মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ খান মাদানী
নাম, উপনাম ও বংশপরিচয়: নাম: আহমদ, পিতা: মুহাম্মদ, দাদা: হাম্বল, উপনাম: আবু আবদুল্লাহ। আহমদ ইবনে মুহাম্মদ ইবনে হাম্বল ইবনে হিলাল ইবনে আসাদ ইবনে ইদরীস আশ-শায়বানী আল-মারওয়াযী, আল-বাগদাদী। ইমামের ১৩তম পূর্বপুরুষ শায়বানের দিকে সম্পৃক্ত করায় আশ-শায়বানী, তাঁর জন্মভূমি মুরউয়ের দিকে সম্পৃক্ত করায় আল-মারওয়াযী, অতঃপর ইমামের অবস্থান বাগদাদের দিকে সম্পৃক্ত কারয় আল-বাগদাদী।১
জন্ম ও প্রতিপালন: ইমাম আহমদ (রহ.) ১৬৪ হিজরী রবিউল আউয়াল মাসে মুরউতে জন্মগ্রহণ করেন। কেউ কেউ বলেন, তিনি মায়ের গর্ভে থাকা অবস্থায় মুরউ হতে বাগদাদে আসেন অতঃপর বাগদাদে জন্ম হয়। ছোটকালেই তাঁর পিতা ইন্তেকাল করেন ফলে তিনি ইয়াতীম অবস্থায় মায়ের কাছে পালিত হন।২
শিক্ষাজীবন: ইমাম আহমদ (রহ.) ছোট বয়সেই শিক্ষায় মনোনিবেশ হন। তিনি প্রখর মেধাশক্তি সম্পন্ন ছিলেন। অতিসহজেই অনেক কিছু মুখস্ত করে ফেলতেন। ইবরাহীম আল-হারবী (রহ.) বলেন, ‘মনে হয় যেন আল্লাহ তাআলা ইমাম আহমদকে আদি-অন্তের সকল প্রকার জ্ঞান দান করেছেন।’৩
শিক্ষাসফর: জ্ঞানপিপাসু ইমামুস সুন্নাহ ইমাম আহমদ (রহ.) বাগদাদের উল্লেখযোগ্য সকল আলিম হতে শিক্ষা গ্রহণের পর বিভিন্ন প্রান্তে জ্ঞান আহরণে ছুটে চলেন। তিনি সফর করেন কুফা, বাসরা, মক্কা, মদীনা, তারতুস, দামেস্ক, ইয়ামান, মিসর ইত্যাদি অঞ্চলে। তিনি পাঁচবার হজ্জব্রত পালন করেন এর মধ্যে তিনবার পায়ে হেঁটে হজ্জ পালন করেন।৪
হাদীসের জগতে ইমাম আহমদ (রহ.): হাদীসের জগতে ইমাম আহমদ (রহ.) এক উজ্জ্বল নক্ষত্র, তাঁর হাদীসের পারদর্শিতা সম্পর্কে এককথায় বলা যায় তিনি হাদীসের এক বিশাল সাগর। ইমাম আবদুল ওয়াহ্হাব আল-ওয়াররাক বলেন, ‘আমি ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বলের মতো আর কাউকে দেখিনি, তাকে জিজ্ঞাসা করা হলো আপনি অন্যের চেয়ে ইমাম আহমদ (রহ.)-এর মাঝে জ্ঞান-গরিমা বা মর্যাদা বেশি কি পেয়েছেন? তিনি বললেন, ইমাম আহমদ এমন একজন ব্যক্তি যাকে ৬০,০০০ (ষাট হাজার) প্রশ্ন করা হয়েছে তিনি সকল প্রশ্নের জবাবে হাদ্দাসানা ওয়া আখাবারানা অর্থাৎ হাদীস হতে জবাব দিয়েছেন অন্য কিছু বলেননি।’৫
অতএব একবাক্যে বলা যায় যে, ইমাম আহমদ (রহ.) হাদীসের সাগর ছিলেন। এছাড়াও এর জলন্ত প্রমাণ হলো ইমামের সংকলিত সুপ্রসিদ্ধ হাদীসগ্রন্থ আল-মুসনদ যার হাদীসসংখ্যা চল্লিশ হাজার।৬
অতএব হাদীসের জগতে ইমাম আহমদ (রহ.) এক অবিস্মরণীয় ব্যক্তিত্ব। হাদীস শাস্ত্রে মুসতালা, ইলাল, আসমাউর রিজাল, জারহ-তাদীল ইত্যাদি সকল ক্ষেত্রে তাঁর অসামান্য কৃতিত্ব বিদ্যমান রয়েছে। হাদীস শিক্ষাদানেও তাঁর কৃতিত্ব অতুলনীয়, তাঁর একেক মজলিসে পাঁচ হাজারেরও অধিক ছাত্র অংশ গ্রহণ করত।৭
আহলুস সুন্নাহর ইমাম: ইমাম আহমদ (রহ.) সকল প্রকার ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত কিন্তু প্রকাশ্যভাবে সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরা হতে সামান্যতম ছাড় দিতে প্রস্তুত নন, প্রয়োজনে জীবন যেতে পারে তবুও সুন্নাহর অনুসরণ বর্জন হতে পারে না, ইমাম ইসহাক ইবনে রাহুওয়াইহ (রহ.) বলেন, ‘যদি ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল না হতেন এবং তাঁর ইসলামের জন্য ত্যাগ স্বীকার না হতো তাহলে ইসলাম বিনাশ হয়ে যেত, অর্থাৎ যখন সকলেই ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় কুরআনকে মাখলুক হিসেবে স্বীকার করে নিল, তখন পৃথিবীর বুকে একজনই মাত্র ইসলামের সঠিক বিশ্বাস ধারণ করে ছিলেন, তিনিই হলেন ইমাম আহমদ। আল্লাহ তাআলা তাঁর মাধ্যমেই ইসলামের সঠিক আকীদা-বিশ্বাসকে টিকিয়ে রেখে ছিলেন।
রাসূল (সা.) হতে চলে আসা কুরআনের সঠিক বিশ্বাস: ‘কুরআন আল্লাহ তাআলার বাণী, কোন সৃষ্ট বস্তু নয়।’ কিন্তু জাহমিয়া ও মুতাযিলাদের আবির্ভাবে এ বিশ্বাসে বিকৃতি ঘটানো হয়, শুরু হল কুরআন মাখলুক বা সৃষ্ট বস্তু’ এ ভ্রান্ত বিশ্বাসের প্রচারণা, এমনকি রাষ্ট্রীয়ভাবে আব্বাসীয় খলীফা হারুনুর রশীদ এবং পরবর্তী খলীফা মামুনুর রশীদ প্রভাবিত হলেন এ ভ্রান্ত বিশ্বাসে। রাষ্ট্রীয়ভাবে ঘোষণা হল সকলকে বিশ্বাস পোষণ করতে হবে যে, ‘কুরআন মাখলুক বা সৃষ্টবস্তু’, এ বিশ্বাসের কেউ দ্বিমত পোষণ করতে পারবে না। বাধ্য হয়ে ইচ্ছায় অনিচ্ছায় প্রায় সকলেই ঐক্যমত পোষণ করলেন শুধুমাত্র দু’জন দ্বিমত পোষণ করেন, ইমাম আহমদ (রহ.) ও মুহাম্মদ ইবনে নুহ (রহ.)। নির্দেশ দেওয়া হল তাদেরকে গ্রেফতার করার জন্য। গ্রেফতার করে আনার পথে মুহাম্মদ ইবনে নুহ (রহ.) ইন্তেকাল করেন, আর ইমাম আহমদ (রহ.) দু’আ করেছিলেন যেন খলীফা মামুনের সাথে সাক্ষাৎ না হয়। ইমামকে কারাবাস দেওয়া হল, প্রায় আটাস (২৮) মাস কারাগারে আবদ্ধ হয়ে থাকলেন এবং খলীফা মুতাসিমের নির্দেশে ইমামকে তাদের ভ্রান্ত বিশ্বাস পোষণ না করায় বেত্রাঘাত করা হল। হাত বেঁধে নিষ্ঠুরভাবে কোড়াঘাত করা হয়। কোড়াঘাতে রক্ত ঝড়তে থাকে, গায়ের কাপড় পর্যন্ত রক্তে রঞ্জিত হয়ে যায়। জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পরে যান, আবার জ্ঞান ফিরলে জিজ্ঞাসা করা হয় তাদের ভ্রান্ত বিশ্বাসে একমত কিনা? একমত না হলে আবার কোড়াঘাত শুরু হয়। এভাবে নির্মম নিষ্ঠুর নির্যাতনের শিকার হন। এর কারণ শুধু একটিই তিনি কুরআন ও সুন্নাহর অনুসারী এবং বিদআতী বিশ্বাস বর্জনকারী। পরিশেষে খলীফা আল-মুতাওয়াক্কিল (রহ.) সঠিক বিষয় উপলব্ধি করায় গোটা মুসলিম জাহানে হকের ওপর প্রতিষ্ঠিত অনড়, অটল একক ব্যক্তি ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ.)-কে কারামুক্ত করেন এবং তাঁকে যথার্থ সম্মান প্রদর্শন করেন।৮
ইমামের আকীদা-বিশ্বাস: পৃথিবীর বুকে যখন ইচ্ছা-অনিচ্ছায় সকলেই মুতাযিলাদের বাতিল আকীদা-বিশ্বাস গ্রহণ করে তখন একক ব্যক্তি যিনি কুরআন ও সহীহ হাদীসের আলোকে সঠিক আকীদা-বিশ্বাসের ওপর অটল ছিলেন। এমনকি নির্মম, নিষ্ঠুর নির্যাতনেও তিনি সঠিক আকাদী হতে সামান্যতমও বিচ্যুত হননি। সুতরাং একবাক্যে বলা যায় যে, তিনি সঠিক আকীদায় শুধু বিশ্বাসী নয়, বরং সঠিক আকীদায় বিশ্বাসীদের অন্যতম ইমাম ছিলেন।
ইমাম আহমদ (রহ.)-এর শিক্ষকবৃন্দ: ইমাম আহমদ (রহ.) বাগদাদসহ গোটা মুসলিম জাহানের প্রায় সকল শিক্ষাকেন্দ্রে জ্ঞানের সন্ধানে অবতরণ করেন, ফলে তাঁর শিক্ষক হাতেগনা কয়েকজন হতে পারে না, বরং তাঁর শিক্ষক অগণিত ও অসংখ্য। ইমাম যাহাবী (রহ.) বলেন, ইমাম আহমদ (রহ.) মুসনদে আহমদ গ্রন্থের হাদীসসমূহ যেসব শিক্ষক হতে গ্রহণ করেন তাঁদের সংখ্যা হলো দুইশত তিরাশি (২৮৩) জন।৯ এছাড়াও বিভিন্ন বিষয়ে বহুসংখ্যক শিক্ষক রয়েছেন। নিম্নে প্রসিদ্ধ কয়েকজন শিক্ষকের নাম উল্লেখ করা হল১০:
(১) ইমাম সুফইয়ান ইবনে উয়ায়না (রহ.), (২) ইমাম ওয়াকী ইবনুল জাররাহ (রহ.), (৩) ইমাম মুহাম্মদ ইবনে ইদরীস আশ-শাফিয়ী (রহ.), (৪) ইমাম আবদুর রাযযক আস-সানআনী (রহ.), (৫) ইমাম কুতাইবা ইবনে সাঈদ (রহ.), (৬) ইমাম আলী ইবনুল মাদীনী (রহ.), (৭) ইমাম ইবনে আবু শায়বা (রহ.) ইত্যাদি।
ইমাম আহমদ (রহ.)-এর ছাত্রবৃন্দ: ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ.)-এর ছাত্র অগণিত হওয়াই স্বাভাবিক, তাদের সংখ্যা ও গণনা সম্ভব নয় এবং তালিকা ও বর্ণনা সহজ নয়। যিনি লক্ষাধিক হাদীসের হাফেয, চল্লিশ হাজার হাদীস গ্রন্থের সংকলক তাঁর ছাত্র বিশ্বজুড়ে হওয়াই স্বাভাবিক। যার মাজলিসে পাঁচ হাজার পর্যন্ত ছাত্র থাকত, নিম্নে কয়েকজন নক্ষত্রতুল্য ছাত্রের নাম উল্লেখ করা হল১১:
(১) ইমাম মুহাম্মদ ইবনে ইসমাঈল আল-বুখারী (রহ.), (২) ইমাম মুসলিম ইবনে হাজ্জাজ আল-কুশায়রী (রহ.), (৩) ইমাম আবু দাউদ আস-সিজিস্তানী (রহ.), (৪) ইমাম আবু ঈসা আত-তিরমিযী (রহ.), (৫) ইমাম আবু আবদুর রহমান আন-নাাসায়ী (রহ.), (৬) ইমাম সালিহ ইবনে আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ.), (৭) ইমাম আবদুল্লাহ ইবনে আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ.) ইত্যাদি।
ইমাম আহমদ (রহ.)-এর রচনাবলি: প্রসিদ্ধ চারজন ইমামের মধ্যে যিনি সবচেয়ে বেশি গ্রন্থ রচনা করেছেন তিনি হলেন ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ.)। শুধু তাই নয়, বরং তাঁর সংকলিত হাদীসগ্রন্থ মুসনদ সর্বপ্রসিদ্ধ। ইমামের উল্লেখযোগ্য গ্রন্থসমূহ নিম্নে বর্ণনা করা হলো১২:
(১) হাদীসগ্রন্থ আল-মুসসদ (হাদীসসংখ্যা চল্লিশ হাজার)১৩ (২) আয-যুহদ, (৩) ফাযায়িলুস সাহাবা, (৪) আল-ইলাল ওয়া মা’রিফাতির রিজাল, (৫) আল-ওয়ার’, (৬) কিতাবুস সালাত, (৭) আর-রাদ আলাল জাহমিয়া, (৮) রিসালাতু ইমাম আহমদ, (৯) আল-মাসায়িল, (১০) আহকামুন নিসা, (১১) কিতাবুল মানাসিক, (১২) কিতাবুস সন্নাহ ইত্যাদি।
ইমাম আহমদ (রহ.) সম্পর্কে আলিম-সমাজের প্রশংসা:
(১) ইমাম আলী ইবনুল মাদীনী (রহ.) বলেন, আল্লাহ তাআলা রাসূল (সা.)-এর পর দু’জন ব্যক্তির মাধ্যমেই ইসলামকে প্রতিষ্ঠি তকরেছেন একজন হলেন হযরত আবু বকর (রাযি.); যার মাধ্যমে মুরতাদ ও ভণ্ডনবীদের দমন করেছেন, আর অপরজন আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ.); যার মাধ্যমে কুরআনের মানহানির সময় কুরআনকে সমুন্নত করেছেন।১৪
(২) ইমাম আবদুল ওয়াহহাব আল-ওয়াররাক (রহ.) বলেন, আমি ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বলের মতো আর কাউকে দেখিনি। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হল আপনি অন্যের চেয়ে ইমাম আহমদের মাঝে জ্ঞান-গরিমার বা মর্যাদার বেশি পেয়েছেন কি? তিনি বললেন, ইমাম আহমদ এমন একজন ব্যক্তি যাকে ৬০,০০০ (ষাটহাজার) প্রশ্ন করা হল, তিনি সকল প্রশ্নের জবাবে হাদ্দাসানা ওয়া আখ্বারানা অর্থাৎ শুধু হাদীস হতে জবাব দিয়েছেন অন্য কিছু বলেননি।১৫
(৩) ইমাম শাফিয়ী (রহ.) বলেন, আমি বাগদাদ হতে বের হয়ে ইমাম আহমদের চেয়ে অধিক আল্লাহভীরু, তাকওয়াশীল, ফকীহ ও জ্ঞানী আর কাউকে পাইনি।১৬
ইমামআহমদ (রহ.)-এর ইন্তেকাল
জন্মের পরই মুতুরপর্ব, আল্লাহ তাআলার এ নিয়মের ব্যতিক্রম মহামানব মুহাম্মদ (সা.)-এর ক্ষেত্রেও ঘটেনি, ঠিক একই নিয়মের শিকার হলেন আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের ইমাম ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ.)। ২৪১ হিজরী ১২ রবিউল আউয়াল শুক্রবার সকল মাখলুককে ছেড়ে মহান খালিকে তরে পাড়ি জমান।১৭ আল্লাহ তাঁকে জান্নাতুল ফিরদাউস দান করুন। আমীন!
ইমাম (রহ.)-এর জানাযায় এত বিপুলসংখ্যক মানুষের সমাগম হয় যে, ইমাম আবদুল ওয়াহহাব আল-ওয়াররাক (রহ.) বলেন, জাহেলীযুগে কিংবা ইসলামী যুগে এত বিপুলসংখ্যক মানুষের সমাবেশ ঘটেছে বলে আমাদের জানা নেই। খোলা মরুভূমিতে প্রথম জানাযা সম্পন্ন হয় যাতে পুরুষের সংখ্যা ছিল ২৫ লক্ষ, কেউ কেউ বলেন দশ লক্ষ, আর নারীর সংখ্যা ছিল ৬০ হাজার১৮
জানাযার এ বিরল দৃশ্য প্রমাণ করে ইমাম আহমদ সত্যিই সত্যিই আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের ইমাম।
তথ্যসূত্র
- হুলিয়াতুল আউলিয়া, ৯/১৬২, তাহযীবুল কামাল, ১/৩৫, তারিখে বাগদাদ, ৪/৪১৪, সিয়ারু আলামিন নুবালা, ১১/১৭৮, আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ১০/৭৭৫, মানাকিব লিইবনিল জাওযী, পৃ. ১৮
- সিয়ারু আলামিন নুবালা, ১১/১৭৯, আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ১০/৭৭৫
- তাবাকাতুল হানাবিলা, ১/৯, সিয়ারু আলামিন নুবালা, ১১/১৮৮
- মুকাদ্দামাতু কিতাব মাসায়িলিল ইমাম আহমদ, ১/২০
- তাবাকাতুল হানাবিলা, ১/৯
- তাদওয়ীনুস সুন্নাহ আন-নাবাবিয়া, পৃ. ১২২
- মুকাদ্দামা কিতাব মাসায়িলিল ইমাম আহমদ, ১/২৪-২৫
- সিয়ারু আলামিন নুবালা, ১১/২৫০ ও ২৫২
- সিয়ারু আলামিন নুবালা, ১১/১৮০
- মুকাদ্দামা কিতাব মাসায়িলল ইমামআহমদ, ১/২১
- তাহযীবুল কামাল, ১/৪৪০ ও ৪৪২, সিয়ারু আলামিন নুবালা, ১১/২৫০
- মুকাদ্দিমাতু কিতাব মাসায়িলিল ইমাম আহমদ, ১/৩০ ও ৩৫
- তাদওয়ীনুস সুন্নাহ আন-নাবাবিয়া, পৃ. ১২২
- তাবাকাতুল হানাবিলা, ১/৩১
- তাবাকাতুল হানাবিলা, ১/৯
- তারিখে বাগদাদ, ৪/৪১৯, মানাকিবুল বায়হাকী, ১/৫২৯
- সিয়ারু আলামিন নুবালা, ১১/৩৩৭, আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ১০/৭৯১
- সিয়ারু আলামিন নুবালা, ১১/৩৩৯