মা-বাবার মৃত্যুর পর তাদের জন্য করণীয় আমলসূমহ
হাবিবুল্লাহ মুহাম্মদ ইকবাল
إِنَّ الْـحَمْدَ للهِ وَالصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ عَلَىٰ رَسُوْلِ اللهِ وَعَلَىٰ آلِهِ وَصَحْبِهِ أَجْمَعِيْنَ، أَمَّا بَعْدُ!
মা-বাবা ছোট শব্দ, কিন্তু এ দুটি শব্দের সাথে কত যে আদর, স্নেহ, ভালোবাসা রয়েছে তা পৃথিবীর কোন মাপযন্ত্র দিয়ে নির্ণয় করা যাবে না। মা-বাবা কত না কষ্ট করেছেন, না খেয়ে থেকেছেন, অনেক সময় ভালো পোষাকও পরিধান করতে পারেন নি, কত না সময় বসে থাকতেন সন্তানের অপেক্ষায়। সেই মা বাবা যাদের চলে গিয়েছেন, তারাই বুঝেন মা বাবা কত বড় সম্পদ। যেদিন থেকে মা বাবা দুনিয়া ছেড়ে চলে গেলেন সেদিন থেকে মনে হয় কী যেন হারিয়ে গেল,তখন বুক কেঁপে উঠে, চোখ থেকে বৃষ্টির মত পানি ঝরে, কী শান্ত¦নাই বা তাদেরকে দেয়া যায়! সেই মা বাবা যাদের চলে গিয়েছে তারা কি মা-বাবার জন্য কিছুই করবে না?। এত কষ্ট করে আমাদের কে যে মা-বাবা লালন পালন করেছেন তাদের জন্য আমাদের কি কিছুই করার নেই? অবশ্যই আছে। আলোচ্য প্রবন্ধে কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে মৃত মা-বাবা জন্য কী ধরনের আমল করা যাবে এবং যে আমলের সওয়াব তাদের নিকট পৌঁছবে তা উল্লেখ করা হলো:
১. বেশি বেশি দুআ করা
মা-বাবা দুনিয়া থেকে চলে যাওয়ার পর সন্তান মা-বাবার জন্য বেশি বেশি দুআ করবে। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে দুআ করার নির্দেশ দিয়েছেন এবং কী দুআ করবো তাও শিক্ষা দিয়েছেন । আল-কুরআনে এসেছে,
رَبِّ ارْحَمْهُمَا كَمَا رَبَّيٰنِيْ صَغِيْرًاؕ۰۰۲۴
‘হে আমার রব, তাদের উভয়ের প্রতি রহম কর, যেমন তারা আমাকে শৈশবকালে লালন-পালন করেছেন।’
رَبَّنَا اغْفِرْ لِيْ وَلِوَالِدَيَّ وَلِلْمُؤْمِنِيْنَ۠ يَوْمَ يَقُوْمُ الْحِسَابُؒ۰۰۴۱
‘হে আমাদের রব, রোজ কিয়ামতে আমাকে, আমার পিতা-মাতা ও সকল মুমিনকে ক্ষমা করে দিন।’
এছাড়া আল্লাহ রাববুল আলামীন পিতা-মাতার জন্য দুআ করার বিশেষ নিয়ম শিক্ষা দিতে গিয়ে বলেন,
رَبِّ اغْفِرْ لِيْ وَ لِوَالِدَيَّ وَ لِمَنْ دَخَلَ بَيْتِيَ مُؤْمِنًا وَّلِلْمُؤْمِنِيْنَ۠ وَالْمُؤْمِنٰتِ١ؕ وَلَا تَزِدِ الظّٰلِمِيْنَ اِلَّا تَبَارًاؒ۰۰۲۸
‘হে আমার রব! আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে, যে আমার ঘরে ঈমানদার হয়ে প্রবেশ করবে তাকে এবং মুমিন নারী-পুরুষকে ক্ষমা করুন এবং ধ্বংস ছাড়া আপনি যালিমদের আর কিছুই বাড়িয়ে দেবেন না।’
মা-বাবা এমন সন্তান রেখে যাবেন যারা তাদের জন্য দুআ করবে। আবু হুরায়রা (রাযি.) থেকে বর্ণিত হাদীসে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,
إِذَا مَاتَ الْإِنْسَانُ انْقَطَعَ عَنْهُ عَمَلُهُ إِلَّا مِنْ ثَلَاثَةٍ: إِلَّا مِنْ صَدَقَةٍ جَارِيَةٍ، أَوْ عِلْمٍ يُنْتَفَعُ بِهِ، أَوْ وَلَدٍ صَالِحٍ يَدْعُوْ لَهُ.
‘মানুষ মৃত্যুবরণ করলে তার যাবতীয় আমল বন্ধ হয়ে যায়, তবে ৩টি আমল বন্ধ হয় না। যথাÑ ১. সদকায়ে জারিয়া ২.এমন জ্ঞান-যার দ্বারা উপকৃত হওয়া যায় ৩. এমন নেক সন্তান- যে তার জন্য দুআ করে।’
মূলত জানাযার নামায প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মৃত ব্যক্তির জন্য দুআস্বরূপ।
২. দান-সাদকা করা, বিশেষ করে সাদাকায়ে জারিয়া প্রদান করা
মা-বাবা বেঁচে থাকতে দান-সাদকা করে যেতে পারেননি বা বেচে থাকলে আরও দান-সদকাহ করতেন, সেজন্য তাদের পক্ষ থেকে সন্তান দান-সদকাহ করতে পারে। হাদীসে এসেছে,
عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَجُلًا أَتَى النَّبِيَّ ﷺ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ، إِنَّ أُمِّيَ افْتُلِتَتْ نَفْسَهَا وَلَمْ تُوصِ، وَأَظُنُّهَا لَوْ تَكَلَّمَتْ تَصَدَّقَتْ، أَفَلَهَا أَجْرٌ، إِنْ تَصَدَّقْتُ عَنْهَا؟ قَالَ: نَعَمْ.
হযরত আয়েশা (রাযি.) বলেন, জনৈক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে এসে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমার মা হঠাৎ মৃতুবরণ করেছেন। তাই কোনো অসিয়ত করতে পারেননি। আমার ধারণা তিনি যদি কথা বলার সুযোগ পেতেন তাহলে দান-সাদকা করতেন। আমি তাঁর পক্ষ থেকে সাদকা করলে তিনি কি এর সাওয়াব পাবেন? রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন ‘হ্যাঁ, অবশ্যই পাবেন।’
তবে সবচেয়ে উত্তম হচ্ছে সাদাকায়ে জারিয়া বা প্রবাহমান ও চলমান সাদাকা প্রদান করা। যেমন পানির কুপ খনন করা, (নলকুপ বসানো, দীনী মাদরাসা প্রতিষ্ঠা, কুরআন শিক্ষার জন্য মক্তব ও প্রতিষ্ঠান তৈরি করা, স্থায়ী জনকল্যাণমূলক কাজ করা। ইত্যাদি।
৩. মা-বাবার পক্ষ
থেকে সিয়াম পালন
মা-বাবা জীবিত থাকা অবস্থায় যদি তাদের কোন মানতের সিয়াম কাযা থাকে, সন্তান তাদের পক্ষ থেকে সিয়াম পালন করলে তাদের পক্ষ থেকে আদায় হয়ে যাবে। আয়েশা (রাযি.) হতে বর্ণিত হাদীসে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,
مَنْ مَاتَ وَعَلَيْهِ صِيَامٌ صَامَ عَنْهُ وَلِيُّهُ.
‘যে ব্যক্তি মৃত্যু বরণ করল এমতাবস্থায় যে তার উপর রোজা ওয়াজিব ছিল। তবে তার পক্ষ থেকে তার ওয়ারিসগণ রোযা রাখবে।’
অধিকাংশ আলেমগণ এ হাদীসটি শুধুমাত্র ওয়াজিব রোযা বা মানতের রোযার বিধান হিসেবে নির্ধারণ করেছেন। তাদের পক্ষ থেকে নফল সিয়াম রাখার পক্ষে দলীল নেই।
৪. হজ বা উমরা করা
মা-বাবার পক্ষ থেকে হজ বা উমরাহ করলে তা আদায় হবে এবং তারা উপকৃত হবে। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আববাস (রাযি.) হতে বর্ণিত হাদীসে এসেছে,
أَنَّ امْرَأَةً مِنْ جُهَيْنَةَ، جَاءَتْ إِلَى النَّبِيِّ ﷺ، فَقَالَتْ: إِنَّ أُمِّيْ نَذَرَتْ أَنْ تَحُجَّ فَلَمْ تَحُجَّ حَتَّىٰ مَاتَتْ، أَفَأَحُجُّ عَنْهَا؟ قَالَ: نَعَمْ حُجِّيْ عَنْهَا، أَرَأَيْتِ لَوْ كَانَ عَلَىٰ أُمِّكِ دَيْنٌ أَكُنْتِ قَاضِيَةً؟ اقْضُوا اللهَ فَاللهُ أَحَقُّ بِالْوَفَاءِ.
‘জুহাইনা গোত্রের একজন মহিলা রাসূলুল্লাহ (সা.) এর কাছে আগমণ করে বলল, হে আল্লাহর রাসুল, আমার মা হজ করার মানত করেছিলেন কিন্তু তিনি হজ সম্পাদন না করেই মারা গেছেন। এখন আমি কি তার পক্ষ থেকে হজ আদায় করতে পারি? রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘তুমি তোমার মায়ের পক্ষ থেকে হজ কর। তোমার কি ধারণা যদি তোমার মার উপর ঋণ থাকতো তবে কি তুমি তা পরিশোধ করতে না? সুতরাং আল্লাহর জন্য তা আদায় কর। কেননা আল্লাহর দাবি পরিশোধ করার অধিক উপযোগী।’’
তবে মা-বাবার পক্ষ থেকে যে লোক হজ বা ওমরাহ করতে চায় তার জন্য শর্ত হলো সে আগে নিজের হজ-ওমরাহ করতে হবে।
৫. মা-বাবার পক্ষ
থেকে কুরবানী করা
মা-বাবার পক্ষ থেকে কুরবানী করলে তার সওয়াব দ্বারা তারা উপকৃত হবে। এ বিষয়ে হাদীসে এসেছে,
عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ أَمَرَ بِكَبْشٍ أَقْرَنَ يَطَأُ فِيْ سَوَادٍ، وَيَبْرُكُ فِيْ سَوَادٍ، وَيَنْظُرُ فِيْ سَوَادٍ، فَأُتِيَ بِهِ لِيُضَحِّيَ بِهِ، فَقَالَ لَـهَا: يَا عَائِشَةُ، هَلُمِّي الْـمُدْيَةَ، ثُمَّ قَالَ: اشْحَذِيْهَا بِحَجَرٍ، فَفَعَلَتْ: ثُمَّ أَخَذَهَا، وَأَخَذَ الْكَبْشَ فَأَضْجَعَهُ، ثُمَّ ذَبَحَهُ، ثُمَّ قَالَ: بِاسْمِ اللهِ، اللّٰهُمَّ تَقَبَّلْ مِنْ مُحَمَّدٍ، وَآلِ مُحَمَّدٍ، وَمِنْ أُمَّةِ مُحَمَّدٍ، ثُمَّ ضَحَّىٰ بِهِ.
‘হযরত আয়েশা (রাযি.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) এমন একটি শিংযুক্ত দুম্বা উপস্থিত করতে নির্দেশ দিলেন, যার পা কালো, চোখের চতুর্দিক কালো এবং পেট কালো। অতঃপর তা কুরবানীর জন্য আনা হলো। তখন রাসূলুল্লাহ (সা.) হযরত আয়েশা (রাযি.)-কে বললেন, হে আয়েশা! ছুরি নিয়ে আস, তারপর বললেন, তুমি একটি পাথর নিয়ে তা দ্বারা এটাকে ধারালো কর। তিনি তাই করলেন। তারপর রাসূলুল্লাহ (সা.) ছুরি হাতে নিয়ে দুম্বাটিকে শুইয়ে দিলেন। পশুটি যবেহ করার সময় বললেন, ‘বিসমিল্লাহ, হে আল্লাহ! তুমি এটি মুহাম্মদ, তাঁর বংশধর এবং সকল উম্মাতে মুহাম্মাদীর পক্ষ থেকে কবুল কর।’ এভাবে তিনি তা দ্বারা কুরবানী করলেন।
৬. মা-বাবার ওয়াসীয়ত পূর্ণ করা
মা-বাবা শরীয়াহ সম্মত কোন ওসিয়ত করে গেলে তা পূর্ণ করা সন্তানদের উপর দায়িত্ব। রাশীদ ইবনে সুয়াইদ আস-সাকাফী (রাযি.) বলেন,
عَنِ الشَّرِيدِ بْنِ سُوَيْدٍ الثَّقَفِيِّ، قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُوْلَ اللهِ، إِنَّ أُمِّيْ أَوْصَتْ أَنْ نُعْتِقُ عَنْهَا رَقَبَةً، وَعِنْدِي جَارِيَةٌ سَوْدَاءُ، قَالَ: ادْعُ بِهَا، فَجَاءَتْ، فَقَالَ: مَنْ رَبُّكِ؟ قَالَتِ: اللهُ، قَالَ: مَنْ أَنَا؟ قَالَتْ: رَسُوْلُ اللهِ، قَالَ: أَعْتِقْهَا، فَإِنَّهَا مُؤْمِنَةٌ.
‘আমি রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! আমার মা একজন দাসমুক্ত করার জন্য অসিয়ত করে গেছেন। আর আমার নিকট কালো একজন দাসী আছে। রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘তাকে ডাকো।’ সে আসল, রাসূলুল্লাহ (সা.) তাকে প্রশ্ন করলেন, ‘তোমার রব কে?’ উত্তরে সে বলল, আমার রব আল্লাহ। আবার প্রশ্ন করলেন, ‘আমি কে?’ উত্তরে সে বলল, আপনি আল্লাহর রাসুল। তখন রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘তাকে মুক্ত করে দাও। কেননা সে মুমিনা।’’
৭. মা-বাবার বন্ধুদের সম্মান করা
মা-বাবার বন্ধুদের সাথে ভালো ব্যবহার করা, সম্মান করা, তাদেরকে দেখতে যাওয়া,তাদেরকে হাদিয়া দেওয়া। এ বিষয়ে হাদীসে উল্লেখ আছে,
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَجُلًا مِنَ الْأَعْرَابِ لَقِيَهُ بِطَرِيْقِ مَكَّةَ، فَسَلَّمَ عَلَيْهِ عَبْدُ اللهِ، وَحَمَلَهُ عَلَىٰ حِمَارٍ كَانَ يَرْكَبُهُ. وَأَعْطَاهُ عِمَامَةً، كَانَتْ عَلَى رَأْسِهِ فَقَالَ ابْنُ دِينَارٍ: فَقُلْنَا لَهُ: أَصْلَحَكَ اللهُ إِنَّهُمُ الْأَعْرَابُ وَإِنَّهُمْ يَرْضَوْنَ بِالْيَسِيرِ، فَقَالَ عَبْدُ اللهِ: إِنَّ أَبَا هَذَا كَانَ وُدًّا لِعُمَرَ بْنِ الْـخَطَّابِ، وَإِنِّيْ سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ يَقُولُ: إِنَّ أَبَرَّ الْبِرِّ صِلَةُ الْوَلَدِ أَهْلَ وُدِّ أَبِيْهِ.
‘হযরত আবদুল্লাহ ইবনে দীনার (রহ.) আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রাযি.) থেকে বর্ণনা করেন, একবার মক্কার পথে চলার সময় আবদুল্লাহ (রাযি.)-এর এক বেদুঈনের সাথে দেখা হলে তিনি তাকে সালাম দিলেন এবং তাকে সে গাধায় চড়ালেন যে গাধায় আবদুল্লাহ (রাযি.) উপবিষ্ট ছিলেন এবং তাঁর (আবদুল্লাহ) মাথায় যে পাগড়িটি পরা ছিলো তা তাকে প্রদান করলেন। আবদুল্লাহ ইবানে দীনার (রহ.) বললেন, তখন আমরা আবদুল্লাহকে বললাম, আল্লাহ তোমার মঙ্গল করুক! এরা গ্রাম্য মানুষ; সামান্য কিছু পেলেই এরা সন্তুষ্ট হয়ে যায়-(এতসব করার কি প্রয়োজন ছিলো?) উত্তরে আবদুল্লাহ (রাযি.) বললেন, তার পিতা, (আমার পিতা) ওমর ইবনে খাত্তাব (রাযি.) এর বন্ধু ছিলেন। আমি রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ‘পুত্রের জন্য পিতার বন্ধু-বান্ধবের সাথে ভালো ব্যবহার করা সবচেয়ে বড় সওয়াবের কাজ।’’
মৃতদের বন্ধুদের সাথে রাসূলুল্লাহ (সা.) এর আমলও আমাদেরকে উৎসাহিত করে। হযরত আয়িশা (রাযি.) থেকে বর্ণিত হাদীসে এসেছে,
أَرْسِلُوْا بِهَا إِلَىٰ أَصْدِقَاءِ خَدِيْجَةَ.
‘রাসূলুল্লাহ (সা.) যখনই কোন বকরী যবেহ করতেন, তখনই তিনি বলতেন, এর কিছু অংশ খাদীজার বান্ধবীদের নিকট পাঠিয়ে দাও।’
৮. মা-বাবার আত্মীয়দের
সাথে সম্পর্ক রাখা
সন্তান তার মা-বাবার আত্মীয়দের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখবে। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রাযি.) থেকে বর্ণিত হাদীসে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,
مَنْ أَحَبَّ أَنْ يَصِلَ أَبَاهُ فِيْ قَبْرِهِ، فَلْيَصِلْ إِخْوَانَ أَبِيْهِ بَعْدَهُ.
‘যে ব্যক্তি তার পিতার সাথে কবরে সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করতে ভালোবাসে, সে যেন পিতার মৃত্যুর পর তার ভাইদের সাথে সু-সম্পর্ক রাখে।’
৯. ঋণ পরিশোধ করা
মা-বাবার কোন ঋণ থাকলে তা দ্রুত পরিশোধ করা সন্তানদের উপর বিশেষভাবে কর্তব্য। রাসূলুল্লাহ (সা.) ঋণের পরিশোধ করার বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। আবু হুরায়রা (রাযি.) হতে বর্ণিত হাদীসে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,
نَفْسُ الْـمُؤْمِنِ مُعَلَّقَةٌ بِدَيْنِهِ حَتَّىٰ يُقْضَىٰ عَنْهُ.
‘মুমিন ব্যক্তির আত্মা তার ঋণের সাথে সম্পৃক্ত থেকে যায়, যতক্ষণ তা তা তার পক্ষ থেকে পরিশোধ করা হয়।’
ঋণ পরিশোধ না করার কারণে জান্নাতের যাওয়ার পথ বন্ধ হয়ে যায়; এমনকি যদি আল্লাহর রাস্তায় শহীদও হয় । হাদীসে আরও এসেছে,
مَا دَخَلَ الْـجَنَّةَ حَتَّىٰ يُقْضَىٰ عَنْهُ دَيْنُهُ
‘যতক্ষণ পর্যন্ত বান্দার ঋণ পরিশোধ না করা হবে ততক্ষণ পর্যন্ত জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।’
১০. কাফফারা আদায় করা
মা-বাবার কোন শপথের কাফফারা, ভুলকৃত হত্যাসহ কোন কাফফারা বাকী থাকলে সন্তান তা পূরণ করবে। আল-কুরআনে বলা হয়েছে,
وَمَنْ قَتَلَ مُؤْمِنًا خَطَـًٔا فَتَحْرِيْرُ رَقَبَةٍ مُّؤْمِنَةٍ وَّ دِيَةٌ مُّسَلَّمَةٌ اِلٰۤى اَهْلِهٖۤ اِلَّاۤ اَنْ يَّصَّدَّقُوْاؕ ۰۰۹۲
‘যে ব্যক্তি ভুলক্রমে কোন মুমিনকে হত্যা করবে, তাহলে একজন মুমিন দাসকে মুক্ত করতে হবে এবং দিয়াত (রক্ত পণ দিতে হবে) যা হস্তান্তর করা হবে তার পরিজনদের কাছে। তবে তারা যদি সদাকা (ক্ষমা) করে দেয় (তাহলে সেটা ভিন্ন কথা)।’
আবু হুরায়রা (রাযি.) থেকে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,
مَنْ حَلَفَ عَلَىٰ يَمِيْنٍ، فَرَأَىٰ غَيْرَهَا خَيْرًا مِنْهَا، فَلْيَأْتِهَا، وَلْيُكَفِّرْ عَنْ يَمِيْنِهِ.
‘যে ব্যক্তি কসম খেয়ে শপথ করার পর তার থেকে উত্তম কিছু করলেও তার কাফফারা অদায় করবে।’
এ বিধান জীবিত ও মৃত সবার ক্ষেত্রে সমভাবে প্রযোজ্য। দুনিয়ার বুকে কেউ অন্যায় করলে তার কাফফারা দিতে হবে। অনুরূপভাবে কেউ অন্যায় করে মারা গেলে তার পরিবার-পরিজন মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে কাফফারা প্রদান করবেন।
১১. ক্ষমা প্রার্থনা করা
মা-বাবার জন্য আল্লাহর নিকট বেশি বেশি ক্ষমা প্রার্থনা করা গুরুত্বপূর্ণ আমল। সন্তান মা-বাবার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করায় আল্লাহ তাআলা তাদের মর্যাদা বৃদ্ধি করে দেন। হাদীসে বলা হয়েছে,
عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ, قَالَ: تُرْفَعُ لِلْمَيِّتِ بَعْدَ مَوْتِهِ دَرَجَتُهُ، فَيَقُولُ: أَيْ رَبِّ! أَيُّ شَيْءٍ هَذِهِ؟ فَيُقَالُ: وَلَدُكَ اسْتَغْفَرَ لَكَ.
‘হযরত আবু হুরায়রা (রাযি.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, মৃত্যুর পর কোন বান্দাহর মর্যাদা বৃদ্ধি করা হয়। তখন সে বলে হে আমার রব, আমি তো এতো মর্যাদার আমল করিনি, কীভাবে এ আমল আসলো? তখন বলা হবে, তোমার সন্তান তোমার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করায় এ মর্যাদা তুমি পেয়েছো।’
মা-বাবা দুনিয়া থেকে বিদায় নেয়ার পর তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করার বিষয়ে হযরত ওসমান (রাযি.) বর্ণিত হাদীসে এসেছে,
عَنْ عُثْمَانَ، قَالَ: وَقَفَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ عَلَىٰ قَبْرِ رَجُلٍ وَهُوَ يُدْفَنُ فَلَمَّا فَرَغَ مِنْهُ قَالَ: اسْتَغْفِرُوا لِأَخِيْكُمْ وَسَلُوا اللهَ لَهُ بالثَّبَاتِ؛ فَإِنَّهُ يُسْأَلُ الْآنَ.
‘হযরত ওসমান (রাযি.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) কোন এক মৃত ব্যক্তিকে দাফন করার পর তার কবরের পার্শ্বে দাঁড়ালেন এবং বললেন, ‘তোমরা তোমাদের ভাইয়ের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর এবং তার জন্য ঈমানের উপর অবিচলতা ও দৃঢ়তা কামনা কর, কেননা এখনই তাকে প্রশ্ন করা হবে।’
তাই সুন্নাত হচ্ছে, মৃত ব্যক্তিকে কবরে দেয়ার পর তার কবরের পার্শ্বে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে তার জন্য প্রশ্নোত্তর সহজ করে দেওয়া, প্রশ্নোত্তর দিতে সমর্থ হওয়ার জন্য দুআ করা।
১২. মান্নত পূরণ করা
মা-বাবা কোন মান্নত করে গেলে সন্তান তার পক্ষ থেকে পূরণ করবে। হযরত আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রাযি.) থেকে বর্ণিত হাদীসে এসেছে,
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ, أَنَّ امْرَأَةً نَذَرَتْ أَنْ تَصُوْمَ شَهْرًا، فَمَاتَتْ، فَأَتَىٰ أَخُوْهَا النَّبِيَّ ﷺ، فَقَالَ: صُمْ عَنْهَا.
‘কোন মহিলা রোযা রাখার মান্নত করেছিল, কিন্তু সে তা পূরণ করার পূর্বেই মৃত্যুবরণ করল। এরপর তার ভাই এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর নিকট আসলে তিনি বলরেন, তার পক্ষ থেকে সিয়াম পালন কর।’
১৩. মা-বাবার ভালো
কাজসমূহ জারি রাখা
মা-বাবা যেসব ভালো কাজ অর্থাৎ মসজিদ তৈরি করা, মাদরাসা তৈরি করা, দীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরিসহ যে কাজগুলো করে গিয়েছেন সন্তান হিসাবে তা যাতে অব্যাহত থাকে তার ব্যবস্থা করা। কেননা এসব ভালো কাজের সওয়াব তাদের আমলনামায় যুক্ত হতে থাকে। হাদীসে এসেছে,
مَنْ دَلَّ عَلَى خَيْرٍ فَلَهُ مِثْلُ أَجْرِ فَاعِلِهِ.
‘ভালো কাজের পথপ্রদর্শনকারী এ কাজ সম্পাদনকারীর অনুরূপ সাওয়াব পাবে।’
مَنْ سَنَّ فِي الْإِسْلَامِ سُنَّةً حَسَنَةً، فَلَهُ أَجْرُهَا، وَأَجْرُ مَنْ عَمِلَ بِهَا بَعْدَهُ، مِنْ غَيْرِ أَنْ يَنْقُصَ مِنْ أُجُوْرِهِمْ شَيْءٌ.
‘যে ব্যক্তির ইসলামের ভালো কাজ শুরু করল, সে এ কাজ সম্পাদনকারীর অনুরূপ সাওয়াব পাবে। অথচ তাদেও সওয়াব থেকে কোন কমতি হবে না।’
১৪. কবর যিয়ারত করা
সন্তান তার মা-বাবার কবর যিয়ারত করবে। এর মাধ্যমে সন্তান এবং মা-বাবা উভয়ই উপকৃত হবে। এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,
قَدْ كُنْتُ نَهَيْتُكُمْ عَنْ زِيَارَةِ الْقُبُوْرِ، فَقَدْ أُذِنَ لِــمُحَمَّدٍ فِي زِيَارَةِ قَبْرِ أُمِّهِ، فَزُورُوْهَا فَإِنَّهَا تُذَكِّرُ الْآخِرَةَ.
‘আমি তোমাদেরকে কবর যিয়ারত করতে নিষেধ করেছিলাম। অতঃপর মুহাম্মদের মায়ের কবর যিয়ারতের অনুমতি দেয়া হয়েছে। এখন তোমরা কবর যিয়রাত কর, কেননা তা আখেরাতকে স্মরণ করিয়ে দেয়।’
কবর যিয়ারত কোন দিনকে নির্দিষ্ট করে করা যাবে না। কবর যিযারত করার সময় বলবে,
السَّلَامُ عَلَيْكُمْ أَهْلَ الدِّيَارِ مِنَ الْـمُؤْمِنِينَ وَالْـمُسْلِمِينَ، وَإِنَّا إِنْ شَاءَ اللهُ بِكُمْ لَاحِقُوْنَ، نَسْأَلُ اللهَ لَنَا وَلَكُمُ الْعَافِيَةَ.
‘কবরবাসী মুমিন-মুসলিম আপনাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক । নিশ্চয় আমরা আপনাদের সাথে মিলিত হবো। আমরা আল্লাহর কাছে আপনাদের এবং আমাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’
১৫. ওয়াদা করে গেলে
তা বাস্তবায়ন করা
মা-বাবা কারো সাথে কোন ভালো কাজের ওয়াদা করে গেলে বা এমন ওয়াদা যা তারা বেচে থাকলে করে যেতেন, সন্তান যথাসম্ভব তা বাস্তবায়নের চেষ্টা করবে। কুরআন মাজীদে বলা হয়েছে,
وَاَوْفُوْا بِالْعَهْدِ١ۚ اِنَّ الْعَهْدَ كَانَ مَسْـُٔوْلًا۰۰۳۴
‘আর তোমরা অঙ্গীকার পূর্ণ কর, নিশ্চয় অঙ্গীকার সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’
১৬. কোন গুনাহের কাজ
করে গেলে তা বন্ধ করা
মা-বাবা বেচে থাকতে কোন গুনাহের কাজের সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকলে তা বন্ধ করবে বা শরীয়াহ সম্মতভাবে সংশোধন করে দেবে। কেননা হযরত আবু হুরায়রা (রাযি.) হতে বর্ণিত হাদীসে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,
وَمَنْ دَعَا إِلَىٰ ضَلَالَةٍ، كَانَ عَلَيْهِ مِنَ الْإِثْمِ مِثْلُ آثَامِ مَنْ تَبِعَهُ، لَا يَنْقُصُ ذَلِكَ مِنْ آثَامِهِمْ شَيْئًا
‘এবং যে মানুষকে গুনাহের দিকে আহবান করবে, এ কাজ সম্পাদনকারীর অনুরূপ গুনাহ তার আমলনামায় যুক্ত হতে থাকবে। অথচ তাদের গুনাহ থেকে কোন কমতি হবে না।’
১৭. মা-বাবার পক্ষ
থেকে মাফ চাওয়া
মা-বাবা বেচে থাকতে কারো সাথে খারাপ আচরণ করে থাকলে বা কারো উপর যুলুম করে থাকলে বা কাওকে কষ্ট দিয়ে থাকলে মা-বাবার পক্ষ থেকে তার কাছ থেকে মাফ মাফ চেয়ে নিবে অথবা ক্ষতি পূরণ দিয়ে দিবে। কেননা হাদীসে এসেছে,
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ قَالَ: أَتَدْرُونَ مَنِ الْـمُفْلِسُ؟ قَالُوا: الْـمُفْلِسُ فِينَا يَا رَسُوْلَ اللهِ مَنْ لَا دِرْهَمَ لَهُ وَلَا مَتَاعَ، قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ: الْـمُفْلِسُ مِنْ أُمَّتِيْ مَنْ يَأْتِيْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ بِصَلَاتِهِ وَصِيَامِهِ وَزَكَاتِهِ، وَيَأْتِي قَدْ شَتَمَ هَذَا وَقَذَفَ هَذَا، وَأَكَلَ مَالَ هَذَا، وَسَفَكَ دَمَ هَذَا، وَضَرَبَ هَذَا فَيَقْعُدُ فَيَقْتَصُّ هَذَا مِنْ حَسَنَاتِهِ، وَهَذَا مِنْ حَسَنَاتِهِ، فَإِنْ فَنِيَتْ حَسَنَاتُهُ قَبْلَ أَنْ يُقْتَصّ مَا عَلَيْهِ مِنَ الْـخَطَايَا أُخِذَ مِنْ خَطَايَاهُمْ فَطُرِحَ عَلَيْهِ ثُمَّ طُرِحَ فِي النَّارِ.
‘হযরত আবু হুরায়রা (রাযি.) থেকে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা কি জান নিঃস্ব ব্যক্তি কে? সাহাবীগণ বললেন, আমাদের মধ্যে যার সম্পদ নেই সে হলো গরীব লোক। তখন তিনি বললেন, আমার উম্মতের মধ্যে সে হলো গরীব যে, কিয়ামতের দিন নামায, রোযা ও যাকাত নিয়ে আসবে অথচ সে অমুককে গালি দিয়েছে, অমুককে অপবাদ দিয়েছে, অন্যায়ভাবে লোকের মাল খেয়েছে, সে লোকের রক্ত প্রবাহিত করেছে এবং কাউকে প্রহার করেছে। কাজেই এসব নির্যাতিত ব্যক্তিদেরকে সেদিন তার নেক আমল নামা দিয়ে দেয়া হবে। এবং তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।’’
সুতরাং এ ধরনের নিঃস্ব ব্যক্তিকে মুক্ত করার জন্য তার হকদারদের কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে নেওয়া সন্তানের কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। অল্লাহ তাআলা আমাদেরকে মা-বাবার জন্য আমলগুলো করার তওফীক দিন। আমীন।
আল-কুরআন, সূরা আল-ইসরা, ১৭:২৪
আল-কুরআন, সূরা ইবরাহীম, ১৪:৪১
আল-কুরআন, সূরা নূহ, ৭১:২৮
মুসলিম, আস-সহীহ, দারু ইয়াহইয়ায়িত তুরাস আল-আরবী, বয়রুত, লেবনান, খ. ৩, পৃ. ১২৫৫, হাদীস: ১৬৩১
মুসলিম, আস-সহীহ, খ. ২, পৃ. ৬৯৬, হাদীস: ১০০৪
আল-বুখারী, আস-সহীহ, দারু তওকিন নাজাত, বয়রুত, লেবনান (প্রথম সংস্করণ: ১৪২২ হি. = ২০০১ খ্রি.), খ. ৩, পৃ. ৩৫, হাদীস: ১৯৫২
আল-বুখারী, আস-সহীহ, খ. ৩, পৃ. ১৮, হাদীস: ১৮৫২
মুসলিম, আস-সহীহ, খ. ৩, পৃ. ১৫৫৭, হাদীস: ১৯৬৭
ইবনে হিব্বান, আস-সহীহ, মুআস্সিসাতুর রিসালা, বয়রুত, লেবনান (দ্বিতীয় সংস্করণ: ১৪১৪ হি. = ১৯৯৩ খ্রি.), খ. ১, পৃ. ৪১৮, হাদীস: ১৮৯
মুসলিম, আস-সহীহ, খ. ৪, পৃ. ১৯৭৯, হাদীস: ২৫৫২
মুসলিম, আস-সহীহ, খ. ৪, পৃ. ১৮৮৮, হাদীস: ২৪৩৫
ইবনে হিব্বান, আস-সহীহ, খ. ২, পৃ. ১৭৫, হাদীস: ৪৩২
ইবনে মাজাহ, আস-সুনান, দারু ইয়াহইয়ায়িল কুতুব আল-আরাবিয়া, বয়রুত, লেবনান, খ. ২, পৃ. ৮০৬, হাদীস: ২৪১৩
আন-নাসায়ী, আল-মুজতাবা মিনাস-সুনান = আস-সুনানুস সুগরা, মাকতাবুল মতবুআত আল-ইসলামিয়া, হলব, সিরিয়া, খ. ৭, পৃ. ৩১৪, হাদীস: ৪৬৮৪
আল-কুরআন, সূরা আন-নিসা, ৪:৯২
মুসলিম, আস-সহীহ, খ. ৩, পৃ. ১২৬১, হাদীস: ১৬৫০
আল-বুখারী, আল-আদাবুল মুফরদ, দারুল বাশায়িরিল ইসলামিয়া, বয়রুত, লেবনান (দ্বিতীয় সংস্করণ: ১৪০৯ হি. = ১৯৮৯ খ্রি.), পৃ. ২৮, হাদীস: ৩৬
আল-বায্যার, আল-মুসনদ = আল-বাহরুয যাখ্খার, মকতবাতুল উলুম ওয়াল হাকাম, মদীনা মুনাওয়ারা, সউদী আরব, খ. ২, পৃ. ৯১, হাদীস: ৪৪৫
আল-বায়হাকী, আস-সুনানুল কুবরা, দারুল কুতুব আল-ইলমিয়া, বয়রুত, লেবনান, খ. ৬, পৃ. ৪৫৭, হাদীস: ১২৬৪৫
আত-তিরমিযী, আল-জামি‘উল কবীর = আস-সুনান, মুস্তফা আলবাবী অ্যান্ড সন্স পাবলিশিং অ্যান্ড প্রিন্টিং গ্রুপ, কায়রো, মিসর, খ. ৪, পৃ. ৪১, হাদীস: ২৬৭১
মুসলিম, আস-সহীহ, খ. ২, পৃ. ৭০৪, হাদীস: ১০১৭
আত-তিরমিযী, আল-জামি‘উল কবীর, মিসর, খ. ৩, পৃ. ৩৬১, হাদীস: ১০৫৪
ইবনে মাজাহ, আস-সুনান, খ. ১, পৃ. ৪৯৪, হাদীস: ১৫৪৭
আল-কুরআন, সূরা আল-ইসরা, ১৭:৩৪
মুসলিম, আস-সহীহ, খ. ৪, পৃ. ২০৬০, হাদীস: ২৬৭৪
আত-তিরমিযী, আল-জামি‘উল কবীর, মিসর, খ. ৪, পৃ. ৬১৩, হাদীস: ২৪১৮