জামেয়া ওয়েবসাইট

রবিবার-৪ঠা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি-৮ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ-২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তাহাজ্জুদের গুরুত্ব ও ফযীলত

আল্লামা মুফতি শামসুদ্দীন জিয়া

 

نحمده ونتوكل عليه، ونعوذ بالله من شرور أنفسنا ومن سيئات أعمالنا، من يهده الله فلا مضل له ومن يضلل الله فلا هادي له، ونشهد أن لا إلٰه إلا الله، ونشهد أن محمدًا عبده ورسوله، اللّٰهم صل وسلم وبارك وترحم علىٰ سيدنا محمد وآله وأصحابه وأزواجه وذريته ومن تبعهم بإحسان.

اللهم اجعلنا من من تبعهم بإحسان كما صليت وسلمت وباركت وترحمت علىٰ سيدنا إبراهيم وعلىٰ آل إبراهيم، إنك حميد مجيد، أما بعد! فأعوذ بالله من الشيطان الرجيم، بسم الله الرحمن الرحيم: [وَمِنَ الَّيْلِ فَتَهَجَّدْ بِهٖ نَافِلَةً لَّكَ١ۖۗ عَسٰۤى اَنْ يَّبْعَثَكَ رَبُّكَ مَقَامًا مَّحْمُوْدًا۰۰۷۹] {الإسراء: 79}، وقال رسول الله ﷺ: «عَلَيْكُمْ بِقِيَامِ اللَّيْلِ، فَإِنَّهُ دَأَبُ الصَّالِـحِيْنَ قَبْلَكُمْ، وَإِنَّ قِيَامَ اللَّيْلِ قُرْبَةٌ إِلَى اللهِ، وَمَنْهَاةٌ عَنِ الْإِثْمِ، وَتَكْفِيْرٌ لِلسَّيِّئَاتِ، وَمَطْرَدَةٌ لِلدَّاءِ عَنِ الْـجَسَدِ» (رواه الترمذي: ٣٥٤٩)، أو كما قال m.

تجھے ڈھونڈتا ہوں تجھے ڈھونڈتا ہوں ہو

تیرے راہ کدھر ہے بتا دے خدایا

یا الہی کر طلق میں کبکو گمتا رہوں

تیرے در کو چھوڑ کر میں دربدر پھرتا رہوں

یک عنایت کی نظر میری طرف کر دیجئے

سینہ میرا نور رفات زرا بھر دیجیے

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়ার দুই দিনব্যাপী ইসলামী সম্মেলনের আজকে জুমাবার ফজরের পরে খুবই মোবারক সময়ে আমরা সবাই উপস্থিত হয়েছি। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে এই জলসা থেকে ভরপুর লাভবান হওয়ার তওফিক দান করুন। আমীন।

আজকে কী বার? শুক্রবার কেউ বলে, জুমাবার আল-হামদু লিল্লাহ, আমরা কেউ শুক্রবার বলবো না, শুক্রবার এটা বিজাতীয় শব্দ। আমরা শব্দচয়ন করার সময় যাতে অমুসলিমদের শব্দ ব্যবহার না করি, আল্লাহর রসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা জুমার দিন জুমা বলবে।’ ইসলামী নাম হল জুমা আরবের মুশরেকরা জুমার দিনকে আরুবা বলতো। রসুল (সা.) বলেন, ‘খবরদার তোমরা আরুবা বলবে না।’ আল্লাহর রসুল বলেছেন,

«لَا تَغْلِبَنَّكُمُ الْأَعْرَابُ عَلَىٰ اسْمِ صَلَاتِكُمُ الْعِشَاءِ فَإِنَّهَا فِيْ كِتَابِ اللهِ الْعِشَاءُ».

‘জাহেলী যুগে আরবের মুশরেকরা এশাকে এশা বলত না। আতমা বলতো, তোমরা আতমা বলবে না, তোমাদের ভাষা তাদের ভাষার ওপরে থাকা দরকার তোমরা তাদের ভাষা ব্যবহার করো না।’[1]

দেখুন ইসলামের মধ্যে বিজাতির সাথে সাদৃশ্য না হওয়ার জন্য ভাষার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, ভাষা বলতে বলতে তাদেরকে মহব্বত লাগবে, আমরা বলি গোশত। তারা বলে মাংস, কখনো আমরা সেটা বলবো না। মুসলমানের ভাষায় পানি, হিন্দুদের ভাষায় জল, আমরা জল বলবো না। আমরা চিন্তা-ভাবনা না করে বলি, লক্ষী ছেলে, লক্ষ্মী মেয়ে। লক্ষ্মী এটা একটা হিন্দুদের দেবতার নাম, আমরা যে লক্ষী বলছি, এটা হিন্দুদের দেবতার সাথে তুলনা করছি না, এজন্য বিজাতির সাথে সমস্ত সাদৃশ্য থেকে দূরে থাকা দরকার।

بظاہر میں تم ہو نصاریٰ تمدن میں ہو نہوت

یہ مسلمان جس کو دیکھ کر شرمائیں یہود

দেখুন আমরা মুসলমানরা দাড়ি রাখি, দাড়ি রাখা মুসলমানদের আলামত, আমাদের গায়রত, লাগে না শরম লাগে না, লজ্জা লাগে না। আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ার পরেও দাড়ি কেটে ফেলি, আমরা তাদের নাম রাখি আবোল-তাবোল। হিন্দুরা তাদের সন্তানের নাম আবদুল্লাহ, আবদুর রহমান ইত্যাদি ভুলেও রাখে না। তাদের তো আমাদেরটা পছন্দ হয় না, আমরা কেন তাদেরটা পছন্দ করব? আমাদের দেখে কি কোনো হিন্দু বোরকা পরিধান করে? না পরিধান করে না, কিন্তু আমাদের কোনো শরম নেই, আমরা আমাদের মেয়েটাকে বেপর্দায় চালায় যেমন তারা বেপর্দায় চলে।

আমি বলতে চেয়েছিলাম, আজকে জুমার দিন, হাদীসে আছে, যার জুমার দিন ঠিক হবে, তার পুরো সপ্তাহ সঠিক হবে।

বুজুর্গরা বলেছেন, যাদের শেষরাতটা ভালো হবে তাদের পুরা দিনটা ভালো হবে। শেষরাতটা দিনের মাথা, মাথা ভালো থাকলে আর বাকি সবটা ভালো থাকে। আপনারা পরীক্ষা করে দেখেন শেষরাতে যারা উঠতে পারে তাদের পুরা দিন ভালো থাকে, পুরা দিন অশান্তি লাগে না, অস্থির থাকে না, স্থির হবে। আল্লাহর রসুল বলেছেন, ‘বান্দা যখন ঘুমায় শয়তান তার মাথার পিছনে মন্ত্র পড়ে, عَلَيْكَ لَيْلًا طَوِيْلًا فَارْقُدْ[2]

এ মন্ত্র পড়ার কারণে শেষরাতে উঠতে কষ্ট হয়ে যায়, শয়তান তিনটা গিট বেঁধে, তিনটা মন্ত্র পড়ে। এত তাড়াতাড়ি করার কি দরকার রাত, এখনো অনেক আছে রাত, এখনো অনেক আছে। আমরা খেয়াল করি, আল্লাহর রসুল যেটা বলেছেন আমরা একটু চিন্তা করলেই সেটা দেখব। ইচ্ছা করেও যদি কেউ উঠে যিকর করে, তাহলে তার একটা গিট খুলে যায় যখন সে অজু করে, তখন আরেকটা গিট খুলে যায়, যখন নামাজ পড়ে তখন আরেকটা গিট খুলে যায়।

হাদীসের ভাষায় তখন সে পুরা দিন শান্তিতে থাকে। শেষরাতে যদি না উঠে, তাহলে পুরা দিন অস্থির অস্থির ভাব অশান্তি অশান্তি ভাব তৈরি হয়। এজন্য যাদের শেষরাত ভালো তাদের পুরা দিনটা ভালো। যাদের জুমার দিনটা ভালো, তাদের পুরো সপ্তাহ ভালো। জুমার দিন সপ্তাহের মাথা; মাথা ঠিক থাকলে, সবকিছুই ঠিক থাকবে। জুমার দিন সবকিছু বন্ধ, সরকারও জুমার দিনে সবকিছু বন্ধ রেখেছেন আল-হামদু লিল্লাহ।

একসময় তো জুমার দিন সবকিছু বন্ধ ছিল না, জুমার দিনের জন্য বন্ধ দিয়েছে, কিন্তু অন্য দিন জোহরের নামাজের আগে যেত জুমার দিন আরও পরে যায়। জুমার দিন বানিয়েছে বিয়ে-শাদির জন্য। আকিকা-খাতনা বিচার-আচার ও সামাজিক সকল কাজ জুমার দিন। আশ্চর্যের বিষয় হলো জুমার দিনে মসজিদে যাবে সবার পরে, চলে আসবে সবার আগে। আমরা কিতাবে পড়েছি বাস্তবে দেখেছি, সাঈদ ইবনে মুসাইয়িব বলেছেন, আমার 30 বছর পর্যন্ত আমাকে কোনো নামাজের আযান মসজিদের বাইরে পাইনি অর্থাৎ আযান দেওয়ার আগেই আমি মসজিদে চলে গেছি।

সাত প্রকারের মানুষ আরশের ছায়ার নিচে থাকবে কিয়ামতের দিন তার মধ্যে একজন হলো যার কলব মসজিদের সাথে বাঁধা থাকবে সে জান্নাতি হবে।

আমরা বোয়ালভী সাহেব হুযুরকে দেখেছি, তিনি আজীবন আগে আগে মসজিদে গিয়েছেন। তিনি বলেন, কিতাবে আছে, মুয়াজ্জিন ডাকে নামাজের দিকে আসো, কিন্তু আমরা টয়লেটের দিকে যাই। মুয়াজ্জিনে ডাকে কল্যাণের দিকে আসো, আমরা টয়লেটের দিকে যাই। কিতাবের মধ্যে পবিত্রতার আলোচনা আযানের আলোচনার পূর্বে আনা হয়েছে অর্থাৎ প্রথমেই পবিত্রতা তারপরে আযান, আমাদের প্রস্তুতিটাও ওইভাবে হতে হবে আযানের আগে নামাজের জন্য প্রস্তুতি হতে হবে, আমরা পরিস্থিতি নেই নামাজের জন্য আযানের পরে।

আমি বলতে চেয়েছিলাম, যার জন্য দিন ঠিক হবে তার পুরো সপ্তাহ ঠিক হবে। যার রমজান মাস ঠিক হবে তার পুরা বছরটা ঠিক হবে। যার হজ ঠিক হবে তার পুরা বছরটা সঠিক হবে। বলতে পারেন, সবাইকে হজ করতে পারবে?

সংক্ষিপ্ত একটা ঘটনা বলছি, আল্লাহর রসুল (সা.) বলেছেন, কেউ মসজিদে যাচ্ছে, সে যেখান থেকে যাচ্ছে যদি অজু করে মসজিদে যায় সে একটা হজের সওয়াব পায়। আমরা সবাই মসজিদে যাই কেবল মসজিদে গেলে সব পাব না অজু করে গেলে হজের সব পাব কত সহজ বিষয়।

শেষরাতের কত ফযীলত, আল্লাহ তাআলা দুনিয়ার আসমানে অবতরণ করেন, যখন রাতের এক তৃতীয়াংশ বাকি থাকে এবং তিনি ঘোষণা করেন, ‘কে আমার কাছে চাইবে আমি তাকে তা দান করবো, কে আমার কাছে দোয়া করবে যার দোয়া আমি কবুল করব! আমরা সবে কদর তালাশ করি এজন্য যে শবে কদরের রাতে সূর্য অস্ত যাওয়ার পর পর থেকে ফজর পর্যন্ত আল্লাহ তাআলা বান্দাদেরকে মাফ করার জন্য আসে দেওয়ার জন্য আসে। দিনের বেলা আসে না? আসে এক দিন আসে আরাফাতের দিন। এ দিন আল্লাহ তাআলা 11:30 থেকে সূর্য অস্ত যাওয়া পর্যন্ত নিচে আসে বান্দাদেরকে মাফ করার জন্য।

আরাফাতের ময়দানে আমরা সবাই যেতে পারবো না, শবে কদর যেদিন মনে করেছি সেদিন শবে কদর নাও হতে পারে হতে পারে, যেদিন আল্লাহ তাআলা নেমেছে সেইদিন আমি কোনো গুরুত্ব দেইনি, যেদিন আমি গুরুত্ব দিয়েছি সেদিন আল্লাহ তাআলা হয়তো আসেননি। আরাফাতের দিন এবং শবে কদরের দাম হয় আল্লাহর আসার কারণে এবং বান্দাদেরকে মাফ করার কারণে। শবে কদর ঠিকমতো পাব কিনা জানি না আরাফাতের ময়দানে ও সকলেই যাওয়ার সুযোগ হবে না এজন্য রব্বুল আলামীন আমাদেরকে নিশ্চিতভাবে বলে দিয়েছে আমি নিচের আসমানে আসবো তোমাদেরকে দেওয়ার জন্য মাফ করার জন্য আর এর ব্যবস্থা আল্লাহ তাআলা প্রতিদিনই করেছেন। আল্লাহ তাআলা রাতের শেষ তৃতীয়াংশে দুনিয়ার আসমানে এসে বলেন কেউ কি ক্ষমা প্রার্থনাকারী আছো যাকে আমি ক্ষমা করে দেব কেউ আমার কাছে রিজিক প্রার্থী আছো যাকে আমি রিযিক দেব।

তাহাজ্জুদ এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মধ্যে পার্থক্য আছে তাহাজ্জুদের জন্য মুয়াজ্জিন আযান দেন না। আর বাকি নামাজের জন্য মুয়াজ্জিন আযান দেন, কিন্তু তাহাজ্জুদের জন্য আযান স্বয়ং আল্লাহ তাআলা নিজেই দেয়। ওলামায়ে কেরাম এবং ছাত্ররা বুঝবেন, اِذَا نُوْدِيَ ۰۰۹ দ্বারা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ উদ্দেশ্য আর ينادي দাঁড়া তাহাজ্জুদ উদ্দেশ্য জার ফায়েল আল্লাহ তাআলা।

আমরা বোয়ালভী সাহেব হুযুরকে দেখেছি, একসময় তাঁর টাইফয়েড জ্বর হয়েছিল, যার কারণে তিনি শেষরাতে উঠতে পারতেন না। এরপরও তিনি বলেছেন ঘড়িতে এলার্ম দাও, আমরা এলার্ম দিয়েছি, পুরা রাত হুযুরের ঘুম হচ্ছে না, এলার্ম বাজার সাথে সাথে হুযুর পাদুটো বুকের দিকে নিয়ে আসতেন। আযান শেষ হলে আবার পা মেলে দিতেন।

হুযুর সুস্থ হওয়ার পর আমরা হুযুরকে বললাম, আপনি নিশ্চিত জানেন পড়তে পারবেন না, তারপরও শেষরাতে এলার্ম দিতে বলেছেন এবং এলাম বাজিয়ে নিয়েছিলেন আবার আযান শেষ হয়ে গেলে পাদুটি মিলিয়ে দিয়েছেন এরকম কেন হুযুর?

তখন হুযুর উত্তরে বললেন, বাবা তোমাকে যদি রাতে তোমার জামাতা ডাকে তুমি উঠবে না, মেম্বার সাহেব ডাকলে তুমি উঠবে না, কোনো মন্ত্রী মিনিস্টার ডাকলে তুমি উঠবে না? অবশ্যই উঠবে, তাহলে আমি কোনো বেক্কল যেখানে স্বয়ং আল্লাহ তাআলাই ডাকছে তাহাজ্জুদের সময় সেখানে কেন আমি ঘুমিয়ে থাকবো?

অন্যান্য নামাজের সময় মুয়াজ্জিন ডাকে সেই দেখে আমি সাড়া দিই আর আল্লাহ তাআলার ডাকে আমি কেন সাড়া দেব না? পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সময় আযান নিচের থেকে উপরের দিকে দেওয়া হয় আর তাহাজ্জুদ এর আযান ওপর থেকে নিচের দিকে দেওয়া হয়। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ সাধারণ মুসল্লিদের জন্য আর তাহাজ্জুদের নামাজ ভিআইপিদের জন্য সকল মুসল্লী ভিআইপিতে যেতে পারে না। কারণ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে রিয়া তথা লোকদেখানোর মনোভাব থাকতে পারে যে লোকেরা বলবে সে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে পারে আর তাহাজ্জুদের নামাজে লোক দেখানো মনোভাব নেই এবং লাভ নেই তাহলে দেখাবে কাকে?

শেষরাতে যাদেরকে দেওয়ার ইচ্ছা থাকে কেবল তাদেরকে আল্লাহ তাআলা জাগ্রত করে দেয়। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে পাব সেটার কোনো গ্যারান্টি নেই। হাদীস শরীফে আছে, শেষরাতে আল্লাহ তাআলা ফেরেশতাদেরকে বলে, অমুককে ঘুম থেকে জাগিয়ে দাও আর অমুককে ঘুমিয়ে থাকতে দাও এজন্য দেখা যায় বহু সময় এলার্ম ঠিকই কিন্তু এলার্ম দেওয়া সত্ত্বেও ঘুমাচ্ছি অথবা এলার্ম বন্ধ করে ঘুমাচ্ছি। তাহলে বুঝা গেল যে আমার কথা আল্লাহ তাআলা শুনতে পছন্দ করছেনা। রসুল (সা.) রাতে এত দীর্ঘক্ষণ জেগে নামাজে দাঁড়াতেন যে হুযুরের পা মোবারক ফুলে যেত। সাহাবায়ে করাম হুযুরকে জিজ্ঞাসা করতেন, হুযুর আপনার এত কষ্ট করার কি দরকার? আপনার তো সব গুনাহ মাফ করা হয়েছে। হুযুর বলেছেন, আমি কি আল্লাহর শুকরগুজার বান্দা হব না? তাহলে আমাকে শেষরাতে উঠার কারণে মাফ করে দিয়েছেন এখন যার কারণে আল্লাহ আমাকে মাফ করেছে সেটা কি আমি বাড়াবো নাকি কমাবো? অবশ্যই বাড়াবো।

হুযুর (সা.)-কে একবার জিজ্ঞাসা করা হল দোয়া কখন বেশি কবুল হয়? হুযুর বললেন, শেষরাতে। অন্যান্য সময় আল্লাহ তাআলা থেকে আমরা তালাশ করি, আমাকে দাও আমাকে দাও আর শেষরাতে আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে বলেন, বান্দা আমার থেকে নাও, বান্দা আমার থেকে নাও। আল্লাহ তাআলা শেষরাতে গুনাহ মাফ করে এবং বান্দার যাবতীয় হাজত পূরণ করে সুতরাং আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে শেষরাতের প্রতি এহতেমাম করার তওফিক দান করুন। আমীন আল-হামদু লিল্লাহি রব্বিল আলামীন।

আলোচক: সিনিয়র মুহাদ্দিস ও মুফতি, আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়া

অনুলিখন: মাসরুর আনিস

শিক্ষার্থী, জামায়াতে দুয়াম

আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়া, চট্টগ্রাম

 

[1] মুসলিম, আস-সহীহ, দারু ইয়াহইয়ায়িত তুরাস আল-আরবী, বয়রুত, লেবনান (প্রথম সংস্করণ: ১৩৭৪ হি. = ১৯৫৫ খ্রি.), খ. 2, পৃ. ১18, হাদীস: 644

[2] আহমদ ইবনে হাম্বল, আল-মুসনাদ, মুআস্সিসাতুর রিসালা লিত-তাবাআ ওয়ান নাশর ওয়াত-তাওযী’, বয়রুত, লেবনান (প্রথম সংস্করণ: ১৪২১ হি. = ২০০১ খ্রি.), খ. ১২, পৃ. ২৫৮, হাদীস: ৭৩০৮

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on pinterest
Pinterest
Share on telegram
Telegram
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

সর্বশেষ