বুধবার-২১শে জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি-২১শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শান্তিপ্রতিষ্ঠায় মহানবী (সা.)-এর ভূমিকা

শান্তিপ্রতিষ্ঠায় মহানবী (সা.)-এর ভূমিকা

শান্তিপ্রতিষ্ঠায় মহানবী (সা.)-এর ভূমিকা

মুহাম্মদ আশরাফ উদ্দীন

 

সত্য ধর্ম মুছেছে তখন তিমির লুপ্ত ধরণী হতে

শুধু নীচু মুখে ভয়াল গতিতে নামছে বিশ্ব ধ্বংস স্রোতে

এমন সময় আমিনা মায়ের কোল আলো করি সুবেসাদেক

নিখিল বিশ্ব উষা নেমে এলে বুকে নিয়ে এলে আলোর রেখ।

কবি ফররুখ আহমদ[1]

পৃথিবী তখন এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছিল। ইনসানিয়াত আর মানবতা বিদায় নিয়ে কায়েম হয়ে হয়ে গিয়েছিল সেখানে পশুত্বের রাজত্ব। মানব জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে নেমে এসেছিল অবক্ষয়। ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র কোথাও ছিল না শান্তি ও নিরাপত্তা। ছিলা না জান, মাল ও ইজ্জতের সামান্যতম নিশ্চয়তা, সর্বত্রে বিরাজ করছিল হাহাকার, অনাচার, জুলুম ও অত্যাচার। এসব নৈরাজ্য দূর করে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষেই মহান প্রভু সে দিন প্রেরণ করেন মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে। পবিত্র কুরআনে বর্ণিত হয়েছে,

وَمَاۤ اَرْسَلْنٰكَ اِلَّا رَحْمَةً لِّلْعٰلَمِيْنَ۰۰۱۰۷

‘আমি আপনাকে সমগ্র জাহানের জন্য দয়াস্বরূপ পাঠিয়েছি।[2]

সকল পাপাচার, অনাচার ও অত্যাচারের অবসান ঘটিয়ে তিনিই প্রতিষ্ঠা করেছেন শান্তি, শৃঙ্খলা ও মানবিকতা। টমাস কর্লাইল বলেন,

The revolution brought by prophet Mohammad (sm.) was a great spart of fire which within a twinkle of eye, burn out all rubbishes of inhumanity and untruths that erected their heads from Delhi to Granda and from earth to sky.

‘মুহাম্মদ (সা.) কর্তৃক সংঘটিত বিপ্লব ছিল প্রচণ্ড এক অগ্নিস্ফুলিঙ্গ যা দিল্লী থেকে গ্রানাডা এবং মাটি থেকে আকাশ পর্যন্ত যে অসত্য আমানবিকতার আবর্জনা মাথা তুলে দাড়িয়ে ছিল তা চোখের পলকে পুড়িয়ে ছারখার করে ফেলল।

শান্তি প্রতিষ্ঠায় মহানবী (সা.)-এর ভূমিকা: নুবুওয়ত পূর্বকাল

বাল্যকাল থেকেই নবীজী (সা.) সমাজ নিয়ে ভাবতেন। সামাজিক নৈরাজ্যের করুন চিত্র তাকে ভাবিয়ে তুলত। সারাটি জীবন তিতি এ নৈরাজ্য দূর করার জন্য লড়েছেন। শান্তি প্রতিষ্ঠায় তার অবদান নুবুওয়ত পরবর্তী কালের মধ্যে সীমাবদ্দ নয় বরং নুবুওয়তপূর্ব জীবনে ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদান রেখেছেন।

১. হিলফুল কুযুল প্রতিষ্ঠা

নবীজী (সা.)-এর বয়স তখন মাত্র ১৫ বছর। কুরাইশ ও কায়েস গোত্রদ্বয়ের মাঝে হারবুল ফুজ্জার নামে অকে ভয়াবহ যুদ্ধ সংঘটিত হয়। যুদ্ধের ভয়াবহতা ও বিভীষিকাময় পরিস্থিতি নবীজির হৃদয়ে রেখাপাত করে। সমাজ থেকে এ সব যুদ্ধ-বিগ্রহ, অন্যায়-অবিচার, জুলুম-নির্যাতন দূর করার লক্ষ্যে মক্কার যুবকদের নিয়ে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন হিলফুল ফুযুল নামে একটি সেবা সংঘ। এর শর্তাবলি ছিল:

  1. আমরা সমাজের অশান্তি দূর করব।
  2. আমরা বিদেশি পর্যটকদের রক্ষা করব।
  3. আমরা গরিব-দুঃখীদের সাহায্য করব।
  4. আমরা শক্তিশালীকে দুর্বলদের ওপর অত্যাচার করতে দেব না।

এ সেবা সংঘের মহৎ লক্ষ্য উদ্দেশ্যের প্রশংসা করে M. Watt বলেন,

Its aim was to uphold principle of justice against the malpractice of the stronger and richer tribes.

‘সবল সমৃদ্ধশালী ব্যক্তিদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠাই এর লক্ষ ছিল।

১. হাজারে আসওয়াদ নিয়ে সৃষ্ট সমস্যার সমাধান

একদিন কাবা ঘর সংস্কারের লক্ষ্যে হাজরে আসওয়াদ অন্যত্র সরিয়ে রাখা হয়েছিল। সংস্কারের পর পুনঃরায় তা কাবা ঘরে স্থানান্তর নিয়ে ভীষন মতো বিরোধ সৃষ্টি হয়েছিল। সব গোত্রই চায় এ সম্মানের ভাগীদার হতে এক পর্যায়ে ভয়াবহ যুদ্ধের আশঙ্কা দেখা দেয়। এ সমষ্যার সমাধানের দায়িত্ব অর্পিত হলো নবীজী (সা.)-এর ওপর। তিনি একটা বড় চাদরে পাথরখানা রেখে সকল গোত্রের প্রতিনিধিদের সাহায্যে তা স্থানান্তর করেন। ফলে কুরাইশরা রক্তক্ষয়ী এক ভয়াবহ যুদ্ধের হাত থেকে মুক্তি পায়।

শান্তি প্রতিষ্ঠায় মহানবী (সা.)-এর বহুমুখী পদক্ষেপ: নুবুওয়ত পরবর্তী কাল

৪০ বছর বয়সে নবীজী (সা.) নুবুওয়তের সুমহান দায়িত্ব পান। এবার শুরু হলো খোদোয়ী নির্দেশনার ভিত্তিতে বিশ্বময় শান্তি প্রতিষ্ঠা সামগ্রিক মুক্তির মহাপরগাম। যথা-

১. মদীনায় হিজরত

নবীজী (সা.) যখন একত্ববাদের দিকে আহ্বান জানান পৌত্তলিক মক্কাবাসীরা তার বিরুদ্ধে ক্ষেপে যায়। ইসলাম গ্রহণের কারণে নওমুসলিমেদের ওপর প্রচণ্ড নির্যাতন চালায়। তবুও কোন প্রতিবাদ করেননি তিনি। সহ্য করেছেন। ধৈর্য ধরেছেন। যাহাতে কোন প্রকার গোলযোগের সৃষ্টি না হয়। যখন নির্যাতনের মাত্রা ধৈর্যের সীমা পেরিয়ে যায়, কোন প্রকার অশান্তকর পরিবেশের সৃষ্টি না করে আল্লাহর নির্দেশে নবীজী (সা.) মুসলমানদের নিয়ে মদীনায় হিজরত করেন। শান্তি রক্ষার জন্য তিনি সেদিন নিজের জন্মভূমির মায়া ত্যাগ করে অন্যত্রে হিজরত করেছিলেন। শান্তি প্রতিষ্ঠার ইতিহাসে নবীজীর এ ত্যাগ ও বিসর্জনের স্মৃতি অমর ও অম্লান হয়ে থাকবে চিরকাল।

২. মদীনা সনদ

নবীজী (সা.) শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে বিশ্বাস করতেন। তাই তিনি মদীনায় বসবাসরত সকল জাতি গোষ্ঠী নিয়ে একটি শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করেন। যেটি ইতিহাসে মদীনা সনদ নামে পরিচতি। শান্তি প্রতিষ্ঠায় এসনদের ভূমিকা সর্বজনস্বীকৃত| ৪৭টি ধারা বিশিষ্ট সনদের পরতে পরতে ছিল শান্তি প্রতিষ্ঠার শাশ্বত আহ্বান। মদীনা সনদের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ধারা হলো:

  1. মদীনার পৌত্তলিক, ইহুদি ও মুসলমান এক জাতি।
  2. এ সনদে স্বাক্ষরকারী সমপ্রদায়গুলো স্বস্ব ধর্ম বিষয়ে স্বাধীন থাকবে, কেউ কারো ধর্মে হস্তক্ষেপ করবে না।
  3. মজলুমকে রক্ষা করতে হবে।
  4. মদীনা রাষ্ট্রে আজ থেকে রক্তপাত হারাম বলে গণ্য হবে।
  • দিয়ত বা খুনের বিনিময়পন পূর্ববৎ বহাল থাকবে।
  1. কেউ অপরাধ করলে তা তার ব্যক্তিগত অপরাধ বলে গণ্য হবে।

এ সনদ জাতি ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সকল মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বসবাস করার নিশ্চয়তা প্রদান করেছিল। প্রদান করেছিল তাদের ধর্মীয় স্বাধীনতা ও নাগরিক অধিকার। সৃষ্টি করেছিল এক অনুপম দৃষ্টান্ত মৈত্রী ও ভালবাসার।

৩. হুদায়বিয়ার সন্ধি

বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় মহানবী (সা.)-এর অনবদ্য ভূমিকার অনন্য স্মারক হুদায়বিয়ার সন্ধি। সন্ধির বেশ কিছু শর্ত মুসলমানদের বিপক্ষে যাওয়া সত্বেও কেবল শান্তি প্রতিষ্ঠার স্বার্থে নবীজী (সা.) এতে স্বাক্ষর করেন। ফলে মক্কা ও মদীনার মাঝে সম্পর্কের একটি সেতুবন্ধন রচিত হয়। দীর্ঘ দিন ধরে বিরাজমান উত্তেজনার অবসান ঘটে।

৪. বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানেদের প্রতি শান্তি প্রতিষ্ঠার আহ্বান

শান্তি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়ে নবীজী (সা.) বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের কাছে পত্র প্রেরণ করেন। দু একজন ছাড়া সবাই নবীজীর আহ্বানে সাড়া দেন। ফলে বর্হিবিশ্বের সাথে নবীজীর সুসম্পর্ক সৃষ্টি হয়।

৫. নবীজীর যুদ্ধসমূহ

শান্তি প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে কখনো অনন্যোপায় হয়ে নবীজী (সা.)-কে যুদ্ধের পথ বেছে নিতে হয়েছে। মানবদেহের কোন অঙ্গের পচন ধরলে যেমন পুরো শরীর রক্ষার্থে তা কেটে ফেলতে হয়, তেমনি সমাজ রক্ষার্থে সমাজ ও রাষ্ট্র বিধ্বংসী দুষ্টক্ষত অপশক্তির মূলোৎপাটনের জন্য নবীজী (সা.)-কে যুদ্ধ করতে হয়েছিল। নবীজী (সা.) যুদ্ধ করেছেন শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য। পাপাচার, অনাচার, জুলুম ও অন্যাচার দূর করার জন্য। শান্তি প্রতিষ্ঠার এসব যুদ্ধের ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে। নবীজীর সমরনীতি এবং যুদ্ধের ফলাফল বিচার করলে বিষয়টা আরও সুষ্টভাবে পরিস্ফুটিত হয়। নবীজীর যুদ্ধগুলোর প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এসব ছিল প্রতিরক্ষামূলক যুদ্ধ। নবীজী (সা.) কখনো যুদ্ধ পছন্দ করতেন না। একান্ত বাধ্য হয়ে যুদ্ধ করেছেন তিনি। নবীজীর সমরনীতির গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি দিক হলো:

  1. শত্রুদের ফলন্ত গাছ কাটা যাবে না।
  2. পরাজিতাদের ধন-সম্পদ নষ্ট করা যাবে না।
  3. শত্রুদের কখনো আগুন দিয়ে শাস্তি দেওয়া যাবে না।
  4. উপসনালয় ধ্বংস করা যাবে না।
  5. নির্দোষ নারী, বৃদ্ধ ও শিশুদের হত্যা করা যাবে না।

নবীজী (সা.) শিশু ও নারীদের হত্যা করতে নিষেধ করেছেন।

নবীজীর যুদ্ধে অনর্থক রক্তক্ষয়ের উম্মাধনা ছিল না তাই তো তার পরিচালিত সকল যুদ্ধ মিলে উভয় পক্ষের নিহত সংখ্যা ছিলা মাত্র ১৬২ জন। তিনি যুদ্ধ বন্ধীদের প্রতি যে মহানুভতা দেখিয়েছেন, তা বর্তমান বিশ্বে কল্পনা ও করা যাবে না। স্যার উইলিয়াম মুইর আবু আকিব নামক এক যুদ্ধবন্ধীর জবানীতে বলেছেন,

Blessing be on the men of Medina who made us ride, while they themselves walked. They gave us wheaten bread to eat when there was little of it contenting themselves with dates.

সে মদীনাবসীদের জন্য আশির্বাদ বর্ষিত হোক যারা আমাকে আরোহন করিয়ে নিজেরা পদব্রজে চলেছেন। আমাদের রুটি খেতে দিয়েছেন অথচ নিজেরা সমান্য খেজুরেই তৃপ্তি হয়েছের।

৬. মক্কা বিজয়

হুদায়বিয়ার সন্ধি ভঙ্গ করে বনি বকর যখন মুসলমানদের মিত্রপক্ষ বনি খুজাআকে আক্রমন করে, কুরাইশরা বনি বকরকে অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করে। ফলে নবীজী (সা.) মক্কাবিজয়ের সিদ্ধান্ত নেন। খুব শান্তিপূর্ণভাবে এ অভিযান সম্পন্ন হয়েছিল। যারা নবীজী (সা.)-কে অকথ্য নির্যানতন করেছে, দেশ ত্যাগে বাধ্য করেছে, মদীনায় মুসলমানদের ওপর বার বার আক্রমন করেছে এমন শত্রুদের হাতেনাতে পেয়ে ও নবীজী (সা.) ক্ষমা করে দিয়েছেন। কী অপরূপ করুনা। কী অসামান্য মহিমা। এরূপ মহানুভবতা পৃথিবী কোন দিন প্রত্যক্ষ করেনি। ঐতিহাসিক গীবন বলেন,

In the long history of the world there is no instance of magnanimity and forgiveness which can approach those of Mohammad when all his enemies lay at his fact and he forgave them one and all.

‘যে ঔদার্য ক্ষমাশীলতার আদর্শ মুহাম্মদ (সা.) স্থাপন করেছেন পদানত শক্রদের ক্ষমা করে দিয়ে জগতের সুদীর্ঘ ইতিহাসে তার কোন দৃষ্টান্ত নেই। নবীজীর অপূর্ব ক্ষমা প্রদর্শন বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় রেখেছে অসামান্য অবদান।

৭. শান্তিপূর্ণ পরিবার, সমাজ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা

মানব জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদান রেখেছেন নবীজী (সা.) পরিবারের সকল সদস্যদের মাঝে সুসম্পর্কই নিশ্চিত করতে পারে পারিবারিক শান্তি। তাই নবীজী (সা.) সুসম্পর্ক সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভিন্ন দিক নিদের্শনা প্রদান করেছেন। নবীজী (সা.) বলেছেন, ‘যে ছোটদের স্নেহ করে না, বড়দের সম্মান করে না, সে আমার দলভুক্ত হবে না।

পবিত্র কুরআনে বর্ণিত আছে, ‘আপনার প্রভু কেবল তাঁর ইবাদত করার জন্য এবং পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।

সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্যে তিনি সর্ব প্রকার অসাম্য দূর করে ইসলামী ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনিই ঘোষণা করেছেন, একমাত্র তাকওয়া ছাড়া অন্য কোন মাপকাটিতে মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব নির্ধারিত হয় না।

রাষ্ট্রে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য নবীজী (সা.) রাষ্ট্র পরিচালনায় সবার মতামত প্রদানের স্বাধীনতা দিয়েছিলেন। পরামর্শভিত্তিক সিদ্ধন্ত গ্রহণের নির্দেশ ও তিনি দিয়েছেন। কুরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘সিদ্ধান্ত গ্রহণে পরামর্শ কর।’

উপসংহার

অবশেষে আমরা বলতে পারি বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার অগ্রদূত মহানবী (সা.) শান্তি প্রতিষ্ঠায় তার অবদান সর্বজন স্বীকৃত| আজকের সংঘাতময় পৃথিবীতে, অশান্ত রাষ্ট্রে, নৈরাজ্যকর সমাজে, সংঘাতময় পরিবারে এবং মানুষের নিরাপত্তাহীন ব্যক্তিগত জীবনে শান্তি ও মুক্তির বিপ্লব ঘটাাতে হলে নবীজীর উপস্থাপিত নীতিমালার অনুসরণ অপরিহার্য। জর্জ বার্নাড শু বলেন,

I believe if a man like Muhammad were assured dictatorship of the modern world, he would bring much needed peace and happier.

‘যদি মুহাম্মদের মতো একটা লোক বর্তমান জগতের নায়ক হতেন তবে তিনি এমন এক উপায়ে জগতের সামান্য সমস্য সমাধান করতে সক্ষম হতে যা অত্যাবশ্যক মুখ শান্তি আনয়ণ করত।

[1] ফররুখ আহমদ, সিরাজাম মুনিরা

[2] আল-কুরআন, সুরা আল-আম্বিয়া, ২১:১০৭

 

PDF ফাইল-

[button link=”http://at.jamiahislamiahpatiya.com/wp-content/uploads/2019/11/November19.pdf”]ডাউনলোড করতে আমাকে ক্লিক করুন[/button]

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on pinterest
Pinterest
Share on telegram
Telegram
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

সর্বশেষ