারেন্সে ডা. রায়ান বলেন, ‘এই ভাইরাসটি আমাদের জাতিগত রোগ হিসেবে আমাদের সাথেই থাকতে পারে এবং হয়তো কখনোই শতভাগ নির্মূল হবে না।’

‘এইচআইভিও নির্মূল হয়নি। কিন্তু আমরা ওই ভাইরাসের সাথে সহাবস্থান অর্জন করতে পেরেছি।’

ডা রায়ান আরও বলেন যে, ‘এই ভাইরাস কবে নির্মূল হবে’ সেই ধারণা যে কেউ করতে পারে তাও বিশ্বাস করতে চান না তিনি।

বর্তমানে করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য প্রতিষেধক তৈরির অন্তত ১০০ টি প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। তবে প্রতিষেধক আবিষ্কারই যে ভাইরাসের বিলুপ্তি নিশ্চিত করে না, তা মনে করিয়ে দেন ডা রায়ান।

লকডাউনের কড়াকড়ি কমিয়ে আনার ব্যাপারে সতর্ক করেছেন ডা রায়ান ও ডা টেড্রোস।

তিনি উল্লেখ করেন যে, হামের টিকা বহুদিন আগে আবিষ্কার হলেও হাম এখনও বিলুপ্ত হয়নি পৃথিবী থেকে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাসচিব টেড্রোস ঘেব্রেয়েসাস অবশ্য সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে ভাইরাসটি নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

‘এর গতিপথ আমাদের হাতে এবং এটি আমাদের সবার মাথাব্যাথা। এই মহামারি থামাতে আমাদের সবার অবদান গুরুত্বপূর্ণ।’

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রোগতত্ববিদ মারিয়া ভ্যান কারখোভ ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘এই মহামারি পরিস্থিতি থেকে বের হতে আমাদের সময় লাগবে, আমাদের মানসিকভাবে এর জন্য প্রস্তুত হওয়া উচিত।’

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তারার এমন সময় এই মন্তব্য করলেন যখন বিভিন্ন দেশ পর্যায়ক্রমে তাদের লকডাউনের কড়াকড়িতে শৈথিল্য আনছে এবং আরও অনেক দেশের নেতাই তাদের নিজ নজি অর্থনীতি উন্মুক্ত করে দেওয়ার চিন্তা করছে।

ডা. টেড্রোস সতর্ক করেছেন যে চলাফেরায় নিষেধাজ্ঞা সরিয়ে নিলে দ্বিতীয় দফা সংক্রমণের ঝুঁকি থেকেই যায়।

‘অনেক দেশই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ শিথিল করতে চাইবে। কিন্তু আমাদের সুপারিশ, এখনও যে কোনো দেশকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকা উচিত।’

ডা. রায়ান সতর্ক করেছেন, ‘অনেকেই চিন্তা করছেন লকডাউন শতভাগ কার্যকর ছিল এবং লকডাউন উঠিয়ে নিলে পরিস্থিতি ভালো হবে। এই দুইটি ধারণাই ভীষণ ঝুঁকিপূর্ণ।’

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on pinterest
Pinterest
Share on telegram
Telegram
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

সর্বশেষ