জামেয়া ওয়েবসাইট

রবিবার-৪ঠা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি-৮ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ-২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিরাতে মুসতাকীমের সন্ধানে

আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়ার আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসেম্মলন ২০১৭

আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়ার আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসেম্মলন ২০১৭

সিরাতে মুসতাকীমের সন্ধানে

মাওলানা ছৈয়দ আলম আরমানী (দা. বা.) মুহাদ্দিস, রাজঘাটা মাদ্রাসা, লোহাগাড়া, চট্টগ্রাম

الْـحَمْدُ للهِ وَكَفَىٰ، وَسَلَامٌ عَلَىٰ عِبَادِهِ الَّذِيْنَ اصْطَفَىٰ.

أَمَّا بَعْدُ! فَأَعُوْذُ بِاللهِ مِنْ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ، بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ، [وَالَّذِيْنَ اٰمَنُوْۤا اَشَدُّ حُبًّا لِّلّٰهِؕ ۰۰۱۶۵] {البقرة: ১৬৫}.

عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ، عَنِ النَّبِيِّ ﷺ قَالَ: ্রثَلَاثٌ مَنْ كُنَّ فِيْهِ وَجَدَ حَلَاوَةَ الْإِيْمَانِ: أَنْ يَكُوْنَ اللهُ وَرَسُوْلُهُ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِمَّا سِوَاهُمَا، وَأَنْ يُحِبَّ الْـمَرْءَ لَا يُحِبُّهُ إِلَّا لِلهِ، وَأَنْ يَكْرَهَ أَنْ يَعُوْدَ فِي الْكُفْرِ كَمَا يَكْرَهُ أَنْ يُقْذَفَ فِي النَّارِ. رواه البخاري في صحيحه (১/১২) (رقم: ১৬)

সম্মানিত ওলামায়ে কেরাম, শ্রোতামণ্ডলী ও সম্মানিত বেরাদরানে ইসলাম! আল্লাহ তাআলার কালাম থেকে কিছু অংশ আপনাদের সামনে তেলাওয়াত করেছি। প্রিয় নবীর অসংখ্য হাদিস থেকে কিছু অংশ পড়েছি। আল্লাহ তাআলার মেহেরবানি হলে উক্ত আয়াতে কারিমা ও হাদিসে রাসূল (সা.)-কে সামনে রেখে কিছু দীনী কথা আপনাদের সামনে পেশ করার জন্য আশা করছি। দোয়া করি আল্লাহ পাক যেন কিছু দীনী কথা বলার তাওফিক দান করেন, আমীন।

জামিয়া কর্তৃক আয়োজিত দু’দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক মহাসম্মেলন এখন শেষের দিকে। দু’দিনব্যাপী মাহফিলে আল্লাহ তায়ালা আপনাদেরকে ওলামায়ে কেরাম, বুযুর্গানে দীনের বেশি বেশি মুখনিঃসৃত বাণী শোনার তাওফিক দান করেছেন।

আমরা শুনছি জানার জন্য, আর জানছি মানার জন্য। জানার অপর নাম হলো ইলম। ইলমের অনেক ফাযায়েল রয়েছে। ইলমের পেছনে আমল রয়েছে। যে ইলমের পেছনে আমল নাই তার কোন দাম নাই; বরং সমস্যা রয়েছে। কোন কিছু জানার পর কেন মানতে হবে তা মানুষের মাঝে জানা নেই, তাই আজ আমলের ময়দান একেবারে শূন্যের কোটায়।

মানুষ আজ তিন দলে বিভক্ত। কিছু শোনার জন্যও রাজি নেই। কিছু শোনার জন্য রাজি, কিন্তু জানার জন্য চেষ্টা করে না। আর কতগুলো জানার পরে মানার জন্য রাজি নাই, কারণ মানার উদ্দেশ্য জানে না। আল্লাহর রহমত পেতে চাইলে মানতে হবে। আল্লাহর রহমত মানার সাথে সম্পর্ক। দুনিয়াতে প্রত্যেক মানুষ রহমতের ভিখারী। কেউ বলতে পারবে না রহমতের প্রয়োজন নেই।

একটা কথা বললে আপনাদের বুঝে আসবে। সাইকেল দুই মাথা বিশিষ্ট স্ট্যান্ডের মাধ্যমে দাঁড়িয়ে থাকে। অনুরূপ মানুষ পৃথিবীতে দাঁড়িয়ে থাকার জন্য কয় মাথা লাগে? তিন মাথা। দুই মাথা হলো দুই পা আরেক মাথা হলো রহমত। নারী,পুরুষ, ধনী,গরিব, ছোট-বড় সবাই এই তিন মাথার মাধ্যমে দাঁড়িয়ে আছে। সেকেন্ডে সেকেন্ডে রহমত বর্ষণ হচ্ছে। আল্লাহর রহমত যদি বন্ধ হয়ে যায়, তখন মানুষও আর বেঁচে থাকতে পারে না। রহমত ছাড়া জাহান্নাম থেকে মুক্তি পেয়ে জান্নাতে যাওয়া সম্ভব হবে না।

عَنْ عَائِشَةَ، عَنِ النَّبِيِّ ﷺ قَالَ: سَدِّدُوْا وَقَارِبُوْا وَأَبْشِرُوْا، فَإِنَّهُ لا يُدْخِلُ أَحَدًا الْـجَنَّةَ عَمَلُهُقَالُوْا: وَلَا أَنْتَ يَا رَسُوْلَ اللهِ؟ قَالَ: وَلَا أَنَا، إِلَّا أَنْ يَتَغَمَّدَنِي اللهُ بِمَغْفِرَةٍ وَرَحْمَةٍ

‘হযরত আয়েশা সিদ্দীকা (রাযি.) রাসূল (সা.) থেকে জিজ্ঞেস করেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনিও পারবেন না? আপনি তো সবসময় আমল করেন। তখন রাসূল (সা.) মাথায় হাতটা রেখে তিনবার বলেন, ‘আমিও পারব না, আমারও সম্ভব হবে না কিন্তু আল্লাহর রহমত যদি আমার ওপর বর্ষিত হয় তাহলে সম্ভব।’’

রহমত হলো দু’প্রকার। একটি হলো সাধারণ রহমত, আরেকটি হলো বিশেষ রহমত। নাস্তিক, মুরতাদ, মুসলিম, অমুসলিম সবাই সাধারণ রহমতের ভাগী। তারা জমিতে ধান পায়, সাগরে মাছ পায়, বিয়ে করলে বাচ্চা হয় ইত্যাদি সাধারণ রহমতের কারণে হয়। কিন্তু বিশেষ রহমত একমাত্র মুমিনদের জন্য।

আমাদের ব্যক্তি জীবন, সামাজিক জীবন, রাজনৈতিক জীবনের টেনশনমুক্ত হায়াতে বসবাস করতে চাইলে আমাদের আমলের দরকার। আল্লাহ পাক বলেন,

مَنْ عَمِلَ صَالِحًا مِّنْ ذَكَرٍ اَوْ اُنْثٰى وَهُوَ مُؤْمِنٌ فَلَنُحْيِيَنَّهٗ حَيٰوةً طَيِّبَةً١ۚ وَلَنَجْزِيَنَّهُمْ اَجْرَهُمْ بِاَحْسَنِ مَا كَانُوْا يَعْمَلُوْنَ۰۰۹۷

‘যে সৎকাজ করে এবং সে ঈমানদার, পুরুষ হোক কিংবা নারী আমি তাকে হায়াতে তায়্যিবা দান করব এবং প্রতিদানে তাদেরকে তাদের উত্তম কাজের কারণে প্রাপ্য পুরস্কার দেব।’

সুতরাং হায়াতে তায়্যিবার জন্য রহমতের দরকার। এমনকি রাসূল (সা.)-এর জন্যও। আর রহমতের জন্য আমল দরকার। তাই আজ বয়ান শ্রবণ করছি জানার জন্য, আর আমরা জানছি আমল করার জন্য।

দুনিয়াতে কষ্ট ছাড়া কোন কাজ নেই। যেমন খানা খাওয়া কষ্টের কাজ। নিজে না খেয়ে যদি অন্যের থেকে খাইয়ে দিতে হতো তাহলে বুঝা যেত খানা কত কষ্ট। কিন্তু কেউ যদি মজা পায় সে খানার টেবিল থেকে ওঠতে চায় না। ঠিক তদ্রƒপ কেউ যদি আমলের মজা পায় তাকেও আমল থেকে ছাড়াতে পারবে না। মুখে রুচি না থাকলে কিছু স্বাদ লাগে না। হজমীর টেবলেট সিরাপ খেলে রুচি চলে আসে। অনুরূপ আমলের মজা, নামাযের মজা, ঈমানের মজা, কিসের মাধ্যমে আসবে? রাসূল (সা.) বলেন,

عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ، عَنِ النَّبِيِّ ﷺ قَالَ: ثَلَاثٌ مَنْ كُنَّ فِيْهِ وَجَدَ حَلَاوَةَ الْإِيْمَانِ: أَنْ يَكُوْنَ اللهُ وَرَسُوْلُهُ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِمَّا سِوَاهُمَا، وَأَنْ يُحِبَّ الْـمَرْءَ لَا يُحِبُّهُ إِلَّا لِلهِ، وَأَنْ يَكْرَهَ أَنْ يَعُوْدَ فِي الْكُفْرِ كَمَا يَكْرَهُ أَنْ يُقْذَفَ فِي النَّارِ

‘হযরত আনাস ইবনে মালিক (রাযি.) থেকে বর্ণিত, নবী করীম (সা.) ইরশাদ করেন, ‘তিনটি গুণ যার মধ্যে আছে, সে ঈমানের স্বাদ আস্বাদন করতে পারে ১. আল্লাহ ও তাঁর রাসূল তার নিকট অন্য সকল কিছু হতে অধিক প্রিয় হওয়া। ২. কাউকে একমাত্র আল্লাহর জন্যই ভালোবাসা। ৩. কুফরীতে প্রত্যাবর্তনকে আগুনে নিক্ষিপ্ত হবার মতো অপছন্দ করা।’’

দু’দিনের ওয়াযের সারমর্ম হলো আমল করা। শেষ অধিবেশনে আমি আপনাদেরকে কীভাবে আমলে আগ্রহ তৈরি হবে এ বিষয়ে কিছু কথা বলব।

যে আমলে মজা পেয়েছে তাকে আমল থেকে বিরত রাখা যায় না। উদাহরণ স্বরূপ চৌধুরী সাহেব শ্রমিক নিয়ে মসজিদের পাশ দিয়ে যাচ্ছেন। শ্রমিকটি ছিল নামাযী। পক্ষান্তরে চৌধুরী সাহেব নামায পড়ে না এমন নয়, বরং সে মসজিদেও যায় না। তিনি মসজিদের দরজায় এক মানুষের সাথে গল্প শুরু করেছে। শ্রমিক বলল, কাকা আমি একটু নামাযটা পড়ে আসি। চৌধুরী সাহেব বলল, তাড়াতাড়ি আসিও। শ্রমিক ছিল আল্লাহ ওয়ালা। তিনি যখন নামাযের শেষে মোনাজাত শুরু করল,চৌধুরী সাহেবের কথা ভুলে গেল। এদিকে চৌধুরী সাহেব তাকে খোঁজ করছিল। সে কোথায় গেল? সে তো নামায পড়তে যাবে বলছিল। কোথায় গেছে, কোন দিকে গেছে তাতো জানি না। নামায যে মসজিদে পড়ে চৌধুরী সাহেব তাও জানে না। পাশে একটি মসজিদ ছিল। চৌধুরী সাহেব মনে করল হয়তো সে এখানে থাকবে। তিনি যখন মসজিদে উকি মেরে দেখল, তখন তাকে দেখতে পেল। চৌধুরী সাহেব তাকে বলল, তাড়াতাড়ি আস! সে বলল আমাকে আসতে দিচ্ছে না। চৌধুরী সাহেব বললেন, কে আসতে দিচ্ছে না? সে বলল, কাকা তোমাকে যে মসজিদের ভিতরে ঢুকতে দিচ্ছে না। তিনি আমাকে মসজিদ থেকে বের হতে দিচ্ছে না। তিনি কে? আল্লাহ। শ্রমিক মজা পেয়েছে কিন্তু চৌধুরী পায়নি।

যার ভিতরে তিনটি গুণ থাকবে সে ঈমানের মজা পাবে। মজা দুই প্রকার ১. যার স্বাদ জিহ্বার দ্বারা বোঝা যায় যেমন বিরানির মজা। ২. যার স্বাদ মুখ দিয়ে বুঝা যায় না বরং অনুভব করা যায়। যেমন নামায আদায় করার মাধ্যমে আত্মার তৃপ্তি। আল্লামা ইবনে হাজর আল-আসকলানী (রহ.) বলেন, আল্লাহর ভালোবাসা নিয়ে যদি কেউ দীনী কাজ করে তাহলে প্রথম প্রকারের স্বাদ গ্রহণ করার মতো দীনী কাজে মজা পাবে। ঈমানের মজা পাওয়ার এক নাম্বার গুণ হলো,

أَنْ يَكُوْنَ اللهُ وَرَسُوْلُهُ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِمَّا سِوَاهُمَا

‘যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে সবচে বেশি ভালোবাসে, তিনি ঈমানের মজা পাবে।’

কেমন মজা পাবে? দুনিয়ার সব ভাষার সাহিত্যিক একত্রিত হয়ে যদি এক বাক্যে বলে এমন মজা, তারপরেও বুঝানো সম্ভব হবে না।

ভালোবাসা কেমনে হবে? ভলোবাসা কোথাও কেনা পাওয়া যায় না। এগুলো দুনিয়া থেকে শিখতে হয়। দুনিয়াতে একজন অপরজনকে ভলোবাসে জামাল বা সৌন্দর্য মাধ্যমে এবং কামালের মাধ্যমে। অনুরূপ আল্লাহ তায়ালার ভলোবাসা অন্তরে জমানোর জন্য আল্লাহর সৌন্দর্য ও কামালাত সম্পর্কে জানা থাকতে হবে। আল্লাহ কি সুন্দর তা আমাদের চামড়ার চক্ষু দ্বারা দেখা সম্ভব নয়। কারণ মানুষের চোখে আল্লাহর সৌন্দর্য দেখার পাওয়ার দেওয়া হয়নি। আমরা নয় হযরত মুসা আ. এর মত কালিমুল্লাহ আল্লাহর সৌন্দর্য দেখার জন্য আরজ করেছেন। আল্লাহর বলেন, সম্ভব হবে না। তারপরও যদি দেখতে ইচ্ছা কর তাহলে পাহাড়ের দিকে দেখ। আল্লাহর তায়ালা সত্তর হাজার নূরের তজল্লি পর্দার ভিতর থেকে পাহাড়ের ওপরে ফেলেছেন। হযরত মুসা (আ.) পাহাড়ের দিকে তাকিয়ে বেহুঁশ হয়ে পড়ে গেলেন। আল্লাহ বলেন, আমি যদি হযরত মুসা (আ.)-কে দয়া করে জীবিত না করতাম, তাহলে হযরত মুসা (আ.) আর ওঠতে পারত না।

তাহলে আমরা আল্লাহর সৌন্দর্য দেখতে পারব না? অবশ্যই দেখতে পারব। সৌন্দর্যের দিকে সরাসরি দেখা যায় না কিন্তু কোথাও যদি সূর্যের প্রতিচ্ছবি হয়, সেদিকে দেখা যায়। অনুরূপভাবে আল্লাহর সৌন্দর্যের দিকে দেখা যাবে না। আল্লাহর সৌন্দর্যকে দেখতে চাইলে আল্লাহর সৃষ্টির সৌন্দর্যকে দেখ। পৃথিবীর যত সৌন্দর্য, আসমানের সৌন্দর্য, জমির সৌন্দর্য, প্রকৃতির সৌন্দর্য সব সৌন্দর্য হলো আল্লাহর সৌন্দর্য । কারণ সুন্দর নিজে নিজে হয় না অন্য কেউ বানায়। যিনি বানায় তিনিই তো আল্লাহর তাআলা।

যদি আল্লাহর আসল সৌন্দর্য দেখার সুযোগ লাভ করতে চান তাহলে দেখবে। ইহলোক ত্যাগ করে যখন পরলোকে যাবেন, তখন আল্লাহ চোখের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেবেন। মানুষের চেহারা তরুতাজা হয়ে যাবে। কেমন সুন্দর হবে? রাসূল (সা.) বর্ণনা করেন, জান্নাতীরা যখন জান্নাতের প্রবেশ করবে, তখন আল্লাহ বলবেন, তোমাদের আর কিছু লাগবে? তখন জান্নাতবাসীরা বলবেন, প্রভু আপনি আমাদের চেহারাকে নূরানী করে দিয়েছেন, জাহান্নাম থেকে মুক্তি প্রদান করেছেন, জান্নাতে প্রবেশের তাওফিক দান করেছেন, আমাদের আর কিছুর প্রয়োজন নেই। তখন আল্লাহর কুদরতির পর্দা তুলে ফেলবে। তখন জান্নাতবাসীরা কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে সবকিছু ভুলে যাবে এবং আল¬øাহর চেহারা মোবারকের দিকে তাকিয়ে থাকবেন। তিনিই হলেন আল্লাহ তায়ালা।

আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেন,

اَللّٰهُ الَّذِيْ جَعَلَ لَكُمُ الْاَرْضَ قَرَارًا وَّ السَّمَآءَ بِنَآءً وَّصَوَّرَكُمْ فَاَحْسَنَ صُوَرَكُمْ وَرَزَقَكُمْ مِّنَ الطَّيِّبٰتِ١ؕ ذٰلِكُمُ اللّٰهُ رَبُّكُمْ١ۖۚ فَتَبٰرَكَ اللّٰهُ رَبُّ الْعٰلَمِيْنَ۰۰۶۴

‘যিনি জমিকে স্থবির বানিয়েছেন, আসমানকে ছাদ বানিয়েছেন। তোমাদেরকে সুন্দর অবয়ব দ্বারা সৃষ্টি করেছেন এবং তোমাদেরকে হালাল রিযিক দিয়েছেন তিনিই আল্লাহ তায়ালা।’

আল্লাহ তায়ালার যাত ও সিফাতের কথা স্মরণ করে আল্লাহর আশেক হবেন। আল্লাহ আপনাদের ঈমান ও আমলের গতি বৃদ্ধি করে দিবেন। আল্লাহ আমাদেরকে তওফীক দান করুন। আমিন।

وَآخِرُ دَعْوَانَا أَنِ الْـحَمْدُ للهِ رَبِّ الْعَالَـمِيْنِ.

অনুলিখন: মুহা. আহসান উল্লাহ

দাওরায়ে হাদীস, জামেয়া পটিয়া ২০১৭


আল-বুখারী, আস-সহীহ, দারু তওকিন নাজাত, বয়রুত, লেবনান (প্রথম সংস্করণ: ১৪২২ হি. = ২০০১ খ্রি.), খ. ৮, পৃ. ৯৮-৯৯, হাদীস: ৬৭৬৭

  আল-কুরআন, সূরা আন-নাহল, ১৬:৯৭

  আল-বুখারী, আস-সহীহ, খ. ১, পৃ. ১২, হাদীস: ১৬

  আল-কুরআন, সূরা গাফির, ৪০:৬৪

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on pinterest
Pinterest
Share on telegram
Telegram
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

সর্বশেষ