শাহেদ সিদ্দীক
প্রতিদিনের ন্যায় পূর্ব দিগন্তে উদিত হলো রবি। পুরো ধরা ফের আলোকিত হলো নতুন আলোর রৌশনিতে। দূরীভূত হলো রাতের ঘনঘটা অন্ধকার। এলো মানব জীবনে আরও একটি নতুন আলোর ভোর।
পেরিয়ে গেল দ্বিপ্রহর। হয়ে গেল যোহরের আযানের সময়। প্রতিদিনের মতো বৃদ্ধ বাবা ছুটে গেলেন মসজিদ পানে। আশা ছিল আযান ও নামায শেষে ফিরবেন আপন নীড়ে। ছোট্ট শিশুটারও আশা ছিল প্রিয় বাবার সাথে করবে দিন গুজরান। ঈদের দিনে বাবার সাথে পথ চলার এ এক গল্প।
কিন্তু সব আশা নিরাশায় পরিণত হলো চিরদিনের জন্য। আযানের কয়েক শব্দ শুরু হতেই এসে পড়ে বোমা। যার ফলে ধূলিকণার মতো শহীদী সুধা পান করে হয়ে গেলেন চিরদিনের জন্য জান্নাতের সবুজ পাখি। পাড়ি জমালেন আসল বাড়ি জান্নাতে।
বলছিলাম—গাযার এক মুআযযিনের কথা। যেখানে কুখ্যাত সন্ত্রাসী ইজরাইল বাহিনী পুরো আযানটাও শেষ করার আগে বোমা দিয়ে মানবসভ্যতার কবর রচনা করেছে গাযার বুকে।
একদিকে মানবসভ্যতার ধ্বজাধারীরা নিরব দর্শকের ভূমিকায় অবতীর্ণ, অন্যদিকে, ভারতেও মুসলিমনিধনের ওপেন পরিকল্পনা প্রদর্শিত হচ্ছে আজ।
হে জাতি! জাগো! জাগার সময় এসেছে। ঘুমিয়ে থাকার সময় নেই! চারদিকে মুসলমানরা নিপীড়িত আজ। হে রব! উত্তম ফয়সালা করুন। আমীন।
লেখক : ছাত্র, তাকমীল জামাত, আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়া, চট্টগ্রাম।