বৃহস্পতিবার-১৫ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি-১৫ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মুসলমানের সংখ্যা গোপন ও কমানোর চেষ্টা

আবুল হুসাইন আলেগাজী

পাশ্চাত্যের ষড়যন্ত্র ও শত্রুতার শিকার মুসলমানরা পৃথিবীর সবচেয়ে অসহায় ও দ্বিধাবিভক্ত জাতি হওয়া সত্ত্বেও এখনো তারা সকল কাফিরের কাছে আতঙ্কের বিষয়। কারণ, ইসলাম মানুষকে দুনিয়ার উপর আখেরাতের চিন্তাকে প্রাধান্য দেয়ার নির্দেশ দেয় এবং আখেরাতে মুক্তি চাইলে সকল মানুষের জন্য ইসলামে প্রবেশ অপরিহার্য বলে ঘোষণা দেয়। আরো পরিষ্কার ভাষায় বলতে হলে ইসলাম পৃথিবীর সকল ধর্মকে রহিত ও বাতিল বলে ঘোষণা দেয় এবং মানুষকে মনমত চলার পরিবর্তে কোরআন ও হাদীছের নির্দেশনা মত চলার আদেশ করে। ইসলাম বিয়ে-বহির্ভূত যৌনকর্ম, যৌনতার প্রতি আকর্ষণকারী গান-বাজনা-নৃত্য, মদ্যপান, সুদ-ঘুষ, অহঙ্কার-গৌরব, হিংসা-কৃপনতাসহ সকল অন্যায় ও অসুন্দর কাজ থেকে মানুষকে বারণ করে এবং তাদেরকে দৈনিক পাঁচওয়াক্ত নামায, বছরে একমাস রোযা, স্বচ্ছল হলে প্রতিবছর যাকাত ও জীবনে কমপক্ষে একবার হজসহ আরো বিভিন্ন ভালো ও সুন্দর কাজের জন্য আদেশ করে। এসব কারণে শয়তানের কুমন্ত্রণার শিকার অসৎ, দুষ্ট, নির্লজ্জ, ক্ষমতালোভী, অহঙ্কারী, হিংসুক, কৃপন ও বিলাসিতাপ্রিয়দের কাছে ইসলাম পছন্দ হয় না। তারা বিশ্বাস করে ‘দুনিয়াটা মস্ত বড়, খাওদাও ফুর্তি করো’ এবং ‘আমিই বড়, বাকীরা সবাই ছোট’ নীতিতে।

সন্দেহ নেই, বর্তমান পৃথিবীর মুসলমানদের অধিকাংশই ইসলামকে পরিপূর্ণরূপে মেনে চলে না এবং তাদের সমাজে রাজনীতিক ও বুদ্ধিজীবী নামের কিছু ইসলাম-আতঙ্ক রোগে আক্রান্ত কিছু লোক রয়েছে। তা সত্ত্বেও জাতি হিসেবে মুসলমানরই পৃথিবীর সবচেয়ে ধর্মপরায়ণ ও ধর্মচর্চাকারী জাতি। ইসলাম নিয়ে এ পর্যন্ত যত কিতাব-পত্র লেখা হয়েছে এবং হচ্ছে, তার একদশমাংশও পৃথিবীর বাকী সব ধর্ম নিয়ে লেখা হয়নি এবং হচ্ছে না। কারণ, অন্যসব ধর্ম রহিত, বিকৃত এবং অসম্পূর্ণ। তাই অনুসারীরা সেগুলোর চর্চায় তৃপ্তি পায় না। যার ফলে ওইসব ধর্মের অনেক অনুসারী প্রতিনিয়ত এবং পৃথিবীর সবপ্রান্তে সত্যের ধর্মে ইসলামে প্রবেশ করছে।

সামরিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে পরাশক্তি হিসেবে বিশ্বরাজনীতিতে মুসলমানরা হাজার বছরের বেশি সময় অধিষ্ঠিত থাকলেও বিগত কয়েকশ বছর থেকে তারা পাশ্চাত্যের ষড়যন্ত্রের জালে আটকে রয়েছে। এখন তারা পৃথিবীর সবচেয়ে মজলুম ও বিভক্ত জাতি। সামরিক ও অর্থনৈতিক ভাবে তাদেরকে পশ্চিমারা কোনোভাবেই মাথাছাড়া দিয়ে উঠতে দিচ্ছে না। মুসলমানরা আজ এশিয়া, আফ্রিকা ও ইউরোপ সবখানে নির্যাতিত ও অধিকার বঞ্চিত। একজন খ্রিস্টান নিহত হলে পশ্চিমা রাজনীতিক ও বুদ্ধিজীবীরা যেভাবে প্রতিবাদ মুখর হয়, হাজারো মুসলমান মরলেও তারা সেভাবে প্রতিবাদ করে না। আজ আরাকান ও মধ্য আফ্রিকায় মুসলমানরা বৌদ্ধ ও খ্রিস্টানদের হাতে গণহত্যার শিকার। এর আগে রাশিয়া, ভারত, চীন, ফিলিপাইন, ফিলিস্তিন, বসনিয়া ও কসোভোসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মুসলমানদের ওপর গণহত্যা চালানো হয়েছে। খ্রিস্টান অধ্যুষিত পূর্বতিমুর ও দক্ষিণ সুদানের স্বাধীনতা লাভে জাতিসংঘসহ পশ্চিমা জগত উপযুক্ত পদক্ষেপ নিলেও ফিলিপাইনের মিন্দানাও, দক্ষিণ থাইল্যান্ড, বার্মার আরাকান, চীনের পূর্ব তুর্কিস্তান (ঝিংজিয়ান), ভারতের কাশ্মির এবং চেচনিয়া ও দাগিস্তানসহ রুশফেডারেশভুক্ত ১২টি মুসলিম প্রজাতন্ত্রকে স্বাধীন করার জন্য আমেরিকা ও পশ্চিমা জগত কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি; বরং অনেক ক্ষেত্রে স্বাধীনতকামীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছে। ইতোমধ্যে চীন পূর্ব তুর্কিস্তানে হান জনগোষ্ঠীর লোকদের পুনর্বাসিত করে তাতে মুসলমানদের সংখ্যালঘু করে ফেলেছে। একই ভাবে এবং হত্যা ও নির্যাতন চালিয়ে বার্মাও আরাকানে মুসলমানদেরকে সংখ্যালঘুতে পরিণত করার কাজ সমাপ্ত করেছে। কাছাকাছি পরিস্থিতি বিরাজ করছে থাইল্যান্ডের দখলকৃত মুসলিম অধ্যুষিত ফাতানি অঞ্চলে।

সবাই জানে, দাম্পত্য ও সন্তান লালন-পালনকে মুসলমানরা তাদের দীনের অংশ মনে করার কারণে তারা জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিকে গুরুত্ব দেয় না। যার ফলে বর্তমান ইউরোপসহ সবখানে মুসলিম জনসংখ্যার বদ্ধির হার অন্যান জাতির চেয়ে অনেক বেশি। ২০০৯ সালে কানাডার ইসলামবিদ্বেষী একটি মহল Muslim Demographics: The Islamic Tidal Wave নামে প্রকাশ করা একটি প্রামাণ্যচিত্রে বলেছে, বর্তমানে হল্যান্ড ও বেলজিয়ামে জন্ম নেয়া শিশুদের ৫০% মুসলিম। ইউরোপীয় ইউনিয়ন জানিয়েছে, ২০২৫ সালে সমগ্র ইউরোপে মুসলিমদের জন্মের হার ৩৩% গিয়ে পৌঁছবে। মুসলমানদের সংখ্যা বৃদ্ধির এ বাস্তবতা সত্ত্বেও জাতিসংঘ, সিআইএ, উইকিপিডিয়া, বিবিসি, কথিত পিউ রিসার্চ সেন্টার, গ্যালপ, রয়টার্স ও এ এফপিসহ পশ্চিমা তথ্য মাধ্যমগুলো পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মুসলমানদের সংখ্যা গোপন ও কমানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের সাথে যোগ দিয়েছে মুসলিম সমাজের ইসলাম আতঙ্কে ভোগা রাজনীতিক ও বুদ্ধিজীবীরা। তারা হয়তো ভাবছে তাদের এ চাতুরি অলস ও উদাসীন মুসলমানদের নজর এড়িয়ে যাবে। কিন্তু সব মুসলমান অলস ও উদাসীন হলে কি তাদের অস্তিত্ব এতোদিন বিদ্যমান থাকতো। নিশ্চয় অনেক মুসলমান রয়েছে যারা পশ্চিমা ও তাদের দোসরদের ষড়যন্ত্র ও চাতুরি নিয়ে দিনের পর দিন ভাবে এবং তা মুসলিম সমাজকে অবহিত করে।

আমরা বাংলাদেশের মুসলমানরা ১৯৯০ সাল থেকে শুনে আসছি যে, বাংলাদেশে মুসলমানের হার ৯০%। বিগত চব্বিশ বছরে বাংলাদেশের জনসংখ্যা প্রায় পাঁচ থেকে ছয় কোটি বৃদ্ধি পেয়েছে। তা সত্ত্বেও দেশি-বিদেশি মিডিয়ায় এখনো প্রচার করা হচ্ছে বাংলাদেশে মুসলমানের হার ৮৫% থেকে ৯০%। অথচ জরিপ চালালে বা চালানো জরিপের তথ্য প্রকাশ করা হলে দেখা যাবে, বর্তমানে বাংলাদেশে মুসলমানের হার ৯৫% থেকে ৯৭%। আমাদের দেশের রাজনীতিকরা সম্ভবত মনে করছে, মুসলমানের সংখ্যা যদি শতের কাছাকাছি বলে জানানো হয়, তাহলে ইসলামী দলগুলো ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠার আন্দোলন আরো বেগবান করবে কিংবা অমুসলিমদের প্রতি তারা আরো হেয়মূলক আচরণ করবে। অথচ বাস্তবতা হচ্ছে, ইচ্ছা করলে ১০% কিংবা ৫৫% মুসলমানের উপরও ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠা করা যায়, এতে অমুসলিমদের কোনো ক্ষতি বা তাদের স্বাধীনতায় আঘাত আসবে না। তাছাড়া ইয়াহুদী, খ্রিস্টান, হিন্দু ও বৌদ্ধ সব ধর্মের অনুসারীরা ইসলামভীতির কারণে মুসলমানদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালালেও পৃথিবীর কোনো দেশে কখনো মুসলমানরা অমুসলিমদের উপর গণহত্যা চালায়নি। এমনকি বর্তমান পাকিস্তানেও হিন্দু, শিখ ও খ্রিস্টানরা তাদের ধর্মীয় স্বাধীনতা পরিপূর্ণরূপে ভোগ করছে। ওখানে একজন হিন্দু সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিও হয়েছিল। সুতরাং ইসলামভীতি শয়তানের কুমন্ত্রণা ছাড়া আর কিছই নয়।

বাংলাদেশে মুসলমানের সংখ্যা গোপন ও কমানোর যে নীতি পশ্চিমা মিডিয়া ও তাদের দোসররা অনুসরণ করেছে, একই নীতি তারা পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মুসলমানের সংখ্যার ক্ষেত্রেও করেছে এবং করছে। মুসলমানদের কোনো আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা না থাকায় বিভিন্ন ইসলামী ওয়েবসাইট ও ইসলামী প্রতিষ্ঠানগুলো পশ্চিমা মিডিয়া বিশেষত wikipedia, www.countrystudies.us, www.cia.gov, ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের প্রচারিত তথ্যের ওপর নির্ভর করতে বাধ্য হচ্ছে। তবে মজার বিষয় হচ্ছে, এসব পশ্চিমা মিডিয়ার তথ্যের বৈপরিত্ব দ্বারা সচেতন পাঠকের কাছে তাদের ষড়যন্ত্র ও চাতুরি ধরা পড়ছে। উদহারণ স্বরূপ বিখ্যাত জ্ঞানের মাধ্যম উইকিপিডিয়ার কথা ধরা যাক। ২০১২ সালে তাদের আরবী সংস্করণে ‘দেশ ভিত্তিক মুসলিম জনসংখ্যা’ পাতায় উল্লেখ করা হয়েছে, মুসলিমের হার আফ্রিকার দেশ বুর্কিনা ফাসোতে ৮৫%, ইরিত্রিয়ায় ৮০%, নাইজেরিয়ায় ৭৬%, ইথিওপিয়ায় ৬৫%, ক্যামেরুনে ৬৫%, গিনি বিসাউতে ৬৫%, সিয়েরা লিওনে ৬২%, আইভরিকোষ্টে ৬০%, টগোতে ৬০%, বেনিনে ৬০%, তাঞ্জানিয়ায় ৫৫%, মোজাম্বিকে ৫০%, গ্যাবনে ৫০%, উগান্ডায় ৪৫% ও ঘানাতে ৩০%।

পরবর্তীতে একই শিরোনামের একটি পাতায় আমেরিকা ভিত্তিক www PewResearch.org এ উদ্ধৃতিতে উইকিপিডিয়া এসব দেশে মুসলিমের হার লিখেছে, বুর্কিনা ফাসোতে ৫৮%, ইরিত্রিয়ায় ৩৬%, নাইজেরিয়ায় ৪৭%, ইথিওপিয়ায় ৩৩%, ক্যামেরুনে ১৮%, গিনি বিসাউতে ৪২%, সিয়েরা লিওনে ৭১%, আইভরিকোষ্টে ৩৬%, টগোতে ১২%, বেনিনে ২৪%, তাঞ্জানিয়ায় ২৯%, মোজাম্বিকে ১২%, গ্যাবনে ৯%, উগান্ডায় ১২% ও ঘানাতে ১৬%।

এখানে দেখা যাচ্ছে, একমাত্র সিয়েরা লিওন ছাড়া বাকী সব দেশে মুসলমানের সংখ্যা কল্পনাতীত হারে কমে গেছে। আমি এখানে কয়েকটি দেশের উদাহরণ দিলাম মাত্র। নতুবা মুসলমানদের সংখ্যা নিয়ে একই ধরণের গোঁজামিলের আশ্রয় উইকিপিডিয়া পৃথিবীর প্রায় সব দেশের ক্ষেত্রেই নিয়েছে। উল্লেখ্য, পূর্বোল্লিখিত দেশগুলোর মধ্যে ইরিত্রিয়া, ইথিওপিয়া, তাঞ্জানিয়া ও ঘানা ব্যতীত বাকী ১১টি দেশের সবটিই মুসলিম বিশ্ব সংহতি সংস্থার (ওআইসি) সদস্য।

আজ (২২ মার্চ ২০১৪) উইকিপিডিয়ায় ধরা পড়া আরেকটি বৈপরিত্ব্যের কথা বলছি। ‘দেশ অনুসারে মুসলিম জনসংখ্যার তালিকা’ পাতার আরবী সংস্করণে দেখা যাচ্ছে সৌদি আরবের পশ্চিমে অবস্থিত লোহিত সাগরের পশ্চিম পাড়ের আরবী রাষ্ট্রভাষার দেশ ইরিত্রিয়ায় মুসলমানের সংখ্য ৫২%। কিন্তু পাতাটির ইংরেজি সংস্করণে গিয়ে দেখা গেল ইরিত্রিয়ায় মুসলমানের সংখ্য ৩৬%। একইভাবে ইথিওপিয়াতেও মুসলমানের সংখ্যা দেখাচ্ছে আরবী পাতার ৪০%-এর স্থলে ৩৪%। এতো গেল পশ্চিমা মিডিয়ার মিথ্যাচারের একটি দিক। এদের আরেকটি জঘন্য ও হাস্যকর মিথ্যাচার হচ্ছে সৌদি আরবে মুসলমানের সংখ্যা ৯৭% লেখা। অথচ সচেতন সবাই জানে যে, সৌদি আরবে কোনো অমুসলিম নাগরিক নেই এবং সাংবিধানিকভাবে ওই দেশে কোনো অমুসলিমের নাগরিক হবার সুযোগও নেই। উইকিপিডিয়া বলতে পারে, আমেরিকার গ্যালপ সংস্থার জরিপে দেখা গেছে, সৌদি আরবের ৫% মুসলমান ধর্ম পালন করে না। তাই আমরা তাদেরকে মুসলমানের তালিকা থেকে বাদ দিয়েছি। তাহলে উইকিপিডিয়ার কাছে প্রশ্ন সৌদি আরবে মুসলমানের সংখ্যাতো তাহলে হওয়া উচিত ৯৫% এবং এতে একথাও উল্লেখ করা দরকার ছিল যে, এ সংখ্যা কেবল ধার্মিক মুসলমানদেরই; অধার্মিকদের নয়। উইকিপিডিয়ার কাছে এখানে এ প্রশ্নও করা যায়, কোরআনী আইন, ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থা এবং মুসলমানদের কেবলা ‘কাবা শরীফ’ ও তাদের নবীর জন্ম ও মৃত্যুভূমির দেশ সৌদি আরব নিয়ে গ্যালপের কথিত ওই জরিপ কোনো ষড়যন্ত্র নয়তো?

উইকিপিডিয়াসহ পশ্চিমা মিডিয়ার আরেকটি মিথ্যাচার হচ্ছে, পৃথিবীতে খ্রিস্টধর্মের অনুসারীর সংখ্যা মুসলমানদের চেয়ে বশি বলে প্রচার করা। তাদের মতে ইসলাম পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্ম, খ্রিস্টধর্মই প্রধান। ইংরেজি উইকিপিডিয়ার Religions by country পাতার (২১ মার্চ ২০১৪) তথ্য মতে বিশ্বে খ্রিস্টানের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ৩৩.৩২% আর মুসলমানের সংখ্যা ২১.০১%। অথচ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মুসলমানদের হার নিয়ে তাদের প্রচরিত ও প্রকাশিত বিভিন্ন তথ্য বিচার করলে দেখা যায়, পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার ২৮.২৬% ভাগই মুসলমান, খ্রিস্টান হলো ২৭%। তবে সুখের বিষয়, ইংরেজি সংস্করণের অন্ধ অনুসারী উইকিপিডিয়ার ‘বাংলা সংস্করণের ‘দেশ অনুসারে মুসলিম জনসংখ্যার তালিকা’ পাতার ভূমিকায় বলা হয়েছে, ২০১৬ সালে সারা বিশ্বে মুসলমানদের সংখ্যা দাঁড়াবে ২০৩ কোটি ৪০ লাখ এবং খ্রিস্টানদের সংখ্যা দাঁড়াবে ২০৩ কোটি ৩০ লাখ। কিন্তু পশ্চিমা মিডিয়া নির্ভর www.muslimpopulation.com ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে ২০১৪ সালে মুসলমানে সংখ্যা ২০৩ কোটি ৮ লাখ হয়েছে। সত্যের কাছাকাছি তথ্য দেয়ায় বাংলা উইকিপিডিয়াকে ধন্যবাদ।

(মাসিক আত তাওহীদ, নভেম্বর ২০১৭)

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on pinterest
Pinterest
Share on telegram
Telegram
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

সর্বশেষ