বিশেষ খবর
উপমহাদেশের প্রখ্যাত আলেমে দীন, দেশের শীর্ষস্থানীয় দীনী প্রতিষ্ঠান আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়ার মহাপরিচালক, সরকারের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত পাঁচটি কওমি শিক্ষা বোর্ডের অন্যতম আঞ্জুমনে ইত্তিহাদুল মাদারিস বাংলাদেশের মহাসচিব, মাসিক আত-তাওহীদের প্রধান সম্পাদক আল্লামা শাহ আবদুল হালিম বোখারী গত ২১ জুন চট্টগ্রামের একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৭। তিনি স্ত্রী, চার ছেলে, তিন মেয়ে ও অসংখ্য ছাত্র ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আল্লামা বোখারীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এক শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। হাজার হাজার মানুষ তার নামাজে জানাজায় শরিক হন এবং মাদরাসাসংলগ্ন মাকবারায়ে আজিজিতে দাফন করা হয়। জামিয়া মাঠে অনুষ্ঠিত জানাযার নামায়ে ইমামতি করেন শায়খুল হাদিস আল্লামা মুফতি আহমদুল্লাহ (হাফি.)। পটিয়ার মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব শামসুল হক, সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার মাননীয় সংসদ সদস্য প্রফেসর ড. আবু রেজা নদভী, কক্সবাজারের মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব সাইমুম সরওয়ার কমল, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমদ ও জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা গাজী আতাউর রহমান নামাযে জানাযায় শরিক ছিলেন। নামাযের পূর্বে বক্তব্য রাখেন আল্লামা মুফতি আহমদুল্লাহ (হাফি.), জামিয়ার নায়েবে মুহতামিম মাওলানা ওবায়দুল্লাহ হামযা (হাফি.) ও হুযুরের বড় ছেলে মাওলানা রেজাউল করিম বোখারী (হাফি.)। হযরত আল্লামা মুফতি আহমদুল্লাহ (হাফি.) জনগণের উদ্দেশ্যে বলেন, শূরার পরবর্তী মজলিস না হওয়া পর্যন্ত নায়েবে মুহতামিম মাওলানা ওবায়দুল্লাহ হামযা (হাফি.) ভারপ্রাপ্ত মুহতামিম হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাবেন। শুরার অধিবেশনে পূর্ণাঙ্গ মুহতামিম মনোনীত করা হবে।
বিভিন্ন মহলের শোক: আল্লামা আবদুল হালিম বোখারীর ইন্তেকালে বিভিন্ন সংগঠন গভীর শোক প্রকাশ করেছে। বিবৃতিদাতাদের মধ্যে রয়েছেন, হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব আল্লামা সাজিদুর রহমান, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই), আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশের সভাপতি ও হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক আল্লামা মুহাম্মদ ইয়াহইয়া ও সেক্রেটারি জেনারেল আল্লামা মুহিউদ্দীন রাব্বানী, জামিয়া দারুল মাআরিফের প্রধান পরিচালক আল্লামা সুলতান যওক নদভী, জামিয়া আরাবিয়া জিরির প্রধান পরিচালক মাওলানা হাফেজ খোবায়েব, বায়তুশ শরফের রাহবর শায়খ মুহাম্মদ আবদুল হাই নদভী, খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সভাপতি আল্লামা শায়খ জিয়াউদ্দীন, সিনিয়র সহসভাপতি আল্লামা উবায়দুল্লাহ ফারুক, সহ-সভাপতি আল্লামা আবদুর রব ইউসূফী, মহাসচিব আল্লামা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়া খেলাফত আন্দোলনের আমির হাফেজ মাওলানা আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজ্জী হুজুর, বিশিষ্ট আলেম অধ্যক্ষ মাওলানা যাইনুল আবেদীন, ড. মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সভাপতি আল্লামা নুরুল হুদা ফয়েজী ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইসলামী কানুন বাস্তবায়ন পরিষদের আমির মাওলানা আবু তাহের জিহাদী, মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ আশরাফী, ফরায়েজী আন্দোলনের আমির মাওলানা আবদুল্লাহ মুহাম্মদ হাসান, হক্কানী পীর মাশায়েখ পরিষদের মহাসচিব মাওলানা শাহ আরিফ বিল্লাহ সিদ্দিকী, মীরের সরাইর পীর মাওলানা আবদুল মোমেন নাছেরী, ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাশেদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল রাজিবুর রহমান, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী ও মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির আমির আল্লামা সারওয়ার কামাল আজিজী ও মহাসচিব মাওলানা মুসা বিন ইযহার, অপর অংশের সভাপতি মুফতি মুজিবুর রহমান, নির্বাহী সভাপতি ও জাতীয় সংহতি মঞ্চের প্রধান সমন্বয়কারী মাওলানা একেএম আশরাফুল হক প্রমুখ।