ইংরেজ আমলে মুসলমানদের ধর্মীয়, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে ধ্বংস করার বিনাশী তৎপরতা এবং পরবর্তী রাজনীতিতে এর জের
মুহাম্মদ নুরুল্লাহ
ইংরেজ সরকার বাংলার মুসলমানদের নিঃশেষ করতে বড় ধরনের চারটি রদবদল ঘটিয়েছিল:
- ১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধের পর রাজক্ষমতা থেকে মুসলমানদের উৎখাত ও তাদের মৃত্যু ঘটাতে এরপর পর্যায়ক্রমে নানা পরিকল্পনা গ্রহণ।
- ১৭৯৩ সালে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রবর্তন ও জমিদারির সংখ্যা হ্রাস। মুসলমানদেরকে ভূমিহীন রায়ত বানানো ও তাদের অভিজাত ও মধ্যবিত্তশ্রেণি ধ্বংসের মাধ্যমে তাদের জীবনের আর্থিক ভিত্তিটুকুই ধ্বংস করা।
- ১৮২৮ সালে বাজেয়াপ্ত আইনে নিষ্কর ভূমির রায়তি স্বত্ব লোপ করে মুসলমানদের বেঁচে থাকার অবলম্বন কেড়ে নেয় ও এর আগে সূর্যাস্ত আইনের মাধ্যমে তাদের জমিদারি বাতিল করে দেয়।
- ১৮৩৭ সালে অফিস, আদালত ও সরকারী ভাষা ফারসিকে বাদ করে ইংরেজি বহাল। ইংরেজি ভাষার নতুন আধিপত্যের সামনে লক্ষ লক্ষ মুসলমান চাকুরিচ্যুত হলো।
পরপর এই চারটি বড় আঘাতে পূর্বের শাসকশ্রেণি নিঃস্ব, রিক্ত, নিরক্ষর, নিষ্র্কিয়, নির্জীব জাতিতে পরিণত হয়। ইংরেজের প্রশাসনিক আইন ও শিক্ষানীতির ফলেই এই রূপটি হয়েছে (ড. ওয়াকিল আহমদ: উনিশ শতকে বাঙালি মুসলমানের চিন্তা চেতনার ধারা, ১/৪১)। চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ফলে একদিকে জমিদার শ্রেণি, অন্যদিকে রায়তশ্রেণি গড়ে উঠল। গ্রামাঞ্চলে এই শ্রেণির পাশাপাশি জোতদার, ক্ষেতমজুর, ব্যবসায়ী ও মহাজন শ্রেণির লোক দেখা গেল। শহর এলাকায় সৃষ্টি হলো পুঁজিপতি, শিল্পপতি, বণিকশ্রেণি, শ্রমিকশ্রেণি, ছোটবড় ব্যবসায়ী এবং চিকিৎসক, আইনজীবী, শিক্ষক ও সাংবাদিক প্রভৃতি বৃত্তিভোগী গোষ্ঠী।
আমাদের সম্পন্ন গ্রামগুলো ধ্বংস হয়ে গেলো। শিক্ষিত ভালো মানুষেরা গ্রাম ছেড়ে শহরমুখি হলো। জমিনভিত্তিক অর্থনীতি নগদ অর্থে পরিবর্তন হলো। সমস্ত পুঁজি এসে শহরে জমা হলো। প্রবল আঘাত খেয়ে গ্রামমুখী জীবনযাত্রা শহরমুখি হলো।
উনিশ শতকের ভাববাদ, বুদ্ধিজীবীর রাষ্ট্রনৈতিক চিন্তাধারা, হিন্দু ধর্মের সংস্কার, সাংস্কৃতিক আন্দোলন সবই ইংরেজি শিক্ষাজাত। অর্থাৎ সেই শিক্ষায় শিক্ষিতরাই এসব ক্ষেত্রে মতামত দিলো এবং তাদের মতানুযায়ী সব চলল। তাছাড়া ইসলাম ছাড়া অন্য ধর্মগুলোতে পরিবর্তন আনায় ধর্মীয়রা তাদের চিন্তাধারায় ও জীবনযাত্রায় বড় ধরনের ধাক্কা খায় না। কারণ সেসব ধর্মের কাজগুলো একান্তই লৌকিক ও আচারসর্বস্ব|
দৈনন্দিন জীবনের কর্মকাণ্ডে তাদের ধর্ম তাদের পরিচালনা করে না। নির্দিষ্ট দিনে নির্দিষ্ট মাসে পূজা-পার্বণ অনুষ্ঠানে শরীক হলেই তাদের ধর্মপালন [এক ধরনের রসম] হয়ে যায়। সমস্যা হল, ইসলামের অনুসারীদের ক্ষেত্রে তারা দীনের বিরোধি যে কোনো কিছু আপন করে নিতে পারে না, বিশেষত চিন্তা আদর্শের ক্ষেত্রে, যেখানে তাদের দীন তাদের জীবনের সকল কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করে ও সেসব বিষয়ে স্পষ্ট পথনির্দেশ করে।
১৮১৬ খ্রিস্টাব্দে হিন্দু কলেজ প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে হিন্দুরা পাশ্চাত্য শিক্ষা ও ভাবধারা পুরোপুরি আয়ত্ত্ব করতে থাকে এবং এক পর্যায়ে তারাই ইংরেজিকে সরকারি ভাষা করার ও ইংরেজি জানা লোকদেরকেই চাকুরি দেওয়ার জোর আন্দোলন করে। রাজা রামমোহন যিনি চৈতন্যের ভূমিকায় অবতীর্ণ ছিলেন, এবং নিজে মোঘল আমলে আরবি, ফারসি, ইসলামি বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করে নবাবের অধীন কাজ করতেন, স্বয়ং ইংল্যান্ড সফর করে ইংরেজিকে সরকারী ভাষা করার আবেদন জানিয়ে আসেন। এরা যেহেতু আগেবাগে সেই শিক্ষাটা আয়ত্ত করেছিলেন, শিল্প সাহিত্য ও বুদ্ধিচর্চার মাধ্যমে নিজেদের অগ্রসর অংশে রূপান্তর করেছিলেন তাই নিজেদের স্বার্থে জাতীয় আন্দোলন শুরু করার প্রেরণা তাদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছিল।
[এদের] মধ্যবিত্ত ও উদীয়মান উচ্চবিত্তশ্রেণি আবার ক্ষমতার ভাগের জন্য অভিলাষী হয়ে ওঠলো। তাদের পুঁজির জন্য রাষ্ট্রক্ষমতাও দরকার- তারা বুঝতে পারলো। আবার এরা ছিল ইংরেজ বণিকের সহযোগী ও cvk^©Pi- এজন্য ইংরেজের কথায় ওদের আস্থাও ছিল, ওদের প্রতি কৃতজ্ঞতাও ছিল (মুসলিম মানস ও বাংলা সাহিত্য, পৃ. ৭৮)।
এ কারণেই ভারতবর্ষের স্বাধীনতা এ দেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ করেনি। ব্রিটিশ উপনিবেশের মানসপুত্ররাই পরবর্তীতে ভারত, পাকিস্তানের মালিক হয়েছে। জনগণ আজও বঞ্চিত প্রতারিত রয়ে গেছে। তাদের ভাষায়, অর্থনৈতিক, বিচারিক, ধর্মীয় ও শিক্ষাগত সম্পূর্ণ মুক্তি ও অধিকার আজও প্রতিষ্ঠিত হয়নি। রামমোহন রায়, দ্বারকানাথ ঠাকুর প্রমুখ নীলকরদের অভিহিত করেছিলেন মঙ্গলজনক, তারা জুলুম করে না বলে সাফাই গেয়েছিলেন, নীলচাষ দেশের জন্য মঙ্গলজনক বলে বিবৃতি দিয়েছিলেন, চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের সময় জমানো সব অর্থ উদ্ভাবনী শিল্পে ব্যয় না করে জমিদারী কিনে দেশের চাষী মুসলমানদের শোষণ করার দিকে প্রথম পা বাড়িয়ে দিয়েছিলেন।
বাংলার কৃষকদের ওপর ক্রমাগত খাজনা বৃদ্ধি করে ইংরেজ শাসক। উদ্দেশ্য ছিল যে মুসলমান জেল, হামলা মামলা ও অবিচার ফাঁসির পর মরে শেষ হয়নি, চাপিয়ে দেওয়া ক্রমাগত দুর্ভিক্ষ যাদের ধ্বংস করতে পারেনি এবং যারা চাকরি বাকরি হতে বঞ্চিত হয়ে বেঁচে থাকার অবলম্বন হিসাবে কৃষিকে বেছে নিয়েছে তাদের তিলে তিলে শেষ করা। দেখা যায়, বাংলায় ব্রিটিশের দেওয়ানি লাভের পাঁচবছরের মাথায় মানব ইতিহাসের এক ভয়াবহ আরোপিত দুর্ভিক্ষের কবলে পড়ে বাংলার মুসলমান গরীব কৃষকদের একতৃতীয়াংশ একসঙ্গে মারা যায়। এরপরও খাজনা মাফ হয়নি। দেখা গেছে জমিদারের খাজনার ভয়ে কত মানুষ বাড়িঘর সব ফেলে পালিয়ে যায়। ইংরেজ বাংলাদেশের সমস্ত জমিজমা এমনকি নদ-নদী খাল-বিল পর্যন্ত দেশীয় জমিদারের নিকট ইজারা দেয়।
প্রথমে পাঁচশালা পাঁচ বছরের জন্য, তারপর দশশালা দশবছরের জন্য দেয়। জমিদাররা কৃষকদের মারপিট করে অনেক সাফল্য উদ্ধার করে। (জমিদাররা যেহেতু ইংরেজের পালিত, তাই তাদের কোনো বড় অপরাধকেও অপরাধ মনে করা হতো না, আজও সেই কালচার রাজনীতিতে চর্চা হতে দেখা যায়। রাজনৈতিক দলগুলো পোষ্য পালে। এই পোষ্যের দল জনগণের যত ক্ষতিই করুক তার বিচার হতে আমরা শুনি না। সবই ভদ্রলোক ইংরেজের দান।) তারপর ১৭৯৩ সালে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের নামে জমিদারদের সমুদয় জমির মালিক বানিয়ে দেওয়া হয়। বলা হয়, এরা সরকারের কোনো অনুমিত ছাড়াই তাদের জমি দান, বিক্রি অথবা বন্ধক দিতে পারবেন। এরপর বাংলার কৃষক যারা প্রায় সবাই মুসলমান আর কিছুই থাকেনি। তারা রায়ত হয়ে জমিদারের গোমস্তা হিসেবে জীবন কাটাতে শুরু করে।
একটা আইন ছিল, নির্দিষ্ট দিনে রাজস্ব আদায় করতে হবে। যারা পারতো না তাদের জমিদারি লাটে উঠতো। পয়সাঅলারা যারা প্রায় সবাই অবৈধ উপায়ে, নানাভাবে নতুন টাকার মালিক হয়েছিল জমিদারি কিনে নিতো। পুরণো জমিদাররা এভাবে পড়ে যেতো। নতুন ভুঁইফোড়রা আসতো।
১৭৭২ সালে হেস্টিংসের আমলের গোড়ার দিকে জমিদারের সংখ্যা ছিল কয়েকশো; ১৮৭২-৭৩ সালে সেই সংখ্যা দাঁড়ায় এক লাখ ৫৪ হাজার দুই শোতে। জমিদার এবং মধ্যবিত্তের সংখ্যা বাড়ে, রাজস্ব আদায়ের চাপ বাড়ে। মধ্যস্বত্বভোগীরা রাজস্ব আদায় করতো ১৭/১৮ কোটি টাকা। এছাড়া বিয়ে, শ্রাদ্ধ ইত্যাদি ঘটনা উপলক্ষেও প্রজাদের বাড়তি টাকা দিতে হতো। চিরস্থায়ী ব্যবস্থা চালু হওয়ার পর উনিশ শতকের গোড়ার দিকে পরশ্রমজীবী নতুন শ্রেণি গড়ে উঠে। এরা সমাজে দারুণ প্রভাব বিস্তার করে। এদের বলা হতো বাবু। তারা সভাসমিতিতে বেশি বেশি চাঁদা লিখাতো, নানান সুযোগে ধনধৌলত জাহির করতো।
কলকাতায় ইংরেজের কেরাণি, নকলনবিস হিসেবে একটি মধ্যবিত্ত শ্রেণির উৎপত্তি হয়। তাদেরও বাবু হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। ১৭৮২ সালে ইংরেজিতে প্রথম ‘বাবু’ কথাটি ব্যবহৃত হয় একটি বিশেষ অর্থে। অর্থ: ইংরেজি জানা বাঙালি কেরাণী। এরা কোম্পানির দলিলপত্র দেখে দেখে নকল করতো, অনেকে ইংরেজি ভাষা জানতোও না। উনিশ শতকের দ্বিতীয় ভাগে বাবু বোঝানো হয় যে ব্যক্তি অভিধান ঘেটেও ভুল ইংরেজি লিখতেন সেই কেরানিদেরকে।
এই বাবু ও কেরাণিদের অনেকে নানান হারাম উপায়ে মালকড়ি করে সমাজে নানারকম পাপের বিস্তার ঘটিয়ে বিখ্যাত হয়ে আছে। নানান কূটিলতা, সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতিজ্ঞানও তাদের ঢের ছিল। এরা অনেকেই বাড়িতে সাহিত্যের আসর বসাতো। সাহিত্যচর্চা, বুদ্ধিচর্চা, সঙ্গীতচর্চা ও বাইজি নারীদের নিয়ে ফুর্তি করে দিন কাটাতো। কাড়িকাড়ি মদ পান করা তাদের আদত ছিল। আমাদের সাহিত্যে তাদের প্রভাব রয়েছে। আমাদের বুদ্ধিজীবীদের ওপরও তাদের অপ্রতিহত প্রভাব। কাউকে বাবু বলা হলে সাধারণত এদিকেও ইশারা করা হয়।
ঠাকুর পরিবারের অনেকেই ছিলেন ইংরেজের কেরাণি। রামমোহন রায়ও ছিলেন ইংরেজের কেরাণি। রাজনারায়ণ বাবুর পিতাও। এরা প্রভূত আর্থিক সুবিধা করতে পেরেছিলেন।
জমিদার, পত্তনিদার, জোতদার, তালুকদার, নায়েব, গোমস্তা ইত্যাদির যে পরশ্রমজীবী নতুন বাবুশ্রেণি তৈরি হয়েছিল, সাধারণ মানুষদের শোষণ করে যারা নিজেদের ভাগ্য গড়ে তোলেছিল, উনিশ শতকের শিক্ষিত সম্প্রদায়ের প্রধান অংশই এসেছিল সেই শ্রেণি থেকে। শতাব্দীর শেষ দিকে এই পরশ্রমজীবীদের সঙ্গে আর একটি শ্রেণি এসে যোগ দেয় যা এক কথায় পরিচিত হন ভদ্রলোকশ্রেণি হিশেবে।
শিক্ষা, ভাষা-সাহিত্য-সঙ্গীতে বাংলার বাবু ও ভদ্রলোকদের অবদান রাখা সম্ভব হয়েছিল। এরা একটা জাগরণও সৃষ্টি করেছিল। জমিদারি কিংবা শিক্ষা কোনো পথ ধরেই মুসলমানরা পারেননি অগ্রসর হতে।
মুসলমানের পথ বন্ধ করা হয়েছিল। সংস্কৃত কলেজে যখন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর অধ্যক্ষ, তখন একজন মুসলমান ছাত্র ভর্তি হতে যান, কিন্তু কলেজের নিয়ম অনুসারে তারা ভর্তি করে নি। বিদ্যাসাগর যিনি এত বড় সংস্কারক, তিনিও তা পরিবর্তনের কোনো প্রয়োজন দেখলেন না।
সিউড়িতে আগে কলেজ ছিল না। যুদ্ধকালে বিদ্যাসাগর কলেজের অধ্যাপকরা কলকাতা থেকে এসে শাখা প্রতিষ্ঠা করেন। একদিন আদালতে একজন মুসলমান কর্মচারী আমাকে বলেন যে, তার ছেলেটিকে কলেজে পড়াতে চান, কিন্তু মুসলমান বলেই ওকে ভর্তি করা হচ্ছে না। সে কী কথা! আমি খোঁজ নিয়ে জানতে পাই যে কলকাতার বিদ্যাসাগর কলেজেও মুসলমান ছাত্রদের ভর্তি করা হয় না। সেই বিদ্যাসাগর মহাশয়ের আমল থেকেই কলেজের নিয়মাবলিতে ধর্ম নিয়ে বাছবিচার আছে। …হিন্দু কলেজেও ছাত্রদের মেলা বাছবিচার করা হতো।
ইংরেজ আমলে মুসলিম পরিচয় নিয়ে বাঁচার যে সংগ্রাম পরিলক্ষিত হয় এবং যেকারণে বাংলার মুসলমান বঞ্চিত হয়ে এসেছেন তা আজও বিদ্যমান। পশ্চিমবঙ্গের কথা আমরা উল্লেখ করছি না, কারণ ওখানের মুসলমানরা এক ইংরেজ দস্যু বিদায় করে আরেক সাম্রাজ্যবাদী শত্রুর কবলে পড়েছেন। তারা তাদের এই ভাগ্য মেনে নিয়েছেন। কিন্তু বাংলাদেশের মুসলিম সমাজ, যুগ যুগ ধরে যাদের বিশেষ একটা স্বাতন্ত্র্য ছিল, যারা নিজেদের জাতিসত্তার ব্যাপারে সবসময় সচেতনতার পরিচয় দিয়েছেন তাদের এখানে ইসলাম মেনে চলায় রাষ্ট্রের বাধা কেনো? রাষ্ট্র তাদের ইচ্ছাকে মূল্যায়ন করে আজও কেনো শিক্ষা, অর্থনীতি, বিচার ও প্রশাসনের সকল স্তরে ইসলামকে স্বাগত জানাতে পারলো না? বর্তমান সরকার শিক্ষাব্যবস্থাকে কী উদ্দেশে ব্যবহার করছে?
পাঠ্যপুস্তকে শিক্ষার্থীদের কী সব কথা পড়ানো ও মুখস্থ করানো হচ্ছে? আমাদের বঞ্চনার ধারা যেটা ইংরেজ ও তার দোসর হিন্দু সহযোগীদের মাধ্যমে সূচিত হয়েছিল, আজ দেশ দুদুবার স্বাধীন হওয়ার পরও দেখছি তার জের চলেছে ওই অক্ষশক্তির মধ্যেই। আগের ক্ষতি যা হয়েছে তাহলো, আমাদের রাজনৈতিক সচেতনতা কমে গেছে। আমরা সেসব ইতিহাসও পাঠ করছি না। কেননা ইতিহাস সমাজ ও রাজনীতিসচেতন করে তোলে।