এলো রে কুরবানী
ঈদের দিনে বান্দারা হয় রবেরই মেহমান,
সবার জন্যে বিছানো হয়
রবের দস্তরখান।
গোশত দিয়ে রাঙিয়ে দাও
গরীবদুখির পাত,
সবার মাঝে দাও ছড়িয়ে
আনন্দ-সওগাত।
ভালোবাসা-হৃদ্যতাতে
মেতে উঠো সবার সাথে,
নেকি দিয়ে করবে বরণ আল্লাহ মেহেরবান,
কুরবানী কুরবান এলো রে, কুরবানী কুরবান।
আত্মীয়স্বজনের মাঝে পাঠাও উপহার,
মুখে রেখে স্বচ্ছসফেদ হাসির সমাহার,
উদারতায় ত্যাগের মাঝে পৃথিবী পাক সুখ
পরস্পরে সুখ বিলাতে হোক সবে উৎসুক;
কুরবানী দাও ধনের পশু
জবাই করো মনের পশু
পালন করো নিষ্ঠ মনে
মালিকের বিধান,
কুরবানী কুরবান এলো রে, কুরবানী কুরবান।
ইব্রাহিমের কাছে ত্যাগের সাচ্চা সবক নাও,
নিজ ঈমানে দীপ্ত-মুখর প্রেরণা জোগাও।
ইসমাঈলের কাছে শেখো ত্যাগ-তিতিক্ষার বাক,
খোদার রাহে জীবন দিতে
পারার অনুরাগ।
সফলতা তো এখানে—
আল্লাহ তাআলার প্রেমের টানে;
নির্দ্বিধাতে বিলিয়ে দেব শত শত প্রাণ,
কুরবানী কুরবান এলো রে, কুরবানী কুরবান।
আই মিস ইউ আপা
তোমার সোনার ছেলে বলছি—
“কেমন আছো আপা”,
কেমন আছো বুকের ভেতর
দুঃখ রেখে চাপা!
রক্ত খাও না দীর্ঘদিন আজ
পেটটা বুঝি ফাঁপা?
খাচ্ছ কেমন পেইনকিলার,
সেকলো এবং নাপা?
আয়নাঘর আজ তোমার ব্যথায়
কাঁদছে নিশিদিন,
তার কামরায় জমে আছে
তোমার নিখাদ ঋণ!
ব্যাংকগুলো আজ তোমায় ছাড়া
করছে হাহাকার,
তোমার ছোঁয়া পাওয়ার লাগি
ডাকছে বারংবার।
শাহবাগীরা বিরানীহীন
মুখ ফ্যাকাসে করে,
সিদ্ধি নিয়ে চুপিসারে
তোমার আলাপ করে।
তোমার পরশবিহীন আজকে
দুর্নীতি বেশ একা,
ভীষণরকম মিস করছে
তোমার পরশরেখা।
তোমার জন্য অপেক্ষাতে
দেশের তরুণেরা,
শাপলা এবং পিলখানাতে
গড়ছে সোনার (!) ডেরা,
ফিরবে কখন? তোমার সাথে
বোরকা শামীম রবে?
আপা আসো, আসো-না প্লিজ,
“আসো, খেলা হবে!”