জামেয়া ওয়েবসাইট

সোমবার-৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি-২৫শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ-১০ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ধর্ষণ প্রবণতা বেড়ে যাওয়ার কারণ ও প্রতিকার

ধর্ষণ প্রবণতা বেড়ে যাওয়ার কারণ ও প্রতিকার

হাফেয মুহাম্মদ জাফর সাদেক

দৈনিক খবরের কাগজ দৃঢ়ভাবে পড়লে বোঝা যায় বর্তমান সমাজের অপরাধ জগতের চিত্র কি যে ভয়াবহ, সমাজের রন্দ্রে রন্দ্রে নীতি নৈতিকতার অবক্ষয় খুব দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে। খুন-ধর্ষণ, যেনা-ব্যভিচার বেহায়াপানা ইত্যাদি ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানব সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে আবশ্যিকভাবে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগলেও বহুমুখী অপরাধ প্রবণতা বর্ণনাতীত হারে বেড়ে যাচ্ছে যে, বিভিন্ন ধরণের অপরাধের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হারে যে অপরাধটি বেশি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছ্ েতাহলো, ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন। পত্রিকার পাতা উল্টালেই ধর্ষণের লোমহর্ষক নিউজ নজরে পড়ে। যে কোন সময়ের তুলনায় বর্তমান সময়ে দেশে নারী ও শিশু ধর্ষণ মাত্রারিক্ত হারে বেড়ে গেছে। গত ১৮ অক্টোবর দৈনিক ইনকিলাবের এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়। গত ৮ মাসে সারা দেশে ধর্ষণ মামলা হয়েছে ১৯৪৪টি, পত্র পত্রিকার মাধ্যমে যে সব নৃশংসতার সংবাদ আসছে তা শুনলে লোম শিউরে উঠে। আট মাসের শিশুকে ধর্ষণ করা হয়েছে। ২২ মাসের শিশু কন্যাকে ধর্ষণের খবর পাওয়া গেছে, ৫ বছর বয়সী শিশুর যৌনাঙ্গ ব্লেড দিয়ে কেটে ধর্ষণ করেছে ৫০ বছরের উর্ধ্বের এক ব্যক্তি, গত রোজায় ছোট্ট একটি মেয়েকে ইফতারের দাওয়াত দিয়ে বয়স্ক দু’ব্যক্তি ধর্ষণ করে। পত্রিকা মারফত আরো জানা যায়, ৬ মাস ধরে আটকে রেখে ভাতিজীকে ধর্ষণ করেছে চাচা। এসব নৃশংসতার ঘটনা শুনলে বিবেকবান ও সুস্থ মানসিকতার লোকেরা অবাক না হয়ে পারবে না। পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্যানুযায়ী চলতি বছররের জানুয়ারি থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত সারা দেশে ধর্ষণ মামলা হয়েছে ১৯৪৪টি এর মধ্যে শিশু ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ৩৫২টি। এছাড়া ২০১৬ সালে প্রতিমাসে গড়ে সারা দেশে ধর্ষণের মামলা হয়েছে ৩৪০টি। ২০১৭ সালের প্রথম আট মাসে মামলা হয়েছে ১৯৪৪টি। এ হিসেবে ধর্ষণের মামলার সংখ্যা গত বছরের তুলনায় বেড়েছে। গত বছর এ মাস পর্যন্ত ৩৪৫টি মামলা হয় এবং ওই বছরই মোট মামলা হয় ৬০১টি। ২০১৫ সালে ৫২১টি, ২০১৪ সালে ১৯৯টি, ২০১৩ সালে ১৭০টি এবং ২০১২ সালে ৮৬টি। এ পরিসংখ্যান থেকে এ কথা ¯পষ্ট ভাবে প্রতীয়মান হয় যে, সাম্প্রতিক দেশে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন মাত্রাতিরিক্ত ভাবে বেড়ে গেছে। শুধু ধর্ষণ নয় সামান্য কারণে নারীদের অকথ্য নির্যাতনও করা হচ্ছে। মামলা ছাড়া আরো বহু ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে যা হুমকি ধমকি ও মান হানির ভয়ে কারো কাছে বিচার না দিয়ে গোপনে সহ্য করছে। আজ সমাজের ধর্ষণ প্রবণতা ও নারী নির্যাতনের এ ভয়াবহ পরিস্থিতি বিরাজ করার ফলে বিশেষজ্ঞ মহল ও সাধারণ মানুষের মাঝে একটাই প্রশ্ন উচ্চারিত হচ্ছে যে, কেন এমন নাযুক পরিস্থিতি? এর কারণ কী? এর প্রতিকার কী? এর কারণ চিহ্নিত করতে গিয়ে অপরাধ বিশেষজ্ঞগণ বলেছেন, সমাজে এক ধরনের পরিবর্তন এবং সর্বত্র আধুনিকতার রুচি বিরাজ করায় পশ্চিমা সংস্কৃতি ও হিন্দি সংস্কৃতি এবং বিশ্বায়ণের ক্ষতিকর প্রভাব, অবাধ তথ্য প্রবাহের দরুণ ইন্টারনেট, ফেসবুক, টিভির বিভিন্ন চ্যানেলে যৌনউত্তেজনা পূর্ণ ছবি দেখে অনেকে লালসা চরিতার্থ করার পথ খুঁজে।

অথচ দেশে এমন জঘন্য অপরাধের শাস্তিস্বরূপ এ সংক্রান্ত আইনও আছে। এমনকি পার্শ্ববর্তীদেশ ভারতের চেয়ে আমাদের দেশের আইন কঠোর। নারী ও শিশু নির্যাতন আইন ২০০০ সংশোধিত ২০০৩-এর ৯ (১) ধারা বলা হয়েছে। যদি কোন পুরুষ কোন নারী বা শিশুকে ধর্ষণ করে তবে সে যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দণ্ডিত হবে। ৯ (২) ধারায় আছে ধর্ষণ বা পরবর্তী অন্যবিধ কার্য কলাপের ফলে ধর্ষিত নারী বা শিশুর মৃত্যু ঘটলে ধর্ষকের মৃত্যুদন্ড বা যাবজ্জীবন কারাদন্ড হবে। একই সাথে জরিমানার কথাও বলা হয়েছে। সর্ব নিম্ন জরিমানা এক লাখ টাকা। ৯ (৩) ধারায় উল্লেখ আছে যদি একাধিক ব্যক্তি দলবদ্ধভাবে কোন নারী বা শিশুকে ধর্ষণ করে এবং উক্ত ধর্ষণের কারণে কোন নারী বা শিশু মারা যায় তবে প্রত্যেকের যাবজ্জীবন কারাদন্ড বা মৃত্যুদণ্ড এবং কমপক্ষে এক লাখ টাকা জরিমানা হবে। বেশ কিছু রায় ইতোমধ্যে আইন অনুযায়ী কার্যকর হয়েছে। তা সত্ত্বেও দুষ্টরা এ ধরনের অপকর্ম থেকে ফিরে আসেনি। বস্তুত এত কঠোর আইন ও তার প্রয়োগ সত্ত্বেও ধর্ষণ প্রবনতা ও ইভটিজিং তৎপরতা বৃদ্ধি পাওয়ার মৌলিক কারণ হলো, যে সব কারণে আমাদের যুব সমাজের মন মানসিকতা, ধ্যান ধারণা, আচার আচারণ ও স্বভাব চরিত্র অবক্ষয়ের রসাতলে নেমে যাচ্ছে। এ কারণগুলোর অপনোদন বা সংশোধন করার কোন ব্যবস্থা নেই। আর তাদের লালায়িত রুচি ও মন মানসিকতা পরিবর্তন পূর্বক তা থেকে স্থায়ী ভাবে ফিরিয়ে আনার কার্যকরী কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় না।

পশ্চিমা সংস্কৃতি ও হিন্দু সংস্কৃতির সয়লাবে যুব সমাজ প্রতিনিয়ত আকৃষ্ট হচ্ছে। শতকরা ৮০ ভাগ যুবক ইন্টারনেট ও ফেসবুকের আপত্তিকর ও অসামাজিক পর্ণোসাইটগুলো নিয়ে ব্যস্ত থাকে। এমনকি উচ্চশিক্ষিত মানুষরা পর্যন্ত এমন আপত্তিকর প্রোগ্রাম দেখতে লজ্জাবোধ করে না। ইন্টারনেট জগতটা বিষাক্ত। এ প্রসঙ্গে একটা ঘটনা বর্ণিত আছে যে, ডক্টর মালেডবিন আহমদ সৌদি বংশোদ্ভুত লন্ডনের নাগরিক। একটি ম্যাগাজিনের সম্পাদক । তিনি বলেন, এক সময় আমার এক সুহৃদ আমাকে নিজের ঘটনা বলেছেন তিনি বলেন, একবার আমি একটি নিউজ দেখার জন্য একটি ইন্টারনেট ক্যাফেতে প্রবেশ করলাম, আমি দেখলাম পাশে এক মধ্য বয়স্ক ভদ্র লোক অসামাজিক ও আপত্তিকর পর্ণোসাইটগুলো দেখছেন, আমি রেগে গিয়ে ম্যানেজার কে কমপ্লেইন করলাম। ম্যানেজার বললেন, করার কিছু নাই। তিনি একটি ডাক সাইটে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর। তার মানে সমাজের উচ্চ স্তরের মানুষ গুলোও এই অপরাধের সাথে জড়িত। তার বয়স ত্রিশ বছরের চেয়ে কম।

আমাদের দেশে এ সংক্রান্ত কঠোর আইন থাকলেও আইনের যথাযথ প্রয়োগ নেই এবং যুব সমাজের চরিত্র বির্নিমাণে এবং ধ্বংসের পথ থেকে ফিরিয়ে আনার জন্য সামাজিক বা রাষ্ট্রীয়ভাবে কোন উদ্যোগ নেই।

অথচ লন্ডনে আইন আছে, শিশুরা ২১ বছরের পূর্বে পর্ণোসাইটগুলো ভিজিট করতে পারবে না। রেজিস্ট্রেশন করতে হয় অনেক কিছু। জার্মানীতে সরকার আগামী প্রজন্মকে নৈতিক অবক্ষয় থেকে রক্ষা করার জন্য অন্তত এটুকু করেছে যে, রাত ১১টা থেকে সকাল ৬ টা পর্যন্ত অপারেটর এগুলো দেখাতে পারবে। সকাল ৬টা থেকে ১১টা পর্যন্ত এগুলো বন্ধ থাকে। শিশুরা মোটামুটি যে সময় জাগ্রত থাকে সে সময় যেন দেখতে না পারে তারা অন্তত এটুকু করেছে। আমাদের দেশে তো ২৪ ঘন্টাই খোলা থাকে। অনুরূপ বিভিন্ন দেশের ফেইসবুক ব্যবহার এক জরিপে দেখা গেছে, চীনে ফেইসবুক নেই, টুইটার নেই, চীনে এগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। চীনের ভাষ্য হচ্ছে, যদি আমাদের কোটি কোটি যুবক দু চার ঘন্টা ফেইসবুক-এ সময় কাটায়, তাহলে আমাদের একদিনে হাজার কোটি ঘন্টা শ্রম বিনষ্ট হবে। অথচ আমাদের বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম রাষ্ট্র। যুব সমাজের নৈতিক অবক্ষয় রোধ করার জন্য যে পদক্ষেপ বাংলাদেশ সরকার গ্রহণ করার প্রয়োজন তা অমুসলিম রাষ্ট্র গ্রহণ করেছে কিন্তু তা আমাদের সরকারের কল্প জগতেও আসেনি। অনুরূপ যুব সমাজকে নেক আমল ও ইবাদতের প্রতি উৎসাহিত করার লক্ষ্যে তুরস্ক সরকার রজব আলী তৈয়ব এরদোগান একটা বিরল ও চমৎকার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন, তিনি ঘোষনা করেছেন, যুবকদের মধ্যে যারা চল্লিশ দিন যাবৎ ইমামের পেছনে ফজরের নামায আদায় করবে তাদের প্রত্যেককে একটা করে বাই সাইকেল পুরষ্কার দেয়া হবে। আদর্শ সমাজ গঠনের মৌলিক রূপকার ও যুগের কিংবদন্তি যুব সমাজকে অনৈতিক ও অসামাজিক কার্যকলাপ থেকে বিরত রাখার কার্যকরী ব্যবস্থা সরকারিভাবে গ্রহণ না করলে ধর্ষণ প্রবণতা কখনো রোধ করা যাবে না।

বলাবাহুল্য, সমাজের কর্ণধার খ্যাত আলেমসমাজ ও আদর্শ সমাজ গঠনের বিশেষজ্ঞ মহলের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন অভিমত হলো কঠোর আইন প্রয়োগ করে অপরাধ প্রবণতা বন্ধ করা যায় না যদি এর পাশাপাশি চরিত্র বির্নিমাণের সুদুর প্রসারী পরিকল্পনা গ্রহণ করা না হয়। আইনের পাশাপাশি নীতি নৈতিকতা সম্পন্ন আদর্শ জীবন গড়ার প্রেসক্রিপশন ও যুব সমাজের গাইড লাইন হিসেবে তৈরি করতে হবে। আর অপরাধ জগতের চিত্র পরিবর্তন ও ধর্ষণ প্রবণতা নির্মূল করার জন্য মানবতার মুক্তির দূত, আদর্শবান মহামানব রাসূল (সা.)-এর কালজয়ী আদর্শকেই আসল গাইড লাইন হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। যিনি স্বীয় অনন্য আখলাক ও সর্বোৎকৃষ্ট নীতি-নৈতিকতার চৌম্বিক আকর্ষণে বর্বর যুগের সর্বনিকৃষ্ট অপরাধী যুবকদেরকে প্রকৃষ্ট আলোকিত মানুষে পরিণত করেছেন। রাসূল (সা.) আইন প্রয়োগ এর পাশাপাশি তাদেরকে চারিত্রিক প্রশিক্ষণ দ্বারা সোনালী মানুষে রূপান্তরিত করেছেন। যেমন সাহাবায়ে কেরামগণের আদর্শ পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, সমাজ থেকে ধর্ষণসহ যত অনৈতিক কাজ আছে সব দূরীকরণের একমাত্র পথ হলো রাসূল সা. এর আদর্শ ও ইসলামী শিক্ষা। এক হাদীসে আসছে আশারায়ে মুবাশ্শারা তথা ইহকালে জান্নাতের সুসংবাদ প্রাপ্ত দশজন সাহাবী সকলেই ছিলেন টগবগে যুবক। রাসূল সা. নিজেই যুবকদের মূল্যায়ণ করতেন, চরিত্রবান যুবকদের মূল্যায়ণে কুরআনে করীমে একাধিক আয়াত নাযিল হয়েছে এবং রাসূল সা. অনেক হাদীসে যুবকদের চরিত্র গঠনের প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন। হযরত আবু হুরায়রা (রাযি.) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসে রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘সাত প্রকার লোক হাশর ময়দানে আল্লাহ তাআলার আরশের ছায়াতলে ছায়া দেবেন। যেদিন আরশের ছায়া ব্যতীত অন্য কোন ছায়া থাকবে না। তারা হলেন। (১) ন্যায় পরায়ণ শাসক (২) সেই যুবক যে আল্লাহর ইবাদতে নিজের যৌবনকাল অতিবাহিত করেছে। (৩) ওই ব্যক্তি যার অন্তর সর্বদা মসজিদের সাথে যুক্ত থাকে। (৪) যে দু’ব্যক্তি আল্লাহর জন্য একে অপরকে ভালবাসে এবং সেই ভালবাসার জন্যই তারা একত্রিত হয় ও পৃথক হয়। (৫) যে ব্যক্তিকে কোন অভিজাত শ্রেণীর সুন্দরী মহিলা ব্যভিচারের প্রতি আহ্বান করলে সে স্পষ্টভাবে এ উত্তর দেয় যে, আমি আল্লাহকে ভয় করি। (৬) যে ব্যক্তি এমন গোপনে দান করে যে, তার বাম হাত ও জানেনা তার ডান হাত কী দান করেছে? (৭) যে ব্যক্তি নিভৃতে একাকী অবস্থায় আল্লাহর যিকির করে এবং তার ভয়ে নয়নদ্বয় হতে অশ্রু প্রবাহিত হয়।’ (বুখারী শরীফ, খ. ২, পৃ. ১০০৫)

মোট কথা ধর্ষণ প্রবণতার মূল প্রতিকার হলো সরকারিভাবে আইনের যথোপযুক্ত প্রয়োগ এবং এ ব্যাপারে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে জন সচেতনতা সৃষ্টি করা। সুপরিকল্পিতভাবে নীতি নৈতিকতার প্রশিক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করা। আর অভিভাবকদের দায়িত্ব হলো তরুণ-তরুণীর প্রতি সর্বদা তীক্ষè দৃষ্টি রাখা ইয়ং জেনারেশন কোথায় সময় কাটায়? কচি বয়সেই তাকে শোধরাতে হবে। যদি বড় হয়ে যায় তাহলে তাকে আর সোজা করা যাবে না। বর্তমানে প্রোঢ় বা আধা বয়স্ব লোকেরা যারা ধর্ষণ প্রবণতায় লিপ্ত হয়ে যাচ্ছে তারা নিশ্চয় তারুণ্যে ও শৈশবে অভিভাবকের পক্ষ থেকে নৈতিকতার শিক্ষা পায়নি এবং যৌবন কালে এ অপরাধে অভ্যস্ত ছিল নতুবা এ বয়সে এমন নির্লজ্জ কাজে জড়িত হওয়ার কথা নয়। কারণ আমাদের দেশে একটা প্রবাদ আছে, ‘বানর বুড়ো হলেই গাছে ওঠে।’

অতএব,আইন প্রয়োগের স্বচ্ছতা ও নিকৃষ্টতা গ্রহণের পাশাপাশি নীতিবানরূপে যুব সমাজকে গড়ে তোলার পরিকল্পনা হাতে নেয়ার জন্য সরকারকে উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি। আল্লাহ! সরকারকে সুমতি দান করুন। আমীন।

লেখক: শিক্ষক-আল জামিয়া আল ইসলামিয়া পটিয়া, চট্টগ্রাম, সহকারী সম্পাদক, বালাগুশশারক (আরবী-ইংরেজী ত্রৈমাসিক ম্যাগাজিন), সম্পাদক, নবোদয় (বার্ষিক লেখক: শিক্ষক-আল জামিয়া আল ইসলামিয়া পটিয়া, চট্টগ্রাম, সহকারী সম্পাদক, বালাগুশশারক (আরবী-ইংরেজী ত্রৈমাসিক ম্যাগাজিন), সম্পাদক, নবোদয় (বার্ষিক

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on pinterest
Pinterest
Share on telegram
Telegram
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

সর্বশেষ