জাপানের স্কুলগুলোতে
হালাল খাবারের সুযোগ
জাপানে স্কুল ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন ধর্মের শিক্ষার্থী থাকায় নিজস্ব ব্যবস্থাপনা ও সুবিধা মতো খাবার গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে দেওয়া খাবারের পরিবর্তে বিকল্প খাবার গ্রহণে কোনো অসুবিধা নেই বলেও জানানো হয়েছে। খবর জাপান টাইমসের।
২৩ জুন জাপানের ইয়োকাকিচি পৌরসরকারের একজন কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ভবিষ্যতে মুসলিম শিশুদের সংখ্যা বাড়তে পারে। তাই বিবেচনা করে আমাদের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
ইয়োকাকিচিতে বাংলাদেশি দম্পতির অভিযোগের ভিত্তিতে স্কুলগুলোতে এমন ব্যবস্থার সিদ্ধান্ত হয়। কারণ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর বাবা-মা লক্ষ্য করেন যে, তাদের মেয়েকে শুয়রের মাংসের সঙ্গে ভাজা নুডলস পরিবেশন করা হচ্ছে।
ওই মেয়ের বাবা বলেন, আমাকে সবসময় বলা হয়েছে যে, শুয়রের মাংস সরিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু এ ব্যাপারে সম্মতি জানানোর আমার কোনো ধরনের সুযোগ নেই। অভিযোগ করার পর শুকরের মাংসে ভাজা নুডলসের পরিবর্তে তারা অর্ধ-কলা ও স্যুপ দিতে শুরু করেন। তবে বিভিন্ন ধর্মীয় ব্যাকগ্রাউন্ডের শিশুরা স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে না পারাটা অবশ্যই বৈষম্য।
রোহিঙ্গাদের আবাসস্থল এখন নাৎসি বন্দিশিবির: জাতিসংঘ কর্মকর্তা
মিয়ানমারে হাজার হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম কনসেনট্রেশান ক্যাম্প ও শহুরে বস্তিতে বাস করছে, যেমন পরিস্থিতি ছিল নাৎসি বাহিনীর অধীনস্থ ইউরোপে। জাতিসংঘের এক তদন্ত কর্মকর্তা এ কথা বলেছেন।
সিদোতি বলেন, যে ১২৮,০০০ মানুষকে তাদের বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, তারা এখন মধ্য রাখাইনের বিভিন্ন ক্যাম্পে এবং শহুরে বস্তিগুলোতে বাস করছে। এমন পরিস্থিতিতে তারা আছে, যেটাকে নাৎসিদের ইহুদি ক্যাম্পের সাথে তুলনা করা চলে।
তিনি বলেন, মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী যে গ্রামগুলোতে আছে, সেখানে তাদের চলাফেরার স্বাধীনতা মারাত্মকভাবে সীমিত এবং তাদের বিয়ে করা এবং সন্তান জন্মদানের বিষয়টিও কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।
সিদোতি বলেন, ‘এগুলো হলো কনসেন্ট্রেশান ক্যাম্প যেটা যা, তাকে সেটাই বলতে হবে। মধ্যরাখাইনে, সিত্তয়ের বাইরে ১২৮,০০০ ঘর-বাড়ি হারা রোহিঙ্গা বাস করছে, এবং সেগুলো শহুরে বস্তি হয়ে উঠেছে, ঠিক নাৎসি ইউরোপে ইহুদিরা যেভাবে বাস করতো।’
ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনে বৃহস্পতিবার রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে আয়োজিত এক সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে সিদোতি এ সব কথা বলেন।
তিনি বলেন, মিয়ানমারে মাত্র ৪০০,০০০ থেকে ৫০০,০০০ এর মতো রোহিঙ্গা অবশিষ্ট আছে, যেখানে ২০১২ সালে ছিল ২ থেকে ৩ মিলিয়ন।
যারা তাবরেজ আনসারীকে হত্যা করেছে তারা সন্ত্রাসী: ব্যারিস্টার আসাদ ওয়াইসি
মজিলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলেমিন (মিম) সুপ্রিমো ব্যারিস্টার আসাদউদ্দিন ওয়াইসি বলেছেন, যারা তাবরেজ আনসারীকে হত্যা করেছে তারা সন্ত্রাসী। গণপিটুনিজনিত বিভিন্ন ঘটনায় মুসলিম যুবকরা নিহত হওয়ার প্রতিবাদে হায়দরাবাদে এক বিক্ষোভ সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময় তিনি ওই মন্তব্য করেন।
সম্প্রতি বিজেপিশাসিত ঝাড়খণ্ডে চোর সন্দেহে তাবরেজ আনসারী (২৪) নামে এক মুসলিম যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেছে উগ্রহিন্দুত্ববাদী জনতা। তারা তাবরেজ আনসারীকে জোর করে ‘জয় শ্রীরাম’ ও ‘জয় হনুমান’ ধ্বনি দিতে বাধ্য করে। ওই ঘটনায় দেশে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হওয়ায় দেশের বিভিন্নস্থানে প্রতিবাদ, বিক্ষোভ হচ্ছে।
হায়দরাবাদের প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে ‘মিম’ প্রধান ওয়াইসি বলেন, ‘এসব জালিমদের থেকে ভয় পাবেন না। ওরা কাপুরুষের ফৌজ (বাহিনী) যারা ২৫/৩০ জন একসঙ্গে এক নিরপরাধকে হত্যা করছে। ওরা কাপুরুষ!’ উগ্রহিন্দুত্ববাদীদের তীক্ষ্ণ কটাক্ষ করে ওয়াইসি বলেন, ‘যারা তাবরেজ আনসারিকে হত্যা করেছে তারা ‘গডসে’র অবৈধ সন্তান। যারা তাবরেজ আনসারীকে হত্যা করেছে তারা ভারতের ‘গাদ্দার’ (বিশ্বাসঘাতক), যারা তাবরেজ আনসারীকে হত্যা করেছে তারা সন্ত্রাসী। ওদের এবং আইএসআইএসের মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই।’
ইউরোপের মাটির নীচে
বারো শ’ বছরের পুরাতন মসজিদ!
ইউরোপে মাটির নীচে বারো শ’ বছরের পুরোনো মসজিদ আবিস্কার হয়েছে। স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদের রেকোপোলিস গ্রামে এ প্রাচীনতম মসজিদের সন্ধান পাওয়া গেছে।
সেখানকার প্রত্মতত্ত্ববিদরা বলছেন, মাটির নীচে মসজিদের মতো একটি স্থাপনা মিলেছে। আর এটি ইউরোপের প্রাচীনতম মসজিদ হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।
ইতিহাস থেকে জানা যায়, মাটির নীচে চাপাপড়া প্রাচীন রেকোপোলিস শহর নির্মিত হয় ছয় শতকের দিকে। ভিসগথিক শাসকরা শহরটি নির্মাণ করেন। এ শহরে মুসলিম শাসনামলের বিভিন্ন নিদর্শন রয়েছে। পরবর্তীতে ৮০০ সালের দিকে শহরটি পরিত্যক্ত হয়।
হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাইকেল ম্যাকক্রোমিক জানান, ২০১৪ সালে তিনি যখন এই স্থান ভ্রমণ করতে আসেন, তখন এখানে একটি প্রাসাদ, একটি চ্যাপেল ও কিছু দোকানপাটের অবশিষ্টাংশ দেখতে পান। পরের বছর তিনি সম্পূর্ণ স্থানটি জরিপের কাজ শুরু করেন। কয়েকজন সহকর্মিসহ জিওম্যাগনেটিক পদ্ধতিতে তিনি স্থানটির সম্পূর্ণ জরিপ করেন। জরিপ চলাকালীন প্রত্মতাত্ত্বিকরা লক্ষ্য করেন, অন্যান্য স্থাপনার চেয়ে একটি স্থাপনা ভিন্ন। স্থাপনাটি মক্কা অভিমুখী। এছাড়াও স্থাপনাটির নকশা প্রায় মধ্যপ্রাচ্যের মসজিদের মতো।
মাটি না খুঁড়ে নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না এটি মসজিদ না অন্য কিছু। যদি এটি মসজিদই হয়, তবে এটিই হয়তো ইউরোপের সর্বপ্রাচীন মসজিদ। সূত্র: আবদুল্লাহ তামিম
জর্ডানে বিশ্বসেরা বাংলাদেশের হাফেয সাইফুর রহমান তকী
জর্ডানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফযুল কুরআন প্রতিযোগিতায় ফের প্রথম স্থান অধিকার করলো বাংলাদেশি হাফেয সাইফুর রহমান তকী। কুরআন প্রতিযোগিতার এ আসরে ৬২ দেশের প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে প্রথম হন তকী। প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে কাতারের প্রতিযোগী, তৃতীয় স্থান বাহরাইন, চতুর্থ পাকিস্তান ও পঞ্চম স্থান অর্জন করে সউদি আরবের প্রতিযোগী। জর্ডানের রাজধানী আম্মানে অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতায় চলে ১৫ জুন থেকে২০ জুন পর্যন্ত।
সাইফুর রহমান তকী হাফেয কারী রাজধানীর মারকাযুত তাফফীয ইন্টারন্যাশনাল ক্যাডেট মাদরাসার ছাত্র। এর আগেও হাফেয সাইফুর রহমান তকী ২০১৪ সালে এনটিভি আয়োজিত পিএইচপি কুরআনের আলো প্রতিভার সন্ধানে প্রতিযোগিতায় প্রায় ত্রিশ হাজার প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অর্জন করেন। ২০১৫ সালে জেদ্দায় আন্তর্জাতিক হিফযুল কুরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান, ২০১৬ সালে বাহরাইনে তৃতীয় স্থান ও ২০১৭ সালে কুয়েত আন্তর্জাতিক হিফযুল কুরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন।
তুরস্কে নারী-পুরুষের জন্য আলাদা শিক্ষা ব্যবস্থা চান এরদোগান
তুরস্কে নারী-পুরুষের জন্য আলাদা শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করতে চান দেশটির প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়ব এরদোগান। সম্প্রতি জি-২০ সম্মেলন উপলক্ষ্যে জাপান সফরে গিয়ে এমন মনোভাবের কথা জানিয়েছেন তিনি। খবর ডয়চে ভেলের।
জাপানে ৮০টি নারী বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। নারীদের জন্য বিশেষায়িত এমন ব্যবস্থাকে ‘খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়’ উল্লেখ করে এরদোগান জানান, তুরস্কেও তিনি এটি চালু করতে চান।
সম্মেলন থেকে আঙ্কারায় ফিরে নিজ দেশেও জাপানি মডেলে নারী-পুরুষের পৃথক শিক্ষার আভাস দিয়েছেন এরদোগান। তুরস্কের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নারীদের আলাদা ব্যবস্থাপনায় শিক্ষার মধ্যে ভালো কিছু দেখছেন তিনি। এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে তুরস্কের উচ্চশিক্ষা কাউন্সিল (ওয়াইওকে) কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়ার কথাও জানান তিনি।
কামাল আতাতুর্কের হাত ধরে ধর্মনিরপেক্ষ নীতি নিয়ে ১৯২৩ সালে বর্তমান তুরস্ক প্রতিষ্ঠা লাভ করে। সে কারণে দেশটিতে নারী-পুরুষের জন্য পৃথক কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নেই।
‘জয় শ্রীরাম’ এখন মানুষ মারার স্লোগানে পরিণত হয়েছে: অমর্ত্য সেন
‘জয় শ্রীরাম’ এখন মানুষ মারার স্লোগানে পরিণত হয়েছে। মানুষ মারার কাজে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগানকে ব্যবহার করা হচ্ছে। কলকাতায় এসে এমনটাই বললেন নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘কলকাতা আফটার ইনডিপেনডেন্সি’ এ পার্সোন্যাল মিরর শীর্ষক আলোচনা চক্রে যোগদান করে এ মন্তব্য করেন অর্থনীতিবিদ ড. অমর্ত্য সেন। ইদানিং দেশে অস্থিরতা তৈরিতে নানা ইস্যুকে সামনে আনা হচ্ছে। তার মধ্যে অন্যতম জয় শ্রীরাম। তবে এটা মানুষ মারার স্লোগান ছাড়া কিছুই নয়।
তিনি বলেন, ‘আজ যখন শুনি বিশেষ বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষ ভীত, শঙ্কিত হয়ে রাস্তায় বের হন এই শহরে, তখন আমার গর্বের শহরকে চিনতে পারি না। এসব নিয়ে প্রশ্ন তোলা দরকার।’ বক্তব্য শেষে প্রশ্নোত্তর পর্বে অমর্ত্য সেন বলেন, ‘জয় শ্রী রাম, রাম নবমী্তএসব কোনও কিছুর সঙ্গেই বাঙালির কোনও যোগ নেই। এখানে দুর্গাপুজো হয়।’
চীনে মুসলিম শিশুদেরকে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হচ্ছে
চীনে মুসলিম শিশুদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে। এর আগে হাজার হাজার প্রাপ্তবয়স্ককে আটককেন্দ্রে আটকে রাখার খবর এসেছিলো আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোতে। এবার শিশুদের বিচ্ছিন্ন করে রাখারা জন্য আবাসিক স্কুল তৈরির খবর মিলেছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন ও অন্যান্য নথি বিশ্লেষণ করে বিবিসির পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত একটি গবেষণা করা হয়। চীনে প্রায় দেড় কোটি উইঘুর মুসলমানের বাস। তাদের প্রতি চীনের আচরণ নিয়ে আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে রয়েছে বেইজিং। গত ডিসেম্বরে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় সেখানকার ‘উদ্বেগজনক’ আখ্যা দিয়ে ওই অঞ্চল সফরের প্রচেষ্টার কথা জানিয়েছিল।
যুক্তরাজ্য সরকারও এনিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে চীনকে তাদের মনোভাব পরিবর্তনের তাগিদ দিয়েছে। জিনজিয়াং প্রদেশের জনসংখ্যার ৪৫ শতাংশ উইঘুর মুসলিম। এ প্রদেশটি তিব্বতের মত স্বশাসিত একটি অঞ্চল। বিদেশি মিডিয়ার ওপর এখানে প্রবেশের ব্যাপারে কঠোর বিধিনিষেধ রয়েছে। কিন্তু গত বেশ কয়েক ধরে বিভিন্ন সূত্রে খবর আসছে যে, সেখানে বসবাসরত উইঘুরসহ ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা ব্যাপকহারে আটকের শিকার হচ্ছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ মানবাধিকার সংগঠনগুলোও জাতিসংঘের কাছে এ ব্যাপারে উদ্বেগ জানিয়েছে। উইঘুর মুসলিমদের গণহারে আটকের অভিযোগ এনেছে তারা। তবে চীন বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
উত্তর প্রদেশে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি না দেওয়ায় মুসলিম অটো চালককে মারধর
ভারতের উত্তর প্রদেশের কানপুরে এক মুসলিম অটোরিকশা চালক ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দিতে অস্বীকার করায় তাকে ব্যাপক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই ঘটনায় আতিব নামে এক অটোরিকশা চালক গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন। গত বুধবার রাতের ওই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট এলাকায় চাঞ্চল্য ও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।
পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, রাত ৯টা নাগাদ আতিব অটো রিকশা নিয়ে বাসায় ফিরছিল। এসময় কয়েকজন যুবক তাকে থামিয়ে তাদের গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে বলে। আতিব নামে ওই অটোচালক তাদের কাছে ভাড়া চাইলে ওই ব্যক্তিরা দিতে অস্বীকার করলে তাদের মধ্যে বচসা হয়। ওই ব্যক্তিরা তাকে স্থানীয় একটি শৌচাগারে নিয়ে গিয়ে জিম্মি করে বেধড়ক মারধর করে। এসময় ইট দিয়ে তার মাথায় আঘাত করলে তিনি মরণাপন্ন হয়ে পড়েন। চিৎকার চেঁচামেচি শুনে বেগমপুরবা কলোনির মানুষজন ছুটে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পুলিশ আহত ওই অটো রিকশা চালককে প্রথমে কেপিএম হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে তাকে এলএলআর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পরিবারের লোকজন বলছেন, তার অটোরিকশায় সুমিত, রাজেশ ও শিবা নামে তিনজন অটোতে উঠে নির্দিষ্ট গন্তব্যস্থলে পৌঁছে ভাড়া দিতে অস্বীকার করে।
সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের
৫,৩৭৩ কোটি টাকা জমা
সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে (সুইস ব্যাংক) বাংলাদেশিদের সঞ্চয় বেড়েছে। ২০১৮ সালে বাংলাদেশিদের মোট সঞ্চয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬১ কোটি ৭৭ লাখ ফ্র্যাংক। বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫ হাজার ৩৭৩ কোটি টাকা। (প্রতি সুইস ফ্র্যাংক ৮৭ টাকা হিসাবে)। জমাকৃত এ টাকার পরিমাণ দেশের কমপক্ষে ১২টি বেসরকারি ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধনের সমান।
২০১৭ সালে এর পরিমাণ ছিল ৪ হাজার ১৩৯ কোটি টাকা। এ হিসাবে আলোচ্য বছরে ১ হাজার ২৩৪ কোটি টাকা বেড়েছে। শতকরা হিসাবে যা প্রায় ২৯ শতাংশ। এ ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারত ও পাকিস্তানের পরেই বাংলাদেশের অবস্থান। ব্যাংকের প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
কোনো বাংলাদেশি তার নাগরিকত্ব গোপন রেখে টাকা জমা করলে তার তথ্য এই প্রতিবেদনে নেই।
আমিরাতে কারাবন্দী ৬ জন অমুসলিম কয়েদি ইসলাম গ্রহণ
সংযুক্ত আরব-আমিরাতে কারাবন্দী ৬ জন অমুসলিম কয়েদি ইসলাম গ্রহণ করেছেন। দেশটির রাস আল খাইমাহ শহরে কারা কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে ওই ৬ জন আনুষ্ঠানিকভাবে ইসলাম গ্রহণ করেন। খবর খালিজ টাইমসের।
জেল সুপার বিগ্রেডিয়ার ইয়াকুব ইউসুফ আবু লায়লা বলেন, ওই ৬ জন অমুসলিম বন্দি কর্তৃপক্ষের কাছে ইসলাম গ্রহণের আগ্রহের কথা জানান। তারা সবাই নাইজেরিয়ার নাগরিক। ওই ৬ জনের মধ্যে তিনজন পুরুষ এবং তিনজন নারী।
কর্তৃপক্ষ জানায়, ওই ৬ অমুসলিম কয়েদিকে ধর্মান্তরিত হতে কোনোভাবে বাধ্য করা হয়নি। তারা কারাগারের অন্য বন্দীদের থেকে ইসলাম সম্পর্কে ভালোভাবে জানার পর স্বেচ্ছায় ইসলাম গ্রহণ করেছেন। জেল সুপার আবু লায়লা আরও বলেন, রাস আল খাইমা কারাগারে ইসলামের সহনশীল ও উদারতা বিষয়ে বন্দীদের মধ্যে কোনো প্রচারণা চালানো হয় না। ইসলাম সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা নেয়ার পরই তারা ধর্মান্তরিত হয়েছেন।
নিজের ‘ঈমানকে দৃঢ় রাখতে’ সিনেমাজগত ছাড়লেন অভিনেত্রী জায়রা ওয়াসিম
কিশোরী বলিউড অভিনেত্রী জায়রা ওয়াসিম সিনেমায় অভিনয় ছেড়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেছেন, নিজস্ব পেশার ফলে ধর্ম ও বিশ্বাসের সাথে তার যে সম্পর্ক সেটা নষ্ট হচ্ছিল এবং এর ফলে তিনি মোটেও পরিতৃপ্ত ছিলেন না। মেগা-তারকা আমির খান অভিনীত ‘দঙ্গল’ ও ‘সিক্রেট সুপারস্টার’ ছবিতে অভিনয় করেই আলোচিত হয়ে ওঠেন কাশ্মীরে জন্ম নেওয়া ভারতীয় এই অভিনেত্রী। খুব অল্প সময়ের মধ্যে গোটা ভারতে তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেন তিনি।
জায়রা ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে অভিনয় ছেড়ে দেওয়ার কথা জানালে সেটি সাথে সাথেই সোশাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়ে পড়ে। জাতীয় পুরস্কার বিজয়ী এই অভিনেত্রী তাতে লিখেছেন, ‘আমি হয়তো এখানে (বলিউড) পুরোপুরি ঠিক আছি। কিন্তু আমি এখানকার মানুষ নই। পাঁচ বছর আগে আমি একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যা আমার জীবন বদলে দিয়েছে। বলিউডে পা দেওয়া মাত্রই আমার জন্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তার দরজা খুলে গিয়েছিল। আমি জনগণের কাছে আকর্ষণের কারণ হয়ে উঠতে শুরু করি। আমাকে তরুণদের জন্যে আদর্শ মডেল হিসেবেও তুলে ধরা হতে থাকে। কিন্তু আমি কখনো এরকম হতে চাইনি। সাফল্য বা ব্যর্থতাকে আমি কখনো এভাবে দেখিনি। আর এটা আমি এখন বুঝতে শুরু করেছি।’
জায়রা ওয়াসিমের বয়স এখন ১৮। তার অভিনয় জীবন মাত্র পাঁচ বছরের, কিন্তু এর মধ্যেই তিনি জনপ্রিয়তার তুঙ্গে পৌঁছে যান। তার দীর্ঘ পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘আমার এই পরিচয় নিয়ে আমি খুশি নই। যেন আমি অন্য কেউ হয়ে ওঠার চেষ্টা করছিলাম যা আমি নই। এখানে আমি প্রচুর ভালবাসা ও সমর্থন পেয়েছি, প্রশংসাও পেয়েছি। কিন্তু একই সাথে এটি আমাকে অজ্ঞানতার পথে নিয়ে যাচ্ছিল।’
তিনি মনে করেন যে, এর ফলে অবচেতন মনেই তিনি তার ‘ঈমান’ (ধর্মবিশ্বাস) থেকে দূরে সরে যাচ্ছিলেন। তিনি লিখেছেন, ‘এধরনের পরিবেশে কাজ করতে করতে দেখলাম যে এটা আমার ‘ঈমানে’ বিঘ্ন ঘটাচ্ছে, ধর্মের সাথে আমার সম্পর্কের ক্ষেত্রে হুমকি হয়ে উঠেছে।’ তিনি লিখেছেন, ‘এতো ছোট জীবনে এ বিশাল লড়াই আমি লড়তে পারব না। সুতরাং বলিউড ছাড়ার আমি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিলাম।’
আবু তারিক হিজাযী