জামেয়া ওয়েবসাইট

রবিবার-৪ঠা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি-৮ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ-২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খতীবে-এ-বাঙ্গাল (রহ.)-এর সাথে বিজড়িত কয়েকটি স্মৃতি

মাওলানা শহীদুল্লাহ ফজলুল বারী
(ঢাকাস্থ সউদী দূতাবাসের প্রধান আরবী অনুবাদক, বিশিষ্ট ক্যালিগ্রাফার, হাফেযে কুরআন, আলেমে দীন, আরবী ভাষার সুপণ্ডিত মাওলানা শহীদুল্লাহ ফজলুল বারী এখন আর বেঁচে নেই। ২০১৬ সালের ১৪ এপ্রিল তিনি ফজরের সালাতের পর মর্নিংওয়াক শেষে ঢাকার নয়াপল্টনের বাসায় এসে ঘুমিয়ে ছিলেন। ঘুমের মধ্যেই ইন্তিকাল করেন। শহীদুল্লাহ ফজলুল বারী ১৯৫৪ সালে মানিকগঞ্জের সিংগাইরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি পবিত্র কুরআন হিফয শেষে ১৯৬৯ সালে করাচি দারুল উলূমে ভর্তি হন। ১৯৭৭ সালে লালবাগ জামিয়া কুরআনিয়া থেকে দাওরায়ে হাদীস সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে সউদী আরবে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য গমন করেন। সেখানে রিয়াদ বিশ্ববিদ্যালয় হতে ক্যালিগ্রাফিতে উচ্চতর ডিপ্লে¬মা এবং ঢাকা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় হতে ইসলামিক স্টাডিজ বিষয়ে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন।

আমেরিকার ম্যানচেস্টার ল্যাংগুয়েজ ইনস্টিটিউট থেকে ইংরেজি ভাষায় ডিপ্লোমা লাভ করেন। আরবি ভাষা ও সাহিত্যে তার পাণ্ডিত্য ছিল শীর্ষ পর্যায়ের। এ বিষয়ে তিনি কয়েকটি বই লিখেছেন। ঢাকা মুহাম্মাদপুরস্থ আল-মারকাযুল ইসলামীর উচ্চতর আরবি ভাষা ও সাহিত্য শিক্ষা ও গবেষণা বিভাগের প্রধান ছিলেন। মৃত্যুর কিছুদিন আগে আমার অনুরোধে খতীবে আযম মাওলানা সিদ্দীক আহমদ (রহ.)-এর ওপর একটি নিবন্ধ লেখেন। তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নিবন্ধটি মাসিক আত-তাওহীদের পাঠকদের সমীপে পেশ করছি।—সম্পাদক)

খতীবে-এ-বাঙ্গাল হযরত মাওলানা সিদ্দীক আহমদ (রহ.) সম্পর্কিত তিনটি ঘটনা সেই ছাত্রজীবন থেকে নিয়ে আজও পর্যন্ত আমার স্মৃতিপটে অম্লান রয়েছে। সময় ও সুযোগ বুঝে আমি সেগুলো বন্ধুমহলে ও শিক্ষার্থীমহলে শুনিয়ে থাকি। প্রথম ঘটনাটি ঘটেছিল পাকিস্তানে আর দ্বিতীয় ও তৃতীয় ঘটনাদুটো ঘটেছিল বাংলাদেশে। তিনটি ঘটনাই ঘটেছে আমার ছাত্রজীবনে এবং আজ থেকে প্রায় ৩০/৩৮ বছর আগে। ঘটনাত্রয় আমি নিছক স্মৃতিচারণের উদ্দেশ্যেই নয় বরং উপদেশ গ্রহণ ও আমাদের একজন প্রাজ্ঞ-বিজ্ঞ ও স্বনামধন্য পূর্বসূরীর চারিত্রিক ও আদর্শিক বলিষ্ঠতা ও দূরদর্শিতার দিকটির প্রতি বর্তমান প্রজন্মের দৃষ্টি আকর্ষণের উদ্দেশ্যে বর্ণনা করছি।

প্রথম ঘটনাটির স্থান ছিল দারুল উলুম করাচির জামে মসজিদ এবং কাল ছিল ১৯৬৯ সাল। আমি তখন ওই মাদরাসার প্রাথমিক স্তরের ছাত্র ছিলাম। তৎকালীন পূর্বপাকিস্তান থেকে নেতৃস্থানীয় ওলামায়ে কেরামের একটি প্রতিনিধি দল দারুল উলুম করাচিতে এসেছিলেন। প্রতিনিধি দলে ছিলেন হযরত মাওলানা আতহার আলী (রহ.), হযরত হাফেজ্জী হুযুর (রহ.), হযরত মাওলানা মুফতী দীন মুহাম্মদ (রহ.), খতীবে আযম মাওলানা সিদ্দীক আহমদ (রহ.) এবং শায়খুল হাদীস মাওলানা আজিজুল হক (রহ.)। এ বিশিষ্ট ওলামায়ে কেরামের আগমন উপলক্ষে মাদরাসার জামে মসজিদে বাদে মাগরিব একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সভায় মুফতীয়ে আযম পাকিস্তান হযরত মাওলানা মুহাম্মদ শফী (রহ.)ও উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা সভায় খতীবে আযম সাহেবও বক্তব্য রাখেন। তিনি মিম্বারের সামনে দাঁড়িয়ে বক্তব্য রাখেন এবং বলেন, ‘আমি মুফতীয়ে আযমের নির্দেশ পালনার্থে দাঁড়িয়েছি, নিজ থেকে আজ কিছুই বলব না, বরং মুফতীয়ে আযম সাহেবের বক্তৃতার একটা অংশ সবার সামনে তুলে ধরব। আমি হযরতের বক্তব্যটি দারুল উলুম দেওবন্দে শুনেছিলাম।’ এরপর তিনি কুরআনের এ আয়াতটি তেলাওয়াত করেন, ….

আয়াতটির বিভিন্ন শব্দের ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘এ ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ পুরোটাই মুফতীয়ে আযমের কাছ থেকে শোনা এবং সেগুলো আজও মুখস্ত।’ তিনি আয়াতে বর্ণিত …. শব্দগুলোর নিগূঢ় তাৎপর্য তুলে ধরেন এবং এগুলোর সম্ভাব্য সমার্থবোধক শব্দ যথাক্রমে …-এর মধ্যকার সূক্ষ¥াতিসূক্ষ¥ অর্থগত, ভাব ও ব্যঞ্জনাগত এবং প্রভাবগত পার্থক্য তুলে ধরেন। তাঁর এ ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ শ্রোতাগণ গভীর মনযোগ দিয়ে শুনছিলেন। হযরত মুফতীয়ে আযমও বিস্ময়মাখা আগ্রহ নিয়ে খতীবে আযমের বক্তব্য শুনেন।

এরপর তিনি সাম্যবাদ ও সমাজতন্ত্র প্রসঙ্গেও বক্তব্য রাখেন। উল্লেখ্য যে, সে সময় তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানে জুলফিকার আলী ভুট্টোর পিপলস পার্টি সমাজতন্ত্রের শ্লোগান দিয়ে মাঠ-ময়দান গরম করে তুলেছিল। হযরত খতীবে আযম সমাজতন্ত্রকে পেটসর্বস্ব মতবাদ হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, সমাজতন্ত্রের দৃষ্টিতে মানুষ হচ্ছে এমন একটি অদ্ভুত প্রাণী যার পেঠটা হবে বিশাল একটা ফুটবলের ন্যায়, হাত-পাগুলো হবে ছোট ছোট পুতুলের পায়ের ন্যায় আর মাথাটা হবে ছোট কমলালেবুর ন্যায়। হযরতের এই রসিকতাপূর্ণ ব্যাঙ্গাত্মক ব্যাখ্যায় শ্রোতাকুলের মাঝে ব্যাপক হাস্যরসের সৃষ্টি হয়।

খতীবে আযম মাওলানা সিদ্দীক আহমদ (রহ.)-এর বক্তব্য শেষে মুফতীয়ে আযম বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, মাওলানা সিদ্দীক আহমদ আমার বরাত দিয়ে যে বক্তব্য পেশ করেছেন সেটি আমি নিজেই মনে করতে পারছি না অথচ তিনি আমার সেই বক্তব্য এখনও পর্যন্ত হুবহু মুখস্ত রেখেছেন। উল্লেখ্য যে, মুফতীয়ে আযমের এ বিস্ময় ছিল খতীবে আযমের প্রখর স্মৃতিশক্তির ব্যাপারে, মূল বক্তব্য বিষয়ের সত্যতা বা মিথ্যাচারের ব্যাপারে নয়। কারণ মুফতীয়ে আযম উক্ত আয়াতটির উদ্ধৃতি দিয়ে প্রায়ই ছাত্রদের মাঝে বক্তব্য রাখতেন। আমার নিজেরও সে বক্তব্য শোনার সৌভাগ্য হয়েছিল। কাজেই খতীবে আযম যে বক্তব্য মুফতীয়ে আযমের বরাত দিয়ে পেশ করেছেন তা নিঃসন্দেহে মুফতীয়ে আযমের বক্তব্য ছিল।

দ্বিতীয় ঘটনাটির স্থান ছিল হযরত হাফেজ্জী হুযুর (রহ.) প্রতিষ্ঠিত কামরাঙ্গীরচর মাদরাসা এবং কাল ছিল ১৯৭৭। আমি তখন লালবাগ মাদরাসার দাওরায়ে হাদীসের ছাত্র ছিলাম। কামরাঙ্গীরচর মাদরাসার বার্ষিক সভা উপলক্ষে অন্যান্য বিশিষ্ট ওলামায়ে কেরামের মাঝে হযরত খতীবে আযম (রহ.) উপস্থিত ছিলেন। হযরতের দীর্ঘ বয়ানের দুটি বিষয় আমার মনে আছে। একটি হল ‘নূর’ সম্পর্কিত অপরটি হল ‘মাদরাসা শিক্ষা ও তাবলীগ’ সম্পর্কিত। নূর সম্পর্কে হযরত তাঁর স্বভাবসুলভ ক্ষুরধার যুক্তি ও স্পষ্টবাদিতার সাথে কিঞ্চিত রসিকতাপূর্ণ বর্ণনাভঙ্গির মাধ্যে বক্তব্য তুলে ধরেন। তিনি যা বলেন তার ভাবার্থ হচ্ছে এই যে, নূর কোনো শারীরিক উজ্জ্বলতা বা কমনীয়তার নাম নয় বরং এটি হচ্ছে আত্মিক ও আধ্যাত্মিক উৎকর্ষের নাম; রুহানি দ্যুতি ও জ্যোতির নাম। তবে ভ-পীরদের নূর হলো দেহসর্বস্ব।

কারণ তারা মুরিদানের নজরানায় মুরগীর রান খেয়ে খেয়ে মোটাতাজা হয়ে যায়। তাদের গর্দান ফুলে-ফেঁপে উঠে, তাদের গাল আপেলের মতো টকটকে দেখায়। আর তা দেখেই মুরিদানরা খুশি হয়ে বলাবলি করে, ‘মাশাল্লাহ! হুযুরের চেহারায় কি সুন্দর নূর ভাসছে।’

এরপর তিনি তাঁরই পাশে বসা হাফেজ্জী হুযুরের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘হুযুরের চেহারায় তো নূর-টুর দেখছি না, হুযুরের চেহারা দেখি কালো। ভ-পীরদের চেহারার মতো টকটক করছে না। তাহলে কি ধরে নেব তাঁর মাঝে নূর নেই? অবশ্যই আছে, বরং আসল নূর আছে। আর এ নূর হচ্ছে তাকওয়া-পরহেযগারির নূর, ঈমান ও আকীদার নূর, সততা ও ইখলাসের নূর। সে নূর জিসমানী (শারীরিক) নয়, বরং রুহানি বা আধ্যাত্মিক। এ নূর কেবল আল্লাহঅলারাই দেখতে পান, সাধারণ লোকেরা দেখতে পায় না।’

এ মজলিসেই খতীবে আযমের দ্বিতীয় বক্তব্যটি ছিল মাদরাসা সম্পর্কে কোনো কোনো অত্যুৎসাহী তাবলীগী ভাইদের মনোভাব প্রসঙ্গে। তিনি বলেন, ‘কোনো কোনো তবলীগী ভাই মনে করেন, এখন আর মাদরাসার তেমন কোনো দরকার নেই। তাবলীগের মাধ্যমেই দীন শিক্ষা সম্ভব। তাবলীগের মাধ্যমেই দীনের প্রচার ও হেফাজত সম্ভব।’ তিনি এ জাতীয় তাবলীগী ভাইদের দৃষ্টান্ত পেশ করতে গিয়ে একটি ঘটনা বর্ণনা করেন। এক বৃদ্ধা তাঁর বাড়িতে এক হুযুরকে দাওয়াত করেন। খাবারে ছিল মুরগীর তরকারী। তরকারী খেয়ে হুযুর বৃদ্ধাকে বলেন, আম্মাজান আপনার তরকারীর ঝোল তো অনেক মজাদার। গোস্ত না হলেও চলতো। উত্তরে বৃদ্ধা বলেন, বাবা! এ তরকারীর ঝোলটা মজাদার হয়েছে গোস্ত থাকার কারণেই। গোস্ত বাদ দিলে শুধু ঝোলে এমন স্বাদ পেতেন না।

এ ঘটনা বলার পর খতীবে আযম বলেন, তাবলীগ জামায়াত প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একজন আলিমের হাতে। তাবলীগ জামায়াতের মূল শক্তিই হচ্ছে আলিম-ওলামা। যতদিন পর্যন্ত আলিম-ওলামা তাবলীগের সাথে থাকবেন ততদিন পর্যন্ত তাবলীগও তার সঠিক পথে থাকবে। আর এ আলিম শ্রেণী পয়দা হয় মাদরাসা থেকেই। কাজেই তাবলীগ জামায়াতের অস্তিত্বের স্বার্থেই মাদরাসাগুলো টিকে থাকার দরকার আছে।

তৃতীয় ঘটনাটির স্থান বায়তুল মোকাররম মসজিদের পূর্ব-উত্তর। কাল হচ্ছে ১৯৭৬। উপলক্ষ ছিল শবে মেরাজ। ইসলামী ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত উক্ত অনুষ্ঠানের বক্তা ছিলেন মরহুম মাওলানা আবদুর রহীম সাহেব, মাওলানা আমীনুল ইসলাম সাহেব এবং মাওলানা কামাল উদ্দীন জাফরী সাহেব। অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা ছিলেন হযরত খতীবে আযম হযরত মাওলানা সিদ্দীক আহমদ (রহ.) এবং প্রধান অতিথি ছিলেন লিবীয় দূতাবাসের তৎকালীন রাষ্ট্রদূত আলী আল গাদামাসী। মাওলানা আবদুর রহীম সাহেব তাঁর বক্তৃতায় মেরাজ সম্পর্কিত কুরআন বর্ণিত অংশটুকুকে বিশ্বাসযোগ্য এবং হাদীস বর্ণিত অংশটুকুকে বিরোধপূর্ণ; বিশেষ করে মেরাজে রাসূলুল্লাহ (সা.) কর্তৃক আল্লাহর সরাসরি দর্শন লাভের বিষয়টিকে হযরত আয়েশা (রাযি.)-এর বর্ণনা মতে অবিশ্বাস্য বলে মন্তব্য করেন।

তাঁর বক্তৃতা শেষে মাওলানা আমীনুল ইসলাম সাহেব যখন বক্তব্য দিতে থাকেন তখন অত্যন্ত জোরালো ও আবেগভরা কণ্ঠে মাওলানা আব্দুর রহীম সাহেবের বক্তব্য নাকচ করেন এবং হযরত ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ.)-এর একটি বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) স্বচক্ষেই আল্লাহর দর্শন অবশ্যই, অবশ্যই এবং অবশ্যই লাভ করেছেন। মাওলানা আমীনুল ইসলাম সাহেব যখন মাওলানা আবদুর রহীম সাহেবের বক্তব্য খ-ন করছিলেন তথন তিনি মঞ্চে ছিলেন না। তবে মাওলানা কামালউদ্দীন জাফরী ছিলেন। তিনি তখন ছিলেন বয়সে তরুণ। তাঁকে যখন বক্তব্য রাখার জন্য ডাকা হলো তখন তিনি প্রথমেই তীব্র ভাষায় ও রাগান্বিত কণ্ঠে মাওলানা আমীনুল ইসলাম সাহেবের সমালোচনা করেন। এক পর্যায়ে মাহফিলে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয় এবং উভয়পক্ষের সমর্থকদের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

অবস্থা বেগতিক দেখে উপস্থাপক ইশার নামাযের বিরতি ঘোষণা করেন এবং নামাযের পর বক্তা হিসেবে খতীবে আযম সাহেবের নাম ঘোষণা করেন। নামায শেষে উৎসাহ নিয়ে মাহফিলে বসে পড়লাম। হযরত বয়ান শুরু করেন এবং শুরুতেই তার পূর্বে তিন বক্তার মতপার্থক্য তুলে ধরেন। কুরআন ও হাদীসের আলোকে অত্যন্ত ভারসাম্যপূর্ণ, নিরপেক্ষ ও যুক্তিনির্ভর আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টির সুরাহা করেন। তাতে উপস্থিত শ্রোতাগণ সন্তষ্ট হন এবং মেরাজ সম্পর্কিত বিরোধপূর্ণ গোটা বিষয়টির একটি গ্রহণযোগ্য ও ভারসাম্যপূর্ণ মতের সন্ধান পান। সেদিন খতীবে আযমের এ পাণ্ডিত্যপূর্ণ, যুক্তিনির্ভর ও নিরপেক্ষ বয়ান সামনে না আসলে সাধারণ শ্রোতাগণ মেরাজ সম্পর্কে অত্যন্ত বিভ্রান্তিকর ও পরস্পরবিরোধী ধারণা নিয়ে বাড়ি ফিরতেন।

পরিশেষে বলব, হযরতের সাথে সম্পর্কিত উপর্যুক্ত ঘটনাত্রয়ের বর্ণনা আমার নিজের, সবটাই হযরতের হুবহু মৌখিক বর্ণনা নয়। তবে মূল ঘটনা, বক্তব্য ও ভাব বাস্তবতানির্ভর। তা সত্ত্বেও দীর্ঘদিন পর নিছক স্মৃতির ওপর নির্ভর করে কথাগুলো লেখা হয়েছে বলে তথ্যগত ভুল থাকাটা অস্বাভাবিক নয়। এই জাতীয় অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য আল্লাহর দরবারে ক্ষমাপ্রার্থী এবং সাথে সাথে হযরতের ইলমী ও রুহানি ফায়েয দ্বারা উপকৃত হওয়ার তাওফীক কামনা করছি।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on pinterest
Pinterest
Share on telegram
Telegram
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

সর্বশেষ